সাধু ভাষা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ভুলিয়া
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
সংশোধন
১ নং লাইন:
{{শিরোটীকা| এই নিবন্ধ সাধু-চলিত শব্দের পার্থক্যবিষয়ক কোনো শব্দকোষ নয়। প্রসঙ্গত শব্দভেদ আলোচিত হয়েছে।}}
সাধু ভাষা হলো [[বাংলা]] লেখ্য গদ্যের অপেক্ষাকৃত প্রাচীন রূপ। এর নবীন ও বর্তমানে বহুল প্রচলিত রূপটি হলো [[চলিত]]। সাধু ভাষা অনেকটা [[ধ্রুপদী]] বৈশিষ্ট্যের এবং চলিত ভাষা অপেক্ষা স্বল্প প্রাঞ্জল। "সাধু" শব্দের এক অর্থ শিষ্ট, মার্জিত বা ভদ্ররীতি সঙ্গত। [[রামমোহন রায়|রাজা রামমোহন রায়]] তাঁর "বেদান্ত গ্রন্থ" রচনাটিতে শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস|শেষাংশ=আলম|প্রথমাংশ=মাহবুবুল|বছর=|প্রকাশক=|অবস্থান=ঢাকা|পাতাসমূহ=৩৯১|আইএসবিএন=}}</ref> সাধু ভাষার সঙ্গে প্রমিত বা চলিত ভাষার মিশ্রণকে দূষণীয় গণ্য করা হয়। লেখার সময় যেকোনো একটি রীতিকে গ্রহণ করা বাঞ্ছনীয়। নচেৎ একে "গুরুচণ্ডালী" দোষে দুষ্ট আখ্যা দেওয়া হয়। তবে কবিতার ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম দেখা যায়।
{{Infobox language
| name = সাধু ভাষা
১৩ ⟶ ১২ নং লাইন:
| isoexception = historical
}}
'''সাধু ভাষা''' হলো [[বাংলা]] লেখ্য গদ্যের অপেক্ষাকৃত প্রাচীন রূপ। এর নবীন ও বর্তমানে বহুল প্রচলিত রূপটি হলো [[চলিত]]। সাধু ভাষা অনেকটা [[ধ্রুপদী]] বৈশিষ্ট্যের এবং চলিত ভাষা অপেক্ষা স্বল্প প্রাঞ্জল। "সাধু" শব্দের এক অর্থ শিষ্ট, মার্জিত বা ভদ্ররীতি সঙ্গত। [[রামমোহন রায়|রাজা রামমোহন রায়]] তাঁর "বেদান্ত গ্রন্থ" রচনাটিতে শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস|শেষাংশ=আলম|প্রথমাংশ=মাহবুবুল|বছর=|প্রকাশক=|অবস্থান=ঢাকা|পাতাসমূহ=৩৯১|আইএসবিএন=}}</ref> সাধু ভাষার সঙ্গে প্রমিত বা চলিত ভাষার মিশ্রণকে দূষণীয় গণ্য করা হয়। লেখার সময় যেকোনো একটি রীতিকে গ্রহণ করা বাঞ্ছনীয়। নচেৎ একে "গুরুচণ্ডালী" দোষে দুষ্ট আখ্যা দেওয়া হয়। তবে কবিতার ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম দেখা যায়।
 
[[সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়|ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের]] মতে, সাধারণ গদ্য-সাহিত্যে ব্যবহৃত বাঙ্গালা ভাষাকে সাধু ভাষা বলে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=ভাষা-শিক্ষা|শেষাংশ=মামুদ|প্রথমাংশ=ড. হায়াৎ|বছর=|প্রকাশক=|অবস্থান=|পাতাসমূহ=১৬|আইএসবিএন=}}</ref> এছাড়াও তিনি এ ভাষাকে সমগ্র বঙ্গদেশের সম্পত্তি বলে আখ্যায়িত করেছেন। [[মুহম্মদ এনামুল হক|মুহম্মদ এনামুল হকের]] মতে,
{{cquote|বাংলা ভাষার সংস্কৃত শব্দ-সম্পন্ন ক্রিয়া ও সর্বনাম পদের পূর্ণরূপ ও ব্যকরণসিদ্ধ উপাদান ব্যবহার করিয়া ইংরেজি গদ্য-সাহিত্যের পদবিন্যাসের প্রণালি অনুসরণে পরিকল্পিত যে সর্বজনীন গদ্যরীতি বাংলা সাহিত্যে প্রবর্তিত হয়, তাহাকে বাংলা সাধু ভাষা বলে ।|}}