ইউনিকর্ন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
(সংশোধন)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
২৮ নং লাইন:
মধ্যযুগে বিশেষ করে খ্রিষ্টধর্মের প্রভাবে ব্যাপকভাবে পরিবর্তন ঘটলো ইউনিকর্নের ধারণায়। চার্চের নির্দেশনায় থাকা চিত্রকরেরা ফুটিয়ে তুললো ধর্মীয় ভাব-গাম্ভীর্যের সাথে। ঠিক এই সময়েই কুমারী মেয়ের সংশ্লিষ্টতা আসে। প্রচলিত হতে থাকে নানা উপকথা। শিকারীরা যেহেতু কোনোভাবেই বন্দী করতে পারতো না। সুতরাং কোনো কুমারী মেয়েকে বুঝিয়ে গাছের নিচে বসিয়ে রাখা হতো। ইউনিকর্ন প্রশান্ত মনে কুমারীর কোলে মাথা রেখে বসতো। যখন ঘুমিয়ে পড়তো, তখন শিকারীরা চারপাশে ঘিরে ধরতো এবং আবদ্ধ করতো। ত্রয়োদশ ও চতু্র্দশ শতকে প্রচুর রোমান্টিক আখ্যান গড়ে উঠেছে ইউনিকর্নকে জড়িয়ে।
চার্চ আগ্রহের সাথেই গ্রহণ করেছিল ইউনিকর্নের ধারণা। যীশু খ্রিষ্টের সাথে রূপকার্থে সংশ্লিষ্টতা খুঁজে বের করা হয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম উল্লেখযোগ্য যীশুর অবতার হিসেবে। ইউনিকর্নের কুমারী মেয়ের নিকটবর্তী হওয়া যীশু খ্রিষ্টের কুমারী মা মেরীর নিকটবর্তী হওয়াকেই রূপকভাবে উপস্থাপন করে। এবং একারণেই কুমারীর কোলে ইউনিকর্নের ঘুমিয়ে পড়ার পেছনে যীশু খ্রিষ্টের ঘুমিয়ে পড়ার তাৎপর্য নিহিত। এমনটাই দাবি করতেন সে সময়কার প্রচারকেরা।
চার্চ ইউনিকর্নকে গ্রহণ করেছে যীশুর রূপক হিসাবে। অন্য একটি রূপক যীশুর জীবনের শেষের দিনগুলো। ইউনিকর্ন চাইলে শিকারীদের উচিৎউচিত শিক্ষা দিতে পারে। সে শক্তি ও সক্ষমতা তার আছে। কিন্তু তা না করে সে কুমারীর কোলে গিয়ে ঘুমায়। তারপর শিকারীরা এসে তাকে বধ করে। যেন নিষ্পাপ জন্তুটা নিজেকে এক পবিত্র পন্থায় উৎসর্গ করে দিলো। অনুরূপ যীশু খ্রিষ্ট চাইলেই পাপীদের উচিৎউচিত শিক্ষা দিতে পারতেন। অথচ তিনি প্রথমে কুমারী মেরির কোলে আসলেন। তারপর করলেন আত্মোৎসর্গ। এ থেকে অন্তত এটা স্পষ্ট যে, শুধুমাত্র উপকথাতে সীমাবদ্ধ না থেকে ইউনিকর্ন ধর্মের মূলেও একটা জায়গা করে ফেলেছিল।<ref>https://mythology.net/mythical-creatures/unicorn/</ref><ref>https://www.ancient-origins.net/myths-legends/magic-unicorn-horn-0010750</ref>
<ref>https://www.britannica.com/topic/unicorn/media/1/614490/149403</ref>