অঞ্জলি ভাগবত: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
২ নং লাইন:
{{তথ্যছক খেলোয়াড়|name=অঞ্জলি ভাগবত|birth_name=অঞ্জলি রমাকান্ত বেদপাঠক|nationality=ভারতীয়|birth_date={{birth date and age|1969|12|5|df=y}}|birth_place=[[মুম্বাই]],[[মহারাষ্ট্র]], [[ভারত]]|sport=[[রাইফেল শ্যুটিং]]|country=[[ভারত]]}}'''অঞ্জলি ভাগবত''' (জন্ম ৫ই ডিসেম্বর, ১৯৬৯) একজন পেশাদার ভারতীয় [[শ্যুটার]]। ২০০২ সালে তিনি ১০ মিটার এয়ার রাইফেল বিভাগে বিশ্বে প্রথম স্থান দখল করেন। ২০০৩ সালে ৩৯৯ / ৪০০ স্কোর করে, তিনি [[মিলান|মিলানে]]<nowiki/>র প্রথম বিশ্বকাপ ফাইনালও জিতেছিলেন।
 
অঞ্জলি আইএসএসএফ চ্যাম্পিয়ন অফ চ্যাম্পিয়ন্স পুরস্কার জিতেছেন এবং ২০০২ সালে এয়ার রাইফেল পুরুষ ও মহিলা মিশ্র বিভাগে [[আইএসএসএফ]] চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি অর্জনকারী একমাত্র ভারতীয়। তিনি পর পর তিনটি [[অলিম্পিক|অলিম্পিকে]] ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন এবং ২০০০ সালের [[২০০০ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক|সিডনি অলিম্পিকে]] প্রথম ভারতীয় মহিলা শ্যুটার হিসেবে প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছন। তিনি [[কমনওয়েলথ গেমস]] এবং কমনওয়েলথ শুটিং চ্যাম্পিয়নশিপে ১২টি স্বর্ণ এবং ৪টি রৌপ্য পদক জিতেছেন। তিনি ১০ মিটার এয়ার রাইফেল এবং স্পোর্টস রাইফেলরাইফেলে তিন পোসিসন্সেঅবস্থানে (নত অবস্থান, নতজানু অবস্থান, দন্ডায়মান অবস্থান) কমনওয়েলথ রেকর্ডের অধিকারিণী। ২০০৩ আফ্রো-এশিয়ান গেমসে, ভাগবত যথাক্রমে স্পোর্টস রাইফেল তিন পোসিসন্সেঅবস্থানে এবং এয়ার রাইফেল ইভেন্টে স্বর্ণ ও রৌপ্য পদক জয় করে প্রথম ভারতীয় মহিলা শ্যুটার হিসেবে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন।
 
 
৯ নং লাইন:
 
