ডিমলা উপজেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
কায়সার আহমাদ-এর করা 4048164 নং সংস্করণে প্রত্যাবর্তন করা হয়েছে। (টুইং)
ট্যাগ: পূর্বাবস্থায় ফেরত
৩৪ নং লাইন:
}}
 
'''ডিমলা উপজেলা''' বাংলাদেশের [[নীলফামারী জেলা]]র অন্তর্গত একটি [[উপজেলা]], যা ১০টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এটি [[রংপুর বিভাগ|রংপুর বিভাগের]] আওতাধীন নীলফামারী জেলার ৬টি৪টি উপজেলার একটি এবং জেলার সীমান্তবর্তী দুটি উপজেলার একটি উপজেলা। ডিমলা উপজেলার উত্তরে [[ভারতের]] [[কুচবিহার জেলা]], পূর্বে [[হাতিবান্ধা উপজেলা]], দক্ষিণে [[জলঢাকা উপজেলা]] ও পশ্চিমে [[ডোমার উপজেলা]] অবস্থিত। এ উপজেলার পূর্ব দিক দিকে [[তিস্তা নদী]] এবং পশ্চিম দিক দিয়ে [[বুড়ি তিস্তা নদী]] প্রবাহিত হয়েছে।
 
== পটভূমি ==
১১৫ নং লাইন:
 
==তথ্যসূত্র==
{{সূত্র তালিকা}}মুুক্তিযুুুুুদ্ধের ডিমলা
 
== আরও দেখুন ==
== মুক্তিযুদ্ধোর ডিমলা ==
 
== তথ্য সংগ্রহ কারী ==
 
== আবু সায়েম সরকার- ডিমলার উত্তর দিকে বাংলাদেশ ভারতের বর্ডারে থাকায় এই অঞ্চলে হানাদার বাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থান নেওয়া ছিলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।যেহেতু ডিমলার উত্তর অঞ্চলটি ছিলো বর্ডার এবং মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থান। তাই সেখান থেকে নিরাপদ স্থানে হানাদার বাহিনীরা ক্যাম্প তৈরি করেন। আর উত্তর দিকে ডাঙ্গার হাট থেকে পূর্বে বর্তমান তিস্তা ব্যারেজ পর্যন্ত সম্পূর্ন ছিলো মুক্ত অঞ্চল। ==
 
== ডিমলায় যে সব এলাকায় হানাদারদের ক্যাম্প ছিলো তাহল, ==
 
== বালাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ ১টি ==
 
== টুনিরহাট বাজারে ১টি, ==
 
== খগার হাটে ১টি, ==
 
== শঠিবাড়ি বাজারে ১টি ==
 
== ও ডিমলা সদরে বর্তমানে ডিমলা উপজেলা পরিষদে ১টি ও রামডাঙ্গা পূরান থানায় ১টি। এসব ক্যাম্প পরিচালনা হত ডিমলা সদরের দুটি ক্যাম্প হতে। ==
 
== পাকিস্তানি হানাদার বাহিনিদের প্রতিটি ক্যাম্পে ভারি সব অস্ত্রে সুসজ্জিত। আর এসব ক্যাম্প তৈরি করতে যে সকল ইট ও টিন ব্যাবহার হয়েছিল তা আমাদের বর্তমান সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকার বাড়ি হতে ২ লক্ষ বাড়ি তৈরি করার ইট ও নতুন দুটি ২০০ হাতের বড় বড় টিনের ঘড় লুট করে নিয়ে যায় তারা। ঐ দিকে ডিমলার সমগ্র উওর অঞ্চল ছিলো মুক্তিযোদ্ধার দখলে মুক্তিযোদ্ধারা গেরিলা পদ্ধতিতে উত্তর দিক হতে দক্ষিণ দিক দিয়ে যুদ্ধ করতে করতে অগ্রসর হবে ।এটাই ছিলো পরিকল্পনা । ==
 
== ভারত থেকে সদ্য ট্রেনিং প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধারা ডিমলাকে ৬ টি কম্পানি বা অঞ্চলে ভাগ করে নেন তাদের অবস্থান ==
 
