হুররাম সুলতান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Bilkis227 (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: পুনর্বহালকৃত মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
103.67.159.152-এর করা 4544738 নং সংস্করণে প্রত্যাবর্তন করা হয়েছে। (টুইং)
ট্যাগ: পূর্বাবস্থায় ফেরত
৮ নং লাইন:
| reign = ১৯ মার্চ ১৫৩৪ – ১৫ এপ্রিল ১৫৫৮
| spouse = [[প্রথম সুলাইমান]]
| issue = [[শাহজাদা মেহমেদ]]<br/>[[মিহরিমাহ সুলতান]]<br/>[[শাহজাদা আবদুল্লাহ]]<br/>[[দ্বিতীয় সেলিম|সুলতান সেলিমদ্বিতীয় সেলিম]]<br/>[[শাহজাদা বায়েজিদ]]<br/>[[শাহজাদা চিহাঙ্গির|শাহজাদা জাহাঙ্গীর]]
| father = হাভ্রাইলো লিসভস্কি<ref>{{বই উদ্ধৃতি|লেখক=Dr Galina I Yermolenko|শিরোনাম=Roxolana in European Literature, History and Culturea|ইউআরএল=http://books.google.com.pk/books?id=u-ehAgAAQBAJ|প্রকাশক=Ashgate Publishing, Ltd.|বছর=2013|পাতাসমূহ=275|আইএসবিএন=978-1-409-47611-5}}</ref><ref>[http://fabpedigree.com/s098/f074280.htm Ukrainian Orthodox priest, Havrylo Lisowsky, father of Roxelana]</ref>
| mother = লেকজান্দ্রা লিসভস্কি
২০ নং লাইন:
| successor = [[নুরবানু সুলতান]]}}
 
'''হুররাম সুলতান(অটোম্যান সুলতানা)''' ({{lang-ota|'''Hürrem Sultan'''}},{{IPA-tr|hyɾˈɾem suɫˈtaːn}}; {{lang-ota|خُرَّم سلطان}}; fully: ''Devletlu İsmetlu Hürrem Haseki Sultan Aliyyetü'ş-Şân Hazretleri''; {{circa}} ১৫০২ – ১৫ এপ্রিল ১৫৫৮, '''রোক্সেলানা''' হিসেবেও পরিচিত {{refn|group=note|জন্মসূত্রের নাম অজ্ঞাত, পরবর্তী ঐতিহ্যবাহী ইতিহাস অনুযায়ী ''আনাস্তাসিয়া'', অথবা ''আলেকজান্দ্রা লিসোভস্কা''<ref name="Peirce">Leslie P. Peirce, [http://books.google.de/books?id=L6-VRgVzRcUC&pg=PA58 ''The imperial harem: women and sovereignty in the Ottoman Empire''], Oxford University Press US, 1993, {{আইএসবিএন|0-19-508677-5}}, pp. 58-59.</ref>}}) ছিলেন উসমানীয় সম্রাট [[প্রথম সুলাইমান|প্রথম সুলাইমানের]] প্রিয়তম কানিজ (উপপত্নী) ও পরবর্তীকালে তার বৈধ স্ত্রী। তিনি সম্রাটের সন্তান [[শাহজাদা মেহমেদ]], [[মিহরিমাহ সুলতান]], [[শাহজাদা আবদুল্লাহ]], [[দ্বিতীয় সেলিম|সুলতান দ্বিতীয় সেলিম]], [[শাহজাদা বায়েজিদ]] এবং [[শাহজাদা চিহাঙ্গির|শাহজাদা জাহাঙ্গীরের]] মাতা।<ref>[https://web.archive.org/web/20060615093437/http://www.4dw.net/royalark/Turkey/turkey4.htm The Imperial House of Osman] GENEALOGY</ref> তিনি ছিলেন উসমানীয় ইতিহাসের সবচেয়ে প্রভাবশালী ও ক্ষমতাধর নারীদের মধ্যে একজন এবং ''[[নারীদের সালতানাত]]'' নামে পরিচিত শাসনকালের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব এবং বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব। হুররেম সুলতানের হাত ধরেই উসমানীয় সাম্রাজ্যে সর্বপ্রথম নারীদের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তার স্বামী প্রথম সুলায়মানের শাসনকালে তিনি সুলতানের প্রধান স্ত্রী বা "[[হাসেকি সুলতান]]" ছিলেন। তিনি তার স্বামীর মাধ্যমে ক্ষমতা অর্জন করে উসমানীয় সাম্রাজ্যের রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করেছিলেন এবং সাম্রাজ্যের রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিলেন।<ref name="Ayse">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=Ayşe Özakbaş, Hürrem Sultan, Tarih Dergisi, Sayı 36, 2000 |ইউআরএল=http://www.iudergi.com/tr/index.php/tarih/article/download/3733/3385 |সংগ্রহের-তারিখ=২ ডিসেম্বর ২০১৫ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20120113000232/http://www.iudergi.com/tr/index.php/tarih/article/download/3733/3385 |আর্কাইভের-তারিখ=১৩ জানুয়ারি ২০১২ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref>
কিছু কুলাঙ্গার তাকে ডাইনি অপবাদে সাবস্ত্য করে যদিও এর কোনো প্রমাণ নেই।প্রাচীন কালে কেউ সবার থেকে আলাদা কিছু করতে পারলেই তাকে ডাইনী বলা হতো হুররাম সুলতান যে ডাইনী তার কোনো প্রমাণ এখনও অবদি পাওয়া যায়নি
 
