বিনায়ক দামোদর সাভারকর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
বিভিন্ন বই পড়ে, সাভারকর সম্বন্ধে কোন বিশেষ প্রবন্ধ পড়ে।
ট্যাগ: পুনর্বহালকৃত মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
২২ নং লাইন:
 
[[লন্ডন|লন্ডনে]] থাকাকালীন সাভারকর ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের সাথে যুক্ত হয়ে পড়েন। সাভারকরকে [[হিন্দুত্ব]] রাজনৈতিক মতাদর্শের প্রবক্তা বলে গণ্য করা হয়। তিনি নাৎসিবাদকে প্রশংসা করেছিলেন।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি |শিরোনাম=Nazi Propaganda in India |লেখক=Eugene J. D'souza |সাময়িকী= Social Scientist |খণ্ড=28 |সংখ্যা নং=5/6 |পাতা=89}}</ref><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি |লেখক= Zaheer Baber |শিরোনাম='Race', Religion and Riots: The 'Racialization' of Communal Identity and Conflict in India |উক্তি=In 1938, during the course of a public speech in Delhi, V.D. Savarkar congratulated Hitler for pursuing his policies |সাময়িকী= Sociology |খণ্ড=38 |সংখ্যা নং=4 |তারিখ=October 2004 |পাতা=709}}</ref> তিনি হিন্দু জাতীয়তাবাদী আদর্শের প্রবক্তা ছিলেন।তিনি ছিলেন দেশদ্রোহী মুসলিম ও ক্রিস্টান দের বিরুদ্ধে। তিনি চেয়েছিলেন সব ধর্ম ও আদর্শের উপরে উঠে সবাই নিজেকে আগে ভারতীয় ভাবুক।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Sources of Indian Traditions: Modern India, Pakistan, and Bangladesh |বছর=1958 |ইউআরএল=https://archive.org/details/sourcesofindiant0000deba |সম্পাদকগণ=Rachel Fell McDermott, Leonard A. Gordon, Ainslie T. Embree, Frances W. Pritchett, Dennis Dalton |প্রকাশক=[[Cambridge University Press]] |পাতা=[https://archive.org/details/sourcesofindiant0000deba/page/483 483]}}</ref> আধুনিক হিন্দু জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দলগুলো সাভারকরকে পরম পূজনীয় হিসাবে সম্মান করে থাকে। বীর সাভারকর অভিনব ভারত সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি হিন্দু মহাসভার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি হিন্দু সমাজের কুখ্যাত জাতিভেদ প্রথার বিরোধিতা করেন।
[[মহাত্মা গান্ধী]]র হত্যাকাণ্ডের সাথে সাভারকর জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ করা হয়। <ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.thehindu.com/opinion/op-ed/how-savarkar-escaped-the-gallows/article4358048.ece|শিরোনাম=How Savarkar escaped the gallows|শেষাংশ=Noorani|প্রথমাংশ=A. G.|তারিখ=2013-01-30|সংবাদপত্র=The Hindu|ভাষা=en-IN|issn=0971-751X|সংগ্রহের-তারিখ=2018-01-14}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://thewire.in/140172/veer-savarkar-the-staunchest-advocate-of-loyalty-to-the-english-government/|শিরোনাম=How Did Savarkar, a Staunch Supporter of British Colonialism, Come to Be Known as 'Veer'?|শেষাংশ=Kulkarni|প্রথমাংশ=Pavan|ভাষা=en-GB|সংগ্রহের-তারিখ=2018-01-14}}</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.outlookindia.com/magazine/story/the-mastermind/225000|শিরোনাম=The Mastermind?|সংবাদপত্র=https://www.outlookindia.com/|সংগ্রহের-তারিখ=2018-01-14}}</ref>{{হিন্দু রাজনীতি}} ভারতের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের অগ্রগণ্য বিপ্লবী, হিন্দুত্ববাদী ও রাজনীতিবিদ
বিনায়ক দামোদর সাভারকর ।
 
