নাজমুন নাহার সোহাগী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
→‎আরো পড়ুন: পরিষ্কারকরণ
বানান সংশোধন
৫ নং লাইন:
২০০০ সালে [[ভারত]] অভিযানের মাধ্যমে সোহাগীর ভ্রমণ অভিযাত্রা শুরু হয়। তিনি সম্প্রতি লোহিত সাগরের পার্শ্ববর্তী [[আফ্রিকা]] মহাদেশের দেশ [[জিবুতি]], [[সোমালিল্যান্ড]], [[সুদান]] পর্যন্ত, তারপর তিনি ভারতীয় মহাসাগরের দ্বীপ রাষ্ট্র [[মালদ্বীপ]] সফর করেন। গত বছরের ৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশের পতাকা হাতে  নাজমুন নাহার পৌঁছান দক্ষিণ এশিয়ার রাষ্ট্র মালদ্বীপের মালাহিনী কুদা ব্যান্ডোস দ্বীপে। <ref>[https://chuti.press/144-countrys/ ''১৪৪ দেশ ভ্রমণের বিরল অভিজ্ঞতা যার'' - সাক্ষাৎকার গ্রহণে ফাহমিদা তুলি] chuti.press হতে সংগৃহীত</ref>
 
ভ্রমণের ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে ওঠার পেছনে সর্বাধিক ভূমিকা রাখে তাঁর বাবা, দাদা ও বই। শৈশবে বই পড়তে পড়তেই তাঁর ভ্রমণের প্রতি আগ্রহ জন্মায়। নাজমুন নাহারের বাবা তাঁকে উৎসাহ দিতেন সারা পৃথিবী ঘুরে দেখার জন্য। উনিশ শতকের সময় সোহাগীর দাদা আরবের বিভিন্ন দেশ ঘুরে বেরিয়েছেন। মূলত এসব কারনেইকারণেই নাজমুন নাহারের ভ্রমণ আকাঙ্খা বেড়ে যায় যা একসময় তাঁর স্বপ্নে পরিণত হয়।
 
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সময় ভারতে একটি সমাবেশে তিনি বিশ্বের ৮০ টি দেশের ছেলেমেয়েদের সাথে যোগ দেন। সেই ঘটনা তাঁর ভেতরে শিহরণ জাগায় যা তাঁকে এতগুলো দেশের অভিযানে অনুপ্রেরণা জাগিয়েছে। তিনি প্রথম কয়েকটি দেশ ভ্রমণ করেছেন [[বাংলাদেশ গার্ল গাইডস অ্যাসোসিয়েশন]] এর সদস্য হিসেবে। এরপরে তিনি চলে যান [[সুইডেন]]- এ। সেখানে পড়াশোনার পাশাপাশি অর্থ সঞ্চয় করেন ও অন্যান্য দেশ ভ্রমণের প্রস্তুতি নেন। <ref name="bbc.com">১৩ নভেম্বর ২০১৮ [https://www.bbc.com/bengali/news-46194840 ''বাংলাদেশী যে নারীর একমাত্র স্বপ্ন সারা বিশ্ব ঘুরে দেখা''] bbc.com হতে সংগৃহীত</ref>
১১ নং লাইন:
==অভিজ্ঞতা==
 
ভ্রমণের সময় নাজমুন নাহার অনেক ধরনের রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হন। এমনকি কোনো কোনো জায়গা হতে মৃত্যুর মুখ থেকেও তিনি ফিরে এসেছেন। উগান্ডা থেকে রোয়ান্ডা যাওয়ার সময় বিকেলে ঝড় বৃষ্টির মধ্যে বাসে যাওয়ার সময় রাস্তার দুই ধারের জঙ্গল থেকে ভয়াল জন্তুর গর্জন ভেসে আসে। সে যাত্রা তিনি বেঁচে গিয়েছিলেন। আরেকটি ঘটনা ঘটেছিল [[পেরু]]র রেইনবো পর্বতে যার উচ্চতা ১৪২০০ ফুট। মাঝরাতে তিনি তাঁর স্থানীয় দল নিয়ে পর্বতে ওঠা শুরু করেন। এক পর্যায়ে উচ্চতার কারনেকারণে শ্বাসকষ্ট শুরু হয় ও মাটিতে বসে পড়েন। এমন অবস্থায় পথপ্রদর্শক তাঁকে রেখে চলে যেতে যান। পরে তিনি তাদেরকে জানান যে যদি তিনি মারাও যান তবুও তিনি পর্বতের শিখরে উঠতে চান কারনকারণ পথ আর বেশি দূর নেই। তিনি মারা গেলে তারা যেন তাঁকে সেখানে কবর দিয়ে দেয় সে কথাও বলেন তিনি। এরপরে তাঁকে ইনহেলার দেওয়া হয়৷ সেটা নেওয়ার পরে কিছুটা সুস্থ বোধ করেন কিন্তু তিনবার তাঁর শ্বাসকষ্ট হয়। তবুও তিনি সেবার পর্বতের চূড়ায় উঠেছিলেন। <ref name="bbc.com"/>
 
==অভ্যর্থনা ও খেতাব==
 
নাজমুন নাহার সোহাগী যে দেশে যান সেই দেশের ব্যক্তিবর্গ তাঁকে সাদরে গ্রহণ করেন। মালদ্বীপের ভেলানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পর্যটন মন্ত্রণালয়ের একটি দল নাজমুনকে অভিনন্দন জানানোর পর পর্যটন মন্ত্রী ডক্টর আব্দুল্লাহ মাসুম নাজমুন নাহারকে  ‘বিশ্ব নারীদের এক সাহসী প্রতীক’ বলে অভিহিত করেন। ২০২০ সালের ৩ ডিসেম্বর সোমালিল্যান্ডের জনপ্রিয় জাতীয় দৈনিক ‘গেসকা আফ্রিকা’র  প্রথম পাতায় প্রকাশিত হয় সোহাগীর বিশ্বজুড়ে দেশ ভ্রমণের দুঃসাহসিক অভিযাত্রার বর্ণনা। ২৭ নভেম্বরে [[জিবুতি]] এর একমাত্র রাষ্ট্রীয় পত্রিকা "লা ন্যাশন" এর পাতায় বাংলাদেশের লাল সবুজ পতাকার ছবিসহ নাজমুন নাহারকে নিয়ে বিশেষ প্রচ্ছদ প্রতিবেদন বের করা হয়৷ <ref>[https://chuti.press/144-countrys/ ''১৪৪ দেশ ভ্রমণের বিরল অভিজ্ঞতা যার'' - সাক্ষাৎকার গ্রহণে ফাহমিদা তুলি]</ref>
ভ্রমণের সময় সর্বদা বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে যাওয়ার কারনেকারণে [[জাম্বিয়া]] সরকারের একজন গভর্নর (শাসক) তাকে "ফ্ল্যাগ গার্ল" খেতাবে ভূষিত করেন।
 
বিবিসি নিউজ বাংলার একটি সাক্ষাৎকারে নাজমুন নাহার সোহাগী জানান যে আফ্রিকার যেখানেই তিনি ভ্রমণ করেছেন সেখানেই মানুষ তাঁর কাছে এসে বলেছে যে তারা বাংলাদেশের ক্রিকেট খেলা খুবই পছন্দ করে। তিনি আরো জানান যে, [[উরুগুয়ে]] দেশের একজন নারী তাঁকে ছুঁয়েও দেখেছেন। কারনকারণ তিনি এর আগে বাংলাদেশের কাউকে কখনো দেখেননি। <ref name="bbc.com"/>
 
[https://www.bd-pratidin.com/features/2020/01/31/497409]