== যথাক্রমে: ==
 
== ১#দক্ষিণ বালাপাড়া অঞ্চলে: মাহাবুব কম্পানী ==
 
== ২#ঠাকুরগঞ্জ অঞ্চলে: মনির কম্পানি ==
 
== ৩#টুনির হাট ভাড়ালদাহ অঞ্চল: সিদ্দিক কম্পানী ==
 
== ৪#কলোনী দোহলপাড়া অঞ্চলে : রওশন কম্পানী ==
 
== ৫#রহমানগঞ্জ ও টেপাখড়িবাড়ি অঞ্চলে : হারেছ কম্পানী ==
 
== ৬#আর তিস্তা নদীর তীর অঞ্চল দেখতেন : মতিন কম্পানী ==
 
== এই ৬টি কম্পানীর মুক্তিযোদ্ধারা যে সকল অস্ত্র ব্যাবহার করেছিল তাহল, S.L.R, 3not3 রাইফেল,L.M.G, টুইন্স মটার, সর্টমেশিন গান,এন্টিপারসোনাল 16/14 মাইন। ==
 
== ১৯৭১ সালে বছরের প্রথম থেকেই পাকিস্তানী হানাদার বাহিনির সাথে দেশের বিভিন্ন স্থানে হানাদারদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু হয়ে যায়। লেগে যায় ডাঙ্গা, অত্যাচার, হামলা, লুট, ==
 
== মূল যুদ্ধ শুরু হয়।বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষনের পর। ==
 
== আমাদের ডিমলা অঞ্চলের মূল যুদ্ধশুরু হয় অক্টোবর মাস থেকে এর পূর্বে চলেছিলো মুক্তিযোদ্ধাদের প্রস্তুতি গ্রহন ও যুদ্ধের পরিকল্পনা। ==
 
== ::::::ডিমলার প্রথম যুদ্ধ:::::::: ==
 
== ১০অক্টোবর ১৯৭১# ==
 
== রাজাকার বাহিনীদের একটা টহল টিম ডাঙ্গার হাটের বেশ কটি গ্রামে মুক্তিবাহিনীর মুক্ত অঞ্চলে প্রবেশ করে। অস্ত্র দেখিয়ে লুটতরাজ শুরু করে মুক্ত অঞ্চলের মানুষ, একজন রাজাকারকে অস্ত্র সহ ধরে ফেলে। ধরতে গিয়ে ডাঙ্গার হাটের জব্বার মেম্বার সহ বেশ ক একজন আহত হন,রাজাকার ধরার খবর দ্রুত ছড়িয়ে পরায় মাহাবুব কম্পানির বেশ ক জন মুক্তিযোদ্ধা সেই রাজাকারকে বেধে ধরে নিয়ে যান। ==
 
== এবং পরে সেই রাজাকারকে ৬ নং সেক্টর ভারতের দেওয়ানগঞ্জে পাঠানো হয়।ইতি মদ্ধে পাকিস্তানি ক্যাম্প ,ডাংগারহাটে সে খবর গেলে তারা প্রতিশোধের নেশায় উম্মাদ হয়ে যায়। আমাদের মুক্তিবাহিনী উপর আক্রমনের নেশায় তারা প্রতিশোধের নীল নকশা বুনতে শুরু করে।গোপনে তারা রাজাকারের মাধ্যমে খবর নিতে থাকে। মুক্তিবাহিনীর অবস্থানের খবর ,তারা খবর ও সংগ্রহ করে দ: বালাপাড়া বাসুয়াল ঘাটিয়ালের বাড়িতে মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থান, নিশ্চিত হয় তারা। ==
 
== তাদের তথ্য সংগ্রহ করতে সময় লেগে যায় প্রায় ৮ দিন। ==
 
== :::::::১৮ অক্টোবর ১৯৭১ :::::: ==
 
== ঠিক সকাল অনুমান ৮/৯ টা পাক হানাদার বাহিনী আক্রমনের প্রস্তুুতি নেয়।এই অঞ্চলের দ্বায়িত্বে রয়েছে মাহাবুব কম্পানি। অপর দিকে বেলুজ রেজিমেন্টের মেজর জহুরুল হকের নেতৃত্বে হানাদার বাহিনীর ১০০ থেকে ১২০জনের একটি দল। ==
 
