নইমুদ্দির ঘরে ছেলে সন্তান জন্মানোর পর তার ঘরে আগুন লাগে। এতে করে গ্রামের মানুষ বলাবলি শুরু করে সেই সন্তান অলক্ষণে।অলক্ষুণে। নইমুদ্দি তাই এমন সন্তানের মুখ দর্শন করতে চায় না ও আতুর ঘরে আগুন জ্বালিয়ে সব পুরিয়ে দিতে চায়। অবশেষে সে শান্ত হয়। ছেলের নাম রাখা হয় "নয়ন"। কিছু দিন পর তাকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। মোড়লের হস্তক্ষেপে সে জেল থেকে বের হয়ে সন্তানসহ বউকে তালাক দেয়। বৃষ্টি ভেজা সন্ধ্যায় সে আশ্রয় নেয় গ্রামের এক গায়েনের বাড়িতে। সেই গায়েনের বাড়িতে বড় হতে থাকে নয়ন। শুরু হয় তার দুরন্তপনা। একদিন তার খেলার সাথী মনিকে গুলতি মারার অপরাধে তাকে গ্রাম ছেড়ে যেতে হয়। বেশ কিছু বছর পর গ্রামে ফিরে এসে দেখে গ্রামে মোড়লের অত্যাচারে সবাই অতিষ্ঠ। তাছাড়া মোড়ল জোর করে মনিকে বিয়ে করতে চায়। কিন্তু নয়নের জন্য মোড়ল তা পারে না। সে গোলাপ আলীসহ গ্রামের যুবকদের নিয়ে দল গঠন করে মোড়লকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার জন্য।