স্যাম হ্যারিস: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
হটক্যাটের মাধ্যমে বিষয়শ্রেণী:২১শ শতাব্দীর নাস্তিক যোগ
মার্কিন লেখক স্যাম হ্যারিসের এ নিবন্ধটি পুরোপুরিই অসম্পূর্ণ। তাই ইংরেজি থেকে এর অনুবাদ করে সম্প্রসারণ করছি।, "অনুবাদ"
১ নং লাইন:
{{অন্য ব্যবহার|স্যাম হ্যারিস (দ্ব্যর্থতা নিরসন)}}
[[চিত্র:Sam Harris 01.jpg|right|thumb|200px|স্যাম হ্যারিস]]
স্যামুয়েল বেনজামিন হ্যারিস( ইংরেজিঃ Samuel Benjamin Harris, জন্মঃ এপ্রিল ৯, ১৯৬৭) একজন [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র|মার্কিন]] [[লেখক]], [[দার্শনিক]] এবং [[স্নায়ুবিজ্ঞান|স্নায়ুবিজ্ঞানী]]। তিনি নানা বিষয় নিয়ে লিখে থাকেন, তার মধ্যে আছে [[যৌক্তিকতা]],[[ধর্ম]], [[নীতিশাস্ত্র]], [[স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি]], [[ধ্যান]], [[দর্শন]], [[রাজনীতি]] , [[সন্ত্রাসবাদ]] এবং [[কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা]] । হ্যারিস খ্যাতি অর্জন করেছেন [[ধর্মের সমালোচনা]] করে, বিশেষত [[ইসলাম]]<nowiki/>কে নিয়ে সমালোচনায়, তিনি [[নব্য নাস্তিক্যবাদ|নাস্তিক্যবাদের চার ঘোরসওয়ারের]] একজন , বাকিরা হলেন জীববিজ্ঞানী [[রিচার্ড ডকিন্স]], দার্শনিক ড্যানিয়েল ডেনেট, এবং সাংবাদিক [[ক্রিস্টোফার হিচেন্স]]। তাঁর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা [[দর্শন]] এবং [[বোধনমূলক স্নায়ুবিজ্ঞান|বোধনমূলক স্নায়ুবিজ্ঞান]]।
'''স্যাম বেঞ্জামিন হ্যারিস''' ([[ইংরেজি ভাষায়]]: Sam Benjamin Harris) একজন মার্কিন লেখক, দার্শনিক, ধর্মের সমালোচক<ref name="salon">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শেষাংশ1=ডন|প্রথমাংশ1=ক্যাথরিন|শিরোনাম=“The Moral Landscape”: Why science should shape morality|ইউআরএল=https://www.salon.com/2010/10/17/sam_harris_interview/|ওয়েবসাইট=Salon|সংগ্রহের-তারিখ=২৯ মে ২০১৮|ভাষা=ইংরেজি|তারিখ=১৭ অক্টোবর ২০১০}}</ref> ও ব্লগার। তিনি বৈজ্ঞানিক সংশয়বাদ এবং নব-নাস্তিক্যবাদ এর পক্ষে লিখে থাকেন। রিচার্ড ডকিন্স, ক্রিস্টোফার হিচেন্স ও ড্যানিয়েল ডেনেটের সাথে তাকে "নাস্তিক্যবাদের চার ঘোড়সওয়ারী" হিসেবে অভিহিত করা হয়। ২০০৪ সালে তার ''দি ইন্ড অব ফেইথ: রিলিজান, টেরর, এন্ড দ্যা ফিউচার অব রিজন'' বইয়ের মাধ্যমেই নব-নাস্তিক্যবাদ এর যাত্রা শুরু হয় বলে দাবী করেন [[ভিক্টর স্টেংগার]]। এই বইয়ের জন্য তিনি পেন/মার্থা আলব্র্যান্ড পুরস্কার অর্জন করেন।
 
