মেহেরগড়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Ishtiak Mortuza (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
Ishtiak Mortuza (আলোচনা | অবদান)
→‎প্রথম পর্যায়: বিষয়বস্তু যোগ
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৫৫ নং লাইন:
মেহেরগড় সভ্যতার প্রথম পর্যায় (৭,০০০ - ৫,৫০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ) ছিল মৃৎশিল্পপূর্ব [[নব্যপ্রস্তরযুগ|নব্যপ্রস্তরযুগীয়]] (aceramic neolithic)। কিছু অর্ধ-যাযাবর জাতির লোক [[গম]] ও [[যব]] চাষ এবং [[ভেড়া]], [[ছাগল]] ও [[গাভী]] জাতীয় [[গবাদিপশু]] পালনের মাধ্যমে এই অঞ্চলের প্রাথমিক কৃষিব্যবস্থা গড়ে তুলেছিলেন। এখানকার অধিকাংশ ঘরবাড়ি ছিল চার কামরাবিশিষ্ট কাদামাটির তৈরি। এখানে বেশকিছু কবরের সন্ধান পাওয়া গেছে, যার ভেতরে ছিল ঝুড়ি, পাথর এবং হাড়ের সরঞ্জাম, জপমালা, চুড়ি, দুল এবং মানুষ ছাড়াও মাঝেমধ্যে বলি দেওয়া পশুর কঙ্কাল ইত্যাদি। এখানে প্রাপ্ত প্রত্নবস্তুর মধ্যে রয়েছে [[ঝিনুক|ঝিনুকের খোল]], [[চুনাপাথর]], [[টারকোয়েজ]], [[ল্যাপিস লাজুলি]] এবং [[বেলেপাথরের]] [[অলঙ্কার]], বিভিন্ন প্রাণী ও নারীর [[মূর্তি]] ইত্যাদি। সমুদ্রতীর ও বর্তমান [[আফগানিস্তান|আফগানিস্তানের]] [[বাদাখশান]] (লাপিস লাজুলির মূল উৎস) থেকে এত দূরে ঝিনুকের খোল ও লাপিস লাজুলির প্রাপ্তি ঐসব অঞ্চলের সাথে এই সভ্যতার যোগাযোগের প্রমাণ দেয়। একটা কবরের মধ্যে একটা এবং উপর থেকে আরও বেশ কয়েকটা একপৃষ্ঠীয় প্রস্তর কুঠার (single ground stone axe) পাওয়া গিয়েছিল, যা [[দক্ষিণ এশিয়া|দক্ষিণ এশিয়ায়]] প্রাপ্ত এজাতীয় প্রাচীনতম নিদর্শন।
 
মেহেরগড়ের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায় [[কিলি গুল মোহাম্মদ]] নামক আরেকটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানের সমকালীন, তাই এ অঞ্চলের মৃৎশিল্পপূর্ব নবপ্রস্তরযুগীয় পর্যায়কে (৭,০০০ - ৫,০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ) এখন 'কিলি গুল মুহাম্মাদ পর্যায়' বলা হয়, যদিও কিলি গুল মুহাম্মাদ স্থানটি ৫,৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের। <spanref>Mukhtar class="plainlinksAhmed, neverexpand">[https://books.google.ca/books?id=HbvTBAAAQBAJ&pg=PA387#v=onepage&q&f=false ''Ancient Pakistan - An Archaeological History.''] Volume II: A Prelude to Civilization. Amazon, 2014 {{ISBN|1495941302}} p387</spanref>
 
২০০১ সালে প্রত্নতাত্ত্বিকেরা প্রাচীন মেহেরগড় সভ্যতার দু'জন লোকের দেহাবশেষ নিয়ে গবেষণাকালে আবিষ্কার করেন, এই সভ্যতার লোকেরা আদি দন্তচিকিৎসা সম্পর্কে জানতো। ২০০৬ সালের এপ্রিল মাসে বৈজ্ঞানিক জার্নাল "নেচারে" ঘোষণা করা হয়, জীবিত মানুষের দাঁত বাঁধানোর প্রাচীনতম (এবং প্রথম প্রারম্ভিক নবপ্রস্তরযুগীয়) প্রমাণ মেহেরগড়ে পাওয়া গেছে। লেখকদের মতে, তাদের আবিষ্কার ঐ অঞ্চলের প্রারম্ভিক কৃষিভিত্তিক সভ্যতার আদি দন্তচিকিৎসার ঐতিহ্যকে নির্দেশ করে। "এখানে আমরা পাকিস্তানের নবপ্রস্তরযুগীয় গোরস্থানে আবিষ্কৃত নয়জন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির এগারোটি বাঁধানো [[দাঁত|দন্তমুকুট]] বর্ণনা করেছি যা ৫,৫০০ থেকে ৯,০০০ বছর আগের। এগুলো প্রারম্ভিক কৃষিভিত্তিক সভ্যতায় এক প্রকার আদি দন্তচিকিৎসার দীর্ঘ ঐতিহ্যের প্রমাণ।" <spanref classname="plainlinks neverexpandCoppa">Coppa, A. et al. 2006. [httpshttp://www.nature.com/articlesnature/journal/v440/n7085/pdf/440755a.pdf "Early Neolithic tradition of dentistry: Flint tips were surprisingly effective for drilling tooth enamel in a prehistoric population."] ''Nature''. Volume 440. 6 April 2006.</spanref>
 
== তথ্যসূত্র ==