শিশু পাচার: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

'''শিশু পাচার''' হচ্ছে [[মানব পাচার|মানব পাচারের]] একটি দিক এবং [[জাতিসংঘ|এবং জাতিসংঘজাতিসংঘের]] কর্তৃক "নিয়োগ, পরিবহন, স্থানান্তর, আশ্রয়, এবং/অথবা প্রাপ্তি" এর সংজ্ঞা অনুযায়ী একজন শিশুকে অপহরণ করে দাসত্ব, জোরপূর্বক শ্রম এবং শোষণের উদ্দেশ্যে অপহরণপাচার করে পাচার"নিয়োগ, করা।স্থানান্তর, হস্তান্তর, আশ্রয়, এবং/অথবা প্রাপ্তি"।<ref name="United Nations 2000">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.unicef.org/protection/convention_20traff_eng.pdf|শিরোনাম=Protocol to Prevent, Suppress and Punish Trafficking in Persons, Especially Women and Children|বছর=2000|প্রকাশক=United Nations|সংগ্রহের-তারিখ=February 9, 2012}}</ref> {{Rp|Articleঅনুচ্ছেদ 3৩(cগ)}} এই সংজ্ঞাটি একই নথির "ব্যক্তি পাচার" এর সংজ্ঞার তুলনায় যথেষ্ট বিস্তৃত।<ref name="United Nations 2000" /> {{Rp|Articleঅনুচ্ছেদ 3৩(aক)}} শিশুদের দত্তক নেওয়ার উদ্দেশ্যেও পাচার করা হতে পারে। যদিও শিশু পাচারের পরিসংখ্যান পাওয়া কঠিন, [[আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা]] (আইএলও) অনুমান করে যে, প্রতি বছর ১০,০০০ শিশু পাচার হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.ilo.org/ipecinfo/product/download.do?type=document&id=14616|শিরোনাম=Child Trafficking – Essentials|বছর=2010|প্রকাশক=[[International Programme on the Elimination of Child Labour|ILO-IPEC]]|বিন্যাস=PDF}}</ref> ২০১২ সালে জাতিসংঘের ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম অফিস (ইউএনওডিসি) জানিয়েছে, তিন বছরের ব্যবধানে শিশু নির্যাতনের হার ২০ শতাংশ থেকে বেড়ে ২৭ শতাংশ হয়েছে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://arkofhopeforchildren.org/child-trafficking/child-trafficking-statistics|শিরোনাম=Child Trafficking Statistics|ওয়েবসাইট=Ark of Hope for Children|ভাষা=en-GB|সংগ্রহের-তারিখ=November 26, 2018}}</ref> প্রতিবছর সারা বিশ্বের ৩,০০,০০০ শিশুকে সারাঅপহরণ বিশ্ব থেকে নিয়ে যাওয়াকরা হয় এবং মানব পাচারকারীরা দাস হিসেবে বিক্রি করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে আসা ১৭,০০০ মানুষের মধ্যে ২৮% শিশু। অর্থাৎ প্রতিদিন পাচার হয় প্রায় ১৩ জন শিশু।<ref name="erasechildtrafficking.org">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.erasechildtrafficking.org/statistics-of-human-trafficking/|শিরোনাম=Human Trafficking Statistics|তারিখ=July 20, 2016|ওয়েবসাইট=ERASE Child Trafficking|ভাষা=en-US|সংগ্রহের-তারিখ=December 6, 2018}}</ref> ২০১৪ সালে মানব পাচার বিরোধী সংগঠন থর্ন দ্বারা পরিচালিত গবেষণায় বলা হয়েছে যে, ক্রেইগলিস্টের মতো ইন্টারনেট সাইটগুলি প্রায়শই শিল্পের মধ্যে ব্যবসা পরিচালনার সরঞ্জাম হিসাবে ব্যবহৃত হয় এবং জরিপকৃত শিশুদের ৭০ শতাংশ শিশু যৌন পাচারের উদ্দেশ্যে অনলাইনে বিক্রি হয়েছিল।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.huffingtonpost.com/2014/07/25/sex-trafficking-in-the-us_n_5621481.html|শিরোনাম=70 Percent of Child Sex Trafficking Victims Are Sold Online: Study|শেষাংশ=Couch|প্রথমাংশ=Robbie|তারিখ=July 25, 2014|কর্ম=Huffington Post|সংগ্রহের-তারিখ=November 26, 2018|ভাষা=en-US}}</ref> শিশু পাচারকে আন্তর্জাতিকভাবে একটি গুরুতর অপরাধ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে, যা বিশ্বের প্রতিটি অঞ্চলে বিদ্যমান এবং প্রায় সবগুলো মানবাধিকার লংঘন করে। গবেষণায় দেখা যায় গত এক দশকের মধ্যে এটি শুধুমাত্র জনসাধারণের কর্মকাণ্ডে নাটকীয় বৃদ্ধির কারণে এই অভ্যাসের বিস্তার ও প্রভাবপ্রভাবের খবর আন্তর্জাতিকভাবে উঠেপ্রাধান্য এসেছে।পেয়েছে। সীমিত গবেষণায় এখনো শিশু পাচারের সমস্ত কারণ চিহ্নিত করা যায়নি, তবে দেখা যায় যে, দারিদ্র্যতা, মানবিক সংকট ও শিক্ষার অভাব শিশু পাচারের ক্ষেত্রে উচ্চ হারে অবদান রাখে। সেই অনুযায়ী বিভিন্ন সম্ভাব্য সমাধান প্রস্তাবিত ও বাস্তবায়িত হয়েছে, যা চার ধরনের কর্মের মধ্যে শ্রেণিবদ্ধ করা যেতে পারে। যথা ব্যাপক সুরক্ষা, প্রতিরোধ, আইন প্রয়োগ এবং ভিকটিমকে সহায়তা।<ref name="TngManualFightTrafficking-Textbk2">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.unicef.org/protection/CP_Trg_Manual_Textbook_2.pdf|শিরোনাম=Training Manual to Fight Child Trafficking in Children for Labour, Sexual and Other Forms of Exploitation – Textbook 2: Action Against Child Trafficking at Policy and Outreach Levels|শেষাংশ=ILO|শেষাংশ২=UNICEF|বছর=2009|সংগ্রহের-তারিখ=February 9, 2012}}</ref><ref name="Bianca Daw">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.academia.edu/2065674|শিরোনাম=Child Trafficking: Problems and Solutions|শেষাংশ=Daw|প্রথমাংশ=Bianca}}</ref> শিশু পাচারের সাথে সম্পর্কিত প্রধান আন্তর্জাতিক নথি হচ্ছে- ১৯৮৯ সালে জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদ, ১৯৯৯ সালে শিশু শ্রম কনভেনশনের আইএলও সবচেয়ে খারাপ দিক, এবং ২০০০ সালের জাতিসংঘের ব্যক্তিদেরব্যক্তি মাঝেবিশেষ প্রটোকলকরে প্রতিরোধনারী ও শিশুদের পাচার রোধ, দমন ও শাস্তি, বিশেষ করে মহিলা এবংদেওয়ার বাচ্চারা।প্রটোকল।

