ব্যুত্থান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সংশোধন, রচনাশৈলী, হালনাগাদ করা হল
রচনাশৈলী
২০ নং লাইন:
| website = [http://www.ibufhq.org/ আন্তর্জাতিক ব্যুত্থান ফেডারেশন]
}}
'''ব্যুত্থান''' (অর্থ ‘স্বতন্ত্রের সাথে প্রতিরোধ’ অথবা ‘উত্থান লাভ করা’) একটি বাংলাদেশী [[মার্শাল আর্ট]] এবং কমব্যাট স্পোর্টস। এটি 'আত্মরক্ষা ও ব্যক্তিগত উন্নয়নের পদ্ধতিগত কলাকৌশল' যার শেকড় দক্ষিণ এশিয় ঐতিহ্যে প্রোথিত।<ref name="banglatribune.com">''[http://www.banglatribune.com/sport/news/64651/ জাতীয়-ব্যুত্থান-সমাপ্ত]'', ব্যুত্থান প্রতিযোগিতা, বাংলা ট্রিবিউন। বাংলা ট্রিবিউন থেকে প্রকাশের তারিখ: ২৬-১২-২০১৫ খ্রিস্টাব্দ।</ref> সুপারহিউম্যান [[ম্যাক ইউরিইউরী]], একজন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মার্শাল আর্ট গ্র্যান্ড মাস্টার ও ‘ব্যুত্থানের’ স্থপতি। ব্যুত্থানকে বলা হয় সংঘাত রহিতকরণ ও জীবন ক্ষমতায়নের পথ যা শারীরিক, মানসিক এবং আত্মিক ভারসাম্য তৈরি করে। আন্তর্জাতিক ব্যুত্থান ফেডারেশনের নির্দেশনায় এই মার্শাল আর্ট পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে একটি কমব্যাট স্পোর্টস হিসেবে অনুশীলিত হয়ে আসছে।<ref name="prothomalo.com">''[http://www.prothomalo.com/bangladesh/article/722970/ ব্যুত্থান]'',জাতীয়-ব্যুত্থান-প্রতিযোগিতা-সমাপ্ত,। প্রথম আলো থেকে প্রকাশের তারিখ: ২৭-১২-২০১৫ খ্রিস্টাব্দ।</ref>
 
==ইতিহাস==
ব্যুত্থান মূলত একটি [[সংস্কৃত]] শব্দ যার অর্থ হচ্ছে ‘স্বতন্ত্রের সাথে প্রতিরোধ’ অথবা ‘উত্থান লাভ করা ‘। [[দক্ষিণ এশিয়া|দক্ষিণ এশিয়ার]] ঐতিহ্য ভিত্তিক একটি মার্শাল আর্ট হিসেবে ব্যুত্থানের গোড়াপত্তন করেন গ্র্যান্ড মাস্টার ম্যাক ইউরি। পশুপতি শিলাচিত্র, যা মানব ইতিহাসের সবচেয়ে প্রাচীন মনোদৈহিক প্রশিক্ষণের প্রমাণ,আবিষ্কৃত হয়েছে মহেঞ্জোদারোর[[মহেঞ্জোদাড়ো|মহেঞ্জোদাড়োর]] প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানে।<ref name=ds>{{cite web |url=https://www.thedailystar.net/the-thundershin-man-63415 |date=February 6, 2015 |title=The Thundershin Man: In Conversation with Martial Arts and Security Expert Mak Yuree |accessdate=May 20, 2020 |publisher=[[দ্য ডেইলি স্টার]]}}</ref><ref>{{cite news |work=[[টাইমস অফ ইন্ডিয়া]] |date=June 21, 2019|accessdate=28 May 2020|url=https://timesofindia.indiatimes.com/blogs/toi-edit-page/how-ancient-is-yoga-seals-recovered-from-indus-valley-civilisation-sites-tell-a-fascinating-story/ |title=How ancient is yoga? Seals recovered from Indus valley civilisation sites tell a fascinating story}}</ref>
 