জন্ম :
২৮ মে ১৮৮৩
নাসিকের ভাগুর, মহারাষ্ট্র
 
মৃত্যু :
২৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৬
মুম্বই,
মৃত্যুর কারণ
প্রায়োপবেশন (অনশন)
বংশ পরিচয়
 
জন্ম :
২৮ মে ১৮৮৩ সালে মহারাষ্ট্রের নাসিকের ভাগুরে বিনায়ক দামোদর সাভারকরের আবির্ভাব ঘটে। পিতা দামোদরপন্থ সাভারকর। মাতা রাধাবাঈ। অল্প বয়সেই পিতা মাতা কে হারান তিনি।
মা কলেরায় এবং পিতা প্লেগ রোগে পরলোক গমন করেন।
 
পড়াশোনা
 
দামোদর সাভারকরের প্রাথমিক পড়াশোনা গ্রামের স্থানীয় বিদ্যালয়ে শুরু হয়। এরপর তিনি উচ্চমাধ্যমিকের জন্য নাসিক যান। এরপর বি.এ পড়ার জন্য পুনের ফার্গুসন কলেজে ভর্তি হন। পরবর্তীতে শ্যামজি কৃষ্ণভর্মার থেকে স্কলারশিপ পেয়ে আইন পড়ার জন্য লন্ডনে যান। সেখানে ' Gray's Inn Law College ' এ ভর্তি হন।
 
বৈপ্লবিক জীবন
 
লন্ডনে থাকাকালীন সাভারকর ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের সাথে যুক্ত হয়ে পড়েন। সাভারকরকে হিন্দুত্ব রাজনৈতিক মতাদর্শের প্রবক্তা বলে গণ্য করা হয়। তিনি নাৎসিবাদকে প্রশংসা করেছিলেন।তিনি হিন্দু জাতীয়তাবাদী আদর্শের প্রবক্তা ছিলেন।
তিনি ছিলেন দেশদ্রোহী মুসলিম ও ক্রিস্টান দের বিরুদ্ধে। তিনি চেয়েছিলেন সব ধর্ম ও আদর্শের উপরে উঠে সবাই নিজেকে আগে ভারতীয় ভাবুক। আধুনিক হিন্দু জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দলগুলো সাভারকরকে পরম পূজনীয় হিসাবে সম্মান করে থাকে। বীর সাভারকর অভিনব ভারত সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি হিন্দু মহাসভার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি হিন্দু সমাজের কুখ্যাত জাতিভেদ প্রথার বিরোধিতা করেন।
 
ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও সাভারকর
 
নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু সাভারকর সম্পর্কে বলেছিলেন যে যখন ভারতের অন্যান্য নেতারা দূরদর্শিতাহীনতার পরিচয় দিয়ে সামরিক বাহিনীতে যোগ দিতে মানা করছিলেন, তখন বিচক্ষণ সাভারকর তরুণ প্রজন্মকে সামরিক বাহিনীতে যোগ দিতে বলছিলেন। এই দেশভক্ত তরুণরা বৃটিশ বাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন বলেই আজ আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠন সম্ভবপর হয়েছে।
 
মরাঠী ভাষায় রচিত “তেজস্বী তারে” গ্রন্থ পড়লে জানতে পারি ২১শে জুন ১৯৪০ তিনি হিন্দু মহাসভার নেতা সাভারকরের সঙ্গে দেখা করেছিলেন এবং ফরওয়ার্ড ব্লক ও হিন্দু মহাসভার মধ্যে যৌথ কর্মসূচির চিন্তাভাবনা ভাবেন। সাভারকর তখন নেতাজীকে হলওয়েল স্মারক সরানোর মত তুচ্ছ আন্দোলন না করে বড় পরিকল্পনার পরামর্শ দেন এবং দেশের বাইরে যাত্রা করতে বলেন।
 
