১৯৭১ সালের [[ডিসেম্বর ১৪|১৪ ডিসেম্বর]] [[সিলেট জেলা|সিলেট জেলার]] গোবিন্দগঞ্জে মো. আবদুস শুকুরসহ একদল মুক্তিযোদ্ধা নিঃশব্দে অবস্থান নিলেন শত্রু পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর প্রতিরক্ষা অবস্থানের কাছে। বেশির ভাগ মুক্তিযোদ্ধার পিঠে ও মাথায় কেমোফ্লেজ হিসেবে বাঁধা ধানের খড় ও পাতাসহ ছোট ছোট ডাল। তারা কয়েকটি দল। মো. আবদুস শুকুর একটি ছোট দলের নেতৃত্বে। তাদের কাছে আছে মর্টার।[[মর্টার (অস্ত্র)|মর্টার]]। মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি প্রতিরক্ষার তিন দিক ঘিরে বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়েছেন। মো. আবদুস শুকুরের দল অগ্রবর্তী দল। তারা মর্টার ছোড়ার পর পেছনে থাকা মুক্তিযোদ্ধারা ঝাঁপিয়ে পড়বেন পাকিস্তানি সেনাদের ওপর। সময় গড়াতে থাকল। আক্রমণের নির্ধারিত সময় ঘনিয়ে আসতে থাকল। নির্ধারিত সময়েই সেই সংকেত এল। যুদ্ধক্ষেত্রের অধিনায়কের সংকেত পাওয়ামাত্র মো. আবদুস শুকুরের দলের মর্টারগুলো গর্জে উঠল। তিনি সহযোদ্ধাদের নিয়ে একের পর এক মর্টারের গোলা ছুড়লেন। নিখুঁত নিশানায় সেগুলো পাকিস্তানি অবস্থানে পড়ল। বেশির ভাগই আঘাত হানল সঠিক লক্ষ্যবস্তুতে। একই সময় মুক্তিযোদ্ধাদের মেশিনগান থেকে গুলি শুরু হয়েছে। মর্টার, মেশিনগান ও অন্যান্য অস্ত্রের গোলাগুলিতে সেখানকার আকাশ আলোকিত। পাকিস্তানিদের দিক থেকে তেমন প্রতিউত্তর এল না। মুক্তিযোদ্ধাদের বুঝতে অসুবিধা হলো না, মর্টারের আঘাতে ওদের প্রতিরক্ষা ভেঙে পড়েছে। এরপর তারা জয়বাংলা ধ্বনি দিয়ে এগিয়ে যেতে থাকলেন। পাকিস্তানিরা অবস্থা বেগতিক দেখে পেছনে হটতে থাকল।<ref>{{বই উদ্ধৃতি |শিরোনাম= একাত্তরের বীরযোদ্ধা, খেতাব পাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা (প্রথম খন্ড)|শেষাংশ= |প্রথমাংশ= |লেখক-সংযোগ= |coauthors= |বছর=এপ্রিল ২০১২ |প্রকাশক= প্রথমা প্রকাশন |অবস্থান= |আইএসবিএন= 9789843338884|পাতা=৩১৭|পাতাসমূহ= |সংগ্রহের-তারিখ= |ইউআরএল=}}</ref>