শিশুদের পাচার মোকাবেলায় প্রথম প্রধান আন্তর্জাতিক দলিল ২০০০ জাতিসংঘের পালের্মো প্রোটোকলের অংশ, যার শিরোনাম হচ্ছে “প্রোটোকল টু প্রিভেনট, স্যাম্পাসসাপ্রেস অ্যান্ড পেনিশপানিশ ট্র্যাফিকিং ইন পারসোনসপারসনস, ইস্পেসিয়ালীএস্পেশালী ওমেনউইমেন এন্ড সিল্ড্রেন”।চিল্ড্রেন”। এই নথির অনুচ্ছেদ ৩ (ক) শিশু পাচারকে "শোষণের উদ্দেশ্যে একজন শিশুর নিয়োগ, পরিবহনস্থানান্তর, স্থানান্তরহস্তান্তর, আশ্রয় এবং/অথবা প্রাপ্তি" হিসাবে সংজ্ঞায়িত করে।<ref name="United Nations 2000">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.unicef.org/protection/convention_20traff_eng.pdf|শিরোনাম=Protocol to Prevent, Suppress and Punish Trafficking in Persons, Especially Women and Children|বছর=2000|প্রকাশক=United Nations|সংগ্রহের-তারিখ=February 9, 2012}}</ref> এখানে শিশু পাচারের সংজ্ঞা শুধুমাত্র পাচারের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য, যা আন্তর্জাতিক এবং/অথবা সংগঠিত অপরাধী গোষ্ঠীগুলির সাথে জড়িত। এ সত্ত্বেও শিশু পাচার এখন সাধারণত এই প্যারামিটারগুলির বাইরেবাইরেও ভালভাবেবিশেষভাবে স্বীকৃত।<ref name="TngManualFightTrafficking-Textbk1">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.unicef.org/protection/Textbook_1.pdf|শিরোনাম=Training Manual to Fight Child Trafficking in Children for Labour, Sexual and Other Forms of Exploitation – Textbook 1: Understanding Child Trafficking|শেষাংশ=ILO|শেষাংশ২=UNICEF|বছর=2009|সংগ্রহের-তারিখ=February 9, 2012}}</ref> আইএলও এই সংজ্ঞা প্রসারিত করে দাবি করে যে, আন্দোলন ও শোষণ শিশু পাচারের মূল দিক।<ref name="TngManualFightTrafficking-Textbk1" /> এখানে ব্যবহৃত "শিশু" এর সংজ্ঞাটি হল, ১৯৮৯ সালের জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদে তালিকাভুক্ত, যেখানে বলা হয়েছে, "একটি শিশু মানে ১৮ বছরের কম বয়সী প্রতিটি মানুষ। যদি না শিশুর জন্য প্রযোজ্য আইনের অধীনে সংখ্যাগরিষ্ঠপ্রাপ্তবয়স্কতা আগে পাওয়াঅর্জিত যায়।হয়।"<ref name="United Nations 1989">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www2.ohchr.org/english/law/crc.htm|শিরোনাম=Convention on the Rights of the Child|বছর=1989|প্রকাশক=United Nations|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20100611182141/http://www2.ohchr.org/english/law/crc.htm|আর্কাইভের-তারিখ=June 11, 2010|সংগ্রহের-তারিখ=March 10, 2012}}</ref> এই সংজ্ঞায় বর্ণিত পার্থক্যটি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ কিছু দেশ " সংখ্যাগরিষ্ঠতারপ্রাপ্তবয়স্কতার বয়স " ১৮ এর নিচে নির্ধারণ করতে বেছে নিয়ে তারা আইনগতভাবে শিশু পাচারকে বৈধ করে।<ref name="TngManualFightTrafficking-Textbk1" />

অনেক আন্তর্জাতিক, আঞ্চলিক এবং জাতীয় দলিলসমূহ শিশুদের পাচারের সাথে জড়িত। তারা এই দলিলগুলি ব্যবহার করে আইনগতভাবে শিশু পাচারকে সংজ্ঞায়িত করার জন্য, যেমন এই চর্চায় জড়িত ও প্রচারকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। এই আইনি উপকরণগুলি বিভিন্ন শর্তাবলী দ্বারা বলা হয়, যার মধ্যে রয়েছে কনভেনশনসম্মেলন, প্রটোকল, স্মারকলিপি, যৌথ কর্ম, সুপারিশ এবং ঘোষণা। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দলিলগুলি নীচে দেয়া হলো-<ref name="TngManualFightTrafficking-Textbk1">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.unicef.org/protection/Textbook_1.pdf|শিরোনাম=Training Manual to Fight Child Trafficking in Children for Labour, Sexual and Other Forms of Exploitation – Textbook 1: Understanding Child Trafficking|শেষাংশ=ILO|শেষাংশ২=UNICEF|বছর=2009|সংগ্রহের-তারিখ=February 9, 2012}}</ref>

আইএলও শিশু শ্রমের সবচেয়ে খারাপ ফর্মরূপ সুপারিশ নং ১৯০, ১৯৯৯;<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.ilo.org/ilolex/cgi-lex/convde.pl?R190|শিরোনাম=Worst Forms of Child Labor Recommendation No. 190|বছর=1999|প্রকাশক=ILO|সংগ্রহের-তারিখ=March 10, 2012}}</ref>

যে আন্তর্জাতিক নীতিগুলি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তার উপর ভিত্তি করে শিশু পাচার সংক্রান্ত জাতীয় আইনগুলি বিশ্বব্যাপী বিকশিত হতে থাকে। মানব পাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য জাতিসংঘের গ্লোবালবৈশ্বিক ইনিশিয়েটিভউদ্যোগ দ্বারা পাচারবিরোধী আইন সমালোচনামূলক হিসাবে প্রশংসিত হয়েছে। কারণ এটি নিশ্চিত করে যে, পাচারকারী ও পাচারের শিকার ব্যক্তিদের সেইতাদের অবস্থা অনুযায়ী আচরণ করা হয়। উদাহরণস্বরূপ "যদি পাচারকারীদের অনুসরণআদালতে অভিযুক্ত করতে অভিবাসন আইন ব্যবহার করা হয়, তবে এটি প্রায়শই ভুক্তভোগীদেরও অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিচার করা হয়। এখানে 'পাচারকারী' ও 'পাচারকৃত ব্যক্তি' এরর একটি নির্দিষ্ট শ্রেণীশ্রেণীবিভাগ থাকে।থাকলে তখন সম্ভবত ভিকটিমকেভুক্তভোগীর এইরকমপ্রতি বিবেচনাসঠিক ব্যবহার করা হয়।যাবে।"<ref name="TngManualFightTrafficking-Textbk1">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.unicef.org/protection/Textbook_1.pdf|শিরোনাম=Training Manual to Fight Child Trafficking in Children for Labour, Sexual and Other Forms of Exploitation – Textbook 1: Understanding Child Trafficking|শেষাংশ=ILO|শেষাংশ২=UNICEF|বছর=2009|সংগ্রহের-তারিখ=February 9, 2012}}</ref> শিশু পাচার সংক্রান্ত জাতীয় আইনের অস্তিত্ব পাচারের শিকার এবং/অথবা তাদের পরিবারকে উপযুক্ত নাগরিক হিসাবে ব্যবস্থা নিতে সক্ষম করে।<ref name="TngManualFightTrafficking-Textbk1" />