ঐতিহাসিক ভাবে ভারত উপমহাদেশ হচ্ছে আত্মরক্ষার প্রাচীনতম পদ্ধতিগত কৌশল তথা মার্শাল আর্টের উৎপত্তি স্থল। ভারতীয় বৌদ্ধ ভিক্ষু বোধিধরমা ৫২০ খ্রিস্টাব্দে ভারতের [[কাঞ্চিপুরাম]] থেকে চীনের শাওলিন টেম্পলে গমন করেন । পরবর্তীতে এই পদ্ধতিগত আত্ম রক্ষার কলাকৌশলগুলো উৎকর্ষতা লাভ করে শাওলিন টেম্পলে। অতঃপর তিনি সেখানকার ভিক্ষুদের কাছে সমৃদ্ধ মনো দৈহিক প্রশিক্ষণ উপস্থাপন করেন যা মানবদেহের সকল অভ্যন্তরীণ ও বাইরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গসমূহকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কয়েক হাজার বছরের মাঝে সিন্ধু সভ্যতার মার্শাল আর্টের প্রসারমান শিল্প কালক্রমে তার ঐতিহ্য হারিয়ে ফেলে। সুদীর্ঘ আড়াই হাজার বছর পরে এসেছেন বিশ্ব রেকর্ডধারী সুপারহিউম্যান গ্র্যান্ড মাস্টার আচার্য ইউরি বজ্রমুনি। তিনি তাঁর সুদীর্ঘ গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে ব্যুত্থানের গৌরবময় পতাকা উত্তোলন পূর্বক বিশ্বব্যপি মার্শাল আর্টের হারানো ঐতিহ্য পুনুরুদ্ধারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।<ref name="beta.thereport24.com">''[http://beta.thereport24.com/article/109903/index.html ব্যুত্থান ঐতিহ্য শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20171231225652/http://beta.thereport24.com/article/109903/index.html |তারিখ=৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ }}'',ব্যুত্থান ঐতিহ্য শীর্ষক সেমিনার,। দি রিপোর্ট ২৪ থেকে প্রকাশের তারিখ: ১১-৬-২০১৫ খ্রিস্টাব্দ।</ref> বাংলাদেশের শহর [[রাজশাহী|রাজশাহীতে]] ১৯৮১ সালে ব্যুত্থানের পথচলা শুরু হয় । ১৮৮৫ সালে রাজশাহী সরকারি কলেজে ম্যাক ইউরির নির্দেশনায় ব্যুত্থানের প্রথম জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ম্যাক ইউরির চল্লিশ ধরনের বিভিন্ন মার্শাল আর্টে দক্ষতা অর্জন এবং উন্নয়নমূলক গবেষণার মাধ্যমে ব্যুত্থান বিবর্তিত হয়েছে। ব্যুত্থান বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় ট্রেনিং ক্যাম্প স্থাপন ও অনুশীলনের দ্বারা প্রসার লাভ করে। ১৯৯০ সালের শুরুতে বিভিন্ন ধরনের নিরাপত্তা ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা যেমন স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা, [[বাংলাদেশ সেনাবাহিনী|সেনাবাহিনী]], [[বাংলাদেশ পুলিশ|পুলিশ]], [[র‍্যাব]], [[বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড|কোস্ট গার্ড]], [[জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনী]] তাদের প্রশিক্ষণের জন্য ব্যুত্থানকে গ্রহণ করে। ১৯৯১ সালে বার্মিজ গ্র্যান্ড মাস্টার খিং মং জি তাকে ঢাকায় বার্মিজ মার্শাল আর্ট বানডোর একটি ঐতিহ্য ভিত্তিক প্রমাণপত্র আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেন। এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশী মার্শাল আর্টিস্টদের দ্বারা ব্যুত্থান প্রদর্শিত হয় এবং দেশের তৎকালীন শীর্ষ প্রচারমাধ্যমগুলোতে প্রচারিত হয়। ১৯৯২ সালে আমেরিকান সেনা কর্মকর্তা ফ্রাঙ্ক হোয়াইট ব্যুত্থান কে বাংলাদেশের মানচিত্রের বাইরে প্রসারের উদ্যোগ নেন।<ref>{{cite news |work=[[Daily Star (Bangladesh)|Daily Star]] |date=March 8, 2015|accessdate=22 May 2020|url=https://www.thedailystar.net/bangladeshi-martial-artist-mak-yuree-on-ripleys-believe-it-or-not-1350 |title=Bangladeshi martial artist Mak Yuree on Ripley's Believe It Or Not}}</ref>
