কোটালীপাড়া উপজেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সংশোধন, সম্প্রসারণ, তথ্যসূত্র যোগ/সংশোধন, পরিষ্কারকরণ ট্যাগ: ২০১৭ উৎস সম্পাদনা |
|||
১ নং লাইন:
{{তথ্যছক বাংলাদেশের প্রশাসনিক অঞ্চল
| নাম = কোটালীপাড়া
| অফিসিয়াল_নাম =
| চিত্র =
| চিত্রের_আকার =
| চিত্রের_বিবরণ =
| ডাকনাম =
| চিত্র_মানচিত্র =
| মানচিত্রের_স্তরের_অবস্থান = right
| স্থানাঙ্ক = {{স্থানাঙ্ক|22.9833|N|89.9917|E|region:BD|display=inline,title}}
| স্থানাঙ্ক_পাদটীকা =
| বিভাগ = ঢাকা বিভাগ
| জেলা = গোপালগঞ্জ জেলা
| উপজেলা =
| প্রতিষ্ঠার_শিরোনাম = কোটালীপাড়া থানা
| প্রতিষ্ঠার_তারিখ = ১৮১২
| আসনের_ধরন = সংসদীয় আসন
| আসন = [[গোপালগঞ্জ-৩]]
| নেতার_দল = [[বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ]]
| নেতার_শিরোনাম = [[সংসদ সদস্য]]
| নেতার_নাম = [[শেখ হাসিনা]]
| আয়তনের_পাদটীকা =
| মোট_আয়তন = ৩৬২
| আয়তন_টীকা =
| জনসংখ্যার_পাদটীকা = <ref name=":0" />
| মোট_জনসংখ্যা = ২,২৭,০২৫
| এই_অনুযায়ী_জনসংখ্যা = ২০০১
| জনসংখ্যার_ক্রম =
| জনসংখ্যা_টীকা =
| সাক্ষরতার_হার = ৪৯.৮১%
| সাক্ষরতার_হার_পাদটীকা =
| ডাক_কোড =
| ওয়েবসাইট = kotalipara.gopalganj.gov.bd
| পাদটীকা =
}}
'''কোটালীপাড়া''' [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] [[গোপালগঞ্জ জেলা|গোপালগঞ্জ জেলার]] অন্তর্গত একটি উপজেলা যা ১২টি [[বাংলাদেশের ইউনিয়ন|ইউনিয়ন]] নিয়ে গঠিত। এটি [[ঢাকা বিভাগ|ঢাকা বিভাগের]] অধীন গোপালগঞ্জ জেলার ৫টি উপজেলার মধ্যে একটি এবং গোপালগঞ্জ জেলার সর্ব উত্তরে অবস্থিত। কোটালীপাড়া উপজেলার উত্তরে [[গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা]] ও [[মাদারীপুর জেলা|মাদারিপুর জেলার]] [[রাজৈর উপজেলা]], দক্ষিণে [[পিরোজপুর জেলা|পিরোজপুরের]] [[নাজিরপুর উপজেলা]] ও [[বরিশাল জেলা|বরিশালের]] [[উজিরপুর উপজেলা]],পূর্বে [[বরিশাল জেলা|বরিশালের]] [[আগৈলঝারা উপজেলা]] ও [[মাদারীপুর জেলা|মাদারিপুরের]] [[কালকিনী উপজেলা]] এবং পশ্চিমে [[গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা|গোপালগঞ্জ সদর]] ও [[টুঙ্গিপাড়া উপজেলা]] অবস্থিত। কোটালীপাড়া উপজেলার উপর দিয়ে [[ঘাঘর নদী]], [[বিশারকন্দা-বাগদা নদী]] ও [[শালদহ নদী]] প্রবাহিত হয়েছে।
ব্রিটিশ শাসনামলে ১৮১২ সালে কোটালীপাড়া থানা প্রতিষ্ঠা করা হয়। [[বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস|বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের]] পর ১৯৮৩ সালে কোটালীপাড়া থানাকে [[বাংলাদেশের উপজেলা|উপজেলায়]] উন্নীত করা হয়। [[জাতীয় সংসদ নির্বাচন|বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে]] কোটালীপাড়া উপজেলার সংসদীয় আসন [[গোপালগঞ্জ-৩]]। কোটালীপাড়া উপজেলা ও [[টুঙ্গিপাড়া উপজেলা]] নিয়ে গঠিত গোপালগঞ্জ-৩ আসনটি [[জাতীয় সংসদ|জাতীয় সংসদে]] ২১৭ নং আসন হিসেবে চিহ্নিত।
==পটভূমি==
{{আরও দেখুন|মাদারীপুর জেলা}}
