মক্কা অবরোধ (৬৮৩): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
৩৬ নং লাইন:
[[উমাইয়া খিলাফত|উমাইয়া খিলাফতের]] প্রতিষ্ঠাতা খলিফা [[প্রথম মুয়াবিয়া|প্রথম মুয়াবিয়ার]] মৃত্যুর পর মুসলিম বিশ্ব অস্থিতিশীল অবস্থায় পড়ে। মুয়াবিয়া তার পুত্র [[প্রথম ইয়াজিদ|প্রথম ইয়াজিদকে]] তার উত্তরাধিকারী মনোনীত করেছিলেন। তবে তার এই সিদ্ধান্ত সবার কাছে গ্রহণীয় হয়নি, বিশেষ করে মদিনার উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিদের কাছে। খিলাফতের দুজন দাবিদার ব্যক্তি ছিলেন [[হুসাইন ইবনে আলি]] ও [[আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়ের]]। উমাইয়াদের বিরুদ্ধে প্রথমে [[হুসাইন ইবনে আলি]] বিদ্রোহ করেন। ৬৮০ সালে [[কারবালার যুদ্ধ|কারবালার যুদ্ধে]] তিনি নিহত হন। এরপর উমাইয়াদের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিপক্ষ ছিলেন [[আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়ের]]। তিনি মক্কা থেকে উমাইয়াদের প্রতিবাদ করে যান। তিনি দাবি করেন যে সকল কুরাইশের উপস্থিতিতে একটি সমাবেশের প্রথানুযায়ী খলিফা নির্বাচন করতে হবে এবং এই সমাবেশে শুধু উমাইয়ারা থাকবে এমন হতে পারবে না।<ref name="Kennedy89">{{বই উদ্ধৃতি | শিরোনাম=The Prophet and the Age of the Caliphates: The Islamic Near East from the 6th to the 11th Century | সংস্করণ = Second | শেষাংশ=Kennedy| প্রথমাংশ=Hugh N. | লেখক-সংযোগ=Hugh N. Kennedy | বছর=2004 | প্রকাশক=Pearson Education Ltd. | অবস্থান=Harlow, UK |আইএসবিএন=0-582-40525-4 | ইউআরএল = https://books.google.com/books?id=Wux0lWbxs1kC}}</ref><ref name="Hawting47">{{বই উদ্ধৃতি | শিরোনাম = The First Dynasty of Islam: The Umayyad Caliphate AD 661–750 (2nd Edition) | শেষাংশ = Hawting | প্রথমাংশ = G. R. | লেখক-সংযোগ = G. R. Hawting | অবস্থান = London and New York | প্রকাশক = Routledge | বছর = 2000 | আইএসবিএন = 0-415-24072-7 | ইউআরএল = https://books.google.com/books?id=KNczPUUdTbsC|পাতাসমূহ=47}}</ref>
 
প্রথম ইয়াজিদ ও তার মদিনার গভর্নর আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়ের এবং অসন্তুষ্ট অন্যান্য আনসার পরিবারের সাথে আলোচনার চেষ্টা করেন। শহরের চারপাশে মুয়াবিয়ার বৃহৎ কৃষি প্রকল্প নিয়ে মদিনের উচ্চপর্যায়ের অনেকে অসন্তুষ্ট ছিলেন। তারা [[প্রথম ইয়াজিদ|ইয়াজিদকে]] খলিফার দায়িত্বের জন্য অযোগ্য মনে করতেন। ভবিষ্যত [[খলিফা]] [[মারওয়ান ইবনুল হাকাম|মারওয়ান ইবনুল হাকামসহ]] উমাইয়া পরিবারের আরো অনেক সদস্যকে মদিনা থেকে বের করে দেয়া হয়। তাই ইয়াজিদ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য প্রদেশে সৈন্য পাঠান এবং মুসলিম ইবনে উকাবা আল মুরিকে এর নেতৃত্ব দেয়া হয়। ৬৮৩ সালের ২৬ আগস্ট [[হারার যুদ্ধ|হারার যুদ্ধে]] তার ১২,০০০ সিরিয়ান সেনা মদিনার প্রতিরোধ প্রতিহত করতে সক্ষম হয় এবং মদিনার দিকে এগিয়ে যায়।{{sfn|Hawting|2000|pp=47–48}}{{sfn|Kennedy|2004|p=90}}{{sfn|Wellhausen|1927|pp=154–157}}<ref name="EI2">{{harvnb|Lammens|1987|p=1162}}.</ref>
 
