রেলওয়ে পুলিশ (বাংলাদেশ): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Restored revision 4932650 by Hasan muntaseer (Restorer) ট্যাগ: পূর্বাবস্থায় ফেরত মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা |
আফতাবুজ্জামান (আলোচনা | অবদান) সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১ নং লাইন:
{{তথ্যছক সংগঠন
|image=
|language=[[বাংলা]]
|name=রেলওয়ে পুলিশ
১০ নং লাইন:
|website = [https://www.railwaypolice.gov.bd রেলওয়ে পুলিশ]
}}
রেলওয়ে পুলিশ বাংলাদেশ পুলিশের একটি অন্যতম প্রাচীন বিশেষায়িত ইউনিট। এটি ১৮৮১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। রেলওয়ে পুলিশ তার অধিক্ষেত্রে জেলা পুলিশের মতোই আইন-শৃংখলা রক্ষা, অপরাধ দমন, তদন্ত ও অন্যান্য পুলিশং কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।
== ইতিহাস ==
=== ব্রিটিশ
ভারতবর্ষে সর্বপ্রথম ১৮৫৪ সালে রেলওয়ে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা হয়। বর্তমান বাংলাদেশ অংশে ইস্টার্ণ বেঙ্গল রেলওয়ে কোম্পানি সর্বপ্রথম ১৫ নভেম্বর, ১৮৬২ সালে জগতি, কুষ্টিয়া হতে দর্শনা, চুয়াডাঙ্গার মধ্যে ৫৩.১১ কি:মি: রেলযোগাযোগ স্থাপন করে। অল্পদিনের মধ্যেই রেলওয়ে সবচেয়ে জনপ্রিয়, নির্ভরযোগ্য ও সুলভ গণপরিবহন হিসেবে পরিগণিত হয়। রেলওয়ে যোগাযোগ বিস্তৃতির সাথে সাথে ভারতবর্ষে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডেও ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। একই সাথে রেলপথে চুরি, ডাকাতি ও অন্যান্য অপরাধও বৃদ্ধি পায়। উপরোক্ত বিষয়সমূহ বিবেচনায় ব্রিটিশ রাজ প্রাদেশিক পর্যায়ে ইন্ডিয়ান ইম্পেরিয়াল পুলিশের একটি কন্টিনজেন্টকে রেলপথের নিরাপত্তা ও রেলওয়ের সম্পত্তি রক্ষার্থে নিয়োজিত করে। যেমন বেঙ্গল রেলওয়ের নিরাপত্তায় ১ জানুয়ারী ১৮৬৭ সাল হতে ইন্ডিয়ান ইম্পেরিয়াল পুলিশ হতে রেলওয়ে পুলিশ ফোর্স নিয়োগ করা হয়। সংশ্লিষ্ট রেলওয়ে কোম্পানি তাদের কোম্পানিতে নিয়োগকৃত রেলওয়ে পুলিশ ফোর্সের ব্যবস্থাপনা ও ব্যয়ভার বহন করত। এর কিছুদিন পর ব্রিটিশ ভারত সরকার উপলব্ধি করতে সক্ষম হয় যে, বাণিজ্যিক রেলওয়ে কোম্পানিগুলি রেলপথের নিরাপত্তায় নিয়োজিত রাস্ট্রীয় পুলিশ ফোর্স অপব্যবহার করে শুধুমাত্র নিজেদের রেলওয়ে সম্পত্তি সুরক্ষায় বেশী মনোযোগী হচ্ছে কিন্তু রেলপথের নিরাপত্তা বিধানে ততটা আগ্রহ প্রদর্শন করছেনা। সুতরাং, ব্রিটিশ রাজ রেলওয়ে পুলিশের সামঞ্জস্যপূর্ণ গঠন ও কার্যপরিধি নির্ধারনের জন্য রেলওয়ে পুলিশ কমিটি, ১৮৭২ গঠন করে। রেলওয়ে পুলিশ কমিটি, ১৮৭২ এর সুপারিশের আলোকে ১৮৮১ সালে রেলওয়ে পুলিশ প্রাতিষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে । নবসৃষ্ট এই রেলওয়ে পুলিশের দুইটি অংশ ছিল -
২৫ ⟶ ২৪ নং লাইন:
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে ব্রিটিশ ভারত সরকার রেলপথের নিরাপত্তা আরও জোরদার করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে। এ কারনে রেলওয়ে পুলিশ কমিটি, ১৯২১ গঠিত হয়। ইন্ডিয়ান পুলিশ কমিশন ১৯০২-০৩ এর প্রাদেশিক রেলওয়ে পুলিশ ব্যবস্থার সুপারিশটি রেলওয়ে পুলিশ কমিটি, ১৯২১ কর্তৃক অনুমোদিত হয়। এ অনুমোদনের ভিত্তিতে ভারতবর্ষের প্রতিটি প্রদেশে পূর্বের ’গভর্ণমেন্ট পুলিশ’ রুপান্তরিত হয়ে ’গভর্ণমেন্ট রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি)’ নামে পুলিশের একটি স্বতন্ত্র বিশেষায়িত ইউনিট হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে থাকে। তাছাড়া পূর্বের ’কোম্পানি পুলিশ’ রেলওয়ে পুলিশ হতে পৃথক হয়ে ’ওয়াচ এন্ড ওয়ার্ড’ নামে কার্যক্রম পরিচালনা করে। সমগ্র পূর্ব বাংলা রেলওয়ে পুলিশ একজন পুলিশ সুপারের অধীনে কার্যক্রম পরিচালনা করত যার সদর দপ্তর ছিল চট্রগ্রামে।
