নবদ্বীপের মন্দির ও দর্শনীয় স্থানসমূহ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
সংশোধন
১ নং লাইন:
'''নবদ্বীপের মন্দির ও দর্শনীয় স্থানসমূহ''' [[পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন]] মানচিত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ আকর্ষণ। [[শাক্তধর্ম|শাক্ত]], [[বৈষ্ণবধর্ম|বৈষ্ণব]] ও [[শৈবধর্ম|শৈব]] সংস্কৃতির ঐকান্তিক সংমিশ্রণে [[নবদ্বীপ]] ঐতিহাসিক পীঠস্থানে পরিণত হয়েছে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=4mnXAAAAMAAJ&newbks=0&hl=en|শিরোনাম=Economics of Religion|শেষাংশ=Das|প্রথমাংশ=Nilanjana|তারিখ=2005|প্রকাশক=Vista International Publishing House|পাতাসমূহ=২১|ভাষা=en|আইএসবিএন=978-81-89526-36-8}}</ref> পশ্চিমবঙ্গ হেরিটেজ কমিশন ২০১৯ খ্রিস্টাব্দে পর্যটনক্ষেত্র হিসেবে [[নবদ্বীপ|নবদ্বীপকে]] পর্যটনক্ষেত্র হিসেবে '''''হেরিটেজ শহর''''' ঘোষণা করেছে। ''গুপ্ত বৃন্দাবন'' নামে খ্যাত মন্দিরনগরী [[নবদ্বীপ]] ধর্মীয়ক্ষেত্রের পাশাপাশি [[সংস্কৃত ভাষা|সংস্কৃত]] ও ন্যায়চর্চার প্রাণকেন্দ্র হওয়ায় এখানে দর্শনীয় স্থান হিসেবে মন্দির ছাড়াও পণ্ডিত ব্যক্তিদের জন্মভিটে, টোলবাড়ি, সমাধিপীঠ বর্তমান।
[[File:Old photograph of Poramatala Temple Complex Photographer A. Dutta.jpg|left|thumb|250px|পোড়ামাতলা মন্দির চত্ত্বরের পুরাতন আলোকচিত্র: বামপাশে [[মা ভবতারিণী মন্দির, নবদ্বীপ|মা ভবতারিণী মন্দির]], মধ্যে বটগাছ সহ [[পোড়ামা কালীমন্দির, নবদ্বীপ|মা পোড়ামাতা]] ও ডানপাশে [[ভবতারণ শিব মন্দির]]]]
{|class="wikitable sortable floatright"
৫৭ নং লাইন:
| পোড়ামাতলা, [[নবদ্বীপ]]<br /><small>{{স্থানাঙ্ক|23|24|38.11|N|88|22|12.96|E|name=মা ভবতারিণী মন্দির|type:landmark}}</small>
| {{তারিখের ছক বাছাই|1825}} খ্রিস্টাব্দ
| [[নদিয়া রাজপরিবার|নদীয়ারাজ]] মহারাজা রাঘব ১৬৬৯ খ্রিস্টাব্দে [[নবদ্বীপ|নবদ্বীপের]] গঙ্গার ধারে মন্দিরসহ প্রকাণ্ড এক গণেশ মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেন। তার মৃত্যুর ১০০ বছর পর গঙ্গার ভাঙনের কারণে বিগ্রহ অন্য জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পণ্ডিতবর্গের বিধানে বিগ্রহটিকে ১২ বছর মাটির নিচে রাখা।রাখা পরর্তীতেহয়। পরবর্তীতে বিগ্রহটিকে মাটি থেকে তোলার সময় গণেশের শুঁড়টি ভেঙে গেলে মহারাজেরমহারাজ গিরিশচন্দ্রের আদেশে কোনো এক অজ্ঞাত শিল্পী গণেশ মূর্তি থেকে মহারাজের আরাধ্যা দেবী আনন্দময়ীর প্রতিমা তৈরি করেন এবং দেবীমূর্তির নামকরণ হয় ''ভবতারিণী মাতা''।