আইয়ুব খান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
বিশাল ঘ. (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১৬০ নং লাইন:
আইয়ুব দেশের সরকার প্রধানের দায়িত্ব নেওয়ার পর সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়কের পদে জেনারেল [[মুহাম্মদ মুসা খান]]কে নিযুক্ত করেছিলেন। আইয়ুব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো জোরদার করা সহ প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর আধুনিকায়নে মনোযোগ দিয়েছিলেন। আইয়ুব তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের ঘোর বিরোধী ছিলেন। তিনি পেশোয়ারে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় একটি বিমান ঘাঁটি গড়ে তুলেছিলেন যেখানে যুক্তরাষ্ট্র বিমান বাহিনীর বৈমানিকেরা বিমান চালাতো এবং [[পাকিস্তান বিমান বাহিনী]]র আধুনিকায়নে তারা অনেক সাহায্য করেছিলো।<ref>"Story of Pakistan, Part-1"/, Retrieved 25 August 2015</ref> চীনের সঙ্গেও আইয়ুব সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলেন, ১৯৬২ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক চরম বৈরিতার দিকে যায় যে বছরে [[চীন-ভারত যুদ্ধ|ভারত চীনের সঙ্গে রক্তক্ষয়ী এক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিলো]]। ১৯৬৫ সালে আইয়ুব সরকার ভারতের সঙ্গে একটি বড় ধরনের যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার পরিকল্পনা করেছিলো যেটি ঐতিহাসিকভাবে [[ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ ১৯৬৫]] নামে পরিচিতি পেয়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্র এবং পুঁজিবাদী অর্থনীতির একজন গোঁড়া সমর্থক আইয়ুব পাকিস্তানেও যুক্তরাষ্ট্রর মত অর্থনৈতিক ব্যবস্থা চালু করার প্রয়াস চালিয়েছিলেন।
 
১৯৬৫ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আইয়ুবের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে [[ফাতেমা জিন্নাহ]] দাঁড়িয়েছিলেন, যদিও আইয়ুব খান পুনরায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। ১৯৬৭ সালে [[পশ্চিম পাকিস্তান|পশ্চিম]]ে (বর্তমানে শুধু পাকিস্তানে[[পাকিস্তান]]) [[জুলফিকার আলী ভুট্টো]]র নেতৃত্বে এবং [[পূর্ব পাকিস্তান]]ে (বর্তমানে [[বাংলাদেশ]]) [[শেখ মুজিবুর রহমান|শেখ মুজিবুর রহমানের]] নেতৃত্বে আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে অনেক বিক্ষোভ এবং মিছিল হয় এবং ১৯৬৯ সালে পূর্ব পাকিস্তানে এক বড় ধরনের আন্দোলন হয়েছিলো। তার নির্দেশে বহু মানুষকে গ্রেফতারও করা হয়েছিলো। ১৯৭৪ সালে আইয়ুব দীর্ঘ রোগ ভোগের পর মৃত্যুবরণ করেন।
 
ঐতিহাসিকভাবে আইয়ুব খানের শাসনামল অখণ্ড পাকিস্তানের শেষ এবং সবচেয়ে সফল দশক হিসেবে পরিগণিত হয়; তার শাসনামলে পাকিস্তানে নতুন শিল্প কল-কারখানা নির্মাণ, নতুন সড়ক তৈরি, বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণ, বিদেশি যানবাহন ক্রয় সহ অনেক প্রাথমিক এবং উচ্চ বিদ্যালয় গড়ে তোলা হয়েছিলো। পূর্ব পাকিস্তানের আহসানুল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজকে আইয়ুব সরকার '[[ইস্ট পাকিস্তান ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং এ্যান্ড টেকনোলজি'এ নতুন নামকরণ করে যেটি পরে ১৯৭২ সালে 'বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং এ্যান্ড টেকনোলজি' বা সংক্ষেপে [[বুয়েট|বুয়েট]] নামে পরিবর্তিত হয়।<ref name="Story of Pakistan, Part-3">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Martial Law Under Field Marshal Ayub Khan [1958–62]|ইউআরএল=http://www.storyofpakistan.com/articletext.asp?artid=A065|প্রকাশক=Story of Pakistan, Part-3|সংগ্রহের-তারিখ=২৪ মার্চ ২০১৩|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20120207032340/http://storyofpakistan.com/articletext.asp?artid=A065|আর্কাইভের-তারিখ=৭ ফেব্রুয়ারি ২০১২|অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ}}, Retrieved 25 August 2015</ref><ref>[http://www.dawn.com/news/1293604/what-they-never-tell-us-about-ayub-khans-regime Dawn daily, Aug 2015 article and review]</ref>
 
== তথ্যসূত্র ==