যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
২৯ নং লাইন:
 
== ইতিহাস ==
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (Jashore University of Science and Technology), সংক্ষেপে যবিপ্রবি বা JUST, বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বৃহত্তর যশোর জেলার প্রথম ও একমাত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। উচ্চ শিক্ষার মাধ্যমে আধুনিক জ্ঞান চর্চা ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০০৭ সালের ২৫ জানুয়ারি, যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের সাজিয়ালী মৌজায় ৩৫ একর জায়গা জুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। বর্তমানে এ ক্যাম্পাসের আয়তন একশ একরে বর্ধিত করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (JUST), ২০০৯ এ কার্যক্রম শুরু করে। ফলিত বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি, পরিবেশ বিজ্ঞান ও স্বাস্থ্যব্যবস্থাপনা এবং জীববিজ্ঞান অনুষদের অধীনে অণুজীব বিজ্ঞান ও মৎস্য বিভাগের মোট ২০৫ জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে জুন ১০, ২০০৯ থেকে প্রথম ব্যাচের প্রথম বর্ষের ক্লাস বিশ্ববিদ্যালয়ের আমবটতলা ক্যাম্পাসে শুরু হয়। <ref name="firstbatch">{{সংবাদ উদ্ধৃতি| শিরোনাম = যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০ জুন ক্লাস শুরু| প্রকাশক = Prothom-alo| তারিখ = 2009-06-01| ইউআরএল = http://www.prothomalo.com/mcat.news.details.php?nid=MTU4MjE2&mid=Ng==| সংগ্রহের-তারিখ = 2009-06-01}}{{অকার্যকর সংযোগ|তারিখ=এপ্রিল ২০১৯ |bot=InternetArchiveBot |ঠিক করার প্রচেষ্টা=yes }}</ref>
 
প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রশাসনিক কার্যক্রম যশোর শহরের ধর্মতলাস্থ ‘বৃষ্টি মহল’ নামের একটি ভাড়া বাড়িতে শুরু হয়। এ বাড়িতেই ২০০৯ সালে ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষে ‘কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল, ‘পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, ‘অণুজীববিজ্ঞান’এবং ‘ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসায়েন্স’বিভাগে মোট ২০০ জন শিক্ষার্থীর ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।
 
ঐ বছরই মূল ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তীতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১০ সালের ২৭ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ক্যাম্পাসের শুভ উদ্বোধন করেন।
 
বর্তমানে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে সাতটি অনুষদের অধীনে মোট ২৬টি বিভাগে স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এমফিল ও পিএইচডি পর্যায়ে ৪ হাজার ১০৫ জন শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রফেসর, অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর, অ্যাসিসট্যান্ট প্রফেসর ও লেকচারার মিলিয়ে মোট ২৭২ জন শিক্ষক, বিভিন্ন গ্রেডের ১১৪ জন কর্মকর্তা এবং দৈনিক মজুরিভিত্তিকসহ প্রায় ৩১৭ জন কর্মচারী কর্মরত আছেন।
 
বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার ঐতিহাসিক পটভূমি রয়েছে। প্রথমে যশোর শহরের উপকণ্ঠ রামনগর নামক একটি স্থানে এটি প্রতিষ্ঠা হওয়ার কথা ছিল। ২০০১ সালে বাংলাদেশের মহান জাতীয় সংসদ কর্তৃক গৃহীত ‘যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০১’নামে ঐ সালের ৪৪ নম্বর আইনে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ১৫ জুলাই তারিখে তাঁর সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেন। এরপরে নানা ঘটনার প্রেক্ষিতে ২০০৪ সালের ৭ আগস্ট অনুষ্ঠিত প্রাক-একনেক সভায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) এবং শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর যৌথভাবে সরেজমিনে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য স্থান নির্ধারণ করবে, এই মর্মে পুনঃসিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় যশোরের জেলা প্রশাসককে আহ্বায়ক এবং ইউজিসির একজন প্রতিনিধিকে সদস্য-সচিব করে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান নির্বাচনের জন্য ছয় সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে। এ কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে বর্ণিত রামনগরের পরিবর্তে বর্তমান স্থানে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সুপারিশ করে। এরই প্রেক্ষিতে ২৫ জানুয়ারি, ২০০৭ খ্রি. তারিখ হতে বিশ্ববিদ্যালয়টির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু।
 
শহুরে যানজট ও কোলাহল মুক্ত পরিবেশে নিবিড় গবেষণার লক্ষ্যে যশোরের মূল শহর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে স্বাধীনতা সড়কে (যশোর-চৌগাছা সড়ক নামেও পরিচিত) বিশ্ববিদ্যালয়টির অবস্থান। ক্যাম্পাসের মনোরম পরিবেশ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের চারপাশের অনুপম গ্রামীণ দৃশ্য সবাইকে মুগ্ধ করে। তবে এখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রয়েছে। আশা করা যায়, এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন শেষে গবেষণা ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এ বিশ্ববিদ্যালয়টি দেশের সীমানা পেরিয়ে বিশ্বের বুকে এক অনন্য উচ্চতায় প্রতিষ্ঠিত হবে।
 
==অবস্থান==