ভারতীয় সংবিধানের সংশোধনীসমূহ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
৪৯ নং লাইন:
| ১৯৫৯
| ৮ম সংশোধন
|
| তফসিলি জাতি ও উপজাতি এবং অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান সম্প্রদায়ের জন্য আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা ১০ বছরের বদলে ২০ বছর করা হয়।
|-
২১৯ নং লাইন:
| ১৯৭৬
| ৪২তম সংশোধন বা ক্ষুদ্র সংবিধান
|
| এই সংশোধনের ভারতের সংবিধানের বৃহত্তম সংশোধন। প্রধানমন্ত্রী [[ইন্দিরা গান্ধী|ইন্দিরা গান্ধীর]] আমলে কৃত এই সংশোধনের বাহুল্যের কারণে এটিকে ক্ষুদ্র সংবিধান বা মিনি-কনস্টিটিউশন আখ্যা দেওয়া হয় : <br />এই সংশোধনে [[ভারতের সংবিধানের প্রস্তাবনা|প্রস্তাবনায়]] ‘সমাজতান্ত্রিক’ ও ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দদুটি যোগ করে ভারতকে একটি ‘সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র’ রূপে ঘোষণা করা হয়। তাছাড়া প্রস্তাবনায় ‘ঐক্য’-এর পরে ‘সংহতি’ শব্দটিও যুক্ত হয়। <br /> নির্দেশমূলক নীতির আলোচ্য বিষয়ে সংখ্যা বাড়ানো হয়। বেশ কয়েকটি নতুন বিষয় যুক্ত করা হয় : শিশুদের সুস্থ ও স্বাধীনভাবে এবং মর্যাদার সঙ্গে বেড়ে উঠতে পারার জন্য সমান সুযোগসুবিধার ব্যবস্থা করা, সমান সুযোগের ভিত্তিতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য আইন প্রণয়ন, শিল্প পরিচালন ক্ষেত্রে শ্রমিকদের অংশগ্রহণের ব্যবস্থা করা, পরিবেশ উন্নয়ন ও সংরক্ষণ এবং দেশের অরণ্য ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ। এই সংশোধনীবলে উক্ত অংশগুলি সংযোজনের জন্য সংবিধানের ৩৯ নং ধারা সংশোধন করা হয় এবং মৌলিক অধিকারের উপর নির্দেশমূলক নীতির প্রাধান্য প্রতিষ্ঠিত হয়। <br /> মূল সংবিধানে নাগরিকদের কোনও কর্তব্যের উল্লেখ ছিল না। এই সংশোধনীবলে ভারতীয় নাগরিকদের ১০টি কর্তব্যের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়। <br /> এই সংশোধনী বলে ভারতের রাষ্ট্রপতির পদমর্যাদা ও প্রশাসনিক ক্ষমতা সংক্রান্ত বিষয়ের কয়েকটি গুণগত পরিবর্তন করা হয়। মূল সংবিধান অনুসারে রাষ্ট্রপতিকে সাহায্য ও পরামর্শদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর পরিচালনাধীন একটি মন্ত্রিপরিষদের অস্তিত্ব স্বীকার করা হয়েছিল; কিন্তু রাষ্ট্রপতি যে উক্ত মন্ত্রিপরিষদের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে বাধ্য, সেকথার উল্লেখ ছিল না। ৪২তম সংবিধান সংশোধনে স্পষ্টরূপে উল্লিখিত হয় যে রাষ্ট্রপতি তার কার্য পরিচালনার ক্ষেত্রে মন্ত্রিপরিষদের সাহায্য ও পরামর্শ গ্রহণে বাধ্য। <br />লোকসভা ও রাজ্যসভার মেয়াদ ছয় বছর করা হয়। স্থির হয় ২০০০ সালের জনগণনার হিসাব পাওয়ার পূর্বাবধি আসন বণ্টনের রাষ্ট্রপতির আদেশের দ্বারা নির্ধারিত হবে। <br /> রাষ্ট্রপতিকে দেশের কোনও অংশে জরুরি অবস্থা ঘোষণার ক্ষমতা প্রদান করা হয়। এছাড়া, সংবিধানের ৩৫৬ ধারা সংশোধন করে বলা হয়, রাজ্যে শাসনতান্ত্রিক অচলাবস্থা সংক্রান্ত কোনও ঘোষণাকে সংসদের অনুমোদনের জন্য পেশ করলে এবং সংসদ তা অনুমোদন করলে ওই ঘোষণা একবছর বলবৎ থাকবে। সংসদের অনুমোদনক্রমে মোট তিন বছর পর্যন্ত ওই ঘোষণা বলবৎ থাকতে পারে। <br /> আদালত সংবিধান সংশোধন আইনের বৈধতা বিচারের এক্তিয়ার হারায়। এই সংশোধনীবলে কেবলমাত্র সংবিধানে নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করে সংবিধান সংশোধন করা হয়েছে