শহিদ (ইসলাম): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
Imo0on-এর করা 4351557 নং সংস্করণে প্রত্যাবর্তন করা হয়েছে। (টুইং)
ট্যাগ: পূর্বাবস্থায় ফেরত
১ নং লাইন:
{{Islam}}
''''শহিদ'''<nowiki/>' ({{lang-ar|شهيد}} ''{{transl|ar|DIN|šahīd}}'', বহুবচনে: {{lang|ar|شُهَدَاء}} ''{{transl|ar|DIN|শুহাদাʾ&nbsp;}}''; স্ত্রীবাচক: ''{{transl|ar|DIN|শাহিদা}}'') শব্দটি হলো পবিত্র কুরআনের তথা আরবি শব্দ। যার অর্থ হলো সাক্ষী। এছাড়াও এর অন্য অর্থ হলো আত্ম-উৎসর্গ করা।
 
'''ইসলামি পরিভাষায়, যারা আল্লাহর রাস্তায় মৃত্যু বরণ করেন তাদেরকে শহীদ বলে।'''
শহিদ শব্দটির আরবি অর্থ সাক্ষী হলেও গ্রিক শব্দ ''martyrs'' ({{lang-gr|μάρτυς}} – "সাক্ষী", [[নতুন টেস্টমেন্ট]] এ "martyr") এর কাছাকাছি। নিউ টেস্টামেন্ট বা বাইবেল এ একই কথা উল্লেখ আছে। শহিদ কুরআনের শব্দগত মূল অর্থ সাক্ষী হলেও হাদিসের ব্যাখ্যা অনুযায়ী বিশ্বাসের জন্য আত্ম-উৎসর্গকে বুঝানো হয়েছে।
 
ইসলামি বিশ্বাসের সাক্ষ্যদানে যে সচেতনভাবে গ্রহণযোগ্য মৃত্যু কামনা করে এবং আত্ম-উৎসর্গ করে তার উপাধি স্বরূপ শহিদ শব্দটি ব্যবহার করা হয়।<ref>https://i বিংশ শতাব্দির ''martyrs'' এর মত 'শহিদ' শব্দটি ধর্মীয় ও অ-onlinemedia.net/6926#_ftn4</ref>ধর্মীয় উভয়েই সধারণভাবে ব্যবহার করছে। অ-ধর্মীয় আদর্শগত কেউ মৃত্যুবরণ করলেও তাকে শহিদ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। তবে মুসলিম বিশ্ব শহিদের কোন নির্দিষ্ট ও স্থায়ী সংজ্ঞা দেননি।
 
[[মুহাম্মাদ|মুহাম্মদ]] (সাঃ) বলেন , যে [[মুসলিম]]
 
(১) তার দ্বীনের জন্য নিহত হ’ল, সে শহীদ''''<ref>https://www.hadithbd.com/hadith/detail/?book=1&section=47</ref>
 
(২) যে তার জীবন রক্ষার্থে নিহত হয়, সে শহীদ
 
(৩) যে ব্যক্তি তার সম্পদ রক্ষার্থে নিহত হয়, সে শহীদ
 
(৪) যে ব্যক্তি তার পরিবার রক্ষার্থে নিহত হয়, সে শহীদ।
 
(৫) যে ব্যক্তি মহামারীতে মারা যায়, সে ব্যক্তি শহীদ,
 
(৬) যে ব্যক্তি পেটের পীড়ায় (কলেরা, ডায়রিয়া) মারা যায়, সে শহীদ,
 
(৭) যে ব্যক্তি পানিতে ডুবে মারা যায়, সে শহীদ’।
 
(৮) যে ব্যক্তি মযলূম অবস্থায় নিহত হয়, সে ব্যক্তি শহীদ’।
 
(৯) যে ব্যক্তি তার ন্যায্য অধিকার রক্ষায় নিহত হয়, সে ব্যক্তি শহীদ’।
 
রাসূল (ছাঃ) অন্যত্র বলেন, আল্লাহ্র রাস্তায় নিহত ব্যক্তি ছাড়াও আরও সাত জন ‘শহীদ’ রয়েছে। তারা হ’ল :
 