এখানে জেনে রাখা দরকার যে, উদ্দেশ্যবিক্রীত প্রণোদিতসন্তানের হয়েঅভিপ্রেত বা প্রকৃতভাবে সন্তানকে বিক্রির জন্যপ্রকৃত ব্যবহার করা, সবসময় জানা যায় না। তবে কিছু ধরন সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো-

শিশু পাচারের উদ্দেশ্য প্রায়ই বাধ্যতামূলক শিশুশ্রমকেশিশুশ্রম হিসাবে নির্ধারণ করা হয়।<ref name="TngManualFightTrafficking-Textbk1">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.unicef.org/protection/Textbook_1.pdf|শিরোনাম=Training Manual to Fight Child Trafficking in Children for Labour, Sexual and Other Forms of Exploitation – Textbook 1: Understanding Child Trafficking|শেষাংশ=ILO|শেষাংশ২=UNICEF|বছর=2009|সংগ্রহের-তারিখ=February 9, 2012}}</ref> শিশুশ্রম বলতে বিশেষভাবে একটি নির্ধারিত ন্যূনতম বয়সের শিশুদের বোঝায়, সাধারণত কাজেরসর্বনিম্ন ক্ষেত্রে১৪ যারবছর সর্বনিম্নবয়সের বয়সশিশুকে ১৪কাজের বছরক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।যায়।<ref name="min age conv 1973">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.ilo.org/ilolex/cgi-lex/convde.pl?C138|শিরোনাম=Minimum Age Convention|বছর=1973|প্রকাশক=ILO|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://archive.today/20120803220358/http://www.ilo.org/ilolex/cgi-lex/convde.pl?C138|আর্কাইভের-তারিখ=August 3, 2012|সংগ্রহের-তারিখ=March 10, 2012}}</ref> [[ইউনিসেফ]] অনুমান করে যে, উন্নয়নশীল দেশে ২০১১ সালে ৫-১৪ বছর বয়সী ১৫০ মিলিয়ন শিশু শিশুশ্রমে জড়িত ছিল।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.unicef.org/sowc2011/pdfs/SOWC-2011-Main-Report_EN_02092011.pdf|শিরোনাম=State of the World's Children 2011: Adolescence, an Age of Opportunity|বছর=2011|প্রকাশক=UNICEF|সংগ্রহের-তারিখ=March 12, 2012}}</ref> এ ছাড়াও ইউনিসেফ বলেছে যে, বর্তমান হার ইঙ্গিত দেয় যে, ২০২০ সালের মধ্যে কমপক্ষে ১০০ মিলিয়ন শিশু কাজ করতে বাধ্য হবে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.unicef.org/protection/57929_child_labour.html|শিরোনাম=Child labour|ওয়েবসাইট=UNICEF|সংগ্রহের-তারিখ=2019-10-21}}</ref> আইএলও রিপোর্ট করে যে, এই সংখ্যার মধ্যে ৬০% শিশু শ্রমিক কৃষিতে কাজ করে।<ref name="ILO 2010">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.ilo.org/wcmsp5/groups/public/@dgreports/@dcomm/documents/publication/wcms_126685.pdf|শিরোনাম=Fast Facts on Child Labour|বছর=2010|প্রকাশক=ILO|সংগ্রহের-তারিখ=March 12, 2012}}</ref> একটি তুলনামূলক গবেষণায় দেখা গেছে যে, আফ্রিকার সাব-সাহারান শহুরে ও গ্রামীণ অঞ্চলে গৃহস্থ শিশুশ্রমের হারের মধ্যে ৮৪.৩% শিশু শ্রমিক গ্রামীণ সেক্টরে কাজ করে। পাঁচ থেকে চৌদ্দ বছর বয়সী ৯৯.৮% শিশু এই অঞ্চলে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য যেকোন ধরনের শিশুশ্রমে নিয়োজিত।<ref name=":12">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Parental perceptions of child labour and human rights: A comparative study of rural and urban Ghana|শেষাংশ=Adonteng-Kissi|প্রথমাংশ=Obed|তারিখ=October 2018|পাতাসমূহ=34–44|doi=10.1016/j.chiabu.2018.07.017|issn=0145-2134|pmid=30041057}}</ref> আইএলও আরও অনুমান করে যে, ১১৫ মিলিয়ন শিশু বিপজ্জনক কাজ যেমন যৌন বা মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত।<ref name="ILO 2010" /> সামগ্রিকভাবে বলা যায় যে, শিশুশ্রম অনেক ধরনের রূপ নিতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে গার্হস্থ্য দাসত্ব, কৃষিতে কাজ, পরিষেবা এবং উৎপাদন শিল্প। বেশ কয়েকজন গবেষকের মতে, এছাড়াও অধিকাংশ শিশুকে সস্তা ও নিয়ন্ত্রণযোগ্য শ্রম দিতে বাধ্য করা হয়। তাদের বাড়ি, খামার, কারখানা, রেস্তোরাঁ এবং আরও বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করাকরানো হয়। শিশুরা সস্তা শ্রম দিয়ে অতিরিক্ত কাজ সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়, যা প্রাপ্তবয়স্কদের দ্বারা করা সম্ভব নয়। এর একটি উদাহরণ হচ্ছে, ঘানার মাছ ধরার শিল্পের মধ্যেশিল্পে শিশুরা তাদের ছোট হাত দিয়ে সহজেই জাল থেকে মাছ ছেড়েছাড়িয়ে দেয়ারনেওয়ার কাজ করে। এর ফলে তাদের সেবার বেশি চাহিদা রয়েছে এবং শিশুশ্রম ও শিশু পাচারের বর্তমান ফল হিসেবে রয়ে গেছে। পাচারকৃত শিশুরা যৌন শোষিত হতে পারে, সশস্ত্র বাহিনী ও মাদক ব্যবসায় ব্যবহৃত হতে পারে এবং শিশু ভিক্ষা শুরু করতে পারে।<ref name="TngManualFightTrafficking-Textbk1" /> বৈশ্বিক প্রবণতার পরিপ্রেক্ষিতে আইএলও অনুমান করে যে, ২০০৪ থেকে ২০০৮ সালে শিশুশ্রমের ঘটনা ৩% হ্রাস পেয়েছিল; যা পূর্ববর্তী ২০০০-২০০৪ সালে আইএলও কর্তৃক প্রতিবেদনের বিপরীত শিশুশ্রমের ১০% হ্রাস ছিল।<ref name="ILO 2010" /> আইএলও দাবি করে যে, বিশ্বব্যাপী শিশুশ্রম ধীরে ধীরে হ্রাস পাচ্ছে। তবে আফ্রিকার সাব-সাহারান ছাড়া। যেখানেসেখানে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীলএকই রয়েছে। এই অঞ্চলে ৫-১৭ বছর বয়সী ৪ জন শিশুর মধ্যে ১ জন কাজ করে।<ref name="ILO 2010" /> ২০১৮ সালে ইউনিসেফ জানিয়েছে যে, মোট শিশুশ্রমের ৩১% পশ্চিম আফ্রিকায় অবস্থিত। এই অঞ্চলে ছয় থেকে চৌদ্দ বছর বয়সী প্রতি ছয়টি শিশুর মধ্যে একজন কাজ করছে। প্রতিবেদনে আরও দেখা গেছে যে, আফ্রিকার সাব-সাহারানে ৪৩% শিশুশ্রম শিশু অভিবাসন ও পাচারের কারণে ঘটে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://data.unicef.org/topic/child-protection/child-labour/|শিরোনাম=Child Labour|শেষাংশ=UNICEF|তারিখ=October 2019|ওয়েবসাইট=UNICEF data}}</ref> আরেকটি প্রধান বৈশ্বিক প্রবণতা হচ্ছে ১৫-১৭ বছর বয়সী শিশু শ্রমিকের সংখ্যাসংখ্যায় আরেকটি প্রধান বৈশ্বিক প্রবণতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, গত পাঁচ বছরে এই শিশু শ্রমিকদের সংখ্যা ২০% বৃদ্ধি পাওয়া গেছে।পেয়েছে।<ref name="ILO 2010" /> মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি আশ্চর্যজনকবিস্ময়জনক ঘটনা ঘটেছে। আর সেটি হলোঘটেছে, ম্যাককেব ইঙ্গিত দেয়দিয়েছে যে, ১৯৯০ এর দশকে গ্যাপ ও নাইকির মতো বিশাল কোম্পানিগুলি "সোয়েটশপ" শিল্প ব্যবহার করছিল যা পাচারকৃত শিশুদের তাদের পছন্দসই পণ্য তৈরি করতে ব্যবহার করত।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|শিরোনাম=In the Trafficking of Persons|শেষাংশ=McCabe|প্রথমাংশ=K.A.|প্রকাশক=Petter Lang|বছর=2008|অবস্থান=New York|পাতা=81}}</ref> শিশুশ্রম কেলেঙ্কারির আরও তদন্তের পর জিএপি কোম্পানির কারখানায় বিপজ্জনক কাজের অবস্থা উন্মোচিত হয়। শিশুরা রান-ডাউন ও বিপজ্জনক কারখানায় কাজ করছিল, তারা অপব্যবহারের শিকার হয়েছিল এবং ন্যূনতম মজুরির চেয়ে অনেক কম বেতন পেয়েছিল। পরের বছরগুলোতে এশিয়া ও আফ্রিকার অন্যান্য অংশেও একই ধরনের কেলেঙ্কারী প্রকাশ পায়। এই অভিযোগের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে জাতিসংঘের মহাসচিবের সদস্যরা ২০১১ সালে জাতিসংঘের "সুরক্ষা, সম্মান ও প্রতিকার" কাঠামো বাস্তবায়নের মাধ্যমে কর্পোরেট সিস্টেমে লঙ্ঘন করার সংখ্যা হ্রাসে চেষ্টা করেছিল। প্রতিবেদনে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির নির্দেশিকা, অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মানবাধিকার বিষয় থাকে। ১৬ জুন ২০১১ তারিখে মানবাধিকার কাউন্সিল কর্তৃক রেজোলিউশনবিশ্লেষণ ১৭/৪ অনুমোদিত হয়। এ প্রতিবেদনে তিনটি মূল নীতির রূপরেখা দেওয়া হয়। ১) মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতার প্রতি সম্মান, সুরক্ষা ও পরিপূরনের জন্য রাষ্ট্রের বিদ্যমান বাধ্যবাধকতা; ২) সমাজের বিশেষ অঙ্গ হিসেবে ব্যবসায়িক উদ্যোগের ভূমিকা, যা সমস্ত প্রযোজ্য আইন মেনে চলতে ও মানবাধিকারকে সম্মান করার জন্য প্রয়োজন; এবং ৩) অধিকার ও বাধ্যবাধকতার প্রয়োজনীয়তা লঙ্ঘনের সময় উপযুক্ত ও কার্যকর প্রতিকারের সাথে মিলে যাওয়া। রেজোলিউশনেবিশ্লেষণে উপযুক্ত কর্মসংস্থানের সার্বজনীন বোঝাপড়া প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা হয়েছে এবং নির্দেশিকার নীতি লঙ্ঘনকারী সংস্থাগুলির জন্য শাস্তির কথা বলা হয়েছে। এছাড়াও যাদের শ্রম লঙ্ঘন করা হয়েছিল তাদের জন্য দীর্ঘস্থায়ী পরিণতি সম্পর্কিত গবেষণা প্রকাশিত হয়েছিল। তবুও ২০১৮ সালে দেখা গেছে যে, এখনও ২১৮ মিলিয়ন শিশু পূর্ণকালীন কাজ করছে, যার মধ্যে অনেকগুলি কারখানার মালিকদের দ্বারা উৎপাদন খরচ কমিয়ে নিচ্ছে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.ohchr.org/documents/issues/business/A.HRC.17.31.pdf|শিরোনাম=Report of the Special Representative of the Secretary- General on the issue of human rights and transnational corporations and other business enterprises|শেষাংশ=Ruggie|প্রথমাংশ=John|তারিখ=March 21, 2011}}</ref>

