মনীষী দে: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
অ হটক্যাটের মাধ্যমে বিষয়শ্রেণী:Articles with hCards অপসারণ |
AstroWizard (আলোচনা | অবদান) সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১ নং লাইন:
{{Infobox artist
| name
| image
| caption
| birth_name
| birth_date
| birth_place
| known_for
| death_date
| death_place
| nationality
}}
'''মনীষী দে''' (২২ সেপ্টেম্বর, ১৯০৯ ― ৩১ জানুয়ারি ১৯৬৬ ) ছিলেন [[বঙ্গীয় শিল্পকলা| বঙ্গীয় শিল্পকলা তথা বেঙ্গল স্কুল অব আর্টের]] একজন ভারতীয় চিত্রশিল্পী। তিনি খ্যাতনামা চিত্রশিল্পী ও ভারতীয় এচিং-এর জনক [[মুকুল দে| মুকুল দে'র]] অনুজ।
== প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা ==
মনীষী দে'র জন্ম অবিভক্ত বাংলার অধুনা বাংলাদেশের ঢাকার শ্রীধরখোলা গ্রামে। তাঁর আসল নাম ছিল বিজয়চন্দ্র। তিনি পূর্ণশশী দেবী ও পুলিশ অফিসার ও কবি কুলচন্দ দে'র পঞ্চম সন্তান এবং তৃতীয় পুত্র। ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে যখন তাঁর বয়ঃক্রম আট বৎসর, পিতা মারা যান। তাঁকে তখন শান্তিনিকেতনের পাঠভবনে ভরতি করান হয়। সেখানে প্রথমদিকে তাঁর ভালো না লাগায় বিদ্রোহী হয়ে ওঠেন; কিন্তু
ভারতীয় উপমহাদেশে তৎকালীন রাজনৈতিক ও ধর্মীয় পরিবেশ মনীষী দে'র জীবনে বিশেষ প্রভাব ফেলেছিল। কেননা তাঁর জন্মের কিছু আগে ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে, পূর্ব ও পশ্চিমে বাংলাভাগ ও
== ১৯২৮ খ্রি–১৯৪৭ খ্রি: সময়ের শিল্পকর্ম ==
এই সময়ে মনীষী দে ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন স্থান ঘুরেছেন দেশের বিচিত্র ও নতুন রূপকথার সন্ধানে এবং তাঁর যে অভিযান ভারতীয় পেন্টিং এবং ওয়াটার কালার, ওয়াশ টেকনিক ইত্যাদিতে সফল প্রয়োগে সহায়ক হয়েছিল। ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে মনীষী দে'র অগ্রজ মুকুল দে শান্তিনিকেতনে বসবাসের সিদ্ধান্ত নেন এবং [[গভর্নমেন্ট কলেজ অব আর্ট অ্যান্ড ক্র্যাফট, কলকাতা| কলকাতার গভর্নমেন্ট কলেজ অব আর্ট অ্যান্ড ক্র্যাফটের]] প্রথম ভারতীয় অধ্যক্ষ হন।<ref name="Mukul Dey Archives">Satyasri Ukil: "Mukul Dey: Pioneering Indian Graphic Artist." Mukul Dey Archives, updated 16 March 2013. </ref> সেসময় ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি ভাই মনীষীকে মাত্র
মনীষী দে নতুন দিল্লিতে ১৯৪০ দশকের শেষের দিকে ও ১৯৫০ দশকের প্রথম দিকের [[মকবুল ফিদা হুসেন]], ফ্র্যানসিস নিউটন সুজা, সৈয়দ হায়দার রাজা, শৈলজ মুখার্জি এবং শান্তনু উকিল প্রমুখ শিল্পীদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ রক্ষা করতেন।
<ref name="Curuppumullage Jinarajadasa: Lecture Notes">Curuppumullage Jinarajadasa. "Lecture Notes with cover design by Manishi Dey." Adyar: Madras, Theosophical Publishing House; 1st Edition, 1930 </ref>
==১৯৪৮ খ্রি - ১৯৬৬ খ্রি: সময়ের শিল্পকর্ম ==
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষে এবং ভারতের দ্বিখণ্ডিত স্বাধীনতা লাভের পর মনীষী দে'র শিল্পকর্মে আমূল পরিবর্তন আসে। মূলত বম্বের প্রগ্রেসিভ আর্টিস্টস গ্রুপের প্রভাবে নতুন সতেজতা, প্রাণশক্তি লাভ করে। ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে পাকিস্তান থেকে আসা অমুসলিম শরণার্থীদের বাইশটি চিত্রের যে শৃঙ্খলা তিনি এঁকেছিলেন তাতে বিমানযাত্রায় তাদের হৃদয় বিদারক যন্ত্রণা মূর্ত হয়ে ওঠে।
<ref name="Have Faith in India's Cultural Heritage. Interview with Manishi Dey, Allahabad News, September 4, 1953">Manishi Dey. "Have Faith in India's Cultural Heritage." Allahabad News, 4 September 1953</ref>
ভারতের প্রগতিশীল শিল্প আন্দোলনের অন্যতম প্রবক্তা শিল্প সমালোচক ও চিত্রশিল্পী রিচার্ড বার্থোলোমিউ যিনি এক সময় ললিত কলা একাডেমির একসময়ের সম্পাদক ছিলেন, ভারতীয় শিল্পকলা নিয়ে স্বাধীনতার আগে পর্যন্ত তিন দশকের সমাললোচনা করেন এবং ফলত এফএন সুজা, এসএইচ রাজা, এমএফ হুসেন, মনীষী দে'র মত শিল্পীরা বেঙ্গল স্কুল অব আর্টের প্রভাব মুক্ত হয়ে ভারতের এক নতুন প্রগতিশীল গোষ্ঠীতে পরিণত হয়।
প্রগ্রেসিভ আর্টিস্ট গ্রুপের শীর্ষস্থানীয়েরা ১৯৫০ এর দশকে হিন্দুচরমপন্থীদের কারণে বিদেশে নির্বাসিত হন; মনীষী দে আমৃত্যু দেশে বোম্বাই এবং দিল্লিতে
== উত্তরাধিকার ==
মনীষী দে ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দের ৩১ শে জানুয়ারি কলকাতায় ৫৬ বৎসর প্রয়াত হন তাঁর শিল্পকর্ম বহু বছর ধরে [[মুম্বই| মুম্বইয়ের]] ন্যাশনাল গ্যালারি অফ মডার্ন আর্ট, [[উত্তর প্রদেশ| উত্তর প্রদেশের]] [[লখনউ| লখনউস্থিত]] সরকারি [[ললিত কলা একাডেমি]], দিল্লি আর্ট গ্যালারি, এলাহাবাদ মিউজিয়াম, [[হায়দ্রাবাদ| হায়দ্রাবাদের]] সালারজঙ্গ মিউজিয়াম,[[শান্তিনিকেতন| শান্তিনিকেতনের]] কলাভবনে এবং বাংলাদেশের সামদানি আর্ট ফাউন্ডেশন সহ দেশের বিভিন্ন সংগ্রহশালায় প্রদর্শিত হয়েছে।
বিংশ শতকের শেষের দিকে লন্ডনে এবং নিউ ইয়র্কে আয়োজিত শিল্পসৃষ্টির প্রদর্শনী তাঁর আন্তর্জাতিক খ্যাতি এনে দিয়েছিল।
একবিংশ শতকের গোড়ার দিকে মনীষী দে'র শিল্পনিদর্শন লন্ডনের বনহামস, ক্রিসটিজ সহ ভারতের নামকরা আন্তর্জাতিক নিলাম ঘরেও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
|