সরস্বতী (দেবী): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৭২ নং লাইন:
==স্কন্দপুরাণে==
 
জগতে সকল দেবতার তীর্থ আছে, শুধু ব্রহ্মার তীর্থ নেই – একথা ভেবে ব্রহ্মা পৃথিবীতে নিজের তীর্থ স্থাপনে উদ্যোগী হলেন। তিনি একটি সর্বরত্নময়ী শিলা পৃথিবীতে নিক্ষেপ করলেন। সেটি চমৎকারপুরে এসে পড়ল। ব্রহ্মা সেখানেই নিজের তীর্থ স্থাপন করবেন বলে ভাবলেন। ব্রহ্মার নির্দেশে তার স্ত্রী সরস্বতী পাতাল থেকে উঠে এলেন। ব্রহ্মা তাকে বললেন, “তুমি এখানে আমার কাছে সব সময় থাকো। আমি তোমার জলে ত্রিসন্ধ্যা তর্পণ করব।” সরস্বতী ভয় পেয়ে বললেন, “আমি লোকের স্পর্শ ভয় পাই বলে সব সময় পাতালে থাকি। কিন্তু আপনার আদেশ আমি অমান্যও করতে পারি না। আপনি সব দিক বিচার করে একটি ব্যবস্থা করুন।” তখন ব্রহ্মা সরস্বতীর অবস্থানের জন্য একটি হ্রদ খনন করলেন। সরস্বতী সেই হ্রদে অবস্থান করতে লাগলেন। ব্রহ্মা ভয়ংকর সাপেদের সেই হ্রদ ও সরস্বতীর রক্ষক নিযুক্ত করলেন।<ref>স্কন্দপুরাণ, নাগখণ্ড, ৪০</ref>
 
===উপপুরাণে (পৌরাণিক কাহিনী)===
৭৮ নং লাইন:
[[File:Gajalakshmi.jpeg|thumb|লক্ষ্মী ও সরস্বতী, [[রাজা রবি বর্মা]] অঙ্কিত]]
{{মূল নিবন্ধ|দেবীভাগবত পুরাণ}}
''দেবীভাগবত পুরাণ'' অনুসারে, দেবীপরম আদ্যাপ্রকৃতিরকুস্মন্দেরে তৃতীয় অংশে দেবী সরস্বতীর জন্ম। তিনি বিষ্ণুর জিহ্বাগ্র থেকে উৎপন্ন হয়েছেন। সরস্বতী বাক্য, বুদ্ধি, বিদ্যা ও জ্ঞানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী; সকল সংশয় ছেদকারিণী ও সর্বসিদ্ধিপ্রদায়িনী এবং বিশ্বের উপজীবিকা স্বরূপিনী। [[ব্রহ্মা]] প্রথম তাকে পূজা করেন। পরে জগতে তার পূজা প্রতিষ্ঠিত হয়। সরস্বতী শুক্লবর্ণা, পীতবস্ত্রধারিণী এবং বীণা ও পুস্তকহস্তা। তিনি [[নারায়ণ|নারায়ণের]] অন্যতমএর পত্নীথেকে হয়েছিলেন।সৃষ্টি হয় তাই তিনি তাকে স্বামী হিসেবে ভাবতে লাগলেন পরে তিনি গঙ্গার দ্বারা অভিশাপ পান ও পুনরায় শিবের চতুর্থ মুখ থেকে সৃষ্টি হন ও ব্রহ্মা কে পতি রূপে গ্রহণ করেন। তারপর কৃষ্ণ জগতে তার পূজা প্রবর্তন করেন [[মাঘ]] মাসের [[শ্রীপঞ্চমী|শুক্লপক্ষের পঞ্চমী]] তিথিতে তার পূজা হয়।<ref>''দেবীভাগবত পুরাণ'', নবম স্কন্ধ, অধ্যায় ১, ২ ও ৪</ref>
 
[[গঙ্গা (দেবী)|গঙ্গা]], [[লক্ষ্মী]] ও সরস্বতীআসাবারী (সরস্বতীর পূর্ব জন্মের নাম) ছিলেন নারায়ণের তিন পত্নী। একবার গঙ্গা ও নারায়ণ পরস্পরের দিকে তাকিয়ে হাসলে, তিন দেবীর মধ্যে তুমুল বিবাদ উপস্থিত হয়। এই বিবাদের পরিণামে একে অপরকে অভিশাপ দেন। গঙ্গার অভিশাপে সরস্বতীআসবারী নদীতে পরিণত হন। পরে নারায়ণ বিধান দেন যে, সরস্বতীতিনি এক অংশে নদী, এক অংশে ব্রহ্মার পত্নী ও এক অংশে তারশিবের সঙ্গিনীকন্যা হবেন এবং [[কলি যুগ|কলিযুগের]] পাঁচ হাজার বছর অতিক্রান্ত হলে সরস্বতী সহ তিন দেবীরই শাপমোচন হবে।<ref>''দেবীভাগবত পুরাণ'', নবম স্কন্ধ, অধ্যায় ৭</ref>
 
গঙ্গার অভিশাপে সরস্বতীঅসাবারি মর্ত্যে নদী হলেন এবং ব্রহ্মার প্রিয়তমা পত্নী ব্রাহ্মীহলেন ও শিবের চতুর্থ মুখ থেকে সৃষ্টি হয়ে তার কন্যা হলেন।<ref>''দেবীভাগবত পুরাণ'', নবম স্কন্ধ, অধ্যায় ৮</ref>
 
<br />
 
====শুক্ল যজুর্বেদ====
"শুক্ল যজুর্বেদ" অনুসারে, একসময় ইন্দ্রের শরীরের শক্তি চলে যাওয়ার ফলে তিনি মেষ আকৃতি গ্রহণ করেন। সেসময় ইন্দ্রের চিকিৎসার দায়িত্ব ছিল স্বর্গের অশ্বিনীদ্বয়ের উপর এবং সেবা-শুশ্রুষার ভার ছিল সরস্বতীর হাতে। সংগীত ও নৃত্যপ্রেমী ইন্দ্র সরস্বতীর গানবাজনা ও সেবায় সুস্থ হওয়ার পর তাকে মেষটি দান করেন।<ref>প্রত্নতাত্ত্বিক এন এস ভট্টসারি</ref>
 
 
রামায়ণ রচয়িতা বাল্মীকি যখন ক্রৌঞ্চ হননের শোকে বিহবল হয়ে পড়েছিলেন, সে সময় জ্যোতির্ময়ী ব্রহ্মা প্রিয়া সরস্বতী তার ললাটে বিদ্যুৎ রেখার মত প্রকাশিত হয়েছিলেন। <ref>বাল্মীকি রামায়ণ</ref>
 
সরস+বতী=সরস্বতী অর্থ জ্যোতিময়ী। ঋগ্বেদে এবং যর্জুবেদে অনেকবার ইড়া,ভারতী, সরস্বতীকে একসঙ্গে দেখা যায়। বেদের মন্ত্রগুলো পর্যালোচনায় প্রতীতী জন্মে যে, সরস্বতী মূলত সূর্যাগ্নি। <ref>শংকরনাথ ভট্টাচার্য</ref>