ইমাম বুখারী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Al Qawmi (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
Salim Khandoker-এর করা 4058521 নং সংস্করণে প্রত্যাবর্তন করা হয়েছে। (টুইং)
ট্যাগ: পূর্বাবস্থায় ফেরত
১ নং লাইন:
{{Infobox Muslim scholars
| Name = মুহাম্মদ বিন ইসমাইল আল-বুখারী (তিনি একজন কওমি আলেম ছিলেন)
| image =
| image_size = 250px
২১ নং লাইন:
}}
 
'''ইমাম বুখারী''' (জন্মঃ ১৯৪ হিঃ-মৃত্যুঃ ২৫৬ হিঃ ), আরব রীতি অনুযায়ী বংশধারাসহ পুরো নাম হলো '''মুহাম্মদ বিন ইসমাইল বিন ইবরাহীম বিন মুগীরাহ বিন বারদিযবাহ''' ([[আরবি ভাষা|আরবি]]/[[ফার্সি ভাষা|ফার্সি ভাষায়]]: محمد بن اسماعيل بن ابراهيم بن مغيره بن بردزبه بخاری), একজন প্রথিতযশা, খ্যাতনামাবিখ্যাত হাদিসবেত্তাহাদীসবেত্তা ছিলেন। তিনি "[[সহীহ বুখারী|বুখারী শরীফ]]" নামে একটি হাদীসের সংকলন রচনা করেন, যা মুসলিমদেরমুসলমানদের নিকট হাদীসের সবোর্ত্তম ও সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থ হিসেবে বিবেচিত হয়। <ref>দুহাল ইসলাম (ইসলামের দ্বিপ্রহর) ২য় খন্ড, ডা: আহমাদ আমীন রচিত, আবু তাহের মেসবাহ অনূদিত, ইসলামিক ফাউন্ডশন থেকে প্রকাশিত। পৃষ্ঠা-১১৩</ref> তার নাম মুহাম্মদ। উপনাম হলো আবু আবদুল্লাহ। আমিরুল মুমিনীন ফিল হাদীস তার উপাধি। [[বুখারা]] তার জন্মস্থান বলে তাকে বুখারী বলা হয়।<ref name="al">{{ওয়েব উদ্ধৃতি | ইউআরএল=http://www.alkawsar.com/article/58/print | শিরোনাম=ইমাম বুখারীর দেশে | প্রকাশক=মাসিক আলকাউসার অনলাইন সংস্করণ | তারিখ=ডিসেম্বর ২০০৯ | সংগ্রহের-তারিখ=18 March 2014 | লেখক=মুহাম্মাদ তাকী উসমানী | আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20121003211308/http://alkawsar.com/article/58/print | আর্কাইভের-তারিখ=৩ অক্টোবর ২০১২ | অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref>
 