==নাম==
৩৫ ⟶ ৩৪ নং লাইন:
 
[[File:Letter of Roxelane to Sigismond Auguste complementing him for his accession to the throne 1549.jpg|thumb|left|222px| ১৫৪৯ সালে [[সিগিস্মন্ড দ্বিতীয় অগাস্টাস]]কে পোল্যান্ডের সিংহাসনে আরোহণ করায় অভিনন্দন জানিয়ে লেখা হুররেম সুলতানের পত্র।]]
ইস্তাম্বুলের হেরেমে হুররেম সুলতান সুলায়মানের প্রথম খাসবাদীর(উপপত্নী) স্ত্রী, [[মাহিদেভরান সুলতান|মাহিদেভরান সুলতানের]] একজন শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠেন। ১৫২১ সালে হুররাম তার প্রথম পুত্র মেহমেদের জন্ম দেন এবং এরপর আরও চার পুত্র, যা সুলতানের একমাত্র পুত্রের মাতা হিসেবে অর্জিত মাহিদেভরানের মর্যাদাকে ক্ষুণ্ণ করে দেয়।<ref name="encycloapedia">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=Encyclopedia of the Ottoman Empire |ইউআরএল=http://www.practicalturkish.com/encyclopedia-h.html |সংগ্রহের-তারিখ=২ ডিসেম্বর ২০১৫ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20080601083526/http://www.practicalturkish.com/encyclopedia-h.html |আর্কাইভের-তারিখ=১ জুন ২০০৮ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref> সুলায়মানের মাতা, [[আয়শে হাফসা সুলতান]], এই দুই মহিলার শত্রুতাকে একপাক্ষিকভাবে গোপন রাখতেন,এবং অন্যায় ভাবে মাহিদেভরানের পক্ষ নিতেন <ref>Selçuk Aksin Somel: ''Historical Dictionary of the Ottoman Empire'', Oxford, 2003, {{আইএসবিএন|0-8108-4332-3}}, p. 123</ref> কিন্তু ১৫৩৪ সালে তার মৃত্যুর পর, একটি তুমুল লড়াই সঙ্ঘটিত হয়, যেখানে মাহিদেভরান হুররেমকে মারধর করেন। এ ঘটনায় সুলাইমান ক্ষুব্ধ হয়ে পরবর্তীতে মাহিদেভ্রান সুলতানকে পুত্র [[শাহজাদা মুস্তফা]] সহ প্রাদেশিক রাজধানী [[মানিসা]]য় পাঠিয়ে দেন। কিন্তু নেচদেত সাকাওগ্লু নামক একজন তুর্কী ইতিহাসবিদের মতে, এসব অভিযোগ মোটেও সত্যি নয়। [[শাহজাদা মুস্তাফা]]র মানিসা প্রদেশের গভর্নর বা সানজাক বে হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার ফলে মাহীদেভ্রান সুলতান ইস্তাম্বুল ত্যাগ করেন।<ref>{{বই উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=9mItAQAAIAAJ|শিরোনাম=Famous Ottoman women |শেষাংশ=Sakaoğlu |প্রথমাংশ=Necdet |তারিখ=2007|প্রকাশক=Avea|পাতা=89|ভাষা=en}}</ref>
 