শিশু বিক্রয়ের ঐচ্ছিক প্রটোকল, শিশু পতিতাবৃত্তি এবং শিশু পর্নোগ্রাফি শিশু অধিকার সংক্রান্ত কনভেনশনেরসম্মেলনের একটি প্রোটোকল, যা জাতিসংঘে ২০০০ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হয়।<ref name="www2.ohchr.org">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www2.ohchr.org/english/law/crc-sale.htm|শিরোনাম=Optional Protocol on the Sale of Children, Child Prostitution and Child Pornography|বছর=2000|প্রকাশক=United Nations|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20120310131154/http://www2.ohchr.org/english/law/crc-sale.htm|আর্কাইভের-তারিখ=March 10, 2012|সংগ্রহের-তারিখ=March 10, 2012}}</ref> মূলত, এই প্রটোকলটি আনুষ্ঠানিকভাবে রাজ্যগুলিকে বাচ্চাদের বিক্রি, শিশু পতিতাবৃত্তি ও শিশু পর্নোগ্রাফি নিষিদ্ধ করতে চায়।<ref name="www2.ohchr.org" /> আইএলওর মত অনুসারে, শিশুদের যৌন শোষণের মধ্যে নিম্নলিখিত সমস্ত অনুশীলন ও ক্রিয়াকলাপ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে:<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.ilo.org/ipec/areas/CSEC/lang--en/index.htm|শিরোনাম=Commercial Sexual Exploitation of Children|প্রকাশক=ILO|সংগ্রহের-তারিখ=March 10, 2012}}</ref> "মেয়ে ও ছেলেদের নগদ অর্থের বিনিময়ে যৌন কার্যকলাপে রাস্তায় বা বাড়ির ভিতরে (সাধারণত শিশু পতিতাবৃত্তি নামে পরিচিত) ব্যবহার করা হয়, যেমন পতিতালয়, ডিসকোথেক, ম্যাসাজ পার্লার, বার, হোটেল, রেস্তোরাঁ ইত্যাদি।"

