মাফরুহা চৌধুরী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
MdsShakil (আলোচনা | অবদান)
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৪ নং লাইন:
<!-- অপসারণ প্রস্তাবনার বার্তা শেষ, এর নিচে স্বাচ্ছন্দ্যে সম্পাদনা করুন -->
মাফরুহা চৌধুরী ২৭ জুলাই ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দে (১৩৪০ বংগাব্দ) বগুড়া জেলার কাটনাপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। বাবা মকবুল হোসেন একজন ভালো আবৃত্তিকার ও নাট্যভিনেতা ছিলেন এবং পেশায় ব্যবসায়ী ছিলেন। মাতা ফাতেমা খাতুন গৃহিণী ছিলেন। ছোটবেলা হতেই তিনি অনেক মেধাবী ছিলেন। কাটনাপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করেন। তারপর তিনি ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে মেমোরিয়াল (ভি.এম) স্কুল থেকে কৃতিত্বের সহিত (১৯ তম স্থান পেয়ে) ম্যাট্রীকুলেশন পাশ করেন। মাফরুহা চৌধুরী ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে সাহিত্যের জগতে লেখিকার সম্ভাবনা নিয়ে উপস্থিত হন এবং পরিচিত হন । ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে নবম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত অবস্থায় কলকাতা থেকে প্রকাশিত দৈনিক আজাদ পত্রিকায় <nowiki>''দীনবন্ধু মুকুলের মহফিলে''</nowiki> নামক প্রথম গল্প ছাপা হয় । ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে তিনি মরহুম [[তালিম হোসেন|তালিম হোসেনের]] সহিত বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন ।
 
 
বিবাহিত জীবনে স্বামী [[তালিম হোসেন]] ও শ্বশুরের উৎসাহ ও সহযোগিতায় তিনি পড়াশোনা চালিয়ে যান এবং বিএবিএড পাস করেন। বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে কিছুদিন কলকাতায় ছিলেন। পরে ঢাকায় চলে আসেন। একজন খ্যাতিমান কবির সহধর্মিণী হওয়ায় ঢাকায় পরিচিত হন অনেক শিল্পী ও সাহিত্যিকের সঙ্গে। এদের মধ্যে শিল্পী [[কামরুল হাসান]], কথাশিল্পী [[সরদার জয়েনউদ্দীন|সরদার জয়েন উদ্দিন]] এবং সাংবাদিক সাহিত্যিক [[আবদুল গনি হাজারী|আবদুল গণি হাজারী]] প্রমুখ ব্যক্তির নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
 
 
তিনি কিছুদিন সিদ্ধেশ্বরী গার্লস স্কুলে এবং শাহীন স্কুলের বাংলা বিভাগের প্রধান হিসেবে শিক্ষকতা করেছেন।
 
 
পঞ্চাশ দশকের শুরুতে দৈনিক সংবাদপত্রে মাফরুহা চৌধুরী দৈনিক মিল্লাত পত্রিকায় মহিলা বিভাগের পরিচালিকারূপে সাংবাদিকতার কাজ শুরু করেন।
১৯ ⟶ ১৬ নং লাইন:
 
এরপর থেকে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় তার গল্প, প্রবন্ধ-নিবন্ধ, শিশু-কিশোর পাঠ্য লেখা নিয়মিত প্রকাশিত হতো। তবে ষাট দশকেই তিনি লেখিকা হিসেবে পরিচিতি ও প্রতিষ্ঠা পান। মাফরুহা চৌধুরী মূলত কথাসাহিত্যিক। তার রচনায় সমাজ, মানুষ, মন, মনস্তত্ত্ব বক্তব্যের সূত্র ধরে এসেছে। বরেণ্য প্রয়াত ব্যক্তিত্বদের অন্তরঙ্গ স্মৃতিচারণ ও শিশুদের জন্য ছোটগল্প, শিশুদের বিজ্ঞান বিষয়ক বইয়ের অনুবাদ করেন। কলকাতা থকে প্রকাশিত হুমায়ুন কবির এবং আতাউর রহমান প্রতিষ্ঠিত 'চতুরঙ্গ' পত্রিকার উদ্যোগে ১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দে ভারত উপমহাদেশের ছোটগল্পের সঙ্কলন প্রকাশিত হয়। এ সঙ্কলনে ১৮টি ভাষায় ছোটগল্প প্রকাশ করা হয়। সেখানে বাংলাদেশ থেকে মাফরুহা চৌধুরীর ছোটগল্প অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
 
 
'''প্রকাশিত গ্রন্থ''' :
 
গল্প : অরণ্যগাঁথা ও অন্যান্য গল্প (১৯৭৩), কোথাও ঝর (১৯৮১), স্থলিত নক্ষত্র (১৯৭৩), বিদীর্ণ প্রহর (১৯৮৩), বিমূর্ত বৃওে (১৯৮৪), নিঃশর্ত করতালি (১৯৮৪), মাফরুহা চৌধুরী প্রেমের গল্প (১৯৮৬), শব নিয়ে বসবাস (১৯৮৭), ছায়াপথের মানচিত্র (১৯৮৮), মাফরুহা চৌধুরীর নির্বাচিত গল্প (১৯৯০)।
 
 
'''উপন্যাস''':
 
এক নয় সাত (১৯৯১), একদা দ্বীবাসিনী (১৯৯২) ।
 
 
'''কবিতা''':
৩৬ ⟶ ৩০ নং লাইন:
 
প্রবন্ধ: ক্রান্তিকালের ছায়ায় (১৯৮৭), সঙ্গ প্রসঙ্গ (১৯৯৩)
 
 
'''শিশুতোষ''':
 
একটি ফুলের জন্য (১৯৬৬), পানিতে কখনো আগুন লাগে (১৯৮০),
 
 
'''অনুবাদ''':
 
চেনা আছে জানা নাই (১৯৫৯), পাহাড় থেকে সমতলে (১৯৬৬), ছোটদের কায়েদে আজম (১৯৬৮)
 
 
মাফরুহা চৌধুরী বাংলা একাডেমি, গার্লস গাইড অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ লেখিকা সংঘ, নজরুল একাডেমি, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, টেক্সট বুক বোর্ডের পাঠ্যবহির্ভূত প্রকাশনা পরিষদ প্রভৃতি শিক্ষা, সমাজ ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থার সদস্য ছিলেন।
 
 
তিনি সাহিত্যক্ষেত্রে অবদান সরূপঃ
৬২ ⟶ ৫২ নং লাইন:
 
৫. <nowiki>''গুণীজন সংবর্ধনা''</nowiki> পদক লাভ করেন।
 
 
'''মৃত্যু''':