==অবরোধ==
মদিনা দখলের পর মুসলিম ইবনে উকাবা মক্কার দিকে অগ্রসর হন। কিন্তু পথিমধ্যে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং মুশাল্লালে মারা যান। এরপর তার অধীনস্থ [[হুসাইন ইবনে নুমায়ের আল সাকুনি|হুসাইন ইবনে নুমায়ের আল সাকুনির]] কাছে নেতৃত্ব হস্তান্তর হয়। সেপ্টেম্বরে তারা মক্কায় পৌছান। [[আবদুল্লাহআল-তাবারীর ইবনেদ্বারা জুবায়ের]]বর্ণিত বিবরণ তারঅনুসারে, সমর্থকরাএটি আত্মসমর্পণেঅনেকটা অসম্মতিউকবার জানানইচ্ছার এবংপরিপন্থী একটি লড়াইয়ে তারা পরাজিত হওয়ার পর শহরের উপর অবরোধ আরোপ করা হয়। এতে উমাইয়ারা পাথরের গোলাবর্ষণের জন্য [[কেটাপুল্ট]] ব্যবহার করে। [[আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়ের]] [[কাবা]] চত্বরে তার কমান্ড পোস্ট বসান। কাবা রক্ষার জন্য চারপাশে কাঠের একটি কাঠামো তৈরী করা হয়েছিল। ৩১ অক্টোবর রোববার এটিতে আগুন লেগে ধ্বংস হয়ে যায়। পরবর্তী অনেক সূত্রের মতে উমাইয়াদের গোলাবর্ষণের কারণে এই অগ্নিকান্ড ঘটে।ছিল, তবে বেশিইয়াজিদের বিশ্বাসযোগ্য সূত্রইচ্ছা অনুযায়ী [[আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়ের|আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়েরের]] এক অনুসারীর হাতের মশাল থেকে আগুন লাগে।<ref name="EI">ছিল।{{বিশ্বকোষ উদ্ধৃতি sfn| শিরোনাম = Yazīd b. Mu’āwiya Wellhausen| প্রথমাংশ = H. 1927| শেষাংশ p= Lammens | বিশ্বকোষ = E.J. Brill's first encyclopaedia of Islam, 1913–1936, Volume VIII: Ṭa'if–Zūrkhāna | সম্পাদক-প্রথমাংশ = Martijn Theodoor | সম্পাদক-শেষাংশ = Houtsma | প্রকাশক = BRILL | অবস্থান = Leiden | বছর = 1987 | আইএসবিএন = 90-04-08265-4 | ইউআরএল = https://books.google.com/books?id=wpM3AAAAIAAJ | পাতাসমূহ = 1162–1163157}}</ref><ref name="Hawting48"/><ref name=wellhasun>{{বই উদ্ধৃতি sfn| শিরোনাম = The Arab Kingdom and Its Fall Howard| প্রথমাংশ = Julius 1990| শেষাংশ p= Wellhausen | লেখক-সংযোগ = Julius Wellhausen | প্রকাশক = University of Calcutta | অবস্থান = Calcutta | বছর = 1927 | ইউআরএল = http://www.archive.org/details/arabkingdomandit029490mbp | oclc = 752790641222}} p.165-166</ref>
 
আল-হাররার যুদ্ধে কুরাইশ সেনাপতি [[আবদুল্লাহ ইবনে মুতি]] [[আল-মুখতার আল-সাকাফি|আল-মুখতার আল-সাকাফির]] সাথে মক্কার প্রতিরক্ষায় মুখ্য ভূমিকা পালনকারী মদিনার অনেকেই মক্কায় পালিয়ে গিয়েছিলেন।{{sfn|Hawting|1989|pp=114–115}} নাজদা ইবনে আমির আল-হানাফির নেতৃত্বে ইবনে আল-জুবায়েরও ইয়ামামা (মধ্য আরব) থেকে খারিজিদের সাথে যোগ দিয়েছিলেন।{{sfn|Howard|1990|p=223}}{{sfn|Wellhausen|1927|p=165}} সেপ্টেম্বর মাসে হুসেনের সেনাবাহিনী মক্কায় পৌঁছে।  প্রথম যুদ্ধে ইবনে আল-জুবায়ের বিজয়ী হন,{{sfn|Howard|1990|p=223}}{{sfn|Wellhausen|1927|p=165}}কিন্তু উমাইয়রা জেদ ধরেছিল এবং ২৪ শে সেপ্টেম্বর শহরটিকে অবরোধের কবলে রাখে এবং পাথর দিয়ে বোমা ফেলার জন্য ক্যাটপল্ট তৈরি করে।{{sfn|Hawting|2000|p=48}}{{sfn|Gibb|1960|p=55}}
২৬ নভেম্বর পর্যন্ত অবরোধ চলে। এসময় ইয়াজিদের মৃত্যুর খবর পৌছায়। এরপর হুসাইন ইবনে নুমায়ের [[আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়ের|আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়েরের]] সাথে আলোচনায় আসেন। [[দামেস্ক|দামেস্কের]] উমাইয়া কর্তৃপক্ষ ইয়াজিদের তরুণ পুত্র [[দ্বিতীয় মুয়াবিয়া|দ্বিতীয় মুয়াবিয়াকে]] খলিফা ঘোষণা করলেও পরিস্থিতি বিভিন্ন প্রদেশে ভাল ছিল না। হুসাইন ইবনে নুমায়ের তাই [[আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়ের|আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়েরকে]] খলিফা হিসেবে মানতে ইচ্ছুক ছিলেন এবং শর্ত দেন তাকে ক্ষমা ঘোষণা করতে হবে এবং হুসাইনের সাথে দামেস্ক যেতে হবে। ইবনে জুবায়ের দ্বিতীয় শর্তে রাজি ছিলেন না। কারণ এটি তাকে সিরিয়ান অভিজাতদের নিয়ন্ত্রণাধীন করে ফেলত। এরপর হুসাইন তার সেনাদল নিয়ে সিরিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন।<ref name="Hawting48"/><ref name=wellhasun/>
 