[[সশস্ত্র সংঘাতে শিশুদের অংশ গ্রহণের ঐচ্ছিক প্রটোকল|সশস্ত্র সংঘাতে শিশুদের সম্পৃক্ততার ঐচ্ছিক প্রটোকল শিশু]] অধিকার সংক্রান্ত কনভেনশনের একটি প্রোটোকল, যা জাতিসংঘে ২০০০ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হয়েছিল।<ref name="http">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www2.ohchr.org/english/law/crc-conflict.htm|শিরোনাম=Optional Protocol on the Involvement of Children in Armed Conflict|বছর=2000|প্রকাশক=United Nations|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20120304201115/http://www2.ohchr.org/english/law/crc-conflict.htm|আর্কাইভের-তারিখ=March 4, 2012|সংগ্রহের-তারিখ=March 12, 2012}}</ref> মূলত প্রটোকলে বলা হয়েছে যে, ১৮ বছরের কম বয়সী স্বেচ্ছাসেবীরা স্বেচ্ছায় সশস্ত্র বাহিনীতে যোগ দিতে পারলেও তাদের নিয়োগ দেওয়া যাবে না। প্রটোকলে লেখা আছে, "রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলি তাদের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের যারা ১৮ বছর বয়সে পৌঁছায়নি তারা শত্রুতাতে সরাসরি অংশ নেবে না, তা নিশ্চিত করার জন্য সমস্ত সম্ভাব্য ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।"<ref name="http" /> তা সত্ত্বেও আইএলও অনুমান করে যে, বর্তমানে বিশ্বে "হাজার হাজার" মেয়ে ও ছেলে অন্তত ১৭টি দেশে সশস্ত্র বাহিনীতে জোরপূর্বক তালিকাভুক্ত রয়েছে।<ref name="ilo.org">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.ilo.org/ipec/areas/Armedconflict/lang--en/index.htm|শিরোনাম=Child Labour and Armed Conflict|প্রকাশক=ILO|সংগ্রহের-তারিখ=March 12, 2012}}</ref> সশস্ত্র বাহিনীতে নিযুক্ত শিশুদেরকে তিনটি স্বতন্ত্র উপায়ে ব্যবহার করা যেতে পারে:<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.ibcr.org/editor/assets/Conflict_Eng.pdf|শিরোনাম=Children and Armed Conflict: A Guide to International Humanitarian and Human Rights Law|বছর=2010|প্রকাশক=International Bureau for Children's Rights|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20110806071249/http://www.ibcr.org/editor/assets/Conflict_Eng.pdf|আর্কাইভের-তারিখ=August 6, 2011|সংগ্রহের-তারিখ=March 11, 2012}}</ref><ref name="Coalition">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.childsoldiersglobalreport.org/files/country_pdfs/FINAL_2008_Global_Report.pdf|শিরোনাম=Child Soldiers: Global Report|বছর=2008|প্রকাশক=Coalition to Stop the Use of Child Soldiers|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20130307015140/http://www.childsoldiersglobalreport.org/files/country_pdfs/FINAL_2008_Global_Report.pdf|আর্কাইভের-তারিখ=March 7, 2013|সংগ্রহের-তারিখ=April 12, 2012}}</ref> ১) যুদ্ধে সরাসরি ভূমিকা (যুদ্ধের ভূমিকা) রাখা; ২) সহায়ক ভূমিকা (যেমন বার্তাবাহক বা গুপ্তচর হিসাবে); এবং ৩) রাজনৈতিক সুবিধার জন্য (যেমন প্রচারের উদ্দেশ্যে)। [[চাইল্ড সোলজার্স ইন্টারন্যাশনাল|দ্য কোয়ালিশন টু স্টপ দ্য ইউজ অফ চাইল্ড সোলজার্স]] দ্বারা পরিচালিত সাম্প্রতিক গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, মেয়ে সৈন্যদের অবশ্যই স্বতন্ত্রভাবে স্বীকৃত হতে হবে, কারণ তারা বিশেষ করে যৌন সহিংসতার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।<ref name="Coalition">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.childsoldiersglobalreport.org/files/country_pdfs/FINAL_2008_Global_Report.pdf|শিরোনাম=Child Soldiers: Global Report|বছর=2008|প্রকাশক=Coalition to Stop the Use of Child Soldiers|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20130307015140/http://www.childsoldiersglobalreport.org/files/country_pdfs/FINAL_2008_Global_Report.pdf|আর্কাইভের-তারিখ=March 7, 2013|সংগ্রহের-তারিখ=April 12, 2012}}</ref> [[কনি ২০১২]] আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু ছিল শিশু সৈন্যদের ঘটনা, যার লক্ষ্য ছিল উগান্ডার যুদ্ধাপরাধী জোসেফ কনিকে গ্রেপ্তার করা, যিনিযে হাজার হাজার শিশু সৈনিক ও যৌনদাসী পাচারের জন্য দায়ী ছিল।<ref name="warrants">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.icc-cpi.int/menus/icc/situations%20and%20cases/situations/situation%20icc%200204/related%20cases/icc%200204%200105/press%20releases/warrant%20of%20arrest%20unsealed%20against%20five%20lra%20commanders|শিরোনাম=Warrant of Arrest unsealed against five LRA Commanders|তারিখ=October 14, 2005|কর্ম=International Criminal Court|সংগ্রহের-তারিখ=June 2, 2009|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20110616142249/http://www.icc-cpi.int/menus/icc/situations%20and%20cases/situations/situation%20icc%200204/related%20cases/icc%200204%200105/press%20releases/warrant%20of%20arrest%20unsealed%20against%20five%20lra%20commanders|আর্কাইভের-তারিখ=June 16, 2011}}</ref>

বিশ্বের সব অঞ্চলে শিশুদের মাদক ব্যবসায় ব্যবহার করা হয়।<ref name="TngManualFightTrafficking-Textbk1">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.unicef.org/protection/Textbook_1.pdf|শিরোনাম=Training Manual to Fight Child Trafficking in Children for Labour, Sexual and Other Forms of Exploitation – Textbook 1: Understanding Child Trafficking|শেষাংশ=ILO|শেষাংশ২=UNICEF|বছর=2009|সংগ্রহের-তারিখ=February 9, 2012}}</ref> বিশেষ করে শিশুদের প্রায়শই মাদক বহনকারি বা পসারি হিসেবে শোষণেশোষণের জন্য পাচার করা হয় ও তারপর মাদকদ্রব্য সেবনে 'অর্থ প্রদান' করা হয়, যাতে তারা মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ে এবং আরও অন্যান্য ফাঁদে পড়ে।<ref name="TngManualFightTrafficking-Textbk1" /> মাদক চোরাচালানে অবৈধ ব্যবসার কারণে ধরা পড়া শিশুদের প্রায়ই অপরাধী হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং তাদের উদ্ধারের জন্য প্রায়ই আইনি সহায়তার প্রয়োজন হয়।<ref name="TngManualFightTrafficking-Textbk1" /> যদিও বিশ্বব্যাপী এই অনুশীলনের ব্যাপকতা সম্পর্কে বিস্তৃতারিতবিস্তারিত পরিসংখ্যান অজানা। তবে এ সম্পর্কে প্রয়োজনীয় বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক গবেষণা পরিচালিত হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, আইএলও সম্প্রতি হেরোইন ব্যবসায় আফগান শিশুদের ব্যবহার ও ব্রাজিলের মাদক ব্যবসায় শিশু জড়িত থাকার বিষয়ে তদন্ত করেছে।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.humanrightsanddrugs.org/category/issues/trafficking|শিরোনাম=Afghan Children Ensnared in Heroin Trade with Iran|তারিখ=February 16, 2012|কর্ম=International Centre on Human Rights and Drug Policy|সংগ্রহের-তারিখ=March 9, 2012|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20120429014857/http://www.humanrightsanddrugs.org/category/issues/trafficking/|আর্কাইভের-তারিখ=April 29, 2012}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.dreamscanbe.org/Reasearch%20Page%20Docs/Souza%20e%20Silva%20and%20Urani%20-%20Brazil%20Children%20in%20Drug%20Trafficki.pdf|শিরোনাম=Brazil Children in Drug Trafficking: A Rapid Assessment|বছর=2002|প্রকাশক=ILO|সংগ্রহের-তারিখ=March 9, 2012}}</ref> গবেষক লুক ডাউডনি ব্রাজিলের রাজধানি রিও ডি জেনিরোতে মাদক ব্যবসায় শিশুদের নিয়ে বিশেষভাবে গবেষণা করেছেন। তিনি দেখেছেন যে, মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত শিশুরা সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে তারা হত্যায় লিপ্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.coav.org.br/publique/media/livroluke_eng.pdf|শিরোনাম=Children of the Drug Trade|শেষাংশ=Dowdney|প্রথমাংশ=Luke|বছর=2003|প্রকাশক=Viveiros de Castro Editora Ltda|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20130205213532/http://www.coav.org.br/publique/media/livroluke_eng.pdf|আর্কাইভের-তারিখ=February 5, 2013}}</ref>