== আর আমাদের মাত্র ৯ জন মুক্তিযোদ্ধা সেলিম(রংপুর,গঙ্গাচরা),মোহাম্মদ আলী(খুলনা),হযরত আলী(কুড়িগ্রাম),মটারম্যান আবদুস সামাদ(লালমনিরহাট),সেকশন কমান্ডার আফজাল(বগুরা),আশরাফ আলী ও নাম না জানা দুজন সঽ সবাই পাক হানাদারদের প্রতিহত করার আপ্রান চেষ্টা করেন। ==
 
== শুরু হয় প্রচন্ড গোলাগুলি এক পর্যায়ে চারিদিক দিয়ে থেকে ঘিড়ে ফেলে আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের। মুক্তিযোদ্ধা মানিক আটকা পরে।সাথে সাথে বন্দুকের বেয়নেটের মাথায় মানিক কে গেথে ফেলে সাথে সাথে চারিদিকে হানাদার বাহীনিরা ব্রাশ ফায়ার শুরু করে, ==
 
== সেখানে অবস্থানরত মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলিকে বেওনেট দিয়ে খুচিয়ে ও পরে গুলি করে মেরে ফেলেন,গোলাগুলির শব্দ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে ঘণ্টা খানেকের মধ্যে পাশে থাকা আমাদের মুক্তিবাহিনীর ৪ টি কম্পানী মাহাবুব,সিদ্দিক,রওশন ও মনির কম্পানির দ্রত যুদ্ধ স্থানে চলে আসে। ==
 
== প্রায় ৪০০ থেকে ৪৫০ জন মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে।এতবড় মুক্তিযোদ্ধার বাহিনি দেখে পাক বাহিনী পিছু হটতে থাকে।পিছু হটার সময় ৮০থেকে ৮২ টি ঘড় বাড়ি জ্বালিয়ে দেয় এবং ১০থেকে ১৫ জন গ্রামবাসিকের ধরে নিয়ে যায় ডাঙ্গার হাট ক্যাম্পে( বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে) পিছু হটার পর সেই স্থান হতে মোহাম্মদ আলীর পরে থাকা খতবিক্ষত নিথর রক্তমাখা দেহটিকে উদ্ধার করে মুক্ত অন্চল নিয়ে যায় সহযোদ্ধা বৃন্দ, বর্তমানে ঠাকুরগঞ্জ বাজারে মসজিদের সাথে তাকে সমাহিত করা হয়। আর ধরে আনা সাধারন মানুষের উপর চলে সেই রাতে সারারাত ব্যাপি অমানবিক নির্যাতন। পরের দিন সকালে যাদের কপালে পিছ কমিটির সুপারিশ জুটে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। আর বাকিদের,,,,, ==
 
== ১৯ অক্টোবর ১৯৭১ ==
 
== ডাঙ্গারহাট ট্রাজেটি , আগের দিন ধরে আনা দক্ষিণ বালাপাড়ার ৮ জন সাধারন মানুষকে, গোমনাতি নিয়ে যাওয়ার পথে (বর্তমান বালাপাড়া বদ্ধভূমি) সেখানে ধরে আনা সাধারণ গ্রামবাসীকে নির্বিচারে বেয়নেট চার্জ ও গুলি করে হত্যা করা হয়। বর্তমানে সে একটি বদ্ধভূমি রয়েছে। ==
 
== :::::::২২ অক্টোবর১৯৭১:::::::: ==
 
== ::স্থল মাইন আক্রমন:: ==
 
== খানসেনার ডাঙ্গার হাটের ক্যাম্প হতে গোমনাতির চৌরঙ্গীর রাস্তায় একটি টহল টিম প্রতি নিয়তো টহল দিতেন। কারন ঐ সড়কটি তারা নিরাপদ মনে করতেন কিন্তু আমাদের মুক্তিবাহিনীর দল এই রাস্তাটিকে মুক্ত করেই ছাড়বে ==
 