একই তথ্য তুলে ধরেন, রাসবিহারী বসুর ভাই বিজনবিহারী বসু। তাঁর মতে, সাভারকরের অন্যতম ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন বিপ্লবী রাসবিহারী বসু। সাভারকর ১৯৩৭ সালে মুক্তি পাবার পর, তিনি সাভারকরের সঙ্গে একত্রে কাজ করার কথা লেখেন। সেই মত সাভারকর যখন ১৯৩৮ থেকে ১৯৪০সাল পর্যন্ত হিন্দু মহাসভার নেতা ছিলেন, রাসবিহারী বসুও জাপানে হিন্দু মহাসভা স্থাপন করে তার সভাপতির পদ অলংকৃত করেছিলেন। ঐতিহাসিক গবেষকরা মনে করছেন, যে সাভারকর‌ই নেতাজী ও রাসবিহারীর সংযোগমাধ্যম হয়ে ওঠেন। তারপর তো তৈরি হল ইতিহাস। নেতাজী জার্মানী ঘুরে জাপানে পৌঁছে রাসবিহারী বসুর কাছ থেকে আজাদ হিন্দ বাহিনীর রাশ নিয়ে নেন।
 
উদ্দেশ্য ছিল ব্রিটিশ ভারতীয় বাহিনীতে বেশি করে দেশহিতৈষী যুবকের সংযুক্তিকরণ। তারা কংগ্রেসের আইনঅমান্য বা ভারত ছাড়ো আন্দোলনে যুবকদের জীবন নষ্ট করতে চান নি।এই বাহিনীই বাইরে গেলে আজাদ হিন্দ বাহিনীতে পরিণত হবে তার তারা আগে থেকেই আঁচ করতে পেরেছিলেন।
 
রাস্তায় চেচানো বা এলোপাথারী আগুন দেওয়া যুবক নয়। সামরিক প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত যুবক চাই।
 
এটাই ছিল,রাসবিহারী-সাভারকর-সুভাষ অক্ষের গোপন ইচ্ছা। বিশেষত, রাসবিহারী ও সাভারকর জীবনে কোনদিন কংগ্রেসের কোনও আন্দোলন এর সঙ্গে সহমত ছিলেন না। আর কংগ্রেসের আন্দোলন করে সাভারকর জেলে যান নি। জেলে গিয়েছিলেন, সশস্ত্র অভ্যুত্থান এর চেষ্টায় ধরা পড়ে।
 
গত শতাব্দীর গোড়ার দিকে যেকটি বিপ্লবী কার্যকলাপ হয়েছে, তার অনেকগুলির পেছনেই রয়েছে বীর বিনায়ক সাভারকরের সক্রিয় উৎসাহ। বাংলার বিপ্লবীরা যখন বোমা তৈরীর মালমশলা শেখার জন্য একজন প্রতিনিধিকে লন্ডনে পাঠায় — তখন সাভারকার তাকে সাহায্য করেছিলেন। মদনলাল ধিংড়া সাভারকারের হাতে গড়া ছেলে। আবার মহারাষ্ট্রের “অভিনব ভারত” দলের যুবকদের কাছেও তিনি গোপনে পাঠিয়েছিলেন কুড়িটি রিভলবার। এই জ্বলন্ত পুরুষ চেয়েছিলেন তখনকার রুশ বিপ্লবীদের মতন সারা ভারতে গুপ্ত সমিতি স্থাপন করে নিজেদের প্রস্তুত হয়ে নিতে হবে। তারপর এক সময় হবে অভ্যুত্থান। কিন্তু তার আগেই সাভারকার ধরা পড়ে গেলেন।
 
সাভারকার শুধু অস্ত্র সংগ্রহই করতেন না, রণকৌশলও তিনিই ঠিক করতেন।এ বিষয়ে তাঁর ছিল তীক্ষ্ণবুদ্ধি। এবং এই জন্যই সাভারকারের পক্ষে প্রয়োজন ছিল একটু আড়ালে থাকার। কিন্তু ভারতের কোনো একজন তরুণ বিপ্লবী নিজের ফাঁসির হুকুম শোনার পর একটু ক্ষোভের সঙ্গে বন্ধুদের কাছে বলেছিলেন, সাভারকার আমাদের মরণের দিকে ঠেলে দিয়ে নিজের প্রাণ বাঁচিয়ে আড়ালে লুকিয়ে থাকেন !
 