দত্তক নেওয়ার উদ্দেশ্যে শিশুদের পাচার করা হতে পারে, বিশেষ করে আন্তর্জাতিক দত্তক হিসাবে। এ ক্ষেত্রে শিশুদেরকে এতিমখানা থেকে সংগ্রহ করা হয় বা অপহরণ করা হয় অথবা পিতামাতাকে ঠকানো হয়, মিস্টি কথা দ্বারা প্রতারণা করা হয় বা হেফাজত ত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.psychologytoday.com/us/blog/adoption-diaries/201807/separating-children-immigrants-and-unethical-adoptions|শিরোনাম=Separating Children of Immigrants and Unethical Adoptions|শেষাংশ=Emberger|প্রথমাংশ=E. Kay|তারিখ=July 18, 2018|ওয়েবসাইট=Psychology Today|সংগ্রহের-তারিখ=February 19, 2019}}</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.nzherald.co.nz/world/news/article.cfm?c_id=2&objectid=11948765|শিরোনাম='Everything... she unraveled to be a lie': Mum tricked into giving up daughter|তারিখ=November 28, 2017|কর্ম=NZ Herald|সংগ্রহের-তারিখ=February 19, 2019}}</ref> অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, আন্তর্জাতিক দত্তক সংস্থাগুলি আন্তর্জাতিকভাবে দত্তক গ্রহণের ব্যবস্থা করে। তারা পিতামাতার কাছে উচ্চ ফিখরচ প্রদান করে তাদেরশিশুদের নিয়ে আসে।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.irishtimes.com/news/ireland/irish-news/possible-interference-with-birth-certs-at-tuam-and-cork-homes-1.3007646|শিরোনাম='Possible interference' with birth certs at Tuam and Cork homes|শেষাংশ=Siggins|প্রথমাংশ=Lorna|তারিখ=March 13, 2017|কর্ম=The Irish Times|সংগ্রহের-তারিখ=March 17, 2017}}</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.advertiser.ie/galway/article/78023/hse-raised-concerns-that-thousands-of-tuam-babies-may-have-been-trafficked-to-the-us|শিরোনাম=HSE raised concerns that thousands of Tuam babies may have been trafficked to the US|শেষাংশ=Grace|প্রথমাংশ=Robert|তারিখ=June 4, 2015|কর্ম=Galway Advertiser|সংগ্রহের-তারিখ=June 8, 2015}}</ref> “দ্য হেগ কনভেনশন অন দ্য প্রটেকশন অব চিল্ড্রেন এন্ড কোঅপরেটিং” ইন্টারকাউন্ট্রি অ্যাডপশন সংস্থার সাথে শিশু সংক্রান্ত ও তাদের সহযোগিতার সুরক্ষায় একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুমোদন করে, যা এই ধরনের শোষণ থেকে শিশুদেরকে রক্ষা করে। আর এটা এই ধরনের অবৈধ আন্তঃদেশীয় দত্তক গ্রহণকে প্রতিরোধ কল্পে সহায়তা করার জন্য তৈরি করা হয়েছে।

জোরপূর্বক শিশু ভিক্ষা হচ্ছে এক ধরনের ভিক্ষা যেখানে আঠারো বছরের কম বয়সী ছেলেমেয়েরা মানসিক ও শারীরিক জবরদস্তির মাধ্যমে ভিক্ষা করতে বাধ্য হয়।<ref name="Delap, Emily 2009">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Begging For Change: Research findings and recommendations on forced child begging in Albania/Greece, India, and Senegal|শেষাংশ=Delap|প্রথমাংশ=Emily|প্রকাশক=Anti-Slavery International|বছর=2009}}</ref> “বাফেলো হিউম্যান রাইটস ল রিভিউ” দ্বারা “ভিক্ষা”কে এভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে, "রাস্তায় দাতব্য হিসাবে অর্থ চাওয়ার কার্যকলাপকে" ভিক্ষা বলে।<ref name="Cherneva, Iveta 2011">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Human Trafficking For Begging|শেষাংশ=Cherneva|প্রথমাংশ=Iveta|বছর=2011|প্রকাশক=LexisNexis Academic: Law Reviews|পাতা=25}}</ref> প্রমাণ আছে যে, শিশুদের পাচার করার পর জোর করে ভিক্ষা করানো হয়। সাম্প্রতিক ইউনিসেফের এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, দক্ষিণ পূর্ব ইউরোপে পাচারের শিকারদের ১৩% জনকেকে জোরপূর্বক ভিক্ষার উদ্দেশ্যে পাচার করা হয়েছে।<ref name="Cherneva, Iveta 2011" /> জাতিসংঘের প্রটোকল নিশ্চিত করে যে, "শোষণের উদ্দেশ্যে শিশু নিয়োগ, পরিবহনস্থানান্তর, স্থানান্তরহস্তান্তর, আশ্রয় বা প্রাপ্তি 'ব্যক্তি পাচার' বলে বিবেচিত হবে, এমনকি যদি এটি উপ-অনুচ্ছেদ (ক) এ বর্ণিত কোনো উপায়ে জড়িত নাও হয় এই আর্টিকেলটি।"<ref name="Cherneva, Iveta 2011" /> এই সংজ্ঞা অনুসারে ভিক্ষার উদ্দেশ্যে কোন শহুরেরশহরের কেন্দ্রে পাচার হওয়া শিশুর প্রক্রিয়াটি তৃতীয় পক্ষ বা পরিবারের সদস্য দ্বারা প্রয়োগ করা হয়েছিল কিনা, তা জানা যায়নি।<ref name="Delap, Emily 2009" /> বিশ্বব্যাপী এই ধরনের পাচারের তীব্রতা স্বীকৃতি পেতে শুরু করেছে। ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম), [[ইউরোপীয় ইউনিয়ন]], আইএলও, জাতিসংঘ ও অন্যদের মধ্যে এর যথার্থতার উপর জোর দিতে শুরু করেছে।<ref name="Cherneva, Iveta 2011" /> ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভিক্ষার উদ্দেশ্যে পাচার রোধ ও মোকাবিলায় ব্রাসেলসে ঘোষণাপত্রে উল্লেখ করে যে, "মানুষকে পাচার করা একটি জঘন্য ও উদ্বেগজনক ঘটনা, যা জবরদস্তির মাধ্যমে যৌন শোষণ, দাসত্বের শর্তে শ্রম শোষণ, ভিক্ষাবৃত্তি ও কিশোর অপরাধের মাধ্যমে শোষণের পাশাপাশি ঘরোয়া দাসত্বকে চিহ্নিত করা হয়।"<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.belgium.iom.int/STOPConference/Conference%20Papers/brudeclaration.pdf|শিরোনাম=Brussels Declaration on Preventing and Combating Trafficking|বছর=2002|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20120617051511/http://www.belgium.iom.int/STOPConference/Conference%20Papers/brudeclaration.pdf|আর্কাইভের-তারিখ=June 17, 2012|ইউআরএল-সংগ্রহ=subscription}}</ref> এই সমস্যাটি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য পরিবারের সদস্যদের দ্বারা জোরপূর্বক ভিক্ষাবৃত্তি আরোপ করা হয়।<ref name="Cherneva, Iveta 2011" />

