কোভিড-১৯ এর বৈশ্বিক মহামারী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
২৪ নং লাইন:
| arrival_date =
| origin = [[উহান]] নগরী, [[হুপেই]] প্রদেশ, [[চীন]]<ref name="20200130cdc2">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.cdc.gov/coronavirus/2019-ncov/summary.html|শিরোনাম=2019 Novel Coronavirus (2019-nCoV) Situation Summary|তারিখ=30 January 2020|ওয়েবসাইট=[[Centers for Disease Control and Prevention]]|ইউআরএল-অবস্থা=live|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20200126210549/https://www.cdc.gov/coronavirus/2019-nCoV/summary.html|আর্কাইভের-তারিখ=26 January 2020|সংগ্রহের-তারিখ=30 January 2020}}</ref>
| confirmed_cases = <!--ব্রড ফিগার ব্যবহার করুন-->২০৯,০০০+<!--১০০০ নিকটতম রাউন্ড ডাউন--><ref name="WOM">{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি |urlইউআরএল= https://www.worldometers.info/coronavirus/|titleশিরোনাম=Coronavirus Update (Live) |workকর্ম=Worldometer |yearবছর=2020 |accessসংগ্রহের-dateতারিখ=16 March 2020}}</ref>
| active_cases = <!--ব্রড ফিগার ব্যবহার করুন-->১০৬,০০০+<!--১০০০ নিকটতম রাউন্ড ডাউন--><ref name="WOM" />
| recovery_cases = <!--ব্রড ফিগার ব্যবহার করুন-->৮৩,৪০০+<!--১০০০ নিকটতম রাউন্ড ডাউন--><ref name="WOM" />
৪১ নং লাইন:
চীনে ও বিশ্বজুড়ে সার্স করোনাভাইরাস-২-এর বিস্তার রোধের জন্য জনস্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষসমূহ প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। চীনা সরকার অভ্যন্তরীণ আন্তঃনগরী ও আন্তর্জাতিক ভ্রমণের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, ঘরের বাইরে বের হওয়ার উপরে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে এবং সঙ্গনিরোধের ব্যবস্থা (কুয়ারেন্টিন) করেছে। এতে চীনের প্রায় ১৭ কোটি নাগরিকের দৈনন্দিন জীবন ব্যাহত হয়েছে। বিশ্বের বেশ কিছু দেশ উহান নগরী, হুপেই প্রদেশ এমনকি চীনদেশে ভ্রমণের ব্যাপারে সতর্কতামূলক বার্তা প্রকাশ করেছে। যেসব পর্যটক সম্প্রতি চীনের মূল ভূখণ্ড পরিদর্শন করেছে, তাদেরকে দেশে ফেরত আসার পরে কমপক্ষে দুই সপ্তাহ স্বাস্থ্যের উপরে নজরদারি করতে বলা হয়েছে। যদি কোনও ব্যক্তির সন্দেহ হয় যে সে করোনাভাইরাস বহন করছে, তাহলে তাকে বিশেষ চিকিৎসা-মুখোশ পরিধান করতে ও নিকটস্থ চিকিৎসকের সাথে টেলিফোনে যোগাযোগ করতে উপদেশ দেওয়া হয়েছে এবং স্বশরীরে কোনও হাসপাতাল বা ক্লিনিকে (বহির্বিভাগীয় চিকিৎসাকেন্দ্র) যেতে মানা করা হয়েছে। চীনসহ আরও বেশ কিছু দেশের বিমানবন্দর ও রেলস্টেশনগুলিতে দেহের তাপমাত্রা পরীক্ষার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, স্বাস্থ্যবিষয়ক সতর্কবাণী স্পিকারে সম্প্রচার করা হচ্ছে ও সতর্কতামূলক তথ্য প্রদানকারী নির্দেশফলক (সাইনবোর্ড) স্থাপন করা হয়েছে।
 
৩০শে জানুয়ারি ২০২০ তারিখে [[বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা]] ২০১৯ সালের করোনাভাইরাসঘটিত ব্যাধির প্রাদুর্ভাব ও তৎপরবর্তীকালে এর মহাবিস্তারকে [[জনস্বাস্থ্যের জন্য আন্তর্জাতিক গুরুত্ববিশিষ্ট জরুরী অবস্থা]] (Public Health Emergency of International Concern; PHEIC) হিসেবে ঘোষণা দেয়। যেসব দেশে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা অপেক্ষাকৃত দুর্বল, সেসব দেশে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়লে সম্ভাব্য ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি বা মহামারীর কথা চিন্তা করে এই ঘোষণাটি দেওয়া হয়। এছাড়া আন্তর্জাল বা ইন্টারনেটে সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক গণমাধ্যমগুলির সুবাদে সার্স করোনাভাইরাস-২ সংক্রান্ত উপকারী তথ্যের পাশাপাশি বিভিন্ন ভুল ও মিথ্যা তথ্য এমনকি আতঙ্ক-সৃষ্টিকারী গুজবের অতিদ্রুত বিস্তার ঘটেছে, যাকে “তথ্য মহাবিস্তার” (ইনফোডেমিক) নামে ডাকা হয়েছে।