(১) মহামারীতে মৃত (মুমিন) ব্যক্তি
 
(২) পানিতে ডুবে মৃত ব্যক্তি
 
(৩) ‘যাতুল জাম্ব’ নামক কঠিন রোগে মৃত ব্যক্তি
 
(৪) কলেরা বা অনুরূপ পেটের পীড়ায় মৃত ব্যক্তি
 
(৫) আগুনে পুড়ে মৃত ব্যক্তি
 
(৬) ভূমিধ্বসে মৃত ব্যক্তি ও
 
(৭) সন্তান প্রসবকালে মৃত মহিলা’।
 
উল্লেখ্য যে, ঐ সকল মুমিন ব্যক্তি আখেরাতে শহীদের নেকী পাবেন। যদিও দুনিয়াতে তাদের গোসল ও জানাযা করা হবে।
<ref>https://bd24report.com/2018/03/%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%A8-%E0%A6%87%E0%A6%B8%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A7%83%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%A4/</ref>
 
<ref name="mobile.breakingnews.com.bd">https://mobile.breakingnews.com.bd/religion/article/97358</ref>
<ref name="m.priyo.com">https://m.priyo.com/articles/%E0%A6%87%E0%A6%B8%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A7%83%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%98%E0%A6%9F%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%AE%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%81-%E0%A6%8F%E0%A6%AC%E0%A6%82-%E0%A6%B6%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%9A%E0%A7%9F-%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE</ref>
<ref name="mobile.breakingnews.com.bd"/>
<ref>https://www.sylhetsomachar.com/%E0%A6%87%E0%A6%B8%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%87-%E0%A6%B6%E0%A6%B9%E0%A7%80%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%BE/2929</ref>
<ref>https://www.ntvbd.com/religion-and-life/142909/%E0%A6%87%E0%A6%B8%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A7%83%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%B6%E0%A6%B9%E0%A7%80%E0%A6%A6-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE?amp</ref>
<ref>https://www.muslimbd24.com/2018/11/09/%E0%A6%B6%E0%A6%B9%E0%A7%80%E0%A6%A6-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%B6%E0%A6%B9%E0%A7%80%E0%A6%A6-%E0%A6%95%E0%A6%A4-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%95/</ref>
 
==শহীদগণ তিন শ্রেণীর==
(১) যারা দুনিয়া ও আখেরাতে শহীদ। এঁরা হ’লেন, কাফিরদের সঙ্গে যুদ্ধে নিহত মুমিন ব্যক্তি।
(২) আখেরাতে শহীদ। তারা হ’লেন উপরে বর্ণিত অন্যান্য শহীদগণ।
(৩) দুনিয়াতে শহীদ, আখেরাতে নয়। তারা হ’ল, যুদ্ধের ময়দানে গণীমতের মাল আত্মসাৎকারী অথবা জিহাদ থেকে পলাতক অবস্থায় নিহত ব্যক্তি’।[8] অর্থাৎ লোক দেখানো কপট শহীদ।
পরস্পরে মারামারি ও যুদ্ধ-বিগ্রহ মানুষ ও পশু-পক্ষী সকল প্রাণীর স্বভাবগত বিষয়। স্ব স্ব স্বার্থ রক্ষার জন্য মানুষ পরস্পরে যুদ্ধ করে। ধর্মীয় স্বার্থে হ’লে তখন সেটা ‘ধর্মযুদ্ধে’ পরিণত হয়। সেকারণ প্রত্যেক ধর্মেই যুদ্ধ একটি স্বীকৃত বিধান। ইসলাম আল্লাহ প্রেরিত সর্বশেষ দ্বীন। যা সকল মানুষের কল্যাণে অবতীর্ণ হয়েছে। তাই হিন্দু-বৌদ্ধ-জৈন সহ সকল মানবরচিত ধর্ম এবং ইহূদী-নাছারা সহ পূর্ববর্তী সকল এলাহী ধর্ম, যা এখন মানসূখ বা হুকুমরহিত হিসাবে গণ্য; এসব ধর্ম রক্ষার জন্য লড়াই করাকে ‘জিহাদ’ বলা হবে না। বরং ঐসব ধর্মের অনুসারীদের হামলা থেকে ইসলামকে রক্ষা করার লড়াইকে ‘জিহাদ’ বলা হবে। ইসলামে জিহাদ বা যুদ্ধবিধান সম্পূর্ণরূপে দ্বীনের নিরিখে রচিত।<ref name="m.priyo.com"/>
 