== ব্যক্তিগত জীবন ==
অঞ্জলি রামকান্ত বেদপাঠকের জন্ম ১৯৬৯ সালের ৫ই ডিসেম্বর [[মুম্বাই]]<nowiki/>য়ের এক মারাঠি দেশস্থ ব্রাহ্মণ পরিবারে<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=Fq1wdzqhu6kC|শিরোনাম=Indian Champions: Profiles of Famous Indian Sportspersons|শেষাংশ=Chitra Garg|প্রকাশক=Rajpal & Sons2010|পাতা=267}}</ref>। কিংবদন্তি অ্যাথলিট [[কার্ল লুইস]] দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে ভাগবত খেলাধুলার প্রতি আগ্রহী হন। শুটিংয়ের সাথে তারতাঁর প্রথম পরিচয় ঘটেছিল জাতীয় ক্যাডেট কর্পস (এনসিসি) -এ ক্যাডেট থাকাকালীন সময়ে। জুডো, ক্যারাটে এবং পর্বতারোহণের একজন শিক্ষার্থী, ভাগবত এনসিসির প্রতি খুব আকৃষ্ট ছিলেন। মূলত এনসিসির সাথে ঘনিষ্ঠতার কারণে তিনি মুম্বইয়ের কীর্তি কলেজে যোগ দিয়েছিলেন। তারতাঁর পাঠ্যক্রমের অংশ হিসাবে তিনি এমআরএ (মহারাষ্ট্র রাইফেল অ্যাসোসিয়েশন) তে যোগদান করেন। তিনি ২১ বছর বয়সে শ্যুটিং শুরু করেছিলেন এবং বন্দুক ধরার ৭ দিনের মধ্যে, ১৯৮৮ সালের জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিয়েছিলেন এবং মহারাষ্ট্রের হয়ে রৌপ্য পদক জিতেছিলেন।
অঞ্জলির দুই ভাইবোন রয়েছে; একটি ছোট ভাই এবং একটি বড় বোন। অঞ্জলি শ্যুটিং ছাড়াও টেনিস এবং ক্রিকেটের ব্যাপারে আগ্রহী। যোগযোগাসন এবং ধ্যান তারতাঁর দৈনন্দিন জীবনের একটি অংশ। তারতাঁর মা আকাশবাণীতে (অল ইন্ডিয়া রেডিও) গান করতেন এবং অঞ্জলির দিদিও একজন গায়িকা।
২০০০ সালের ডিসেম্বরে, তিনি মুম্বাই-ভিত্তিক ব্যবসায়ী মন্দার ভাগবতকে বিয়ে করেছিলেন। ২০১০ সালে আরাধ্য্য নামে এই দম্পতির আরাধ্য নামে এক পুত্রসন্তানের জন্ম হয়। ২০০৬ সালে, তিনি খেলাধূলার সুবিধার কারণে [[মুম্বই]] থেকে [[পুনে]]<nowiki/>তে চলে আসেন। ভাগবত বর্তমানে [[পুণে]]<nowiki/>তে শ্যুটিং প্রশিক্ষক রূপে কাজ করেন।
 
== কর্মজীবন ==
সঞ্জয় চক্রবর্তী তাঁর প্রথম কোচ ছিলেন। অঞ্জলি তাঁর অধীনে ৫ বছর প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। ১৯৮৮ সালে তিনি যখন প্রথমবারের মতো জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিয়েছিলেন তখনি তিনি পেশাদার শ্যুটারে রূপান্তরিত হয়েছিলেন। জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় তাঁর ৫৫টি স্বর্ণ, ৩৫টি রৌপ্য এবং ১৬টি ব্রোঞ্জ পদক রয়ছে।রয়েছে।
তিনি ১৯৯৫ সালে সাফ গেমসে প্রথমবারের মত আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন। ১৯৯৯ সালে [[অকল্যান্ড|অকল্যান্ডে]]<nowiki/>র কমনওয়েলথ চ্যাম্পিয়নশিপে তারতাঁর প্রথম আন্তর্জাতিক স্বর্ণজয়ী পারফরম্যান্সপ্রদর্শন ছিল, যেখানে তিনি এয়ার রাইফেল বিভাগে এবং স্পোর্টস রাইফেল ৩ পোসিসন্সেঅবস্থানে ব্যক্তিগত ও দলগত বিভাগে ৩টি স্বর্ণ পদক এবং ১টি রৌপ্য পদক জিতেছিলেন ।
অঞ্জলি ভাগবত ২০০০-য়ের সিডনি অলিম্পিকে ওয়াইল্ড কার্ড প্রবেশ অর্জন করেছিলেন, যেখানে তিনি প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্যায়ে যেতে পেরেছিলেন। ২০০১ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ভাগবত কোনও প্রশিক্ষক ছাড়াই একাই অনুশীলন করতেন এবং ২০০২ সালে বিশ্ব র্যানকিং-য়েক্রমতালিকায় এক নম্বরে উঠে এসেছিলেন।
 
== প্রতিযোগিতা ==
 
== সম্মাননা ও স্বীকৃতি ==