হুররেম এবং মাহিদেভরান মিলে সুলাইমানের ছয় পুত্রসন্তানের জন্ম দেন, যাদের মধ্যে ৪ জন ১৫৫০ সালের মধ্যে জীবিত ছিল: মুস্তফা, সেলিম, [[Şehzade Bayezid|বায়েজিদ]], ও [[Şehzade Cihangir|জাহাঙ্গীর]]। এদের মাঝে, মাহীদেভ্রানের পুত্র মুস্তাফা বয়োজ্যেষ্ঠ উত্তরাধিকারী হিসেবে হুররেমের সন্তানদের অগ্রবর্তী ছিলেন। হুররেম মনে যে নিয়মানুসারে মুস্তাফাই সুলতান হবে, এবং প্রথা অনুযায়ী মুস্তাফা হুররেমের নিজ সন্তানদের শ্বাসরোধ করে হত্যা করতে পারে, যদিও শাহজাদা মুস্তাফা তার ভাই-বোনদের যথেষ্ট পরিমাণে ভালোবাসতেন। তথাপি মুস্তফাও সকল ভাইয়ের মধ্যে সবচেয়ে বিচক্ষণ বলে অনেকেই তাকে প্রাধান্য দিত এবং [[পারগালি ইব্রাহীম পাশা]]ও তাকে সমর্থন করতেন, যিনি ১৫২৩ সালে সুলতানের প্রধান উজির হন। অনেক তথ্যসূত্রে {{which|date=December 2014}} ইঙ্গিত করা হয়েছে যে, ইব্রাহিম পাশা হুররেম সুলতানের চক্রান্ত ও প্রাসাদে তার উঠতি প্রভাবের একজন ভুক্তভোগী ছিলেন, বিশেষ করে অতীতে শাহজাদা মুস্তফাকে সমর্থন করার কারণে। প্রথম আহমেদের শাসনামলের আগপর্যন্ত সাম্রাজ্যে সুলতানের মৃত্যু হলে, উত্তরসূরি নির্বচনের কর্মকাণ্ডে বেসামরিক অস্থিরতা ও বিদ্রোহ প্রতিহত করতে প্রতিদ্বন্দ্বী রাজপুত্রদের গোপনে বা প্রকাশ্যে হত্যা করা হতো। নিজ পুত্রদের প্রাণদণ্ডকে এড়াতে, হুররেম মুস্তাফার রাজ্যাভিষেকের সমর্থকদের নির্মূল করতে নিজ প্রভাবকে কাজে লাগাতে শুরু করলো।<ref name="Mansel">{{বই উদ্ধৃতি |শেষাংশ= Mansel |প্রথমাংশ= Phillip |শিরোনাম= Constantinople : City of the World's Desire, 1453–1924|ইউআরএল= https://archive.org/details/constantinopleci0000mans |বছর= 1998|প্রকাশক= St. Martin's Griffin |অবস্থান= New York |আইএসবিএন= 978-0-312-18708-8 |পাতাসমূহ= [https://archive.org/details/constantinopleci0000mans/page/84 84]}}</ref>
বহু বছর পর, সুলায়মানের দীর্ঘ শাসনামলের শেষের দিকে, তার পুত্রদের শত্রুতা আরও স্পষ্ট ও প্রকট আকার ধারণ করে। অধিকন্তু, রুস্তম পাশা ও হুররেম সুলতান উভয়ই সুলায়মানকে মুস্তফার বিরুদ্ধে উসকিয়ে দেন এবং মুস্তফাকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে অভিযুক্ত করা হয়। রুস্তম পাশা ও হুররাম সুলতান উভয়ই সুলেমানকে মুস্তাফার বিরুদ্ধে কুমন্ত্রণা দিয়ে উসকিয়ে দিতে থাকেন এবং মুস্তফাকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে বার বার অভিযুক্ত করতে থাকেন। এতে করে দিন দিন মুস্তাফার উপর সুলেমানের ক্ষোভ সৃষ্টি হতে থাকে। (যদিও এইসব বিষয় নিয়ে অনেক মতবাদ আছে) ঐতিহাসিক সূত্র দ্বারা জানা যায় ১৫৫৩ সালে সফভীয় ইরানের বিরুদ্ধে অভিযানকালে রুস্তম পাশা সুলেমানকে অবহিত করেন মুস্তাফা বিদ্রোহ করেছেন এবং সুলেমানকে হত্যার উদ্দেশ্যে বিশাল সৈনাবাহিনী নিয়ে এগিয়ে আসছেন। বিপরীতে মুস্তাফাকে বলা হয় ইরানের বিরুদ্ধে অভিযানের সময় সুলতান সুলেমান বিপদে পরেছেন এবং শাহজাদা মুস্তাফার সহায়তা চেয়েছেন। যার পরিণতিতে মুস্তাফা তার সৈন্যবাহিনী নিয়ে সুলতানকে সাহায্য করার জন্য রওনা হন।
 