[[আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়ের]] ও তার সমর্থকরা আত্মসমর্পণে অসম্মতি জানান এবং একটি লড়াইয়ে তারা পরাজিত হওয়ার পর শহরের উপর অবরোধ আরোপ করা হয়। এতে উমাইয়ারা পাথরের গোলাবর্ষণের জন্য [[কেটাপুল্ট]] ব্যবহার করে। [[আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়ের]] [[কাবা]] চত্বরে তার কমান্ড পোস্ট বসান। কাবা রক্ষার জন্য চারপাশে কাঠের একটি কাঠামো তৈরী করা হয়েছিল। ৩১ অক্টোবর রোববার এটিতে আগুন লেগে ধ্বংস হয়ে যায়। পরবর্তী অনেক সূত্রের মতে উমাইয়াদের গোলাবর্ষণের কারণে এই অগ্নিকান্ড ঘটে। তবে বেশি বিশ্বাসযোগ্য সূত্র অনুযায়ী [[আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়ের|আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়েরের]] এক অনুসারীর হাতের মশাল থেকে আগুন লাগে।<ref name="EI">{{বিশ্বকোষ উদ্ধৃতি | শিরোনাম = Yazīd b. Mu’āwiya | প্রথমাংশ = H. | শেষাংশ = Lammens | বিশ্বকোষ = E.J. Brill's first encyclopaedia of Islam, 1913–1936, Volume VIII: Ṭa'if–Zūrkhāna | সম্পাদক-প্রথমাংশ = Martijn Theodoor | সম্পাদক-শেষাংশ = Houtsma | প্রকাশক = BRILL | অবস্থান = Leiden | বছর = 1987 | আইএসবিএন = 90-04-08265-4 | ইউআরএল = https://books.google.com/books?id=wpM3AAAAIAAJ | পাতাসমূহ = 1162–1163}}</ref><ref name="Hawting48" /><ref name="wellhasun">{{বই উদ্ধৃতি | শিরোনাম = The Arab Kingdom and Its Fall | প্রথমাংশ = Julius | শেষাংশ = Wellhausen | লেখক-সংযোগ = Julius Wellhausen | প্রকাশক = University of Calcutta | অবস্থান = Calcutta | বছর = 1927 | ইউআরএল = http://www.archive.org/details/arabkingdomandit029490mbp | oclc = 752790641}} p.165-166</ref>
 
২৬ নভেম্বর পর্যন্ত অবরোধ চলে। এসময় ইয়াজিদের মৃত্যুর খবর পৌছায়। এরপর হুসাইন ইবনে নুমায়ের [[আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়ের|আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়েরের]] সাথে আলোচনায় আসেন। [[দামেস্ক|দামেস্কের]] উমাইয়া কর্তৃপক্ষ ইয়াজিদের তরুণ পুত্র [[দ্বিতীয় মুয়াবিয়া|দ্বিতীয় মুয়াবিয়াকে]] খলিফা ঘোষণা করলেও পরিস্থিতি বিভিন্ন প্রদেশে ভাল ছিল না। হুসাইন ইবনে নুমায়ের তাই [[আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়ের|আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়েরকে]] খলিফা হিসেবে মানতে ইচ্ছুক ছিলেন এবং শর্ত দেন তাকে ক্ষমা ঘোষণা করতে হবে এবং হুসাইনের সাথে দামেস্ক যেতে হবে। ইবনে জুবায়ের দ্বিতীয় শর্তে রাজি ছিলেন না। কারণ এটি তাকে সিরিয়ান অভিজাতদের নিয়ন্ত্রণাধীন করে ফেলত। এরপর হুসাইন তার সেনাদল নিয়ে সিরিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন।<ref name="Hawting48" /><ref name="wellhasun" />{{sfn|Gibb|1960|p=55}}
 
