পীরগঞ্জ উপজেলা, ঠাকুরগাঁও: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Ashiq Shawon (আলোচনা | অবদান)
সংশোধন, সম্প্রসারণ
Ashiq Shawon (আলোচনা | অবদান)
রচনাশৈলী
৪৫ নং লাইন:
পীরগঞ্জ উপজেলার নামকরণ নিয়ে সুপ্রতিষ্ঠিত কোন ইতিহাস পাওয়া যায় না। তবে অধিকাংশের মতে এই জনপদে সুলতানি আমলে ইসলাম ধর্ম প্রচার এবং ইসলামী ধ্যান-ধারণার গোড়াপত্তন হয়েছিল পীর মাশায়েখ সমাজের সাধক পুরুষ হযরত পীর সিরাজউদ্দিন আউলিয়া সাহেবের হাত ধরে। সমসাময়িক অনেক পীর আউলিয়া পীরগঞ্জে ধর্ম প্রচারের জন্য আসেন। তাদের মধ্যে অন্যতম দুর্লভপুর গ্রামের পীর বাহারানা সৈয়দ, সাটিয়া গ্রামের পীর শাহজাহী, ভেলাতৈড় ভদ্রপাড়া গ্রামের পীর দরবগাজী এবং পীরগঞ্জ সংলগ্ন গোগর গ্রামের বনপীর। পীর-মাশায়েখ ও আউলিয়াগণের পদচারণায় মুখরিত এই জনপদ সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধশালী হতে শুরু করে। পীর আউলিয়াগণের এই অঞ্চল পরিচিতি পেতে থাকে পীরগঞ্জ নামে। তবে নামকরণের এই ভিত্তির বিষয়ে জনশ্রুতি ছাড়া সঠিক ইতিহাস এর সন্ধান পাওয়া যায়না।
 
== মুক্তিযুদ্ধ ==
১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ পীরগঞ্জে পাকিস্তানি পতাকা পোড়ানো হয় এবং পাইলট হাইস্কুল প্রাঙ্গণস্থ শহীদ মিনারের সামনে বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত পতাকা উত্তোলন করা হয়। ১৭ এপ্রিল পাক হানাদার বাহিনী পীরগঞ্জে প্রবেশ করে।
১৯৭১ সালে ৭ই মার্চে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের স্বাধীনতার দিক নিদের্শনামূলক ভাষণের পর ২৩ মার্চ সারা দেশের ন্যায় পীরগঞ্জেও পাকিস্তানি পতাকা পোড়ানো হয় এবং বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত পতাকা উত্তোলন করা হয়। সর্বজন শ্রদ্ধেয় প্রবীণ নেতা ডাঃ আব্দুর রাজ্জাক বর্তমান পাইলট হাইস্কুল প্রাঙ্গণস্থ শহীদ মিনারের সামনে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন। এ সময় 'আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি' গানটি দ্বৈত কণ্ঠে পরিবেশন করেন শিল্পী মজিবর রহমান ও মেহের এলাহী। অতঃপর ২৫ মার্চ কালো রাত্রিতে পাক হানাদার বাহিনী ঝাঁপিয়ে পড়ে নিরস্ত্র বাঙালির উপর। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে মানুষ গড়ে তোলে প্রতিরোধ। এরই ধারাবাহিকতায় পীরগঞ্জের আনসার সদস্য ইসাহাক আলীর নেতৃত্বে কয়েকজন যুবক ছুটে যায় দিনাজপুরের কুঠিবাড়ী ইপিআর ক্যাম্পে। সেখানে প্রতিরোধ গড়ে তোলে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে। সেখানে পাক হানাদারদের গুলিতে নিহত হন পীরগঞ্জের বীরহলি গ্রামের ইসাহাক আলী। যিনি স্বাধীনতা যুদ্ধে পীরগঞ্জের প্রথম শহীদ। এরপর ১৭ই এপ্রিল পীরগঞ্জে প্রবেশ করে পাক হানাদার বাহিনী। জ্বালাও পোড়াও অভিযানের পর তত্কালীন আওয়ামী লীগ সভাপতি ডাঃ সুজাউদ্দীন আহম্মেদ, প্রফেসর গোলাম মোস্তফা, আব্দুল জব্বার, মোজাফর হোসেনসহ বেশ কয়েকজনকে ধরে নিয়ে গিয়ে জামালপুর ফার্মে গুলি ও বেয়নেট খুচিয়ে হত্যা করার পর লাশ ফেলে রেখে যায় পাক হানাদর বাহিনী। তারপর দীর্ঘ ৯ মাসের সংগ্রামে পীরগঞ্জের শহীদ সালাহউদ্দীনসহ দামাল ছেলেরা মুক্তিযোদ্ধা হয়ে যুদ্ধ করে ৩ ডিসেম্বর'৭১ পাক হানাদর বাহিনীর দখল থেকে পীরগঞ্জ মুক্ত করেন।
 
==প্রশাসনিক এলাকা ==