সুলতানের তাবুর কাছে সৈন্যসমেত পৌঁছানর পর তাকে জানানো হয় ভেতরে সুলতান তার জন্য অপেক্ষা করছেন। মুস্তাফাকে নিরস্ত্র করে তাবুর ভেতরে প্রবেশ করানো হয়।&nbsp;
 
&nbsp;শাহজাদা মুস্তাফা সুলতান সুলায়মানের তাবুতে প্রবেশ করলে সুলেমানের নির্দেশে আগে থেকে ওত পেতে থাকা গুপ্ত ঘাতকেরা নিরস্ত্র মুস্তাফাকে আক্রমণ করে এবং শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।&nbsp; অনেক ইতিহাসবিদ এই মতামত মানতে চান না|আসলেনা। মুস্তাফাকেকিন্তু কেনোএই মারাসন্দেহকে হয়েছিলোনিতান্তই তাঅমূলক এখনোবলে রহস্যউড়িয়ে দেয়া যায় না। হয়ে আছে
মুস্তাফার মৃত্যুর পর তার আস্তিনের ভেতর থেকে সুলতান সুলেমান তাকে উদ্দেশ্য করে লেখা মুস্তাফার চিঠিটি পান এবং নিজের ভুল বুঝতে পারেন।
 
 
জাহাঙ্গীর, হুররেমের কনিষ্ঠ সন্তান, তার প্রিয় এবং শ্রদ্ধাভাজন বড়ভাইয়ের মৃত্যুর খবর শুনে অত্যন্ত বেদনাকাতর হয়ে পড়েন। তিনি তার প্রিয় বড় ভাইয়ের মৃত্যু মেনে নিতে পারেননি। মুস্তাফার মৃত্যুতে তিনি তার বাবাকে দায়ী করেন এবং শারীরিক ও মানসিক ভাবে অত্যন্ত অসুস্থ হয়ে কয়েক মাস পরেই মারা যান।
 
বস্তুত, সুলেমান ন্যায়বিচারক শাসক হলেও তার নিষ্ঠুর এবং ভুল সিদ্ধান্তর বলী হতে হয়েছিলো তার আপন সন্তান মুস্তাফাকে। এটি ছিল সুলেমানের উজ্জ্বল চরিত্রের অন্ধকার দিক।
 
এছাড়াও হুররামের প্রতি তার অত্যধিক দুর্বলতার কারণে তিনি মনে মনে চাইতেন হুররামের গর্ভের কোনো সন্তান সিংহাসনে বসুক।
 