== মাহাবুব কম্পানির ক জন মুক্তিযোদ্ধা, ঠিক বিকেল গড়িয়ে সন্ধা, ==
 
== ৩টি এন্টিপারসোনাল 16 ও ১০টি এন্টিপারসোনাল 14 মাইন নিয়ে রওনা দেন তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী রাস্তায় মাইন পুতে রাখবেন। ঠিক চৌরাঙ্গী হতে মাইন পোতা শুরু (বর্তমানে বালাপাড় ও চৌরাঙ্গীর শিসা তলি ঘাটের দিকে অগ্রসর হলেন তখন রাত ঠিক ৮ টা কিংবা ৯ টা মাইন পুতে রাখা প্রায় শেষ ইতিমদ্ধে খানসেনাদের টহল টিমের গাড়ির শব্দ সাথে সাথে সব মুক্তিযোদ্ধা যে যার মত সরে গেলেন। ২০০ গজের মত সরে জাওয়ার সাথে সাথে চারি দিকে বিকট শব্দে মাইন ফাটতে শুরু করলো ।আর মাইনের আক্রমনে সাথে সাথে ব্যাচ্যারা পাকিদের দলেরর ৪ জনের সাথে সাথে মূত্য আর ৩ জন গুরুতর আহত হলেন। এর পর থেকে ভুলক্রমে সে রাস্তায় আর কখনও কোন খান সেনা আসেনি। সেই থেকে বন্ধ হয় ঐ রাস্তায় খান সেনার যোগাযোগ ব্যাবস্থা। ==
 
== :::::২৮ অক্টোবার ১৯৭১:::: ==
 
== :::টুনির হাটের যুদ্ধ: ==
 
== ঠিক সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত, ভোর ৪.৪০ মিনিট সবচেয়ে বড় যুদ্ধ হয় ডিমলার টুনিরহাটে ==
 
== এই যুদ্ধে অংশগ্রহন করে ৪ টি কম্পানি ==
 
== মাহাবুব কম্পানি,মনির কম্পানী, সিদ্দিক কম্পানী ও রওশন কম্পানী। ==
 
== আমাদের যোদ্ধাদের হাতে অস্ত্র ছিল ==
 
== থ্রি নট থ্রি ,রাইফেল, ==
 
== টি এল,এম,জি,২২টি ==
 
== টুইন মটরস ৫টি, ==
 
== এমটি পার্সোনাল ১৬/১৪ মাইন, ==
 
== এস এল আর ৫টি ==
 
== সহ আর ও বেশ কটি অস্ত্র যে যার মত পজিশন নিয়েছে টুনির হাট মুক্ত করতেই হবে, হানাদারদের উৎখাত করতে সব প্রস্তুতি শেষ ==
 
== সময় শুধু সকালের অপেক্ষা ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথে যুদ্ধ শুরু ।চারটি কম্পানীর প্রায় ৫০০ থেকে ৫৫০ জনের মুক্তিযোদ্ধার দল। চোখে মুখে বীজয়ের নেশা সাথে সাধারন মানুষ অনুপ্রেরণা। চলছে প্রচন্ড গোলাগুলি দুই দিক হতে শুধু গুলির আওয়াজ আর আওয়াজ,, ইতি মদ্ধে আমাদের একজন যোদ্ধা রণাঙ্গনে গুলিবিদ্ধ হয়ে তার পেটের ভুড়ি বের হয়ে গেল বীরমুক্তিযোদ্ধা শহীদ আরশাদ আলীর সহযোদ্ধারা তাকে কাধে করে নিয়ে গেলেন মুক্ত অন্চলে বর্তমান আরশাদ গঙ্জে কিছুক্ষন বেঁচে থাকার পর প্রচন্ড যন্ত্রনায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পরেন তিনি। পরে তাকে বর্তমানে আরশাদগঞ্জে ,সেখান আমাদের বর্তমান সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকার ও উপজেলার চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা তবিবুল ইসলাম সহ সকল সহযোদ্ধা সমাহীত করেন। বর্তমানে তার কবরটি সৃতি হিসাবে সংরক্ষন করা হয়েছে। ==
 