এই কথা ঘুরতে ঘুরতে একদিন সাভারকারের কানে গেল। তাঁর মতো তেজী পুরুষের পক্ষে একথা সহ্য করা সম্ভব নয়। হঠকারীর মতন তিনি তখুনি নিজের অজ্ঞাতবাস থেকে চলে এলেন লন্ডনে। আর প্রায় তার সঙ্গে সঙ্গেই ধরা পড়ে গেলেন ভিক্টরিয়া স্টেশনে।
 
সাভারকারের নাম ভারতে তখন দু’ দুটো কেস ঝুলছে। বিচারের জন্য তাঁকে নিয়ে আসতে হবে ভারতে। কঠোর পাহাড়ায় তাঁকে তোলা হলো মুরিয়া জাহাজে। সাভারকার সাংঘাতিক আসামী — রক্ষীরা এক মুহূর্তের জন্যও তাঁকে চোখের আড়াল করে না। এমনকি তাঁর বাথরুমের দরজার মাঝখানেও কাচ বসানো আছে। তিনি বাথরুমে গেলেও রক্ষীরা সেই কাঁচে চোখ লাগিয়ে নজর রাখে। কিন্তু এতো করেও তাঁকে আটকে রাখা গেল না। সাভারকার বাথরুমের দরজা বন্ধ করেই সেই কাছের ওপর তোয়ালে চাপা দিয়ে দিলেন। তারপর পোর্ট হোলের মধ্য দিয়ে লাফিয়ে পড়লেন সমুদ্রে।
 
জাহাজ তখন মার্সেই বন্দরের কাছে এসে ভিড়েছে। সাভারকার প্রাণপণে সাঁতরে তীরের দিকে যেতে লাগলেন —- ততক্ষনে রক্ষীরা টের পেয়ে গুলি চালাতে শুরু করেছে। তবু সাভারকার ঠিক পৌঁছে গেলেন।
 
আগে থেকেই খবর পাঠানো ছিল, সাভারকার এইখানে জাহাজ থেকে পালাবেন। বীরেন চট্টোপাধ্যায় এবং মাদাম কামা আগে থেকেই গাড়ী নিয়ে উপস্থিত থাকবেন সেখানে। কিন্তু শেষরক্ষা হলো না। আসবার পথে গাড়ী খারাপ হয়ে যাওয়ায় বীরেন চট্টোপাধ্যায় আর মাদাম কামা ঠিক সময়ে পৌঁছতে পারেননি। সাভারকার একজন ফরাসী পুলিশকে জড়িয়ে ধরে বললেন , আমায় থানায় নিয়ে চল। ফরাসী দেশের মাটিতে ইংরেজ আমায় গ্রেপ্তার করতে পারে না।
 
ফরাসী পুলিশ কিছুই বুঝতে পারলো না। সারা গা ভিজে, একজন বিদেশী মানুষ হাত-পা ছুঁড়ে বলছেন কি ? সাভারকার ফরাসী ভাষা ভালো জানতেন না। ততক্ষণে ইংরেজ রক্ষীরা এসে পৌঁছে গেছে। তারা ফরাসী পুলিশকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে সাভারকারকে আবার জাহাজে তুললেন। আন্তর্জাতিক কানুন অনুসারে এই কাজটা বে-আইনি। আন্তর্জাতিক আদালতে এই নিয়ে মামলাও উঠেছিল। কিন্তু এশিয়ার কলোনির ব্যাপারে তখন ইংরেজ আর ফরাসী সরকারের খুব ভাব। একজন ভারতীয় বন্দিকে ইংরেজের হাতে তুলে দিতে ফরাসী সরকার আপত্তি করলেন না। সাভারকারকে এনে ভরা হলো ভারতের জেলে। নাসিক ষড়যন্ত্র মামলায় আলাদা ভাবে সাভারকারকে দু’বার যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেওয়া হলো।
 
দন্ডাদেশ শুনে সাভারকার কারারক্ষীকে বললেন, আমার জীবন তো একটাই। দুবার যাবজ্জীবন দন্ড ভোগ করবো কি করে ?
 
