বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
কিছু তথ্য যোগ করেছি
১১০ নং লাইন:
 
সুফী ফয়জুদ্দীন (র:) স্বীয় পীরের কাছ থেকে শরীয়াত, মারেফাত ও এলমে তাছাওফের জ্ঞানে জ্ঞানবান হওয়ার পর পীরের একান্ত নির্দেষ ও পরামর্শ অনুযায়ী নিজ বাড়িতে এক খানি মসজিদ প্রতিষ্ঠার মন স্থির করেন। এরপর তিনি তার সন্তানদের সাথে পরামর্শ করেন,তখন তার সংসারের ভার ছিলো তার মেঝ ছেলে মৌলভী নাছের আলী (র:) এর উপর। বড় ছেলে আব্দুল আজিজ (র:) ছিলেন অতিমাত্রায় সহজ ও সরল । তার সেঝো ছেলে মৌলভী সামছুল হক (র:) তখন ছাত্র ছিলেন। তার ছোট ছেলে আব্দুল কাদের (র:) এর জন্ম তখন হয়নি বলে জানা যায়, যদিও হয়ে থাকে তখন তিনি অনেক ছোট ছিলেন। সুফী ফয়জুদ্দীন (র:) মসজিদ নির্মাণের ব্যাপারে তার মেঝো ছেলে মৌলভী নাছের আলী (র:) এর সাথে পরামর্শ করে কাঠের খুঁটি,ছনের ছাউনি ও বেড়া, হেতাল আর গাইট্টা দিয়ে একটি মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন পীরের নির্দেশ ও পরামর্শ মোতাবেক। ইতিহাসের সাক্ষী হিসেবে দক্ষিণ বঙ্গে ইসলামের প্রচার ও প্রসারের বাতি ঘর হিসেবে আজও সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমান, ওলি-আওলিয়া, পীর বুজুর্গদের আস্তানা হিসেবে সবার কাছে অতি পরিচিত।
 
মসজিদে যারা কদম রেখেছেন এবং নামাজ পড়েছেন:
 
দক্ষিণ অঞ্চলের ইসলামের বাতি ঘর হিসেবে সুপরিচিত সুফী ফয়জুদ্দিন (র:) এর বাড়ীর মসজিদে যারা কদম রেখেছেন এবং নামাজ পড়েছেন। যেমনঃ
 
(১) বড়পীর আব্দুল কাদের জিলানী (র:) এর সুযোগ্য বংশধর,আওলাদে রাছুল (যিনি অত্র মসজিদ নির্মাণের প্রেরণা ছিলেন) সৈয়দ শাহ বোগদাদী (র:) এবং তার সহচরগণ।
(২) জানা গেছে, ছারছীনা শরীফের প্রতিষ্ঠাতা কুতুবুল আলম, মোজাদ্দেদে জামান হযরত মাওলানা শাহ নেছারউদ্দিন আহমদ (র:) তার তরিকতের খেলাফত প্রাপ্ত হওয়ার পর দক্ষিণ অঞ্চলে আসেন এবং এই মসজিদে তাশরীফ আনেন।
(৩) ছারছীনা শরীফের পীর মোজাদ্দেদে জামান মরহুম শাহ সুফী হযরত মাওলানা আবু জাফর মোহাম্মদ ছালেহ (র:) ও তার একান্ত সহচরগণ।
(৪) পাঙ্গাশিয়া দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা পীরে কামেল শাহ সুফী হযরত মাওলানা হাতেম আলী (র:) ও তার একান্ত সহচরগণ।
(৫) পাঙ্গাশিয়া দরবার শরীফের বর্তমান মরহুম মাদারজাত ওলি ও পীরে কামেল হজরত মাওলানা শাহ মোহাম্মদ আমিন ছাহেব (র:) ও তার একান্ত সহচরগণ।
(৬) পাঙ্গাশিয়া দরবার শরীফের আলা হযরত পীর ছাহেব কেবলা হযরত মাওলানা শাহ মোহাম্মদ ওলিউল্লাহ (দা:বা:আ:)
(৭) জৈনপুর খান্দানের বর্তমান জ্যেষ্ঠ পীর ও আওলাদে রাসূল শাহ সুফী হযরত মাওলানা জাফর আহমেদ সিদ্দিকী আল-কোরাইশী (র:) এর খলিফা ও একান্ত সহচর হযরত মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক ছাহেব (মা:জি:আ:)
এছাড়াও দেশ বরণ্য অসংখ্য আলেম-ওলামা, পীর বুজুর্গগণ শাহ সুফী ফয়জুদ্দীন (র:) এর প্রতিষ্ঠিত এই মসজিদে বিভিন্ন সময়ে নামাজ আদায় করেছেন এবং তাশরীফ এনেছেন।
 
মসজিদ খানি নিয়ে স্থানীও লোকজনের বিশ্বাস:
 
আজ থেকে ১২০ বছর পূর্বে সুফী ফয়জুদ্দিন (র:) এর প্রতিষ্ঠিত মসজিদটি সম্পর্কে অনেক কাহিনী এলাকায় প্রচলিত আছে। যা বিশ্বাস করেই প্রতিদিন অত্র অঞ্চলের মানুষ বহু কাল ধরে নানা ধরনের মানত নিয়ে আসতো যা এখনো চলমান। যেমন:
(১) মসজিদ খানি বড় পীর আব্দুল কাদের জিলানীর বংশধর কর্তৃক নির্মিত।
(২) মসজিদের ভিতরে গভীর রাতে জীন জাতি বিশেষ করে সাহাবী জীনরা নামাজ পড়ে।
(৩) মসজিদের কাছে এসে আল্লাহর কাছে যা আশা করা হয় তাই পাওয় যায়।
(৪) মসজিদের মাটি বাড়িতে রাখলে উঁই পোকা লাগে না।
(৫) মসজিদের ধূলি গায়ে মাখলে যে কোন ব্যাধি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
(৬) মসজিদে এসে মানত করলে বিভিন্ন বলা মুসিবত থেকে আল্লাহ রক্ষা করেন।
 
==তথ্যসূত্র==http://www.dailykalerkotha.com/view/post/1419
 
==[[:শাহ সুফী ফয়জুদ্দীন (র:) এর প্রতিষ্ঠিত জামে মসজিদ:]] নিবন্ধের [[উইকিপিডিয়া:দ্রুত অপসারণের জন্য বিচারধারা|দ্রুত অপসারণ]] প্রস্তাবনা==