=== পাকিস্তান
১৯৪৭ সালে পূর্ব বাংলা (পূর্ব পাকিস্তান) রেলওয়ে পুলিশ বিভক্ত হয়ে চট্রগ্রাম রেলওয়ে জেলা এবং সৈয়দপুর রেলওয়ে জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। পুলিশ সুপার চট্রগ্রাম ও সৈয়দপুর রেলওয়ে জেলা দ্বয় ডিআইজি, সিআইডি এর অধীনে কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। ১৯৬৭ সালে একজন ডিআইজির অধীনে রেলওয়ে রেঞ্জ প্রতিষ্ঠিত হয় যার সদর দপ্তর স্থাপিত হয় পাহাড়তলী, চট্রগ্রামে। ডিআইজি, রেলওয়ে পুলিশ রেঞ্জ একই সঙ্গে রেলওয়ের ’ওয়াচ এন্ড ওয়ার্ড’ এর প্রধান চীফ সুপারিন্টেন্ডেন্ট অব ওয়াচ এন্ড ওয়ার্ড হিসেবেও দায়িত্ব পালন করতেন। ডিআইজি, রেলওয়ে রেঞ্জ চীফ সুপারিনটেন্ডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য বেতন ভাতাদি পূর্ব পাকিস্তান রেলওয়ে হতে গ্রহণ করতেন।
=== ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা
সৈয়দপুর রেলওয়ে জেলাধীন লালমনিরহাটে রেলওয়ে ইন্টেলিজেন্স অফিসার (আরইও) হিসেবে কর্মরত থাকা কালে এসআই আব্দুর রহমান চৌধুরী ৪ এপ্রিল, ১৯৭১ সালে দখলদার পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর সাথে যুদ্ধে শাহাদাত বরণ করেন।
১২৮ ⟶ ১২৭ নং লাইন:
পুলিশ বেঙ্গল রেগুলেশন ১৯৪৩ এর ৫৪৯ হতে ৬১০ নং বিধিতে রেলওয়ে পুলিশের অধিক্ষেত্র ও কার্য পরিচালনার পদ্ধতি বিধৃত হয়েছে। উক্ত বিধি অনুসারে রেলওয়ে পুলিশের অধিক্ষেত্র হচ্ছে রেললাইন, খোলা রেললাইনের উভয় পাশে ১০ ফিট দুরত্ব এবং রেললাইন সংলগ্ন বদ্ধ এলাকা। উক্ত অধিক্ষেত্রে রেলওয়ে পুলিশ জেলা পুলিশের মতোই দায়িত্ব পালন করে। রেলওয়ে পুলিশ সকল আন্তঃনগর ট্রেন, গুরুত্বপূর্ণ মেইল ও কমিউটার ট্রেনে ট্রেন গার্ড (টিজি) হিসেবে পুলিশের একটি দল নিয়োজিত রাখে যারা ট্রেনটির সমগ্র যাত্রাপথে দায়িত্বরত থাকে। তাছাড়া গুরুত্বপূর্ণ প্লাটফর্মেও রেলওয়ে পুলিশ নিরাপত্তা প্রদান করে। গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনসমূহে রেলওয়ে পুলিশের সার্বক্ষণিক তথ্য কেন্দ্র সেবা প্রদান করা হয়। রেলওয়ে পুলিশের প্রধান প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে ঃ
▲ অতিরিক্ত যাত্রী, ট্রেনের ছাদে ও ইঞ্জিনে ভ্রমন নিবৃত্ত করা।
▲ রেলপথ অধিক্ষেত্রে সংঘটিত অপরাধের তদন্ত করা।
▲ অসুস্থ রেল যাত্রীদের রেল কর্তৃপক্ষের সহায়তায় চিকিৎসার জন্য প্রেরণ।
▲ আন্তঃদেশীয় ট্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ।
▲ ভ্রমণকারী ভিআইপি/ভিভিআইপিদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ।
▲ অপরাধ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনে বাংলাদেশ রেলওয়ে, রেলপথ মন্ত্রণালয় এবং রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থার সাথে সমন্বয় করা।
▲ গণ-উপদ্রব সৃষ্টিকারী এবং সংক্রামক ব্যাধি আক্রান্ত ব্যক্তিদের রেল ভ্রমণে বিরত রাখা।
▲ ভিক্ষুক ও অবাঞ্চিতদের উপদ্রব থেকে রেল স্টেশন মুক্ত রাখা।
▲ মানব পাচার প্রতিরোধ করণ এবং মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ।
▲ মাদক দ্রব্য ও চোরাচালানীর পণ্য পরিবহন ও পাচার প্রতিরোধকরণ।
▲ প্রয়োজনে তদন্তে পুলিশের অন্যান্য ইউনিটের সহিত সমন্বয়।
▲ জাতীয় জরুরী সেবা ’৯৯৯’ এর মাধ্যমে চলন্ত ট্রেনে কিংবা রেলওয়ে পুলিশের অধিক্ষেত্রে যেকোন ধরনের পুলিশিং সেবা প্রদান।
== তথ্যসূত্র ==
৫. আহমেদ আমিন চৌধুরী, ২০১১, ’বাংলাদেশ পুলিশ উত্তরাধিকার ও ব্যবস্থাপনা’, খোশরোজ কিতাব মহল, পৃঃ-১৫৪-১৫৫)▼
৬. এম. আফজাল হোসেন, সেপ্টেম্বর ২০১৯, ’গণ খওঋঊ‘, পৃঃ-৭৮-৭৯)
▲৫. আহমেদ আমিন চৌধুরী, ২০১১, ’বাংলাদেশ পুলিশ উত্তরাধিকার ও ব্যবস্থাপনা’, খোশরোজ কিতাব মহল, পৃঃ-১৫৪-১৫৫)
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশ রেলওয়ে]]
|