১৯৯৪ সালে বাংলাদেশের সকল ক্যাডেট কলেজগুলিতে শারীরিক শিক্ষার অংশ হিসেবে ব্যুত্থান বাধ্যতামূলক প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে যুক্ত হয়। আমেরিকার টেক্সাসে অবস্থিত ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাকাডেমির (এন এস এ) একজন প্রশিক্ষক অ্যান্ডি স্কট ব্যুত্থান কে যুক্তরাষ্ট্রে প্রচারে সহযোগিতা করেন। ব্যুত্থানকে সারা পৃথিবীব্যপি পরিচিত করার উদ্দেশ্যে ১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টোনে ওয়ার্ল্ড ব্যুত্থান ফেডারেশন গঠিত হয়। ২০০২ সালে ইংল্যান্ডে ব্যুত্থানের প্রশিক্ষক এবং পরামর্শকগণের উপস্থিতিতে এই প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করে 'ইন্টারন্যাশনাল ব্যুত্থান ফেডারেশন’ করা হয়। 'ইন্টারন্যাশনাল ব্যুত্থান ফেডারেশন’ দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া, ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রে মার্শাল আর্ট প্রচার করে থাকে। ২০০৪ সালে মায়ানমারের থাইং ফেডারেশন দেশের ৩২ জন গ্র্যান্ড মাস্টারের উপস্থিতিতে ব্যুত্থানের স্থপতি ম্যাক ইউরির সম্মানে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মায়ানমার ব্যুত্থানের বিশ্বব্যপি প্রচারণার সাথে তাদের একাত্মতা ঘোষণা করে।
 
ব্যুত্থান প্রচারের উদ্দেশ্যে ম্যাক ইউরিইউরী ২০০৫ সালে [[ইংল্যান্ড|ইংল্যান্ডের]] সুইনডন শহরে গমন করেন। সুইনডনের তৎকালীন মেয়র স্টিভ ওয়াক ফিল্ড ব্যুত্থানের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন এবং ব্যুত্থান প্রচারে সহযোগিতা করেন। ২০০৭ সালে ‘ওয়ার্ল্ড মার্শাল আর্ট হল অফ ফেইম‘ ম্যাক ইউরিকে ‘গ্র্যান্ড মাস্টার অব দ্য ইয়ার’ পদকে ভূষিত করে। যুক্তরাজ্য ভিত্তিক মার্শাল আর্ট বিষয়ক ম্যাগাজিন ‘কমব্যাট‘ ম্যাক ইউরিকে নিয়ে প্রচ্ছদ কাহিনী ছাপায়, যার ফলে মার্শাল আর্ট জগতে ব্যুত্থান বিশ্বব্যপি পরিচিতি লাভ করে। পরবর্তীতে এই ম্যাগাজিন এর সম্পাদক পল ক্লিফটন ব্যুত্থানের প্রচার ও প্রসারে আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করেন। উপরন্তু, সুইনডন শহরস্থ ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ ডেরেক মনটাতে, যুক্তরাজ্যে ব্যুত্থান প্রচারে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। ২০১০ সালে বারমিংহ্যাম, ইংল্যান্ডের এ অবস্থিত ন্যাশনাল এক্সহিবিশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল মার্শাল আর্ট এক্সহিবিশনে ইন্টারন্যাশনাল ব্যুত্থান ফেডারেশন প্রচারণা স্টল স্থাপনের মাধ্যমে অংশগ্রহণ করে। ২০১৩ সালে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশের একটি জাতীয় ক্রীড়া হিসেবে ব্যুত্থান অনুমোদন লাভ করে। ২০১৫ সালে '''মার্শাল আর্ট ইলাসট্রেটর''' ম্যাগাজিন তাদের প্রচ্ছদ কাহিনী হিসেবে ব্যুত্থানকে ঘিরে বিশেষ প্রবন্ধ প্রকাশ করে। ২০১৮ সালের এপ্রিলে [[ব্রনেই|ব্রনেই দারুস সালামের]] সরকার তাদের দেশে জাতীয় পর্যায়ে অনুশীলনের জন্য ক্রীড়া হিসেবে ব্যুত্থানকে আনুষ্ঠানিক ভাবে স্বীকৃতি দেয়।<ref name=observer>{{cite web |url=https://www.observerbd.com/details.php?id=137219 |date=May 12, 2018 |title=Brunei Butthan becomes member of Int'l Butthan Fed |accessdate=May 20, 2020 |publisher=[[দ্য ডেইলি অবজারভার]]}}</ref>
 
==ব্যুত্থান দর্শন ও চালচিত্র==