== আর গুরুতর অবস্থায় ধরা পরেন বীরমুক্তিযোদ্ধা শহীদ শামছুল হক তাকে পাকসেনারা ধরে নিয়ে আসেন ডিমলা রামডাংগা পুরান থানা ক্যাম্পে ।দুজনে মাহাবুব কম্পানির যোদ্ধা। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীদের পিছু হটার সময় টুনিরহাটের বেশ কটি গ্রামের ১২০টির মত ঘর বাড়ি জ্বালিয়ে দেন, এই যুদ্ধে খান সেনার ৯ জন সদস্য নিহত হন আহত হন ৬ জনের মত ।সেখান থেকে পিছু হটে খান সেনার চলে আসেন ডিমলার ক্যাম্পে, মুক্ত হয় টুনির হাট অন্চল ==
 
== আর পাকিবাহিনী পিছু হটার সময় রনাঙ্গনে আহত যোদ্ধা শহীদ শামছুল হককে পা বেধে মাটির সাথে চেচরায় নিয়ে আসেন রামডাঙ্গা পূরান থানা ক্যাম্পে সারারাত পাশবিক নির্যাতন, বেয়নেট দিয়ে খুচিয়ে খুচিয়ে হর্ত্যা করা হয়, হত্যার পর তার লাশ ফেলে দেওয়া হয় পাশের জঙ্গলে। রামডাঙ্গা এলাকার বেশ ক জন মানুষ ভয়ে ভয়ে কোন রকম তাকে মাটি চাপা দিয়ে সমাহিত করেন । এখন তার কবরটি মাননীয় সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকার নিজের উদ্দগ্যে সংরক্ষন করেছেন। ==
 
== :::::৬ নভেম্বর১৯৭১::::::: ==
 
== শুটিবাড়িতে পাক বাহিনীর ক্যাম্প অপারেশন প্রস্তুতি নিয়েছিলেন পরিকল্পনা মত যথাক্রমে মতিন কম্পানী, হারেছ কম্পানী ও রওশন কম্পানী তিন কম্পানী মিলে পাক বাহিনীর টহল টিমের উপর গেরিলা পদ্ধতিতে আক্রমন শুরু।অতর্কিত আক্রমনে পাক বাহিনীর দুই সদস্য আহত হয় এবং পাক বাহীনির দল যুদ্ধস্থল থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয় ।পালিয়ে যাবার সময় পাক হানাদাররা ১২০ টি ঘর বাড়ি জ্বালিয়ে দেয় এবং বেশ কজন সাধারণ মানুষকে হত্যা করেন। সেই দিন শঠিবাড়ি বাজার হানাদার মুক্ত হয় খানসেনারা পালিয়ে আসে ==
 
== শঠিবাড়ি বাজারের ভিতরে তাদের গন কবর দেওয়া হয়।তাদের সৃতি সংরক্ষনে সেখানে বীরমুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকারের নিজ উদ্দগ্যে সৃতি সংরক্ষনের ব্যাবস্থা করেন। ==
 
