ইফতার কামান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Mahedi181 (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
সংশোধন
১ নং লাইন:
'''মিদফা আল ইফতার''' ({{lang-ar: |مدفع الافطار)}}; আক্ষরিক অর্থে ইফতারের কামান) হচ্ছে একটি প্রাচীন ঐতিহ্য, যা মিশরে শুরুউদ্ভুত হয়েছিল এবং পরবর্তীতে পার্শ্ববর্তী আরব দেশে গুলোতেদেশেগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। রমজান মাসে প্রতিদিন মাগরিবের আজানের কয়েক মিনিট আগেপূর্বে মানুষকে ইফতারের সময় অবহিত করতে কামান এরকামানের গোলা চালানো হত। সাধারনতহতো। আরবিসাধারণত রমজান মাসে মুসলিমরা সূর্য ডুবে যাওয়ার সাথে সাথে মাগরিবের সময় দীর্ঘ রোজা ভঙ্গ করে থাকেন।<ref name="History">[http://www.arabnews.com/node/386448]</ref>
 
== উৎপত্তি ==
প্রথমে আরব দেশগুলোতে পবিত্র রমজান মাসের সূচনা কামানের গোলা চালানোর মাধ্যমে শুরুর প্রচলন প্রথমে আরব দেশগুলোতে হয়ছিল, প্রতিদিন সূর্যাস্তের পর মাগরিবের নামাজেনামাজের আজানের সময় কামানের গোলা চালানোর মাধ্যমে রোজা ভাঙ্গারভঙ্গের ঘোষণা দেওয়া হয়।হতো। ঘড়ি, টিভি বা সেলফোনের আবিষ্কারের পূর্বে ইফতারের সময় হলে পুরো শহরকে কামানের এই বিস্ফোরণের শব্দে অবহিত করা হত।হতো। এই পদ্ধতিরপদ্ধতি পিছনেবিষয়ে [[কায়রো]] নগরী কেন্দ্রিক দুটি গল্প জড়িত।রয়েছে। কিছু ঐতিহাসিকের মতে প্রথাটি দশম শতাব্দীতে [[মিশরের ইতিহাস|মিশরে]] চালু হয়, যখন ফাতিমি খলিফাদের একজন কায়রোর মুকাতাম পার্বত্য অঞ্চলে একটি কামান স্থাপনের নির্দেশ দিলেন, যাতে সমস্ত মুসলমান তাদের রোজা ভাঙারভঙ্গের সংকেত শুনতে পান। অপর একটি সূত্র মতে এটি প্রায় দুই শতাব্দী আগেপূর্বে [[মামলুক]] শাসক খোশ কদমের শাসনকালে শুরু হয়েছিল। কথিত আছে যে একদা সুলতানকে একটি কামান দেওয়া হয়েছিল, তিনি সেটি পরীক্ষার করার জন্য তাঁর সৈন্যদের গুলি চালানোর নির্দেশ দেন, কাকতালীয়ভাবে তখন রমজান মাস ছিল এবং সময়টা ছিল সূর্যাস্তের মুহূর্তে।মুহূর্ত। এ শব্দকে কায়রোর জনগণ ইফতারের সংকেত হিসেবেমনে নিয়ে ফেলে।করেছিল। এই পদ্ধতি মিশরের জনগনের কাছে এতটাই পছন্দনীয় হয় যে তারা সুলতানকে অভিবাদন জানাতে প্রাসাদে জমা হয়ে যায়।হয়েছিল। পিতার প্রতি জনগনেরজনগণের এরুপ ভালোবাসা দেখে সুলতানের মেয়ে হাজজা ফাতিমাহ সুলতানকে প্রতিদিন ইফতারির জন্য কামান চালানোর অনুরোধ জানান। সুলতান এতে সম্মত হন, এভাবেই মিদফা আল ইফতার এরইফতারের প্রচলন শুরু হয়, স্থানীয়স্থানীয়ভাবে ভাবে এটিকেএটি হাজজা ফাতিমাহের নামানুসারেও পরিচিত। আজ অবধিপর্যন্ত, ইফতার ঘোষণার জন্য মুকাতামের মালভূমিতে একটি কামান স্তাপিতস্থাপিত রয়েছে।
 
== অন্যান্য দেশসমূহে ইফতার কামান ==
*{{flaguflag|সৌদি আরব}} - বেশ কয়েকটি কামান সৌদি আরবে অবস্থিত, বিশেষত হেজাজ অঞ্চলের শহরগুলিতেশহরগুলোতে (যেমন [[মক্কা]], [[জেদ্দা]] এবং [[মদিনা]])।<ref name="History">[http://www.arabnews.com/node/386448]</ref>
*{{flaguflag|সংযুক্ত আরব আমিরাত}} - সম্প্রতি [[দুবাই]]য়ে দুটি নতুন অবস্থানস্থানে কামান যুক্ত করেছেকরা যেখানেহয়েছে, যেন পর্যটকরা গিয়ে কামানের গোলা দেখতে পারে। এখানে উনবিংশ শতাব্দীতে সুলতান [[বিন সাকার আল-কাসিমি]] দ্বারা প্রথম কামান নিক্ষেপ করা হয়েছিল।<ref name="Tradition">[https://english.alarabiya.net/en/special-reports/ramadan-2013/2013/07/21/Keeping-alive-the-tradition-of-the-Ramadan-Cannon-.html]</ref>
*{{flaguflag|ইয়েমেন}} - রাজধানী [[সানা]] এর উপরেয় ইফতার কামানের আওয়াজ শোনা যায়, যদিও চলমান গৃহযুদ্ধের সাথেজন্য এটি এখনও অব্যাহত রয়েছেচলমান রয়েচেহ কিনা তা নিশ্চিত নয়।<ref name="Tradition"/>
 
==তথ্য সূত্র==
{{সূত্র তালিকা}}
 
[[Categoryবিষয়শ্রেণী:ইসলামিক প্রতীক]]
[[Categoryবিষয়শ্রেণী:রমজান]]
[[Categoryবিষয়শ্রেণী:মিশরীয় সংস্কৃতি]]
[[Categoryবিষয়শ্রেণী:আরব সংস্কৃতি]]