কিনা, আদালত শুধুমাত্র সেই বিষয়টিই বিবেচনার ক্ষমতা প্রাপ্ত হয়। <br /> এই সংশোধনীবলে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ব্যাপারে [[ভারত সরকার|কেন্দ্রীয় সরকারকে]] প্রভূত ক্ষমতা দেওয়া হয়। এই সংশোধনে একটি নতুন ধারা যোগ করে বলা হয় যে কেন্দ্রীয় সরকার প্রয়োজনে কোনো রাজ্যে সশস্ত্রবাহিনী পাঠাতে পারে এবং ওই সশস্ত্রবাহিনী কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন থাকবে। <br /> এই সংশোধনী বলে সংবিধানের সপ্তম তফসিলভুক্ত যুগ্ম তালিকা সংশোধন করে শিক্ষা, কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণ ও নির্দেশে দেশের যে কোনও অংশে সশস্ত্রবাহিনী পাঠানো, বিচার পরিচালনা, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বাদে অন্যান্য আদালত গঠন, বন্যপ্রাণী ও পক্ষী সংরক্ষণ, জনসংখ্যা ও পরিবার পরিকল্পনা এবং শ্রমিকদের জন্য কারিগরি প্রশিক্ষণ যুগ্ম তালিকাভুক্ত করা হয়।
|-
২৩৯ নং লাইন:
| ১৯৮৩
| ৪৬তম সংশোধন
|
| রাজ্য সরকারগুলির আওতাভুক্ত বিক্রয়করের ত্রুটি সংশোধনের জন্য এই সংবিধান সংশোধন করা হয়।
|-
| ১৯৮৩
| ৪৭তম সংশোধন
| [[২৬ আগস্ট|২৬ অগস্ট]]
| [[অসম]], [[বিহার]], [[হরিয়ানা]], [[তামিলনাড়ু]], [[উত্তর প্রদেশ]] ও [[পশ্চিমবঙ্গ]] রাজ্য এবং [[গোয়া]] (তদনীন্তন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল) ও [[দমন ও দিউ]]-এর কয়েকটি ভূমিসংস্কার আইন সংবিধানের নবম তফসিলের অন্তর্ভুক্ত হয়। এর ফলে সংস্কার সংক্রান্ত বিষয়ে আদালত বিচারের এক্তিয়ার হারায়।
|-
|
| ৪৮তম সংশোধন
| [[১ এপ্রিল]] ১৯৮৫
| [[পঞ্জাব|পঞ্জাবে]] রাষ্ট্রপতি শাসনের মেয়াদ দু-বছর করা হয়।
|-
|
| ৪৯তম সংশোধন
| [[১১ সেপ্টেম্বর]]
| [[ত্রিপুরা]] রাজ্যের স্বায়ত্তশাসিত উপজাতীয় জেলার সাংবিধানিক স্বীকৃতির জন্য এই সংশোধনীটি আনা হয়।
|-
|
| ৫০তম সংশোধন
| [[১১ সেপ্টেম্বর]]
| গোয়েন্দাগিরি বা গোয়েন্দাগিরি প্রতিরোধের জন্য গঠিত ব্যুরো বা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তি এবং কোনও বাহিনীর জন্য গঠিত টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা বা তৎসম্পর্কিত কোনও সংস্থায় কর্মরত ব্যক্তিদের দায়িত্বপালন ও শৃঙ্খলারক্ষার তাগিদে সংবিধানে স্বীকৃত মৌলিক অধিকার বাতিল ও সীমিতকরণের বিষয়টি যুক্ত হয়।
|-
|
| ৫১তম সংশোধন
| [[১৬ জুন]] ১৯৮৬
৩২৪ নং লাইন:
| ১৯৮৯
| ৬৩তম সংশোধন
|
| ১৯৮৮ সালে প্রণীত ৫৯তম সংবিধান সংশোধনীটি বাতিল করা হয়।
|-
৩৫৪ নং লাইন:
| ১৯৯১
| ৬৯তম সংশোধন
|
| পূর্বতন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দিল্লির প্রশাসনিক কাঠামো পরিবর্তন করে জাতীয় রাজধানী অঞ্চল গঠন করা হয়। দিল্লি বিধানসভা ও মন্ত্রিপরিষদ গঠনের ব্যবস্থা করা হয়।
|-
৪৩৪ নং লাইন:
| ২০০১
| ৮৫তম সংশোধন
|
| সংবিধানের ১৬(৪-ক) ধারাটি সংশোধন করে সরকারি চাকরিতে পদোন্নতির ক্ষেত্রে তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের সংরক্ষণ ব্যবস্থায় সিনিয়রিটির বিষয়টি যোগ করা হয়।
|-
৪৮২ নং লাইন:
| ২০০৩
| ৯২তম সংশোধন
|
| ৯২তম সংবিধান সংশোধনীর দ্বারা চারটি ভাষা সংবিধানের অষ্টম তফসিলের অন্তর্ভুক্ত হয়ে ভারতের রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা লাভ করে। এই চারটি ভাষা হল – [[বোড়ো ভাষা|বোড়ো]], [[ডোগরি ভাষা|ডোগরি]], [[মৈথিলি ভাষা|মৈথিলি]] ও [[সাঁওতালি ভাষা|সাঁওতালি]]।
|-
|