হুররাম সুলতান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই ট্যাগ: পুনর্বহালকৃত মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
NahidSultan (আলোচনা | অবদান) 103.67.159.152-এর করা 4544738 নং সংস্করণে প্রত্যাবর্তন করা হয়েছে। (টুইং) ট্যাগ: পূর্বাবস্থায় ফেরত |
||
৮ নং লাইন:
| reign = ১৯ মার্চ ১৫৩৪ – ১৫ এপ্রিল ১৫৫৮
| spouse = [[প্রথম সুলাইমান]]
| issue = [[শাহজাদা মেহমেদ]]<br/>[[মিহরিমাহ সুলতান]]<br/>[[শাহজাদা আবদুল্লাহ]]<br/>[[দ্বিতীয় সেলিম|সুলতান
| father = হাভ্রাইলো লিসভস্কি<ref>{{বই উদ্ধৃতি|লেখক=Dr Galina I Yermolenko|শিরোনাম=Roxolana in European Literature, History and Culturea|ইউআরএল=http://books.google.com.pk/books?id=u-ehAgAAQBAJ|প্রকাশক=Ashgate Publishing, Ltd.|বছর=2013|পাতাসমূহ=275|আইএসবিএন=978-1-409-47611-5}}</ref><ref>[http://fabpedigree.com/s098/f074280.htm Ukrainian Orthodox priest, Havrylo Lisowsky, father of Roxelana]</ref>
| mother = লেকজান্দ্রা লিসভস্কি
২০ নং লাইন:
| successor = [[নুরবানু সুলতান]]}}
'''হুররাম সুলতান
==নাম==
৩৫ ⟶ ৩৪ নং লাইন:
[[File:Letter of Roxelane to Sigismond Auguste complementing him for his accession to the throne 1549.jpg|thumb|left|222px| ১৫৪৯ সালে [[সিগিস্মন্ড দ্বিতীয় অগাস্টাস]]কে পোল্যান্ডের সিংহাসনে আরোহণ করায় অভিনন্দন জানিয়ে লেখা হুররেম সুলতানের পত্র।]]
ইস্তাম্বুলের হেরেমে হুররেম সুলতান সুলায়মানের প্রথম
হুররেম এবং মাহিদেভরান মিলে সুলাইমানের ছয় পুত্রসন্তানের জন্ম দেন, যাদের মধ্যে ৪ জন ১৫৫০ সালের মধ্যে জীবিত ছিল: মুস্তফা, সেলিম, [[Şehzade Bayezid|বায়েজিদ]], ও [[Şehzade Cihangir|জাহাঙ্গীর]]। এদের মাঝে, মাহীদেভ্রানের পুত্র মুস্তাফা বয়োজ্যেষ্ঠ উত্তরাধিকারী হিসেবে হুররেমের সন্তানদের অগ্রবর্তী ছিলেন। হুররেম মনে যে নিয়মানুসারে মুস্তাফাই সুলতান হবে, এবং প্রথা অনুযায়ী মুস্তাফা হুররেমের নিজ সন্তানদের শ্বাসরোধ করে হত্যা করতে পারে, যদিও শাহজাদা মুস্তাফা তার ভাই-বোনদের যথেষ্ট পরিমাণে ভালোবাসতেন। তথাপি মুস্তফাও সকল ভাইয়ের মধ্যে সবচেয়ে বিচক্ষণ বলে অনেকেই তাকে প্রাধান্য দিত এবং [[পারগালি ইব্রাহীম পাশা]]ও তাকে সমর্থন করতেন, যিনি ১৫২৩ সালে সুলতানের প্রধান উজির হন। অনেক তথ্যসূত্রে {{which|date=December 2014}} ইঙ্গিত করা হয়েছে যে, ইব্রাহিম পাশা হুররেম সুলতানের চক্রান্ত ও প্রাসাদে তার উঠতি প্রভাবের একজন ভুক্তভোগী ছিলেন, বিশেষ করে অতীতে শাহজাদা মুস্তফাকে সমর্থন করার কারণে। প্রথম আহমেদের শাসনামলের আগপর্যন্ত সাম্রাজ্যে সুলতানের মৃত্যু হলে, উত্তরসূরি নির্বচনের কর্মকাণ্ডে বেসামরিক অস্থিরতা ও বিদ্রোহ প্রতিহত করতে প্রতিদ্বন্দ্বী রাজপুত্রদের গোপনে বা প্রকাশ্যে হত্যা করা হতো। নিজ পুত্রদের প্রাণদণ্ডকে এড়াতে, হুররেম মুস্তাফার রাজ্যাভিষেকের সমর্থকদের নির্মূল করতে নিজ প্রভাবকে কাজে লাগাতে শুরু করলো।<ref name="Mansel">{{বই উদ্ধৃতি |শেষাংশ= Mansel |প্রথমাংশ= Phillip |শিরোনাম= Constantinople : City of the World's Desire, 1453–1924
বহু বছর পর, সুলায়মানের দীর্ঘ শাসনামলের শেষের দিকে, তার পুত্রদের শত্রুতা আরও স্পষ্ট ও প্রকট আকার ধারণ করে। অধিকন্তু, রুস্তম পাশা ও হুররেম সুলতান উভয়ই সুলায়মানকে মুস্তফার বিরুদ্ধে উসকিয়ে দেন এবং মুস্তফাকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে অভিযুক্ত করা হয়। রুস্তম পাশা ও হুররাম সুলতান উভয়ই সুলেমানকে মুস্তাফার বিরুদ্ধে কুমন্ত্রণা দিয়ে উসকিয়ে দিতে থাকেন এবং মুস্তফাকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে বার বার অভিযুক্ত করতে থাকেন। এতে করে দিন দিন মুস্তাফার উপর সুলেমানের ক্ষোভ সৃষ্টি হতে থাকে।
