উমাইয়া খিলাফত: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
DannyS712 (আলোচনা | অবদান)
৬১ নং লাইন:
উমাইয়া ও হাশিমিদের মধ্যে মুহাম্মদ এর আসার পূর্ব থেকেই দ্বন্দ্ব চলছিল। [[বদরের যুদ্ধ|বদরের যুদ্ধের]] পর তা আরো বিরূপ অবস্থায় পড়ে। এ যুদ্ধে উমাইয়া গোত্রের তিনজন শীর্ষ নেতা [[উতবা ইবনে রাবিয়াহ]], [[ওয়ালিদ ইবনে উতবাহ]] ও শায়বা দ্বন্দ্বযুদ্ধের সময় হাশিমি গোত্রের [[আলী ইবন আবী তালিব]], [[হামজা ইবনে আবদুল মুত্তালিব]] ও [[উবাইদাহ ইবনুল হারিস|উবাইদাহ ইবনুল হারিসের]] হাতে নিহত হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=Sunan Abu Dawud: Book 14, Number 2659 |ইউআরএল=http://www.usc.edu/dept/MSA/fundamentals/hadithsunnah/abudawud/014.sat.html#014.2659 |সংগ্রহের-তারিখ=২২ মে ২০১৪ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20110210042129/http://www.usc.edu/schools/college/crcc/engagement/resources/texts/muslim/hadith/abudawud/014.sat.html#014.2659#014.2659 |আর্কাইভের-তারিখ=১০ ফেব্রুয়ারি ২০১১ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref> এ ঘটনার ফলে উমাইয়ার নাতি [[আবু সুফিয়ান ইবনে হার্ব‌|আবু সুফিয়ান ইবনে হারবের]] মুহাম্মদ ও ইসলামের প্রতি বিরোধিতার মাত্রা আরো বৃদ্ধি পায়। বদর যুদ্ধের একবছর পর আবু সুফিয়ান আরেকটি যুদ্ধ মুসলিমদের উপর চাপিয়ে দিয়ে মদিনার মুসলিমদের উপর প্রতিশোধ নিতে চাইছিলেন। পন্ডিতদের মতে এই যুদ্ধটি মুসলিমদের প্রথম পরাজয় যেহেতু এখানে মক্কার তুলনায় মুসলিমদের ভালো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যুদ্ধের পর আবু সুফিয়ানের স্ত্রী ও [[উতবা ইবনে রাবিয়া|উতবা ইবনে রাবিয়ার]] মেয়ে হিন্দ হামজার লাশ কেটে তার কলিজা বের করে খাওয়ার চেষ্টা করে।<ref>Ibn Ishaq (1955) 380—388, cited in Peters (1994) p. 218</ref> উহুদের যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতির পাঁচ বছর পর মুহাম্মদ [[মক্কা বিজয়]] করেন<ref>Watt (1956), p. 66</ref> এবং সবার জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেন। মক্কা বিজয়ের পর আবু সুফিয়ান ও তার স্ত্রী হিন্দ ইসলাম গ্রহণ করেন। এসময় তাদের পুত্র ও পরবর্তী খলিফা [[প্রথম মুয়াবিয়া|মুয়াবিয়াও]] ইসলাম গ্রহণ করেন।
 
[[File:Map of expansion of Caliphate.svg|thumb|305px||উমাইয়াদের অধীনে খিলাফতের বিস্তার: {{legend|#a1584e|মুহাম্মদ এর অধীনে বিস্তৃতি, ৬২২-৬৩২}} {{legend|#ef9070|রাশিদুন খিলাফতের অধীনে বিস্তৃতি, ৬৩২-৬৬১}} {{legend|#fad07d|উমাইয়া খিলাফতের অধীনে বিস্তৃতি, ৬৬১-৭৫০}}]]
 
অনেক ইতিহাসবিদের মতে খলিফা মুয়াবিয়া (শাসনকাল ৬৬১-৬৮০) রাজবংশীয় কায়দার প্রথম শাসক হলেও তিনি উমাইয়া রাজবংশের দ্বিতীয় শাসক। উমাইয়া গোত্রের সদস্য [[উসমান ইবন আফ্‌ফান|উসমান ইবনে আফ্‌ফানের]] খিলাফতের সময় উমাইয়া গোত্র ক্ষমতায় আসে। উসমান তার গোত্রের কিছু বিশ্বস্ত ব্যক্তিকে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসান। তাদের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলেন উসমানের শীর্ষ পর্যায়ের উপদেষ্টা [[মারওয়ান ইবনুল হাকাম]] যিনি সম্পর্কে উসমানের তুতো ভাই ছিলেন। তার কারণে হাশিমি সাহাবিদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরী হয় কারণ মারওয়ান ও তার পিতা [[আল-হাকাম ইবনে আবুল আস|আল-হাকাম ইবনে আবুল আসকে]] মুহাম্মদ মদিনা থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছিলেন। উসমান কুফার গভর্নর হিসেবে তার সৎ ভাই [[ওয়ালিদ ইবনে উকবা|ওয়ালিদ ইবনে উকবাকে]] নিযুক্ত করেন। হাশিমিরা তার প্রতি অভিযোগ করে যে তিনি মদপান করে নামাজের ইমামতি করেছিলেন।<ref>[[Ibn Taymiya]], in his [[A Great Compilation of Fatwa]]</ref> উসমান মুয়াবিয়াকে বিশাল এলাকার কর্তৃত্ব দিয়ে সিরিয়ার গভর্নর হিসেবে তার অবস্থান সংহত করেন<ref>[[Ibn Kathir]]: Al-Bidayah wal-Nihayah, Volume 8 page 164</ref> এবং তার পালক ভাই [[আবদুল্লাহ ইবনে সাদ|আবদুল্লাহ ইবনে সাদকে]] মিশরের গভর্নর হিসেবে নিযুক্ত করেন। উসমান নিজের কোনো উত্তরসুরি মনোনীত করে যাননি তাই তাকে রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা ধরা হয় না।