আদিগঙ্গা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Tanay barisha (আলোচনা | অবদান) →শীর্ষ: সংশোধন, পরিষ্কারকরণ |
Tanay barisha (আলোচনা | অবদান) সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
৭ নং লাইন:
ষোড়শ শতাব্দীর আগে গঙ্গার মূল স্রোতটি সরস্বতী নদীর খাতে বইত। ষোড়শ শতাব্দী থেকে এটি হুগলির খাতে বইতে শুরু করে। সরস্বতী নদীর উচ্চ প্রবাহটি এখন শুকিয়ে গেছে। হুগলি আদিগঙ্গাকে ত্যাগ করে এখন সরস্বতীর নিম্ন প্রবাহটি ধরে সমুদ্রে মিশছে।<ref name = "RCMajumdar"/>
[[বিপ্রদাস পিপলাই]] তার ''[[মনসামঙ্গল|মনসাবিজয়]]'' ([[মনসামঙ্গল]]) কাব্যে [[চাঁদ সদাগর|চাঁদ সদাগরের]] যাত্রাপথের বর্ণনায় [[চিৎপুর]], [[বেতড়]], [[কালীঘাট]], চূড়াঘাট, [[বারুইপুর]], [[ছত্রভোগ]], বদ্রিকুণ্ড, হাথিয়াগড়, চৌমুখি, সাতামুখি ও সাগরসঙ্গমের ([[সাগর দ্বীপ]]) নাম উল্লেখ করেছেন। বিপ্রদাস পিপলাইয়ের বর্ণনার সঙ্গে ভ্যান ডেন ব্রুকের ১৬৬০ সালে আঁকা আদিগঙ্গার মানচিত্রটি হুবহু মিলে যায়।<ref>
কোনো কোনো মতে, অতীতে আদিগঙ্গার ধারাটি শুকিয়ে যাওয়ায় কৃত্রিম খালের সাহায্যে সরস্বতীর নিম্ন প্রবাহের সঙ্গে সেটিকে যুক্ত করে রাখা হয়েছিল, যাতে সমুদ্রগামী জাহাজগুলি আদিগঙ্গা ধরে সমুদ্রে উপনীত হতে পারে। [[বাংলার নবাব]] [[আলিবর্দি খান]] এই ব্যাপারে অবহিত ছিলেন বলে জানা যায়।<ref name = "Bandopadhyay">
{{ অষ্টাদশ শতাব্দীতে আদিগঙ্গা আদি কলকাতার অন্যতম বসতি [[গোবিন্দপুর]] গ্রামের দক্ষিণ সীমা নির্দেশ করত। এই জন্য সেই সময় এই নদীর নামকরণ হয় "[[গোবিন্দপুর খাঁড়ি]]"। [[এডওয়ার্ড সারম্যান]] খননকাজ চালিয়ে এটির সংস্কার করেন বলে কিছুকালের জন্য এর নাম হয় "সারম্যানের নালা"। ১৭১৭ সালের দিল্লিতে কোম্পানি দৌত্যের সময় সারম্যান ছিলেন দূতদলের নেতা। ১৭৭৩ সালে কর্নেল [[উইলিয়াম টালি]] নালাটিকে আরও গভীর করে সার্কুলার খালের সঙ্গে যুক্ত করেন। তারপর এর নাম হয় "টালির নালা"।<ref>[[H. E. A. Cotton|Cotton, H.E.A.]], ''Calcutta Old and New'', 1909/1980, pp.35, 226, General Printers and Publishers Pvt. Ltd.</ref> ১৭৭৫ সালে কর্নেল টালি আদিগঙ্গার সঙ্গে [[বিদ্যাধরী নদী|বিদ্যাধরী নদীর]] যোগ স্থাপন করেন।<ref name = "Bandopadhyay"/>
কর্নেল টালির সংস্কারের পর আদিগঙ্গা আবার নৌপরিবহন-যোগ্য হয়ে ওঠে। তবে পরবর্তীকালে মানুষের মধ্যে জলপথ ব্যবহারের প্রবণতা কমে যায়। দ্রুত নগরায়ণের ফলে আদিগঙ্গার গভীরতা কমে যায়। শেষ পর্যন্ত এটি দক্ষিণ-পশ্চিম কলকাতার একটি নিকাশী নালায় পরিণত হয়। নগরায়ণের ফলে কিছু কিছু অংশে আদিগঙ্গা প্রায় শুকিয়ে গিয়েছে।<ref name="