==পরবর্তী অবস্থা==
উমাইয়া সেনাদের প্রত্যাবর্তনের ফলে [[মক্কা|মক্কায়]] ইবনে জুবায়েরের নিরঙ্কুশ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়। উমাইয়া কর্তৃপক্ষের ভেঙে পড়ার পর তিনি দ্রুত উত্তর সিরিয়াসহ অধিকাংশ মুসলিমদের কাছে ন্যায়সংগত খলিফা হিসেবে স্বীকৃত হন।{{sfn|Gibb|1960|p=55}} [[মারজ রাহিতের যুদ্ধ|মারজ রাহিতের যুদ্ধে]] উমাইয়ারা [[মারওয়ান ইবনুল হাকাম|মারওয়ান ইবনুল হাকামের]] নেতৃত্বে [[সিরিয়া|সিরিয়ায়]] তাদের অবস্থান শক্ত করতে সক্ষম এবং [[মিশর|মিশরে]] নিয়ন্ত্রণ পুনপ্রতিষ্ঠা করে। ইরাকের নিয়ন্ত্রণ লাভের একটি চেষ্টা ব্যর্থ হয়। এতে উমাইয়া বিরোধী শিবিরে নেতা ছিলেন [[আল মুখতার]]। মসুলের নিকটে তারা উমাইয়াদের পরাজিত করে। পরবর্তী খলিফা [[আবদুল মালিক ইবনে মারওয়ান]] নিজ অবস্থান শক্ত করেন। অন্যদিকে ইবনে জুবায়েরের ভাই মুসাব ইবনে জুবায়ের উমাইয়া বিরোধী নেতা আল মুখতারকে পরাজিত করে ৬৮৭ সালে সমগ্র ইরাকের নিয়ন্ত্রণ লাভ করেন। ৬৯১ সালে খলিফা [[আবদুল মালিক ইবনে মারওয়ান]] জুফার আল কিলাবির কায়েসকে উমাইয়াদের নিকটে টানতে সক্ষম হন এবং ইরাকের দিকে অগ্রসর হন। মুসাব ইবনে জুবায়ের [[মাসকিনের যুদ্ধ|পরাজিত ও নিহত]] হন। ফলে উমাইয়ারা পূরবাঞ্চলজুড়ে তাদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হন। ৬৯২ সালে আরেকটি [[মক্কা অবরোধ (৬৯২)|অবরোধের]] পর আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়ের নিহত হন। এসময় গৃহযুদ্ধের অবসান হয়।{{sfn|Hawting|2000|p=48–49,51–53}}{{sfn|Kennedy|2001|p=92–98}}{{sfn|Gibb|1960|p=55}}
 
==কাবার সংস্কার==
উমাইয়ারা ফিরে যাওয়ার পর [[আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়ের]] কাবা পুনর্নির্মাণ শুরু করেন। তিনি হাতিমে কাবাকে কাবার সাথে যুক্ত করে তার আদিরূপ ফিরিয়ে আনতে ইচ্ছুক ছিলেন। [[মুহাম্মদ]] নিজেও তার জীবদ্দশায় এমন ইচ্ছা করেছিলেন তবে তা নতুন ইসলাম গ্রহণকারীরা সঠিকভাবে বুঝতে পারবে না ভেবে বাস্তবায়ন করেননি। সম্পূর্ণ পাথর দিয়ে নতুনভাবে কাবা নির্মাণ করা হয় এবং এতে প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য পূর্ব ও পশ্চিমে দুটি দরজা স্থাপন করা হয়। তাছাড়া অর্ধবৃত্তাকার [[হাতিম]] কাবার সাথে যুক্ত করা হয়। [[হজরে আসওয়াদ|হজরে আসওয়াদকে]] রূপার ফ্রেমে বাধিয়ে কাবায় সংযুক্ত করা হয়। উমাইয়ারা শহর পুনরায় জয় করলে হাতিমকে মূল ভবন থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয় এবং পশ্চিম দরজায় দেয়াল তুলে দেয়া হয়। এই রূপেই কাবা বর্তমানকাল অবধি রয়েছে।<ref>রয়েছে{{sfn|Wensinck & |Jomier (1997), |1978|p. =319</ref>}}
 
==তথ্যসূত্র==