সুলতানের তাবুর কাছে সৈন্যসমেত পৌঁছানর পর তাকে জানানো হয় ভেতরে সুলতান তার জন্য অপেক্ষা করছেন। মুস্তাফাকে নিরস্ত্র করে তাবুর ভেতরে প্রবেশ করানো হয়।
শাহজাদা মুস্তাফা সুলতান সুলায়মানের তাবুতে প্রবেশ করলে সুলেমানের নির্দেশে আগে থেকে ওত পেতে থাকা গুপ্ত ঘাতকেরা নিরস্ত্র মুস্তাফাকে আক্রমণ করে এবং শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। অনেক ইতিহাসবিদ এই মতামত মানতে চান
মুস্তাফার মৃত্যুর পর তার আস্তিনের ভেতর থেকে সুলতান সুলেমান তাকে উদ্দেশ্য করে লেখা মুস্তাফার চিঠিটি পান এবং নিজের ভুল বুঝতে পারেন।
জাহাঙ্গীর, হুররেমের কনিষ্ঠ সন্তান, তার প্রিয় এবং শ্রদ্ধাভাজন বড়ভাইয়ের মৃত্যুর খবর শুনে অত্যন্ত বেদনাকাতর হয়ে পড়েন। তিনি তার প্রিয় বড় ভাইয়ের মৃত্যু মেনে নিতে পারেননি। মুস্তাফার মৃত্যুতে তিনি তার বাবাকে দায়ী করেন এবং শারীরিক ও মানসিক ভাবে অত্যন্ত অসুস্থ হয়ে কয়েক মাস পরেই মারা যান।
বস্তুত, সুলেমান ন্যায়বিচারক শাসক হলেও তার নিষ্ঠুর এবং ভুল সিদ্ধান্তর বলী হতে হয়েছিলো তার আপন সন্তান মুস্তাফাকে। এটি ছিল সুলেমানের উজ্জ্বল চরিত্রের অন্ধকার দিক।
এছাড়াও হুররামের প্রতি তার অত্যধিক দুর্বলতার কারণে তিনি মনে মনে চাইতেন হুররামের গর্ভের কোনো সন্তান সিংহাসনে বসুক।
<ref name="leslie">Leslie, 55.</ref> মুস্তফার মৃত্যুর পর, মাহিদেভরান প্রাসাদে তার অবস্থান হারান (আসন্ন উত্তরাধিকারীর মা হিসেবে) এবং [[বুরসা]]য় গিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে থাকেন।<ref name="encycloapedia" /> শেষের দিকে তার সৎপুত্র দ্বিতীয় সেলিম সুলতান হওয়ার পর (১৫৬৬) তাকে নিয়মিত ভাতা দেয়ার ব্যবস্থা করায় তাকে আর দারিদ্রে ভুগতে হয় নি।<ref name="leslie" /> ১৫৫৮ সালে হুররেমের মৃত্যুর পরেই কেবলমাত্র তার পুনর্বাসন সম্ভবপর হয়।<ref name="leslie" /> জাহাঙ্গীর, হুররেমের কনিষ্ঠ সন্তান, তার সৎ-ভাইয়ের মৃত্যুর খবর শুনে বেদনাকাতর হয়ে কয়েক মাস পরেই মারা যান।<ref name="Mansel89">Mansel, 89.</ref>
৫৫ ⟶ ৫৬ নং লাইন:
সুলায়মান হুররেম সুলতানকে অটোম্যান সম্রাজ্যের সম্রাজ্ঞী বানিয়েছিলেন আর তার সমান মর্যাদা দিয়েছিলেন। অটোম্যানের ইতিহাসে অন্য কারো সুলতানের স্ত্রীকে এই মর্যাদা দেয়া হয় নি। এমনকি সুলতান সুলেমান দরবারে সভায় হুররেমকে তার পাশে বসাতেন এবং সভায় যেকোন বিষয়ে হুররামের পরামর্শ নিতেন। এমনকি কোনো কোনো দাপ্তরিক কাগজে সুলতানের পাশাপাশি হুররেম সুলতানেরও স্বাক্ষর আর সিলমোহর নিতেন।
সুলায়মান বাকি জীবনে রাজসভাতেও হুররেমকে তার সাথে থাকতে দেন, যার ফলে আরেকটি প্রথা ভঙ্গ হয়, আর তা হল, যখন সাম্রাজ্যের উত্তরাধিকারীগণ উপযুক্ত বয়সে পৌঁছুবে, তাদেরকে তাদের রাজ উপপত্নীসহ (উত্তরাধিকারীদেরকে তাদের মাতাসহ) নিকটস্থ প্রদেশে শাসনের জন্য পাঠিয়ে দেয়া হবে, উক্ত উপপত্নীদের সন্তান ক্ষমতায় বসার আগ পর্যন্ত তারা ফিরে আসতে পারবে না।<ref>Imber, Colin (2002). The Ottoman Empire, 1300–1650 : The Structure of Power. New York: Palgrave Macmillan. {{আইএসবিএন|978-0-333-61386-3}}. p, 90.</ref> সুলতানের রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবেও হুররেম ভূমিকা পালন করেছেন, এবং প্রতীয়মান হয় যে তিনি বৈদেশিক নীতি ও আন্তর্জাতিক রাজনীতিতেও প্রভাব রেখেছিলেন।<ref name="Ayse"
[[File:Roxelana Rohatyn Jul 2008151.JPG|thumb|222px|ইউক্রেনের রোহাটাইনে অবস্থিত রোক্সেলানার স্মৃতিস্তম্ভ।]]
|