<ref name="leslie">Leslie, 55.</ref> মুস্তফার মৃত্যুর পর, মাহিদেভরান প্রাসাদে তার অবস্থান হারান (আসন্ন উত্তরাধিকারীর মা হিসেবে) এবং [[বুরসা]]য় গিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে থাকেন।<ref name="encycloapedia" /> শেষের দিকে তার সৎপুত্র দ্বিতীয় সেলিম সুলতান হওয়ার পর (১৫৬৬) তাকে নিয়মিত ভাতা দেয়ার ব্যবস্থা করায় তাকে আর দারিদ্রে ভুগতে হয় নি।<ref name="leslie" /> ১৫৫৮ সালে হুররেমের মৃত্যুর পরেই কেবলমাত্র তার পুনর্বাসন সম্ভবপর হয়।<ref name="leslie" /> জাহাঙ্গীর, হুররেমের কনিষ্ঠ সন্তান, তার সৎ-ভাইয়ের মৃত্যুর খবর শুনে বেদনাকাতর হয়ে কয়েক মাস পরেই মারা যান।<ref name="Mansel89">Mansel, 89.</ref>
৫৫ ⟶ ৫৬ নং লাইন:
সুলায়মান হুররেম সুলতানকে অটোম্যান সম্রাজ্যের সম্রাজ্ঞী বানিয়েছিলেন আর তার সমান মর্যাদা দিয়েছিলেন। অটোম্যানের ইতিহাসে অন্য কারো সুলতানের স্ত্রীকে এই মর্যাদা দেয়া হয় নি। এমনকি সুলতান সুলেমান দরবারে সভায় হুররেমকে তার পাশে বসাতেন এবং সভায় যেকোন বিষয়ে হুররামের পরামর্শ নিতেন। এমনকি কোনো কোনো দাপ্তরিক কাগজে সুলতানের পাশাপাশি হুররেম সুলতানেরও স্বাক্ষর আর সিলমোহর নিতেন।
 
সুলায়মান বাকি জীবনে রাজসভাতেও হুররেমকে তার সাথে থাকতে দেন, যার ফলে আরেকটি প্রথা ভঙ্গ হয়, আর তা হল, যখন সাম্রাজ্যের উত্তরাধিকারীগণ উপযুক্ত বয়সে পৌঁছুবে, তাদেরকে তাদের রাজ উপপত্নীসহ (উত্তরাধিকারীদেরকে তাদের মাতাসহ) নিকটস্থ প্রদেশে শাসনের জন্য পাঠিয়ে দেয়া হবে, উক্ত উপপত্নীদের সন্তান ক্ষমতায় বসার আগ পর্যন্ত তারা ফিরে আসতে পারবে না।<ref>Imber, Colin (2002). The Ottoman Empire, 1300–1650 : The Structure of Power. New York: Palgrave Macmillan. {{আইএসবিএন|978-0-333-61386-3}}. p, 90.</ref> সুলতানের রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবেও হুররেম ভূমিকা পালন করেছেন, এবং প্রতীয়মান হয় যে তিনি বৈদেশিক নীতি ও আন্তর্জাতিক রাজনীতিতেও প্রভাব রেখেছিলেন।<ref name="Ayse">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.iudergi.com/tr/index.php/tarih/article/download/3733/3385|শিরোনাম=Ayşe Özakbaş, Hürrem Sultan, Tarih Dergisi, Sayı 36, 2000|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20120113000232/http://www.iudergi.com/tr/index.php/tarih/article/download/3733/3385|আর্কাইভের-তারিখ=১৩ জানুয়ারি ২০১২|সংগ্রহের-তারিখ=২ ডিসেম্বর ২০১৫|অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ}}</ref> রাজা সিগিসমন্ডাস দ্বিতীয় অগাস্টাসকে প্রেরিত তার দুটি চিঠি এখনো টিকে আছে, এবং স্বভাবতই তার জীবদ্দশায় পোলিশ- অটোমান মৈত্রীচুক্তির মাধ্যমে পোল্যান্ড রাজ্যের সঙ্গে অটোম্যান সাম্রাজ্যের শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক বিরাজমান ছিল।
 
[[File:Roxelana Rohatyn Jul 2008151.JPG|thumb|222px|ইউক্রেনের রোহাটাইনে অবস্থিত রোক্সেলানার স্মৃতিস্তম্ভ।]]