<ref>https://www.technologyreview.com/s/615184/the-coronavirus-is-the-first-true-social-media-infodemic/</ref> এর একটি নেতিবাচক ফল হিসেবে বিশ্বের বেশ কিছু দেশে [[বিদেশীভীতি]] ও বিশেষত [[চীনাভীতি|চীনাদের বিরুদ্ধে জাতিবিদ্বেষ]] স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Iqbal|প্রথমাংশ=Nosheen|ইউআরএল=https://www.theguardian.com/world/2020/feb/01/coronavirus-weaponised-way-to-be-openly-racist|শিরোনাম=Coronavirus fears fuel racism and hostility, say British-Chinese|তারিখ=1 February 2020|কর্ম=The Observer|সংগ্রহের-তারিখ=4 February 2020|ইউআরএল-অবস্থা=live|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20200203232009/https://www.theguardian.com/world/2020/feb/01/coronavirus-weaponised-way-to-be-openly-racist|আর্কাইভের-তারিখ=3 February 2020|issn=0029-7712}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://globalnews.ca/news/6495961/coronavirus-anti-china-sentiment/|শিরোনাম=Coronavirus fears trigger anti-China sentiment across the globe|ওয়েবসাইট=Global News|ইউআরএল-অবস্থা=live|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20200203150150/https://globalnews.ca/news/6495961/coronavirus-anti-china-sentiment/|আর্কাইভের-তারিখ=3 February 2020|সংগ্রহের-তারিখ=4 February 2020}}</ref><ref name="cnn.com">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.cnn.com/2020/01/31/asia/wuhan-coronavirus-racism-fear-intl-hnk/index.html|শিরোনাম=As the coronavirus spreads, fear is fueling racism and xenophobia|শেষাংশ=Yeung|প্রথমাংশ=Jessie|প্রকাশক=CNN|ইউআরএল-অবস্থা=live|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20200203194428/https://www.cnn.com/2020/01/31/asia/wuhan-coronavirus-racism-fear-intl-hnk/index.html|আর্কাইভের-তারিখ=3 February 2020|সংগ্রহের-তারিখ=4 February 2020}}</ref>
<ref name="cnn.com"/>
<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.cnn.com/2020/01/31/asia/wuhan-coronavirus-racism-fear-intl-hnk/index.html|শিরোনাম=As the coronavirus spreads, fear is fueling racism and xenophobia|শেষাংশ=Yeung|প্রথমাংশ=Jessie|প্রকাশক=CNN|ইউআরএল-অবস্থা=live|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20200203194428/https://www.cnn.com/2020/01/31/asia/wuhan-coronavirus-racism-fear-intl-hnk/index.html|আর্কাইভের-তারিখ=3 February 2020|সংগ্রহের-তারিখ=4 February 2020}}</ref>
 
==উদ্ভব ও ইতিহাস==
১০৫ নং লাইন:
** রেস্তোরাঁ, চা ও কফিঘর, দোকানপাট, বাজার, বিপণিবিতান, শপিং মল, ইত্যাদি সমস্ত স্থানে হাঁচি-কাশিতে মুখ ঢাকার জন্য ও ভেজা হাত শুকানোর জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে কাগজের রুমাল বা টিস্যু পেপারের ব্যবস্থা করতে হবে। হাত জীবাণুমুক্তকারক দ্রবণ (হ্যান্ড স্যানিটাইজারের) এবং/কিংবা সাবান-পানিতে হাত ধোবার ব্যবস্থা করতে হবে। ব্যবহারের পর কাগজের রুমাল ফেলে দেবার জন্য (খোলা নয়, বরং) ঢাকনাযুক্ত বর্জ্যপাত্র বা বিনের ব্যবস্থা করতে হবে।
** সম্ভব হলে ঘরের বাইরে যাতায়াত বা ভ্রমণের সময় সর্বদা হাত জীবাণুমুক্তকারকের বোতল ও কাগজের রুমাল (টিস্যু পেপার) সঙ্গে নিয়ে ঘুরতে হবে।