== ::::::১০ ডিসেম্বর ১৯৭১ ::::::: ==
 
== ,,,, দূর্ঘটনা,..... ==
 
== মাইন বিস্ফোরন: ==
 
== যুদ্ধ চলাকালীন সময় ডিমলায় পাকিস্তানি হানাদারদের চলাচলের বিভিন্ন রাস্তায় মুক্তিযোদ্ধার মাইন পুতে রাখেন। যুদ্ধ শেষ প্রায় এবার পুতে রাখা মাইন তোলার পালা, বিভিন্ন স্থানে পুতে রাখা মাইনের আক্রমনে বেশ কটি কৃষকের গরু মারা যায় তাই মাইনগুরো তুলে নিরস্ত্রীয় করতে হবে। মাইন তোলা শুরু ও নিষ্ক্রয়র কাজ শুরু চোখে মুখে যেমন বীজয়ের নেশা, মুক্তিযোদ্ধারা পরিবারের কাছে ফিরে যাবে তাদের মন পরে আছে বাড়িতে, তারপড়ও সব মাইন তুলে জমা করতে হচ্ছে ক্যাম্পে ( বর্তমান ঠাকুরগঙ্জ বাজারের পাশে বালাপাড়া বিওপি ক্যাম্পের সাথে ধউলুর বাসার পাশে) ছিলো মুক্তিযোদ্ধার ক্যাম্প সেখানে সব মাইন তুলে রাখা হলে। ক্যাম্পে যে যার মত, দেশ স্বাধীন হয়েছে চোখে মুখে বাড়ি,প্রিয়জন,পরিবারে কথা দেশ স্বাধীন হয়েছে, ক্যাম্পে১০০/১৫০ টি জমা রাখা মাইন গুলো তো নিস্ক্রীয় করতে হবে মনির কম্পানির টু আইসি সহ ৭ জন সদস্য ক্যাম্পের জমার রাখা মাইন নিস্ক্রীয়র কাজে ব্যাস্ত। কে জানে? ঘটে গেল দূর্ঘটনা, অসাবধানতার কারনে সেখানে একটি মাইন বিস্ফরন হওয়ার সাথে সাথে বাকি মাইন গুলো ফাটতে শুরু হল। সেই দূর্ঘটনার ফলে ক্যাম্পে থাকা ৭ জন বীরযোদ্ধার প্রান দিতে হলো বীজয়ের পরও, কারো মাথা উরে গেলে ধান খেতে কারও পা উরে পরে আছে বাশ ঝারে, কারও পেটের ভুড়ি বাসের আগায় এমনটি ঘটেছিল সে দিন। বর্তমানে সেখানে শহীদ মুক্তিযোদ্ধার কবর ও হিন্দু মুক্তিযোদ্ধার সমাহিত মন্দীর তৈরি করা হয়ে। ==
 
== দীর্ঘ যুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাণের বিনিময় মুক্ত হয় ডিমলা।তাই ১১ ডিসেম্বর ডিমলা মুক্ত দিবস হিসেবে পালন করা হয়। ==
 
== ডিমলা মুক্ত করার পর ==
 
== #মাহাবুব কম্পানী গোমনাতী হয়ে বোড়াগাড়ি ডোমার হয়ে নটখানায়, ==
 
== #সিদ্দিক কম্পানী ডিমলা সদর হয়ে শৈলার ঘাট দিয়ে নীলফামারি নটখানায় ==
 
== #মনির কম্পানী,রওশন কম্পানী,মতিন কম্পানী শটিবাড়ি,ডালিয়া,চাপানি,জলঢাকা,কৈমারি,কিশোরগঞ্জ হয়ে নটখানায় ==
 
== সকল কম্পানী নীলফামারি প্রধান ক্যাম্পে মিলিত হয়। ==
 
== #হারেছ কম্পানি সরাসরি রংপুর ক্যাম্পে মিলিত হয়। ==
 
== এরপর ধিরে ধিরে পাকবাহিনীরা পালাতে থাকে মুক্ত হয় আমাদের ডিমলা ==
 
== চার দিক থেকে আক্রমনের ফলে পাক বাহিনী আত্তসমর্পণ করে । ==
 
== ১১ ডিসেম্বর মুক্ত হয় আমাদের ডিমলা,,,, ==
 
== তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে: ==
 
== যুদ্ধ কালিন কম্পানি কমান্ডার: ==
 
== যুদ্ধাহত বীরমুক্তিযোদ্ধা ==
 
== এ,জেড সিদ্দিক( সিদ্দিক কম্পানী) কমান্ডার :বীরমুক্তিযোদ্ধা ==
 
== মনিরুজ্জামান মনির( মনির কম্পানী) ==
 
== ও ==
 
== বীর মুক্তিযোদ্ধা: জনাব আশরাফ আলী চাচা. ==
 
== ধন্যবাদ ছোট ভাই :আশিক ==
 
== আমাকে সর্বাত্বক সহযোগিতা ও তথ্য সংগ্রহে সময় দেওয়ার জন্য। ==
 
== বিঃদ্রঃ আমরা জানি অনেক তথ্য তুলে ধরতে পারিনি বা আমাদের অনেক তথ্য জানা নেই। যদি কারও জানা থাকে তাহলে যুক্ত করবেন। ==
*[[রংপুর বিভাগ]]
*[[বাংলাদেশের জেলাসমূহ]]