স্বাভাবিক ক্রিয়া বৃদ্ধি গবেষণা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
১৩ নং লাইন:
==উদ্বেগজনক স্বাভাবিক ক্রিয়াবৃদ্ধি গবেষণা==
ব্যাপক অর্থে স্বাভাবিক ক্রিয়াবৃদ্ধি গবেষণা বলতে এমন এক ধরনের গবেষণাকে বোঝায় যা কোনও জৈব ঘটকের (biological agent) অভ্যন্তরে এমন পরিবর্তন সাধন করে যাতে এটি নতুন কোনও স্বাভাবিক ক্রিয়া অর্জন করে বা এটিতে ইতিমধ্যে বিদ্যমান কোনও স্বাভাবিক ক্রিয়ার উন্নতিসাধন হয়। কিছু বিজ্ঞানী এ ধরনের যেকোনও পরিবর্তন সাধনকারী গবেষণাকেই স্বাভাবিক ক্রিয়াবৃদ্ধি গবেষণা হিসেবে বর্ণনা করেন। কিন্তু স্বাভাবিক ক্রিয়াবৃদ্ধি হিসেবে বর্ণিত সব গবেষণাকর্মই একই মাত্রার ঝুঁকি বহন করে না। যেমন মানব ইনসুলিন উৎপাদনে সহায়তার উদ্দেশ্যে কোনও ব্যাকটেরিয়ার পরিবর্তন সাধন করা কিংবা কর্কটরোগের সিএআর-টি কোষ চিকিৎসায় ব্যবহৃত অনাক্রম্য কোষগুলির বংশাণু কর্মসূচিতে পরিবর্তন আনার গবেষণাগুলিকে নিম্নঝুঁকিবিশিষ্ট গণ্য করা হয়। যেসব স্বাভাবিক ক্রিয়াবৃদ্ধি গবেষণাতে (যা সমস্ত এরূপ
''সম্ভাব্য বৈশ্বিক মহামারী-সৃষ্টিকারী রোগজীবাণু'' বলতে এমন সব ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ও অন্যান্য অণুজীবকে বোঝায় যেগুলির উচ্চ সংবহনযোগ্যতা, মানব জনসমষ্টিসমূহে ব্যাপক ও নিয়ন্ত্রণহীনভাবে ছড়িয়ে পড়ার সক্ষমতা ও উচ্চ সংক্রমণ-প্রাবল্যের অধিকারী হবার সম্ভাবনা থাকে, এবং এর ফলে এগুলির দ্বারা মানুষের মধ্যে তাৎপর্যপূর্ণরূপে উচ্চ পরিমাণে রোগীসংখ্যা ও মৃত্যুসংখ্যা সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যেসব রোগজীবাণু মানব সম্প্রদায়ে বৈশ্বিক মহামারী সৃষ্টি করার সম্ভাবনা রাখে বা ইতিমধ্যেই মানুষের মধ্যে বৈশ্বিক মহামারী সৃষ্টি করেছে, তাদের কয়েকটি দৃষ্টান্ত হল এইচ৫এন১ বা এইচ৭এন৯ ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস (যেগুলি পক্ষী ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস নামেও পরিচিত), সার্স-কোভি (যা ২০০৩ সালে বহুসংখ্যক দেশজুড়ে বৈশ্বিক মহামারীর সৃষ্টি করেছিল) এবং সার্স-কোভি-২ অর্থাৎ গুরুতর তীব্র শ্বাসযন্ত্রীয় রোগলক্ষণসমষ্টি সৃষ্টিকার ভাইরাস-২, যা ২০১৯-২০ সাল থেকে ২০১৯ করোনাভাইরাস রোগের (কোভিড-১৯) বৈশ্বিক মহামারীর জন্য দায়ী। প্রকৃতিতে নিয়মিতভাবে রোগজীবাণুর (বিশেষত যেসব ভাইরাসের বংশাণুগত উপাদান রাইবোনিউক্লিয়িক অ্যাসিড বা আরএনএ দিয়ে গঠিত) বংশাণুগত পরিবর্তন বা পরিব্যক্তি হয়ে থাকে। প্রকৃতিতে সংঘটিত পরিব্যক্তিগুলি রোগজীবাণুগুলিকে নতুন স্বাভাবিক ক্রিয়া অর্জনে বা বিদ্যমান ধর্মাবলি যেমন প্রতিলিপিকণ বা প্রজনন ক্ষমতা (fitness) ও রোগসৃষ্টিকারক ক্ষমতা (pathogenicity), ইত্যাদির উন্নতিসাধনে ভূমিকা রাখতে পারে। কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারীতে সার্স-কোভি-২ ভাইরাসের পরিব্যক্তিতে এরূপ বহু উদাহরণ দৃষ্ট হয়েছে।<ref name="NIH" />
|