নৃবিজ্ঞানী স্যামুয়েল পিয়েট মেনিফির মতে, ১৭ শতক ও ১৮ শতকের শেষের দিকে ব্রিটেনে দারিদ্র্যের মধ্যে পিতামাতা "তাদের সন্তানদের (প্রকৃতপক্ষে তাদের সন্তানদের পরিষেবাগুলিকে ভিক্ষাবৃত্তির উদ্দেশ্যে) বিক্রি করেছিল"।{{Sfn|Menefee|1981}}<ref>{{Harvard citation no brackets|Menefee|1981}}: See note 4 for a quotation from ''Jackson's Oxford Journal''. Oxford, Oxfordshire. August 12, 1797. p. 2.</ref> কোন নারী বিক্রির চেয়ে বিক্রয়ের প্রেরণাসমূহ বেশি অর্থনৈতিক বিষযবিষয় ছিল{{Sfn|Menefee|1981}} এবং সীমিত তথ্য থেকে দাম "মোটামুটি বেশি ছিল বলে মনে হয়"।{{Sfn|Menefee|1981}} বিক্রি হওয়া ছোট ছেলেদের মধ্যে অনেকেই চিমনি ঝাড়ার জন্য আরোহণ করছিল।{{Sfn|Menefee|1981}} সাধারণত পতিতাবৃত্তিতেপতিতাবৃত্তির উদ্দেশ্যে একজন মেয়ে শিশুকে বিক্রি করার আরেকটি কারণ ছিল নিজের নাকরা হওয়া।হত। যেমন ভাতিজিকে বিক্রয় করার ঘটনা। আরেকটি ছিল একজন মহিলার গৃহকর্মীর কন্যাকে একজন পুরুষ বিক্রি করে, যিনি তার ব্যবসাও চালাতেন। কিছু শিশু চুরি করে বিক্রি করা হয়।{{Sfn|Menefee|1981}}

শিশু পাচারও সম্প্রদায়ের উপর বড় প্রভাব ফেলতে দেখা গেছে। যদি একটি সম্প্রদায়ের একাধিক শিশু পাচার হয়ে যায়, তাহলে এর ফলে পাচারের মাধ্যমে সমগ্র সম্প্রদায় দূষিত হতে পারে বা এভাবে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।<ref name="TngManualFightTrafficking-Textbk1">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.unicef.org/protection/Textbook_1.pdf|শিরোনাম=Training Manual to Fight Child Trafficking in Children for Labour, Sexual and Other Forms of Exploitation – Textbook 1: Understanding Child Trafficking|শেষাংশ=ILO|শেষাংশ২=UNICEF|বছর=2009|সংগ্রহের-তারিখ=February 9, 2012}}<cite class="citation book cs1" data-ve-ignore="true">[[আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা|ILO]]; [[ইউনিসেফ|UNICEF]]; [[মানব পাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য জাতিসংঘের বৈশ্বিক উদ্যোগ|UN.GIFT]] (2009). [http://www.unicef.org/protection/Textbook_1.pdf ''Training Manual to Fight Child Trafficking in Children for Labour, Sexual and Other Forms of Exploitation – Textbook 1: Understanding Child Trafficking''] <span class="cs1-format">(PDF)</span><span class="reference-accessdate">. Retrieved <span class="nowrap">February 9,</span> 2012</span>.</cite></ref> সামাজিক উন্নয়ন প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত হয়। কারণ পাচারকৃত শিশুদেরশিশু শিক্ষাকেবিশেষ ছোটকিছু করাশিক্ষলাভ হয়।করার সুযোগ পায়না।<ref name="TngManualFightTrafficking-Textbk1" /> এই শিক্ষার অভাবের ফলে, যেসব শিশু পাচার থেকে পালিয়ে যায় তারা পরবর্তী জীবনে কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে পারে না।<ref name="TngManualFightTrafficking-Textbk1" /> তাছাড়াও পাচারকৃত মেয়েরা বিশেষ বাধার সম্মুখীন হয়, আর তা হলো, যদি সমাজ জানতে পারে যে, তারা পাচার হয়েছে এবং তাদের সাথে যৌন শোষণ করা হয়েছে। তা হলে তাদের বিয়ের সম্ভাবনা কমে যায়।<ref name="TngManualFightTrafficking-Textbk1" />