<ref name=":0">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.anandabazar.com/district/nadia-murshidabad/devotees-begins-renovation-of-bhabatarini-temple-1.589271|শিরোনাম=ভবতারিণী মন্দির সংস্কারে ভক্তেরাই|শেষাংশ=সংবাদদাতা|প্রথমাংশ=নিজস্ব|তারিখ=2017-03-31|সংবাদপত্র=আনন্দবাজার পত্রিকা|সংগ্রহের-তারিখ=2021-03-24|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20210324133441/https://www.anandabazar.com/west-bengal/nadia-murshidabad/devotees-begins-renovation-of-bhabatarini-temple-1.589271|আর্কাইভের-তারিখ=2021-03-24|ভাষা=bn}}</ref> ১৮২৫ খ্রিস্টাব্দে মহারাজা গিরিশচন্দ্র পোড়ামাতলায় দালানের উপর [[চারচালা]] মন্দির নির্মাণ করে দেবীকে প্রতিষ্ঠিত করেন।
|-
| scope="row" bgcolor="#cedff2"|<center>'''[[পোড়ামা কালীমন্দির, নবদ্বীপ|পোড়ামা কালীমন্দির]] <sup>{{dagger}}</sup></center>'''
৬৯ নং লাইন:
| পোড়ামাতলা, [[নবদ্বীপ]]<br /><small>{{স্থানাঙ্ক|23|24|37.7|N|88|22|12.7|E|name=ভবতারণ শিব মন্দির|type:landmark}}</small>
| {{তারিখের ছক বাছাই|1825}} খ্রিস্টাব্দ
| গৌরীপট্ট সম্বলিত ব্রাহ্মণ্য-সংস্কৃতির প্রথম শিব মূর্তিটি ১৬৮৩ থেকে ১৬৯৪ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে রাজা রুদ্র রায় স্থাপন করেছিলেন।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://archive.org/details/dli.bengal.10689.10795|শিরোনাম=Nadia District Gazeteers|শেষাংশ=গেরেট|প্রথমাংশ=জে. এইচ.|তারিখ=১৯১০|বছর=|প্রকাশক=বেঙ্গল সেক্রেটারিয়েট বুক ডিপো|অবস্থান=কলকাতা|পাতাসমূহ=১৫৫|আইএসবিএন=}}</ref> সেইসময় শিবমূর্তিটি ''রাঘবেশ্বর শিব'' নামে পরিচিত ছিল। কিন্তু ১৭৬০ খ্রিস্টাব্দের গঙ্গার ভাঙনে মন্দিরসহ মূর্তিটি গঙ্গাগর্ভে নিমজ্জিত হলে রাজা গিরিশচন্দ্র ১৮২৫ খ্রিস্টাব্দে পোড়ামাতলায় শিব মূর্তিটি ভবতারণ মানেনামে পুন:স্থাপিত করেন, যা বর্তমানে ''[[ভবতারণ শিব মন্দির|ভবতারণ শিব]]'' নামে পরিচিত।<ref name=":0" />
|-
| scope="row" bgcolor="#cedff2"|<center>'''[[চৈতন্য মহাপ্রভু]]র জন্মস্থান মন্দির <sup>{{dagger}}</sup></center>'''
[[File:Chaitanya Birth Place.jpg|frameless|upright=.9]]
| প্রাচীন মায়াপুর (পূর্বনাম ''রামচন্দ্রপুর''), [[নবদ্বীপ]]<br /><small>{{স্থানাঙ্ক|23|25|35.0|N|88|22|14.4|E|name=চৈতন্য মহাপ্রভুর জন্মস্থান মন্দির|type:landmark}}</small>
| {{তারিখের ছক বাছাই|1961}} খ্রিস্টাব্দ (১৩৬৭ বঙ্গাব্দে)
| অবসরপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার ব্রজমোহন দাস বাবাজি নবদ্বীপ শহরের উত্তরে রামচন্দ্রপুরে অসংখ্য কূপ খননের মাধ্যমে গৌরাঙ্গ-জন্মস্থান নির্ণয় করেন।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://archive.org/details/in.ernet.dli.2015.336172|শিরোনাম=পশ্চিমবঙ্গ: নদিয়া জেলা সংখ্যা ১৪০৪|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|বছর=১৯৯৭|সম্পাদক-শেষাংশ=ভট্টাচার্য|সম্পাদক-প্রথমাংশ=তরুণ|সম্পাদক-শেষাংশ২=মজুমদার|সম্পাদক-প্রথমাংশ২=দিব্যজ্যোতি|প্রকাশক=তথ্য অধিকর্তা: তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ|অবস্থান=পশ্চিমবঙ্গ সরকার|পাতাসমূহ=৫৫}}</ref> ৩০ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট [[নবরত্ন (স্থাপত্য)|নবরত্ন]] এই মন্দিরটি ১৩৬৭১৯৬১ বঙ্গাব্দেখ্রিস্টাব্দে নির্মিত হয়। গৌড়ীয় মন্দিরশৈলীর এই মন্দিরের শিখর চূড়াটি বৃহদাকৃতির হলেও অন্যান্য ৮টি চূড়া ক্ষীণাকার।
|-
| scope="row" bgcolor="#cedff2"|<center>'''[[বিষ্ণুপ্রিয়া|বিষ্ণুপ্রিয়া দেবীর]] জন্মস্থান <sup>{{dagger}}</sup></center>'''
৮৬ নং লাইন:
[[File:Nabadwip Manipur Rajbari Entrance gate.jpg|frameless|upright=.9]]
| মণিপুর, [[নবদ্বীপ]]<br /><small>{{স্থানাঙ্ক|23|23|51.4|N|88|21|52.2|E|name=নবদ্বীপ মণিপুর রাজবাড়ি|type:landmark}}</small>
| {{তারিখের ছক বাছাই|1813}} খ্রিস্টাব্দ (১৩২৭১৯২১ বঙ্গাব্দেখ্রিস্টাব্দে নবনির্মিত সমতল ছাদে অনুমহাপ্রভুর বিগ্রহ স্থানান্তরিত হয়)
| মণিপুরী ঘরানার কাঁঠালকাঠ নির্মিত মণিপুরী ঘরানার [[অনু মহাপ্রভু মন্দির|অনুমহাপ্রভুর]] বিগ্রহ ১৭৯৮ খ্রিস্টাব্দ থেকে এখানে মণিপুর রাজপরিবার দ্বারা পূজিত হয়ে আসছে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.anandabazar.com/west-bengal/nadia-murshidabad/manipur-and-nabadwip-gets-mixed-up-while-remembering-bhagyachandra-1.679153|শিরোনাম=ভাগ্যচন্দ্র স্মরণে মিশে গেল নবদ্বীপ-মণিপুর|শেষাংশ=সংবাদদাদাতা|প্রথমাংশ=নিজস্ব|তারিখ=২০১৭-০৯-২৩|ওয়েবসাইট=www.anandabazar.com|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20210325035241/https://www.anandabazar.com/west-bengal/nadia-murshidabad/manipur-and-nabadwip-gets-mixed-up-while-remembering-bhagyachandra-1.679153?ref=%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%BE-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%9A%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0-topics-topic-stry|আর্কাইভের-তারিখ=2021-03-25|সংগ্রহের-তারিখ=2021-03-25}}</ref> [[দোলযাত্রা]] ও রাস পূর্ণিমায় এখানে অতিসাড়ম্বরে পূজার্চনা হয় ও [[মণিপুরি নৃত্য]] পরিবেশিত হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.anandabazar.com/west-bengal/nadia-murshidabad/a-short-write-up-on-rash-mela-in-nabadwip-1.903524|শিরোনাম=ভাগ্যচন্দ্রেরই উদ্ভাবন বহু নৰ্তকীর রাসনৃত্য|শেষাংশ=বন্দ্যোপাধ্যায়|প্রথমাংশ=দেবাশিস|তারিখ=২০১৮-১১-২৫|ওয়েবসাইট=www.anandabazar.com|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20210325035540/https://www.anandabazar.com/west-bengal/nadia-murshidabad/a-short-write-up-on-rash-mela-in-nabadwip-1.903524|আর্কাইভের-তারিখ=2021-03-25|সংগ্রহের-তারিখ=2021-03-25}}</ref>
|-
| scope="row" bgcolor="#cedff2"|<center>'''[[দ্বাদশ শিব মন্দির, নবদ্বীপ|দ্বাদশ শিব মন্দির]] <sup>{{dagger}}</sup></center>'''
৯৩ নং লাইন:
| বড়ালঘাট, [[নবদ্বীপ]]<br /><small>{{স্থানাঙ্ক|23|24|39.63|N|88|22|21.17|E|name=দ্বাদশ শিব মন্দির|type:landmark}}</small>
| {{তারিখের ছক বাছাই|1835}} খ্রিস্টাব্দ
| ১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দে [[নবদ্বীপ|নবদ্বীপের]] কাংস-ব্যবসায়ী গুরুদাস দাস ভাগীরথী তীরে ২৫ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট এবং টেরাকোটার কারুকার্যযুক্ত বারোটি শিখর[[আটচালা]] শিবমন্দির প্রতিষ্ঠা করেন, যা ''[[দ্বাদশ শিব মন্দির, নবদ্বীপ|দ্বাদশ শিব মন্দির]]'' নামে পরিচিত।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://archive.org/details/in.ernet.dli.2015.315858|শিরোনাম=নদীয়া জেলার পুরাকীর্তি|শেষাংশ=রায়|প্রথমাংশ=মোহিত|তারিখ=1975|বছর=|সম্পাদক-শেষাংশ=বন্দোপাধ্যায়|সম্পাদক-প্রথমাংশ=অমিয়কুমার|সম্পাদক-শেষাংশ২=দাশ|সম্পাদক-প্রথমাংশ২=সুধীররঞ্জন|প্রকাশক=পুর্ত (পুরাতত্ত্ব) বিভাগ, পশ্চিমবঙ্গ সরকার|অবস্থান=কলকাতা|পাতাসমূহ=৪৫-৪৬|আইএসবিএন=}}</ref> মন্দির গাত্রের দেওয়ালে অঙ্কিত ফুল-লতা-পাতার কারুকার্যের সৌন্দর্যের জন্য এই মন্দির বিশেষ ভাবে পরিচিত।
|-
| scope="row" bgcolor="#cedff2"|<center>'''[[বুড়োশিব মন্দির, নবদ্বীপ|বুড়োশিব মন্দির]] <sup>{{dagger}}</sup></center>'''
১০৫ নং লাইন:
| গানতলা রোড, [[নবদ্বীপ]]<br /><small>{{স্থানাঙ্ক|23|24|47.1|N|88|22|19.7|E|name=বড় আখরা|type:landmark}}</small>
| অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষার্ধ
| বড় আখরা নবদ্বীপের প্রথম বৈষ্ণব আখরা। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষার্ধে তোতা রামদাস বাবাজি কর্তৃক এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। বড় আখড়ার নাটমন্দিরটি ১২৫০১৮৪৪ বঙ্গাব্দেখ্রিস্টাব্দে মাধবচন্দ্র দত্ত নির্মাণ করেন।
|-
| scope="row" bgcolor="#cedff2"|<center>'''সমাজবাড়ি <sup>{{dagger}}</sup></center>'''