* '''নাক, মুখ ও চোখ হাত দিয়ে স্পর্শ না করা''': করোনাভাইরাস কেবলমাত্র নাক, মুখ, চোখের উন্মুক্ত শ্লেষ্মাঝিল্লী দিয়ে দেহে প্রবেশ করতে পারে। পরিবেশে উপস্থিত করোনাভাইরাস স্পর্শের মাধ্যমে হাতে লেগে থাকতে পারে। তাই আধোয়া জীবাণুযুক্ত হাতে কখনোই নাক, মুখ, চোখ স্পর্শ করা যাবে না। যদি একান্তই নাকে মুখে চোখে হাত দিতে হয়, তাহলে অবশ্যই হাত ধুয়ে জীবাণুমুক্ত করে তা করতে হবে, কিংবা কাগজের রুমাল ব্যবহার করে নাক, মুখ ও চোখ স্পর্শ করতে হবে। এজন্য সবসময় হাতের কাছে সাবান-পানি বা অ্যালোকোহলভিত্তিক হস্ত জীবাণুমুক্তকারক কিংবা কাগজের রুমালের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। এই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নিয়মটি মেনে চলা অনেকের জন্য কঠিন হতে পারে। নাক, মুখ ও চোখে হাত দেওয়া খুবই সাধারণ ও স্বাভাবিক একটি ঘটনা এবং বহুদিনের অভ্যাসের বশে প্রায় সবাই কারণে-অকারণে এ কাজটি করে থাকে। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে মানুষ ঘন্টায়ঘণ্টায় ২০ বারেরও বেশি মুখের বিভিন্ন অংশে হাত দিয়ে স্পর্শ করে। কিন্তু নিজদেহে করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে হলে এই অভ্যাসের ব্যাপারে অনেক বেশী সচেতন হতে হবে। অনেকে মানসিক চাপের কারণে, গভীর চিন্তা করার সময়, অন্য কোনও অজ্ঞাত মানসিক কারণে কিংবা চুলকানির জন্য নাকে, মুখে, চোখে হাত দিয়ে থাকেন। তাই প্রথমে প্রতিটি ব্যক্তিকে নিজেকে বেশ কিছু সময় ধরে নিয়মিত আত্ম-পর্যবেক্ষণ করে দেখতে হবে কোন্‌ কোন্‌ সময়ে বা কারণে সে নিজের নাক, চোখ বা মুখে হাত দিচ্ছে। কারণগুলি চিহ্নিত করার পর এবং এগুলি সম্বন্ধে সচেতন হবার পরে একে একে এগুলিকে দূর করার চেষ্টা করতে হবে এবং নাকে,মুখে, চোখে হাত দেয়ার মাত্রা যথাসর্বোচ্চ সম্ভব কমিয়ে আনতে হবে।
* '''পরিবেশ পরিষ্কার করে করোনাভাইরাস মুক্তকরণ''':
** গৃহ ও কার্যালয়ে যেসব বস্তু অনেক বহিরাগত মানুষ হাত দিয়ে স্পর্শ করে, যেমন দরজার হাতল, কম্পিউটারের কিবোর্ড ও মনিটরের পর্দা, ল্যাপটপ কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, বা অন্য কোনও বহুল ব্যবহৃত আসবাব, ইত্যাদি নিয়মিতভাবে কিছু সময় পরপর জীবাণুনিরোধক স্প্রে বা দ্রবণ দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।
১২২ নং লাইন:
উহান করোনাভাইরাসটি অপেক্ষাকৃত বড় আকারের; এর আকার প্রায় ১২৫ ন্যানোমিটার (অর্থাৎ ১ মিটারের প্রায় ১ কোটি ভাগের এক ভাগ)। আকারে বড় বলে এটি বাতাসে কয়েক ঘণ্টার বেশি ভাসন্ত অবস্থায় থাকতে পারে না এবং কয়েক ফুটের বেশী দূরত্বে গমন করতে পারে না। ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের মতো এটিও প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সংস্পর্শের মাধ্যমে এক ব্যক্তি থেকে আরেক ব্যক্তিতে ছড়াতে পারে। বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শের সময় মুখের হাঁচি, কাশি, লালা বা থুতু থেকে সরাসরি ভাইরাসটি এক ব্যক্তি থেকে আরেক ব্যক্তিতে সংক্রামিত হতে পারে। অন্যদিকে জনসাধারণ্য স্থানে কোনও আক্রান্ত ব্যক্তি হাঁচি-কাশি দিলে বা ভাইরাসযুক্ত হাত দিয়ে ধরলে কাছাকাছি পৃষ্ঠতলে যেমন দরজার হাতলে, খাটের খুঁটিতে বা মুঠোফোনে ভাইরাস লেগে থাকতে পারে এবং সেখান থেকে পরোক্ষভাবে আরেকজন ব্যক্তির কাছে সেটি ছড়াতে পারে।<ref name="FP" />
 
এছাড়া উহান করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসার সময়ে যেমন ক্লোমনালীবীক্ষণ বা শ্বাসনালীর চিকিৎসার সময়ে বাতাসে দেহ থেকে নিঃসৃত ভাইরাসবাহী তরলের বাতাসে ভাসমান কণাগুলি একাধিক চিকিৎসাকর্মীকে সংক্রামিত করতে পারে এবং সাবধানতা অবলম্বন না করলে হাসপাতালের সবার মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে। হাত পরিষ্কার রাখলে এবং বিশেষ পোষাক বা গাউন, হাতমোজা, মুখোশ ও চশমা পরিধান করলে বাতাসে ভাইরাসবাহী ভাসমান কণার বিস্তার কমানো সম্ভব। ভাইরাসটির সংক্রমণ ও লক্ষণ প্রকাশের অন্তর্বর্তী কাল (ইনকিউবেশন পিরিয়ড) এখনও নিশ্চিতভাবে জানা না গেলেও সংক্রমণের মোটামুটি ১ থেকে ১৪ দিনের মধ্যেই রোগের উপসর্গ দেখা যাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।<ref name="FP" />
 
==ঝুঁকি==