ষড়যন্ত্র তত্ত্ব: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
বানান সংশোধন (By FindAndReplace)
Zaheen (আলোচনা | অবদান)
নোম চম্‌স্কি বানান, {{রচনা সংশোধন}}
১ নং লাইন:
{{উৎসহীন|date=ফেব্রুয়ারি ২০২১}}
{{রচনা সংশোধন}}
 
'''ষড়যন্ত্র তত্ত্ব''' ({{lang-en|Conspiracy theory}}) বা ষড়যন্ত্রবাদ https://www.universalis.fr/encyclopedie/conspirationnisme/ মূলত কোন ঘটনার এমন ব্যাখ্যাকে বোঝায়, যা সুস্পষ্ট প্রমাণ ছাড়া কোন গভীর ষড়যন্ত্রের দিকে ইঙ্গিত করে থাকে, যার পেছনে সরকার (রাষ্ট্র) বা ক্ষমতাশীল কোন সংগঠনকে দায়ী করা হয়, এই যুক্তিতে যে তারা এর মাধ্যমে অসৎ উপায়ে এবং ক্ষতিকর পন্থায় নিজেদের ফায়দা লাভ করতে চায়। এরকম তত্ত্বগুলির একটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে যে এগুলি এমন প্রকল্প বা অবস্থা সৃষ্টি করে যা ইতিহাস এবং ক্ষেত্রবিশেষ সাধারণ বোধের (সরল সত্যতার) সাথে সাংঘর্ষিক। এই পদটি নিন্দাজ্ঞাপক অর্থে ব্যবহৃত হয়।
 
বিখ্যাত রাষ্ট্রবিজ্ঞানী মাইকেল বার্কুন এরবার্কুনের মতে, ষড়যন্ত্র তত্ত্বগুলো যে দর্শন এর উপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে তা হল যে মহাবিশ্ব কোন সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা অনুযায়ী চলমান। এটি তিনটি মুলনীতির উপর প্রতিষ্ঠিত- ১. কোনকিছু দৈবভাবে ঘটে না। ২. যা আপাত প্রতীয়মান তা সত্য নয়। ৩. সবকিছুই আন্তঃসম্পর্কযুক্ত। বার্কুন এর মতে, ষড়যন্ত্র তত্ত্বগুলোর আরেকটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে যে, এ তত্ত্বগুলো সময়ের প্রয়োজনে এদের বিপরীতে আসতে থাকা প্রমাণগুলোর সাথে নিজেদের কিছুটা পরিমার্জন করে খাপ খাইয়ে নেয়। এতে করে এমন একটি বদ্ধ ব্যবস্থার সৃষ্টি হয় যা একে যাচাই এর অযোগ্য করে তুলে। তাই বার্কুন এর মতে, এই ব্যপারটি "প্রমাণ অপেক্ষা বিশ্বাস সাপেক্ষ"।
 
== পদটির ব্যবহার ==
১১ নং লাইন:
অক্সফোর্ড অভিধান অনুযায়ী, ষড়যন্ত্র তত্ত্ব হচ্ছে "কোন ঘটনা ঘটার পেছনে বিদ্যমান জটিল কোন ষড়যন্ত্র, যা নির্দিষ্ট কিছু স্বার্থান্বেষী মহলের মিলিত চক্রান্তের ফসল, বিশেষতঃ যেথায় ধরে নেয়া হয় যে, কতিপয় গুপ্ত তবে প্রভাবশালী গোষ্ঠী (যাদের উদ্দেশ্য রাজনৈতিক এবং শোষণমুলোক) একটি ব্যখাহীন ঘটনার পেছনে দায়ী।" এর সাথে অক্সফোর্ড সর্বপ্রথম এই পদটির ব্যবহারকারি হিসেবে ''দি এমেরিকান হিস্ট্রিকাল রিভিউ''এর ১৯০৯ সালের একটি নিবন্ধের উদ্ধৃতি দেয়।
 
জন আইতোর ''টুয়েনটিথ সেঞ্চুরি ওয়ার্ডস'' এর মতে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব পদটি শুরুতে নিরপেক্ষ অর্থে ব্যবহৃত হলেও এটি নিন্দাসূচক অর্থে সংজ্ঞায়িত হওয়া শুরু করে ১৯৬০ এর মধ্যের দিকে; এই কারণে যে, এটি প্রচার এর পেছনে এক প্রকার ভ্রম কাজ করে, যা কোন ঘটনার পেছনে প্রভাবশালী, বিদ্বেষ্পরায়ণ তবে গুপ্ত কোন সংস্থাকে কল্পনা করতে বাধ্য করে। ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটি এর অধ্যাপক ল্যান্স ডীহ্যাভেন স্মিথ এর ২০১৩ সালে প্রকাশিত বই ''কন্সপিরেসি থিওরি ইন এমেরিকা'' অনুযায়ী '''কন্সপিরেসি থিওরি''' পদটি ১৯৬০ সালে প্রথম সি আই এ দ্বারা ব্যবহৃত হয় ,জন এফ কেনেডি এর গুপ্তহত্যার সাথে জড়িত যাবতীয় ষড়যন্ত্র তত্ত্ব কে অসাড় প্রমাণ করতে । তবে স্টকটন ইউনিভার্সিটি এর সহকারি অধ্যাপক রবার্ট ব্লাস্কেউইয এর ভাষ্যানু্যায়ী এমন দাবি নতুন নয়, বরং অন্তত ১৯৯৭ সাল অবধি থেকে চলে এসেছিল এবং ডিহ্যাভেন স্মিথ এর সাম্প্রতিক প্রচার এর কারণে "ষড়যন্ত্র তাত্ত্বিকগণ তার কথাটিকে প্রমাণ হিসেবে ধরে নিয়ে একে উদ্ধৃত করেন ।" ব্লাস্কেউইয পরবর্তিতে এ নিয়ে গবেষণা করে দেখেন যে, এই নামকরনটি কখনই নিরপেক্ষ অর্থে ব্যবহৃত হয় নি বরং এটি দীর্ঘসময় ধরেই কোন ঘটনার প্রেক্ষাপট হিসেবে চরম কোন আন্দাজ বা অবোধ্য অনুমান কল্পনা করাকে বোঝাতে নিন্দনীয় অর্থে ব্যবহৃত হয়ে এসেছে ১৮৭০ সাল অব্দি থেকে।
 