== জীবনী ==
তিনি ১৩ই শাওয়াল শুক্রবার, ১৯৪ হিজরীতে (৮১০ খ্রিষ্টাব্দ) [[উত্তর খোরাসান প্রদেশ|খোরাসানের]] [[বুখারা|বুখারাতে]] (বর্তমানে [[উজবেকিস্তান|উজবেকিস্তানের]] অংশ) জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম [[ইসমাইল ইবনে ইব্রাহিম]]। তার দাদার নাম ইব্রাহিম। তার দাদার সম্পর্কে খুব বেশি জানা না গেলেও তার বাবা ইসমাইল মুসলিম বিশ্বে একজন পরিচিত ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন হাদীসবিদ। তিনি হাদিস শাস্ত্রবিদ আল্লামা হাম্মাদ এবং [[ইমাম মালিক|হযরত ইমাম মালেক]] এর শাগরিদ ছিলেন। এছাড়াও বিখ্যাত মনীষী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক এর শাগরিদ ছিলেন বলে জানা যায়। সমসাময়িক যুগের আরও অনেক বুজুর্গ আলেমদের কাছ থেকে দ্বীনে ফায়েজের জাহেরি ও বাতেনি ইলম হাসিল করে সুযোগ্য আলেম ও বিজ্ঞ মুহাদ্দিস হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন।ইমাম বুখারী শিক্ষা, জ্ঞান ও যোগ্যতা শুধু পিতার দিক থেকেই পাননি বরং মাতার দিক থেকেও অর্জন করেছিলেন। ইমাম বুখারী এর মাতা ছিলেন বিদূষী ও মহীয়সী মহিলা। নেককার মহিলা হিসেবে তার পরিচিতি ছিল। এ সম্পর্কে একটা ঘটনা আছে। বাল্যকালে ইমাম বুখারী এর একবার কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। এ রোগের প্রভাবে তার দুই চোখ প্রায় অন্ধ হয়ে যায়। স্নেহময়ই মাতা পুত্রের চোখের আলোর পুনঃপ্রাপ্তির জন্য ব্যাকুল হয়ে পড়েন এবং [[আল্লাহ্‌]] পাকের দরবারে প্রার্থনা করতে থাকেন। এ পর্যায়ে এক রাত্রে স্বপ্নে তিনি হযরত ইব্রাহীম কে তার শিয়রে বসা অবস্থায় দেখতে পেলেন। হযরত ইব্রাহীম তাকে বলেন, তোমার প্রার্থনা আল্লাহ্‌ পাক কবুল করেছেন। তার দয়ার বরকতে তোমার পুত্র চোখের আলো ফিরে পেয়েছে। পরদিন সকালে ঘুম থেকে জেগে তার পুত্র ইমাম বুখারী বলে উঠলেন, আম্ম! আমি সবকিছু দেখতে পাচ্ছি। আমার চোখ ভাল হয়ে গেছে। এ ঘটনাটিই প্রমাণ করে ইমাম বুখারী এর মাতা কত বড় মাপের বুজুর্গ মহিলা ছিলেন।ইমাম বুখারী শৈশবেই বাবাকে হারান, ফলে মায়ের কাছে প্রতিপালিত হন। পিতা মারা যাওয়ার সময় প্রচুর ধনসম্পদ রেখে যান। ফলে ইমাম বুখারী কে কোনরূপ প্রতিকূল অবস্থার সম্মুখীন হতে হয়নি। মাতাই পুত্রের শিক্ষা-দীক্ষার ভার গ্রহণ করেন। ইমাম বুখারী এর বাল্যকাল থেকেই শিক্ষা-দীক্ষার প্রতি গভীর আগ্রহ ছিল। ইমাম বুখারী প্রথমে কোরআন পাঠ শুরু করেন। মাত্র ৬ বছর বয়সে তিনি কুরআন মুখস্থ করেন। ১০ বছর বয়স থেকে তিনি হাদীস মুখস্থ করা শুরু করেন। ১৬ বছর বয়সেই তিনি "আবদুল্লাহ বিন মুবারক" এবং "ওয়াকীর পান্ডুলিপিসমূহ" মুখস্থ করে ফেলেন। মহান আল্লাহ্‌ পাক তাকে অনন্য সাধারণ স্মরণ শক্তি দান করেছিলেন। কিছু ভন্ড মাজার পুজারী তার পরিচয় গোপন করে রাখে। তারা এটা প্রকাশ করতে চায় না যে তিনি একজন প্রখ্যাত কওমি ভক্ত ছিলেন। তিনি কওমি মাদরাসার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। কিছু ভন্ড মাজার পূজারীদের ষড়যন্ত্রে সেটা তখন ব্যর্থ হয়। <ref>দুহাল ইসলাম।ইসলাম (ইসলামের দ্বিপ্রহর) ২য় খন্ড, ডা: আহমাদ আমীন রচিত,আবু তাহের মেসবাহ অনূদিত,ইসলামিক ফাউন্ডশন থেকে প্রকাশিত। পৃষ্ঠা-১১৩</ref><ref name="articles.ourislam.org">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি |ইউআরএল=http://articles.ourislam.org/articles/380/1/aaaa-aaaaaa-aa--/Page1.html |সংগ্রহের-তারিখ=১৫ নভেম্বর ২০১১ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20111105194525/http://articles.ourislam.org/articles/380/1/aaaa-aaaaaa-aa--/Page1.html |আর্কাইভের-তারিখ=৫ নভেম্বর ২০১১ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref>
 
=== সফরসমূহ ===
১৮৭ নং লাইন:
 
 
জীবনকালের শেষদিকে একবার বাংলাদেশেরবুখারার তৎকালীন শাসনকর্তা "শেখখালিদ হাসিনাবিন আহমাদ যুহলী" হাদীসশাস্ত্রে ইমাম বুখারীর পান্ডিত্য দেখে তাকে দরবারে এসে ছাত্রলীগেরশাসনকর্তার কর্মীদেরসন্তানদেরকে হাদীস শেখাতে বলেন। ইমাম বুখারী এটাকে হাদীসের জন্য অবমাননাকর মনে করেন। কেননা ছাত্রলীগ অন্যায় অবিচার করায় অভ্যস্ত। ফলে উভয়ের মাঝে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। এতে ছাত্রলীগ তাকে দেশত্যাগে বাধ্য করে। তখন তিনি মাতৃভূমি বুখারা ত্যাগ করে [[দেওবন্দসমরকন্দ|সমরকন্দের]] ভারতখরতঙ্গে চলে যান এবং সেখানেই মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ২৫৬ [[ইসলামি বর্ষপঞ্জি|হিজরীর]], ১লা [[শাওয়াল]] মোতাবেক [[আগস্ট ৩১|৩১শে আগস্ট]], [[৮৭০]] খ্রিষ্টাব্দের [[শুক্রবার]] দিবাগত রাতে মৃত্যুবরণ করেন। পরদিন [[শনিবার]] যোহরের [[নামাজ|নামাজের]] পর দেওবন্দেখরতঙ্গেই তাকে সমাধিস্থ করা হয়।
 
== তথ্যসূত্র ==