কারারক্ষী বললো, তুমি এমন সাংঘাতিক অপরাধী যে শুধু এ জন্মে নয়, পরের জন্মেও তোমাকে জেলে পুরে রাখা হবে।
 
সাভারকার হাসতে হাসতে মন্তব্য করলেন, যাক , আমার জন্য তাহলে খ্রীস্টান ইংরেজদেরও পরজন্মে বিশ্বাস করতে হল।
 
বেঁচে থাকলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মেয়াদ হয় পঁচিশ বছর। সেই হিসেবে করে সাভারকার পরমুহূর্তেই ব্যঙ্গের সুরে কারারক্ষীকে বললেন, তোমার কি ধারণা, পঞ্চাশ বছর পরেও ইংরেজ এদেশে টিকে থাকবে ? দেখা যাক !
 
সাভারকার জেলে গিয়েছিলেন ১৯১১ সালে। আমরা জানি, তারপর আর পঞ্চাশ বছর ইংরেজ এদেশে থাকতে পারেনি।
 
আন্দামান জেলে কি অসহ্য অত্যাচার ও নিপীড়ন সহ্য করতে হয়েছে তাঁকে, তার বিবরণ আছে সাভারকারের আত্মজীবনীতে। তাঁর দাদা গণেশও তখন আন্দামানে। ওঁদের আর এক ভাইও কারারুদ্ধ।
 
আন্দামান জেলে অধিকাংশ ওয়ার্ডার এবং রক্ষীই ছিল উত্তর ভারতের অশিক্ষিত মুসলমান। এদের নৃশংস উৎপীড়নে অনেক রাজনৈতিক বন্দী আত্মহত্যা করেছে। অনেকে পাগল হয়ে গেছে। অনেকটা এদের জন্যই দুঃখের বিষয়, সাভারকারের মতন সংস্কারমুক্ত , তেজস্বী মানুষের মধ্যেও পরবর্তী জীবনে ধর্মীয় গোঁড়ামি এসে গিয়েছিল।
 
জেলখানায় বসে তিলক, শ্রীঅরবিন্দ, নেতাজী সুভাষচন্দ্র, সরোজিনী নাইডু প্রমুখ অনেকেই উৎকৃষ্ট সাহিত্য সৃষ্টি করে গেছেন। কিন্তু সাভারকার যদিও কবি ছিলেন, তবু তাঁকে এক টুকরো কাগজও দেওয়া হয়নি। তাতেও নিরস্ত হননি তিনি। তাঁর ছোট্ট কুঠুরির দেওয়ালেই তিনি কাঠকয়লা দিয়ে লিখতে শুরু করলেন একটি গাথা কাব্য। কারারক্ষীরা কিছুদিন অন্তর অন্তর ঘরে ঢুকে দেখতে পেলেই সেই লেখা মুছে দিয়ে যেত। তার আগেই সাভারকার সেই অংশটুকু মুখস্ত করে ফেলতেন। ঘরের দেওয়াল যেন তাঁর কাছে স্লেটের মতন। এইভাবেই তিনি সমাপ্ত করেছিলেন ‘কমলা’ মহাকাব্য — যা মারাঠী ভাষায় একটি উল্লেখযোগ্য সৃষ্টি।
হিন্দুত্বের বিরুদ্ধে গত এক হাজারেরবেশি বছর ধরে যে রাজনৈতিক অভিযান চলছে তা দুভাগে বিভক্ত ইসলামী বা মৌলবাদী রাজসত্তা তরবারি দিয়ে হিন্দুত্বকে ধ্বংস করা আর ব্রিটিশ রাজসত্তা সাংস্কৃতিক দিক দিয়ে হিন্দুত্বকে ধ্বংস করা। এই দুই সত্তা এখনও পর্যন্ত পরাভূত ও বিধ্বস্ত হয়নি।
বীর সাভারকর তাঁর লেখা ' হিন্দুত্ব ' গ্রন্থে এই দুই শক্তির বিরুদ্ধে হিন্দু জাতিকে সতর্ক করেছেন।
 
------- জয় হিন্দ, জয় ভারত।
 
== তথ্যসূত্র ==