▲কর্নেল টালির সংস্কারের পর আদিগঙ্গা আবার নৌপরিবহন-যোগ্য হয়ে ওঠে। তবে পরবর্তীকালে মানুষের মধ্যে জলপথ ব্যবহারের প্রবণতা কমে যায়। দ্রুত নগরায়ণের ফলে আদিগঙ্গার গভীরতা কমে যায়। শেষ পর্যন্ত এটি দক্ষিণ-পশ্চিম কলকাতার একটি নিকাশী নালায় পরিণত হয়। নগরায়ণের ফলে কিছু কিছু অংশে আদিগঙ্গা প্রায় শুকিয়ে গিয়েছে।<ref name="Port">{{ওয়েব উদ্ধৃতি | ইউআরএল = http://www.geocities.com/geesen/vasun.htm | শিরোনাম = ''Save our heritage river: Adi Ganga'' | সংগ্রহের-তারিখ = 2007-12-10 | শেষাংশ = Ray | প্রথমাংশ = Mohit | কর্ম = Save Adi Ganga | প্রকাশক = geocities.com | আর্কাইভের-ইউআরএল = https://web.archive.org/web/20080220194811/http://www.geocities.com/geesen/vasun.htm | আর্কাইভের-তারিখ = ২০০৮-০২-২০ | অকার্যকর-ইউআরএল = হ্যাঁ }}</ref>
== বর্তমান অবস্থা ==
২২ ⟶ ২১ নং লাইন:
[[File:Adi Ganga Kolkata.jpg|thumb|আদিগঙ্গা]]
[[কলকাতা মেট্রো|কলকাতা মেট্রোর]] [[দমদম মেট্রো স্টেশন|দমদম]] থেকে [[মহানায়ক উত্তমকুমার মেট্রো স্টেশন|মহানায়ক উত্তমকুমার]] (টালিগঞ্জ) স্টেশন পর্যন্ত উক্ত দুটি স্টেশন ছাড়া করিডোরটি পুরোপুরিই ভূগর্ভস্থ। [[গড়িয়া]] পর্যন্ত দক্ষিণে যে ৮.৫ কিলোমিটার পথ পরে সম্প্রসারিত করা হয়, সেটি পুরোপুরিই উড়াল পথে হয়। এই উড়ালপথটি আদিগঙ্গার পাশে ও আদিগঙ্গার উপরে অবস্থিত। এই সম্প্রসারিত অংশের ছয়টি স্টেশনের মধ্যে পাঁচটিই উড়ালপথে অবস্থিত। এই লাইনটি আদিগঙ্গার উপর থামের উপর অবস্থিত। সমাজকর্মীদের মতে, আদিগঙ্গার উপর এই নির্মাণকাজ আদিগঙ্গার শুকিয়ে যাওয়াকে ত্বরান্বিত করবে।<ref name = "
▲[[কলকাতা মেট্রো|কলকাতা মেট্রোর]] [[দমদম মেট্রো স্টেশন|দমদম]] থেকে [[মহানায়ক উত্তমকুমার মেট্রো স্টেশন|মহানায়ক উত্তমকুমার]] (টালিগঞ্জ) স্টেশন পর্যন্ত উক্ত দুটি স্টেশন ছাড়া করিডোরটি পুরোপুরিই ভূগর্ভস্থ। [[গড়িয়া]] পর্যন্ত দক্ষিণে যে ৮.৫ কিলোমিটার পথ পরে সম্প্রসারিত করা হয়, সেটি পুরোপুরিই উড়াল পথে হয়। এই উড়ালপথটি আদিগঙ্গার পাশে ও আদিগঙ্গার উপরে অবস্থিত। এই সম্প্রসারিত অংশের ছয়টি স্টেশনের মধ্যে পাঁচটিই উড়ালপথে অবস্থিত। এই লাইনটি আদিগঙ্গার উপর থামের উপর অবস্থিত। সমাজকর্মীদের মতে, আদিগঙ্গার উপর এই নির্মাণকাজ আদিগঙ্গার শুকিয়ে যাওয়াকে ত্বরান্বিত করবে।<ref name = "Port"/>
কলকাতার নাগরিকেরা একাধিক উপায়ে আদিগঙ্গার পরিবেশ রক্ষায় তৎপর হয়েছেন। আদিগঙ্গার পুনরুজ্জীবনের জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে।<ref name = "
▲কলকাতার নাগরিকেরা একাধিক উপায়ে আদিগঙ্গার পরিবেশ রক্ষায় তৎপর হয়েছেন। আদিগঙ্গার পুনরুজ্জীবনের জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে।<ref name = "Port"/><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি | ইউআরএল = http://www.geocities.com/geesen/Adi_update.htm | শিরোনাম = ''Citizen’s voice for Adi Ganga'' | সংগ্রহের-তারিখ = 2007-12-10 | শেষাংশ = | প্রথমাংশ = | কর্ম = An appeal | প্রকাশক = geocities.com | আর্কাইভের-ইউআরএল = https://web.archive.org/web/20081207114905/http://www.geocities.com/geesen/Adi_update.htm# | আর্কাইভের-তারিখ = ২০০৮-১২-০৭ | অকার্যকর-ইউআরএল = হ্যাঁ }}</ref>
== পাদটীকা ==
|