স্যান ডিয়েগো স্টেট ইউনিভার্সিটির প্রফেসর রেবেকা মুর ''জোন্সটাউন ম্যাসাকার'' এর ঘটনা নিয়ে যে ঘোর অনুমানগুলো চলতে থাকে, যেমন- সি আই এ এর বিরুদ্ধে মস্তিষ্ক নিয়ন্ত্রঙ্কারী পরীক্ষা চালনা করার দাবি ইত্যাদিগুলোকে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব হিসেবে অভিহিত করেন, যা অনেকের মধ্যে ক্ষোভ এর সঞ্চার করে। এর প্রতিউত্তরে তিনি বলেন," তারা আমার প্রতি ক্ষুব্ধ কেননা আমি তাদের জানা সত্যকে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব হিসেবে আখ্যায়িত করেছি...... তাদের ক্ষোভ করা অনেক অংশে ন্যায্য। কেননা, ষড়যন্ত্র তত্ত্ব পদটি নিরপেক্ষ নয়। এর সাথে নিন্দা, হাস্যরস এবং বর্জনীয় ভাব প্রকাশ পায়। এটি অনেকটা "কাল্ট" শব্দটির মত,যা কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ধর্মীয় সংগঠনকে বোঝায়। মুর এছাড়াও ষড়যন্ত্র তত্ত্ব কে "কলঙ্কিত জ্ঞান" বা "দমনকৃত জ্ঞান" আখ্যা দেন যযে জ্ঞানের ভিত্তি হচ্ছে যে " ক্ষমতাধর কিছু গোষ্ঠী মুক্ত জ্ঞান সরবরাহের পথে বাধা সৃষ্টি করছে এবং একে নিয়ন্ত্রণ করছে কোন বিশেষ অসাধু উদ্দেশ্যে।"
৩০ নং লাইন:
যে ষড়যন্ত্রগুলোর সত্যতা পাওয়া গেছে যেমন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন এবং তার সহযোগিদের ওয়াটারগেট স্ক্যান্ডাল ধামাচাপা দেয়ার প্রচেষ্টা ; একে ষড়যত্র তত্ত্ব না বলে বরং "অনুসন্ধানমূল্ক সাংবাদিকতা" বা "ঐতিহাসিক বিশ্লেষণ" বলা হয়। অপরদিকে, "ওয়াটারগেট ষড়যন্ত্র তত্ত্ব" প্রকৃতপক্ষে ওয়াটারগেট ষড়যন্ত্রে যুক্ত ব্যক্তিরা যে আসলে নিজেরাই আরেক গভীর ষড়যন্ত্রের স্বীকার তা বোঝানো হয়।
 
=== '''ফৌজদারি ষড়যন্ত্রের সাথে বৈপরিত্য''' বৈপরিত্===
ফৌজদারি আইন অনুযায়ী, ষড়যন্ত্র হচ্ছে দুই বা ততোধিক ব্যক্তির ভবিষ্যতে কোন অপরাধ সম্পন্ন করার জন্য একজোট হওয়া। আমেরিকান পুলিশ একাডেমির মৌলিক পাঠ্যবই অনু্সারে-" যখন কোন অপরাধ ঘটানোর পেছনে অনেক লোকের প্রয়োজন পরে তখন একটি ষড়যন্ত্রের উদ্ভব হয়। রাষ্ট্রবিজ্ঞান এবং সমাজবিজ্ঞান এর অধ্যাপক জন জর্জ এর ভাষ্যমতে, ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থায় প্রকৃত ষড়যন্ত্রগুলোর অভিযোগ আনতে হলে সুস্পষ্ট এবং মানসই প্রমাণ পেশ করতে হয়, সংখ্যায় প্রমাণের পরিমাণ কম বা বেশি হোক না কেন, এবং এ ষড়যন্ত্রগুলো একটি সুনির্দিষ্ট ঘটনা বা বিষয়কে কেন্দ্র করেই ঘটবে।
 
=== '''প্রাতিষ্ঠানিক গবেষণা থেকে পৃথকীকরণ''' ===
নোয়ামনোম চমস্কিচম্‌স্কি প্রাতিষ্ঠানিক গবেষণা থেকে ষড়যন্ত্র তত্ত্বকে আলদা করেন। প্রাতিষ্ঠানিক বিশ্লেষণ সাধারণত জনসাধারণের ওপর গুরুত্বারোপ করে, জনবিদিত এবং প্রকাশ্য প্রতিষ্ঠানগুলোর দীর্ঘমেয়াদী আচরণ বিশ্লেষণ করে বিদ্যমান প্রাতিষ্ঠানিক তত্ত্ব উপাত্তের ওপর ভিত্তি করে। ষড়যন্ত্র তত্ত্ব বিচ্ছিন্ন কিছু ব্যক্তিবর্গের গোপন চক্রান্ত নিয়ে গবেষণা করে।
 
=== '''মনস্তত্ত্ব''' ===