হ্যারিসের প্রথম বই ''বিশ্বাসের সমাপ্তি(The End of Faith,২০০৪ সালে প্রকাশিত)'' প্রথম নন-ফিকশন হিসেবে পেন/মার্থা আল্ব্রান্ড পুরস্কার পায়। বইটি নিউ ইয়র্ক টাইমস সর্বাধিক বিক্রীত তালিকায় ৩৩ সপ্তাহ ধরে ছিলো। হ্যারিস পর্যায়ক্রমে আরো ছয়টি বই প্রকাশ করেনঃ ২০০৬ সালে, ''এক খ্রিষ্টান জাতির প্রতি পত্র(Letter to a Christian Nation)'' , ২০১০ সালে ''নৈতিক'' ''চিত্রপটঃ কিভাবে বিজ্ঞান মানব মূল্যবোধ নির্ধারণ করতে পারে(The Moral Landscape: How Science Could Determine Human Values),'' ২০১০ সালে দীর্ঘায়িত প্রবন্ধ ''শায়িত(Lying),'' ২০১২ সালে পুস্তিকা ''স্বাধীন চিন্তা(Freewill),'' ২০১৪ সালে ''জাগরণঃ ধর্ম ব্যতিরেকে আধ্যাত্নিকতার চর্চায় মানবজাতির পথনির্দেশ( Waking Up: A Guide to Spirituality Without Religion)'' এবং সর্বশেষ ২০১৪ সালে ব্রিটিশ লেখক মজিদ নেওয়াজ এর সাথে যৌথভাবে ''ইসলাম এবং সহনশীলতার ভবিষ্যতঃ একটি সংলাপ(Islam and the Future of Tolerance: A Dialogue)''। ২০১৫ সাল পর্যন্ত হ্যারিসের লেখনী ২০ টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে।
২০১০ সালে তিনি তার ''ইন দ্য মোরাল ল্যান্ডস্কেপ'' বইয়ে যুক্তি দেখান যে বিজ্ঞান নৈতিক সমস্যার উত্তর দিতে পারে এবং মানুষের মঙ্গলে কাজ করতে পারে।<ref name="salon"/> তিনি ২০১১ সালে দীর্ঘ প্রবন্ধ ''লাইং'', ২০১২ সালে ছোট পুস্তিকা ''ফ্রি উইল'', ২০১৪ সালে ''ওয়েকিং আপ: আ গাইড টু স্পিরিচুয়ালিটি উইদাউট রিলিজিয়ন'' এবং ২০১৫ সালে ব্রিটিশ লেখক মাজিদ নেওয়াজের সাথে যৌথভাবে ''ইসলাম অ্যান্ড দ্য ফিউচার অব টলারেন্স: আ ডায়লগ'' রচনা করেন।
 
তিনি ঈশ্বর ও ধর্ম নিয়ে প্রখ্যাত ব্যক্তিত্বদের সাথে আলোচনা ও বিতর্কে নিয়মিত অংশ নিয়েছেন, যাদের মধ্যে আছেন উইলিয়াম লেন ক্রেইগ, জর্ডান পিটারসন, রিক ওয়ারেন, অ্যানড্র সুলিভান, রেজা আজলান, দ্বীপক চোপড়া এবং জিন হাউস্টন। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি একটি ধ্যান বিষয়ক অ্যাপ চালু করেছেন,' স্যাম হ্যারিসের সাথে জেগে ওঠো '।
 
== শৈশব ও শিক্ষাজীবনঃ ==
হ্যারিস ৯ এপ্রিল ১৯৬৭ সালে [[লস অ্যাঞ্জেলেস]] এ জন্মগ্রহণ করেন। তিনি অভিনেতা বার্কেলে হ্যারিস এবুং টিভি পরিচালক সুসান হ্যারিসের পুত্র। তাঁর বাবা [[নর্থ ক্যারোলাইনা]] তে জন্ম নেন এবং তাঁর মা ইহুদী পরিবারের তবে ধার্মিক ছিলেন না। হ্যারিসের ২ বছর বয়সে তার মা-বাবার ছাড়াছাড়ির পর তিনি মার কাছে লালিত হন। তার শৈশব পুরোপুরি [[ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ|ধর্মনিরপেক্ষতায়]] কেটেছে, তার মা-বাবা ধর্মীয় বিষয়াদি নিয়ে খুবই কম আলোচনা করতেন, যদিও তিনি নাস্তিক হিসেবে বেড়ে ওঠেন নি।
 
তিনি প্রাথমিকভাবে ইংরেজিতে পড়াশোনা করেছিলেন। পরে [[স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়|স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে]] তিনি দর্শন সম্বন্ধীয় সমস্যা নিয়ে আগ্রহী হয়ে ওঠেন । একধরনের ড্রাগের মস্তিষ্কে ক্রিয়াকলাপ সম্পর্কে জানতে পেরে তিনি এ নিয়ে আগ্রহী হয়েছিলেন, ভাবছিলেন যদি ড্রাগ ব্যবহার ছাড়াই যদি আধ্যাত্নিক অনুভূতি লাভ করা যায়। দ্বিতীয় বর্ষে স্ট্যানফোর্ড ছেড়ে তিনি ভারত ও নেপালে পাড়ি জমান, হিন্দু এবং বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের নিকট ধ্যানচর্চার প্রশিক্ষণ নিতে। এগারো বছর পর তিনি স্ট্যানফোর্ডে ফিরে আসেন, দর্শনে বিএ ডিগ্রি সমাপ্ত করেন ২০০০ সালে। হ্যারিস তাঁর প্রথম বই বিশ্বাসের সমাপ্তি লেখা শুরু করেন [[১১ সেপ্টেম্বরের হামলা|১১ সেপ্টেম্বর হামলার]] পর থেকেই।
 
তিনি [[ডক্টর অব ফিলোসফি|পিএইচডি]] সম্পন্ন করেন [[বোধনমূলক স্নায়ুবিজ্ঞান|কগনিটিভ নিউরোসাইন্সে]] ।
 
==তথ্যসূত্র==
<references />
{{সূত্র তালিকা}}