আইনআইনের প্রয়োগকারীপ্রয়োগ বলতে, পাচারকারীদের প্রকৃত বিচারকে বোঝায়। ইউনিসেফ বলছে যে, শিশু পাচারকারীদের সফল বিচার হচ্ছে একটি বার্তা পাঠানোর নিশ্চিত উপায়। এর মাধ্যমে তাদের জানিয়ে দেযা যে, শিশু পাচার সহ্য করা হবে না।<ref name="TngManualFightTrafficking-Textbk2">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.unicef.org/protection/CP_Trg_Manual_Textbook_2.pdf|শিরোনাম=Training Manual to Fight Child Trafficking in Children for Labour, Sexual and Other Forms of Exploitation – Textbook 2: Action Against Child Trafficking at Policy and Outreach Levels|শেষাংশ=ILO|শেষাংশ২=UNICEF|বছর=2009|সংগ্রহের-তারিখ=February 9, 2012}}<cite class="citation book cs1" data-ve-ignore="true" id="CITEREFILOUNICEFUN.GIFT2009">ILO; UNICEF; UN.GIFT (2009). [http://www.unicef.org/protection/CP_Trg_Manual_Textbook_2.pdf ''Training Manual to Fight Child Trafficking in Children for Labour, Sexual and Other Forms of Exploitation – Textbook 2: Action Against Child Trafficking at Policy and Outreach Levels''] <span class="cs1-format">(PDF)</span><span class="reference-accessdate">. Retrieved <span class="nowrap">February 9,</span> 2012</span>.</cite></ref> পাচারের তিনটি ধাপের যে কোন একটিতে পাচারকারীদের "ধরা" যেতে পারে: নিয়োগ, চলাচল এবং/অথবা শোষণ। পাচার বিরোধী আইন ও [[শিশুশ্রম]] আইন অবশ্যই যথাযথভাবে প্রয়োগ করতে হবে এবং সেগুলো যথাযথভাবে প্রয়োগ করতে হবে। ইউনিসেফ দ্বারা তৃণমূল পর্যায়ে পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থার বিকাশেরও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যা সম্প্রদায়গুলিকে অবিলম্বে শিশু পাচারের লক্ষণগুলি আইনি কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট করতে সক্ষম করবে।<ref name="TngManualFightTrafficking-Textbk2" /> কিছু নারী পাচার বিরোধী গোষ্ঠী (যেমন ইয়ং উইমেনস এমপাওয়ারমেন্ট প্রজেক্ট) আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাথে কাজ করার বিরোধী, যেখানে আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তারা ভিকটিমের শোষণে ভূমিকা পালন করে।<ref name=":6">{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Fighting the US Youth Sex Trade: Gender, Race, and Politics|শেষাংশ=Baker|প্রথমাংশ=C.|বছর=2018|প্রকাশক=Cambridge University Press|doi=10.1017/9781108225045|আইএসবিএন=9781108225045}}</ref> ২০১৬ সালের জুন মাসে, ওকল্যান্ডের ১৪ জন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে, এক কিশোরী পতিতাকে কেন্দ্র করে তারা যৌন কেলেঙ্কারিতে জড়িত ছিল, যার মধ্যে কয়েকজন ছিল নাবালিকা।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.eastbayexpress.com/oakland/badge-of-dishonor-top-oakland-police-department-officials-looked-away-as-east-bay-cops-sexually-exploited-and-trafficked-a-teenagerdepartmen/Content?oid=4832543|শিরোনাম=Badge of Dishonor: Top Oakland Police Department Officials Looked Away as East Bay Cops Sexually Exploited and Trafficked a Teenager|তারিখ=June 15, 2016|ওয়েবসাইট=East Bay Express}}</ref>

ভিকটিম সনাক্তকরণের মাধ্যমে প্রথমে সুরক্ষা শুরু হয়। শিশু পাচার আইনে "পাচারের শিকার" কি, তা বিশেষভাবে ও যথাযথভাবে সংজ্ঞায়িত করতে হবে।<ref name="TngManualFightTrafficking-Textbk2">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.unicef.org/protection/CP_Trg_Manual_Textbook_2.pdf|শিরোনাম=Training Manual to Fight Child Trafficking in Children for Labour, Sexual and Other Forms of Exploitation – Textbook 2: Action Against Child Trafficking at Policy and Outreach Levels|শেষাংশ=ILO|শেষাংশ২=UNICEF|বছর=2009|সংগ্রহের-তারিখ=February 9, 2012}}<cite class="citation book cs1" data-ve-ignore="true" id="CITEREFILOUNICEFUN.GIFT2009">ILO; UNICEF; UN.GIFT (2009). [http://www.unicef.org/protection/CP_Trg_Manual_Textbook_2.pdf ''Training Manual to Fight Child Trafficking in Children for Labour, Sexual and Other Forms of Exploitation – Textbook 2: Action Against Child Trafficking at Policy and Outreach Levels''] <span class="cs1-format">(PDF)</span><span class="reference-accessdate">. Retrieved <span class="nowrap">February 9,</span> 2012</span>.</cite></ref> পাচারের পরিস্থিতি থেকে শিশুদের অপসারণেরসরিয়ে আনার জন্য, তাদের পরিবার বা অন্য উপযুক্ত পরিবেশে তাদের ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আইনি প্রক্রিয়াগুলি অবশ্যই থাকতে হবে।<ref name="TngManualFightTrafficking-Textbk2" /> ভিকটিমদের ব্যক্তিগত বা শারীরিক ও মানসিক পুনর্বাসনের সহায়ক ব্যবস্থা করা উচিত যাতে তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন। যেমন ট্রমা-অবহিত প্রোগ্রাম, শিক্ষা প্রতিরোধ প্রোগ্রাম, নেতৃত্বাধীন বেঁচে থাকা কেন্দ্র এবং অন্যান্য ভালো পুনরুদ্ধার ও কমিউনিটি ইন্টিগ্রেশন প্রোগ্রাম।<ref name=":4">{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Group Work with Populations At-Risk|শেষাংশ=Greif|প্রথমাংশ=G.|শেষাংশ২=Knight|প্রথমাংশ২=C.|বছর=2017|প্রকাশক=Oxford University Press|পাতাসমূহ=313–327|সংস্করণ=4th}}</ref> কিছু শিশুদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় যুব-নির্দিষ্ট দুর্বলতা চ্যালেঞ্জের কারণ হতে পারে, যেমন গৃহহীনতা, পরিবারের অভাব, অবিশ্বাস, সামাজিকীকরণের অভাব, জোরপূর্বক সম্পর্ক, পদার্থের অপব্যবহার এবং শিক্ষার অভাব।<ref name=":4" /> কিছু গবেষক অধিকারভিত্তিক উন্নয়নের পক্ষে কথা বলেন যে, যেখানে ভুক্তভোগী, উত্তরজীবি ও ঝুঁকিতে থাকা যুবকরা প্রকল্পের পরিকল্পনায় অংশগ্রহণ করতে সক্ষম হওয়া উচিত এবং স্বায়ত্তশাসন ও নেতৃত্ব তৈরির জন্য অব্যাহতভাবে জড়িত থাকা প্রয়োজন।<ref name=":0">{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=From Human Trafficking to Human Rights: Reframing Contemporary Slavery|শেষাংশ=Brysk|প্রথমাংশ=Alison|অধ্যায়ের-ইউআরএল=https://muse.jhu.edu/chapter/409133|বছর=2012|প্রকাশক=University of Pennsylvania Press|ভাষা=en-US|অধ্যায়=The Anti-slavery Movement: Making Rights Reality|via=Project Muse|আইএসবিএন=9780812205732}}<cite class="citation book cs1" data-ve-ignore="true" id="CITEREFBrysk2012">Brysk, Alison (2012). <span class="cs1-lock-subscription" title="Paid subscription required">[https://muse.jhu.edu/chapter/409133 "The Anti-slavery Movement: Making Rights Reality"]</span>. In Brysk, Alison; Choi-Fitzpatrick, Austin (eds.). ''From Human Trafficking to Human Rights: Reframing Contemporary Slavery''. University of Pennsylvania Press. [[আন্তর্জাতিক মান পুস্তক সংখ্যা|ISBN]]&nbsp;[[Special:BookSources/9780812205732|<bdi>9780812205732</bdi>]] &#x2013; via Project Muse.</cite></ref> এটি পুনরুদ্ধারে বেশ দীর্ঘ সময় লাগতে পারে, কিন্তু ব্যক্তির সঠিক সমর্থন থাকার সাথে তারা একটি কার্যকরী জীবনের দিকে কাজ করতে পারে।<ref name="TngManualFightTrafficking-Textbk2" />