যুধিষ্ঠিরের অশ্বমেধ-যজ্ঞের অশ্বকে নিয়ে যুদ্ধার্থী অর্জুন যখন মণিপুরে এসে পৌঁছলেন, তখন পুত্র বভ্রুবাহন যুদ্ধ না করে ভক্তি সহকারে পিতা অর্জুনকে অভ্যর্থনা জানালেন। অর্জুন পুত্রের এই কাপুরুষতা দেখে যখন ধিক্কার দিচ্ছেন, তখন অর্জুনের দ্বিতীয় স্ত্রী উলুপী ভূমিতল থেকে উঠে এসে নিজেকে বভ্রুবাহনকেবভ্রুবাহনের বিমাতা বলে পরিচয় দিয়ে পুত্রকে বললেন যুদ্ধ করতে{{Sfn|Vettam|1975|p=97}}। বিমাতার আদেশে তিনি যুদ্ধ শুরু করলেন এবং তাঁর বাণে অর্জুন ভূমিশয্যা নিলেন। বভ্রূবাহনের দ্বারা যুদ্ধে নিহত হওয়ার পরে অর্জুনকেউলুপী অর্জুনকে পুনজীবিত করে তাকে বসুদের অভিশাপ থেকে মুক্ত করেছিলেন। উলুপী সঞ্জীবন-মণি এনে অর্জুনকে সুস্থ করে বসুগণের শাপের কথা সবাইকে বললেন<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Ganguli|প্রথমাংশ=Kisari Mohan|শিরোনাম=The Mahabharata: Book 14: Anugita Parva|ইউআরএল=http://www.sacred-texts.com/hin/m14/m14080.htm|প্রকাশক=[[Internet Sacred Text Archive]]|অধ্যায়=SECTION LXXX|তারিখ=1883–1896|সংগ্রহের-তারিখ=3 April 2016}}</ref>। অশ্বমেধ যজ্ঞে অর্জুনের আমন্ত্রণে চিত্রাঙ্গদা ও বভ্রূবাহনের সঙ্গে উলুপীও এসেছিলেন এবং পাণ্ডবদের মহাপ্রস্থানে যাওয়া পর্যন্ত পাণ্ডবদের সঙ্গেই ছিলেন। পাণ্ডবরা চলে গেলে তিনি আবার নিজ রাজ্যে ফিরে যান।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Ganguli|প্রথমাংশ=Kisari Mohan|শিরোনাম=The Mahabharata: Book 17: Mahaprasthanika Parva|ইউআরএল=http://www.sacred-texts.com/hin/m17/m17001.htm|প্রকাশক=[[Internet Sacred Text Archive]]|অধ্যায়=SECTION 1|তারিখ=1883–1896|সংগ্রহের-তারিখ=3 April 2016}}</ref>
