আলমগীর কবির: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: ২০১৭ উৎস সম্পাদনা |
অ বানান ও অন্যান্য সংশোধন |
||
১১ নং লাইন:
| resting_place =
| other_names =
| citizenship = {{পতাকা|ব্রিটিশ ভারত}} (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত)<br
| occupation = [[চলচ্চিত্র পরিচালক]]
| years_active = ১৯৭৩ – ১৯৮৯
| spouse = [[মনজুরা ইব্রাহিম (১৯৬৮-১৯৭৫) (তালাক),জয়শ্রী রায় ১৯৭৫-?) (তালাক)]]
| offspring = [[ইলোরা, অজন্তা, লেনিন সৌরভ কবির]]
| parents = আবু সাইয়েদ আহমেদ (বাবা)<br
| partner =
| website = <!-- {{URL|www.example.com}} -->
৩৩ নং লাইন:
== চলচ্চিত্র জীবন ==
আলমগীর কবির ১৯৭৩ সালে নির্মাণ করেন [[মুক্তিযুদ্ধ]] ভিত্তিক চলচ্চিত্র [[ধীরে বহে মেঘনা]]। এই চলচ্চিত্রটির নির্মাণশৈলী বাংলাদেশে নির্মিত যেকোনো মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্র থেকে আলাদা। এটিতে কবির যুক্ত করেছেন মুক্তিযুদ্ধের ফুটেজ ও ফিকশন যেমন- মুজিবনগর সরকারের শপথ গ্রহণ, মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধযাত্রা, ১৬ ডিসেম্বর ট্রাকভর্তি মুক্তিযোদ্ধাদের জয়ধ্বনি এবং ঘরে ফেরার দৃশ্য। এই চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পরিচালক হিসেবে ''বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি পুরস্কার'' (বাচসাস) এবং ''জহির রায়হান চলচ্চিত্র পুরস্কার'' লাভ করেন। এটি ছিল কবির পরিচালিত প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র।<ref name="চলচ্চিত্রের মুশকিল আসানে"
এরপর ১৯৭৫ সালে কবির নির্মাণ করেন তার দ্বিতীয় পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র [[সূর্য কন্যা]]। এই চলচ্চিত্রে কবির উপস্থাপন করেছেন ব্যক্তি, সমাজ ও ইতিহাসে নারীর অবস্থানের সাহসী ব্যাখ্যা। তার ''সূর্যকন্যা'র'' একটি স্বপ্নের সাহসী চরিত্র ছিল ''লেনিন''। এই চলচ্চিত্রের দক্ষ নির্মাণ শৈলীর জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পরিচালক ও শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার হিসেবে [[জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (বাংলাদেশ)|জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার]] লাভ করেন। এছাড়াও লাভ করেন জহির রায়হান চলচ্চিত্র পুরস্কার।<ref name="চলচ্চিত্রের মুশকিল আসানে"
কবির ১৯৭৭ সালে নির্মাণ করেন তার তৃতীয় পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র [[সীমানা পেরিয়ে]]। এটি নির্মাণ করা হয় মূলত ১৯৭০-এর ভয়াবহ জলোচ্ছ্বাসের একটি সত্যি ঘটনাকে কেন্দ্র করে। সেই সময় এই জলোচ্ছ্বাসের ধ্বংসলীলার প্রায় তিন মাস পর একজোড়া মানব-মানবীকে বরিশালের দক্ষিণের একটি সামুদ্রিক চরে আদিম পরিস্থিতিতে কোনো রকমে বেঁচে থাকতে দেখা গিয়েছিল। ঢাকার
এরপর ১৯৭৯ সালে নির্মাণ করেন [[রূপালী সৈকতে]] এটি ছিল কবিরের চতুর্থ পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। ''রূপালী সৈকতে'' চলচ্চিত্রটিও সেই সময় দারুণ আলোচিত হয়, বিশেষ করে সংবাদ মাধ্যমে। এই চলচ্চিত্রটি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র হিসেবে ''বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি পুরস্কার'' (বাচসাস) লাভ করেন।<ref name="চলচ্চিত্রের মুশকিল আসানে"
১৯৮২ সালে কবির নির্মাণ করেন [[মোহনা]] চলচ্চিত্রটি, এটি তার পরিচালিত পঞ্চম পূর্ণদৈর্ঘ্য্য চলচ্চিত্র। এই চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্য রচয়িতার হিসেবে একটি পুরস্কার লাভ করেন। এটি আন্তজার্তিকভাবেও বেশ প্রশংসিত হয়। ১৯৮২ সালের ''মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব''-এ ''মোহনা'' চলচ্চিত্রের জন্য কবির '''ডিপ্লোমা অফ মেরিট''' লাভ করেন।<ref name="চলচ্চিত্রের মুশকিল আসানে"
কবির তার ষষ্ঠ পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন ১৯৮৪ সালে। '''পরিণীতা''' নামের এই চলচ্চিত্রটি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র হিসেবে [[জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (বাংলাদেশ)|জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার]]-এ ভূষিত হয়।<ref name="চলচ্চিত্রের মুশকিল আসানে"
কবির তার দেড় যুগের চলচ্চিত্র জীবনে সর্বমোট সাতটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন। এছাড়াও কবির নয়টি স্বল্প দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। [[প্রামাণ্যচিত্র]] নির্মাণ করেছেন, এগুলো হলো- লিবারেশন''ফাইটার'', ''পোগ্রম ইন বাংলাদেশ'', ''কালচার ইন বাংলাদেশ'', ''সুফিয়া, অমূল্য ধন'', ''ভোর হলো দোর খোল'', ''আমরা দুজন'', ''এক সাগর রক্তের বিনিময'', ''মনিকাঞ্চন'' ও চোরাস্রোত।<ref name="চলচ্চিত্রের মুশকিল আসানে"
২০০৮ সালে পরিচালক '''কাওসার চৌধুরী''' আলমগীর কবিরের কর্মজীবন নিয়ে গুণী চলচ্চিত্র ব্যক্তিদের সাক্ষাৎকার, তাঁর নির্মিত চলচ্চিত্রের পর্যালোচনা এবং তাঁর লাইভ ফুটেজ যুক্ত করে [[প্রতিকূলের যাত্রী]] নামের একটি প্রামাণ্য চিত্র নির্মাণ করেন।<ref name="চলচ্চিত্রের মুশকিল আসানে"
== চলচ্চিত্রের তালিকা ==
|