==কুরআনের রেফারেন্স==
১২০ ⟶ ৬৮ নং লাইন:
সময়ের পরিক্রমায় অমুসলিম তথা আরবীয় খৃষ্টানরা শহিদ শব্দটি তাদের নিজেদের মৃত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করছে। এছাড়াও দক্ষিণ এশিয়ার [[হিন্দুধর্ম| হিন্দুধর্মের]](সনাতন ধর্ম) লোকেরা ''শহিদ'' শব্দটিকে [[সংস্কৃত ভাষা|সংস্কৃততে]] পরিবর্তন করে "হুতাত্মা" করেছে। (ইংরেজিতে "hutātmā" हुतात्मा হলো [[দেবনাগরী লিপি]] এবং हुत् (হিন্দি), ইংরেজিতে hut=sacrificing এবং হুত্ এর অর্থ হলো আত্মত্যাগ, आत्मा, ইংরেজিতে ātmā এর অর্থ আত্মা, পূর্ণ অর্থ হলো আত্মত্যাগ করে যে আত্মা বা যাকে শহিদ বলা হয়)। হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী এই হুতাত্মাকে শহিদ বলে গণ্য করা হয়। এমনকি শিখ ধর্মাবলম্বীরাও শহিদ শব্দটি গ্রহণ করেছে। যেমন তাদের গুরত্বপূর্ণ নেতা শহিদ হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে [[Bhai Mati Das|শহিদ মতি দাস]] এবং [[ভগৎ সিং|শহিদ ভগৎ সিং]] অন্যতম। তাদেরকে শহিদ বলে গণ্য করা হয়।
===নারী শহিদা===
একজন মহিলা ইসলামি রীতি অনুযায়ী শহিদ হলে তাকে ''শাহিদা'' বলা হয়।({{lang|আরবি|شَهِيدَة}} ''{{transl|আরবি|DIN|শাহিদা}}'')। আবার কেউ যদি সন্তান প্রসবের সময় মৃত্যুবরণ করে তাকেও শহিদা বলা হয়ে থাকে। <ref>Lumbard, Joseph E.B. (2004) ''Islam, Fundamentalism, and the Betrayal of Tradition''. World Wisdom Publishing, {{ISBN|0941532607}} (30)</ref> । ইসলামের সম্মুখ যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মহিলাদের মধ্যে নুসাইবা বিনতে কা'ব ছিলো অন্যতম। তবে সুমাইয়া বিনতে কাইয়াত হলো ইসলামের প্রথম শাহিদা। তিনি ইসলাম গ্রহণ করার কারণে শাহিদা করা হয়েছিলো। মক্কার মুসলিম বিদ্বেষী [[কুরাইশ বংশ| কুরাইশ বংশের]] ও কাফিরদের নেতা আবু জেহেল তার তলপেটে ছুরি ঢুকিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেছিলো। <ref>Cook, David (2007). ''Martyrdom in Islam''. Cambridge University Press. {{ISBN|0521615518}}.</ref> আধুনিক মুসলিম সাহিত্যে তার নাম ও জীবনী উল্লেখ্য নেই। তবে রাসুলুল্লাহ এর সময়কার অনেক সাহিত্যে তার নাম ও সংক্ষিপ্ত জীবনী পাওয়া যায়।<ref>Cook, David (2007). ''Martyrdom in Islam''. Cambridge University Press. {{ISBN|0521615518}}. p. 14.</ref>
 
<br />
 
==তথ্যসূত্র ও পাদটীকা==