৩১৫ সালে চন্দ্রবর্মা এ অঞ্চল জয় করে ৩০০ ফুট উঁচু একটি মাটির প্রাচীর নির্মান করেন। এ প্রাচীরের পূর্ব-পশ্চিমে দৈর্ঘ্য ছিল ৪.৪৫ কিঃ মিঃ এবং উত্তর-দক্ষিনে দৈর্ঘ্য ছিল ৩.০০ কিঃ মিঃ। এ মাটির দূর্গটিকে ‘চন্দ্রবর্মা কোর্ট’ বলা হতো। এ প্রাচীরের রক্ষক বা কর্মকর্তাকে বলা হতো ‘কোটপাল’। এ থেকে কোটালীপাড়া নামের উৎপত্তি।<ref name=":1">{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=বাংলাদেশের লোকজ সংস্কৃতি গ্রন্থমালা : গোপালগঞ্জ|শেষাংশ=খান|প্রথমাংশ=শামসুজ্জামান|বছর=জুন ২০১৩|প্রকাশক=[[বাংলা একাডেমি]]|অবস্থান=ঢাকা|পাতাসমূহ=২৫|আইএসবিএন=984-07-5316-9|ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর}}</ref> ঐতিহাসিকদের মতে, প্রাচীনকাল থেকেই এ অঞ্চল কোটালীপাড়া নামে পরিচিত ছিল যা অতিপ্রাচীনকালে চন্দ্রদ্বীপের অন্তর্ভূক্ত ছিল। একসময় এ অঞ্চলের প্রশাসনিক নাম ছিল নাব্যমন্ডল। খ্রিস্টীয় চতুর্থ শতকে কোটালীপাড়া ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য বিখ্যাত ছিল। [[মহান আলেকজান্ডার|গ্রিকবীর আলেকজান্ডারের]] [[ভারতীয় উপমহাদেশ|ভারত]] আক্রমণের সময় ৩২৭ খ্রিস্টপূর্বে কোটালীপাড়া অঞ্চলে [[গঙ্গাঋদ্ধি|গঙ্গারিডাই]] জাতি স্বাধীনভাবে রাজত্ব করত। তারপর এ অঞ্চল (৩২০-৪৯৬ খ্রিঃ) [[গুপ্ত সাম্রাজ্য|গুপ্ত সম্রাটদের]] অধীনে ছিল। ৫০৭-৮ খ্রীষ্টাব্দের কিছু আগে রাজত্ব করেছেন দ্বাদশাদিত্য - মহারাজাধিরাজ বৈন্যগুপ্ত নামক এক রাজা। ৫২৫ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ৬০০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত রাজত্ব করছেন গোপচন্দ্র, ধর্মাদিত্য এবং নরেন্দ্রাদিত্য সমাচারদেব।<ref name=":6">{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=মাদারিপুর ইতিবৃত্ত|শেষাংশ=মাহমুদ|প্রথমাংশ=লিখন|বছর=২০১৭|প্রকাশক=বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র মাদারিপুর|অবস্থান=|পাতাসমূহ=|আইএসবিএন=}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://bn.banglapedia.org/index.php?title=%E0%A6%97%E0%A7%8B%E0%A6%AA%E0%A6%9A%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0|শিরোনাম=গোপচন্দ্র|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=[[বাংলাপিডিয়া]]|আর্কাইভের-ইউআরএল=|আর্কাইভের-তারিখ=|ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর|সংগ্রহের-তারিখ=২০২০-০২-০৫}}</ref> রাজা [[শশাঙ্ক|শশাঙ্কের]] মৃত্যুর পর খড়গ বংশ ও [[দেব রাজবংশ]] এ অঞ্চল শাসন করে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://bn.banglapedia.org/index.php?title=%E0%A6%96%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A6%97_%E0%A6%AC%E0%A6%82%E0%A6%B6|শিরোনাম=খড়গ বংশ|শেষাংশ=রায়|প্রথমাংশ=কৃষ্ণেন্দু|তারিখ=|ওয়েবসাইট=[[বাংলাপিডিয়া]]|আর্কাইভের-ইউআরএল=|আর্কাইভের-তারিখ=|ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর|সংগ্রহের-তারিখ=২০২০-০২-০৬}}</ref> [[পাল বংশ|পাল রাজবংশের]] (৭৫০-১১৬২ খ্রিঃ) রাজা দ্বিতীয় বিগ্রহপালের রাজত্বকালে (৯৬৯–৯৯৫ খ্রিঃ) [[হরিকেল|হরিকেলের]] (পূর্ব ও দক্ষিণ বাংলা) কান্তিদেব ‘মহারাজাধিরাজ’ উপাধি গ্রহণ করে একটি পৃথক রাজ্য স্থাপন করেন এবং এই অঞ্চল শাসন করে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://archive1.ittefaq.com.bd/print-edition/aunoshilon/2015/09/08/71236.html|শিরোনাম=পাল রাজবংশের যাত্রা শুরু {{!}} অনুশীলন|শেষাংশ=শাহনাওয়াজ|প্রথমাংশ=ড. একে এম|তারিখ=২০১৫-০৯-০৮|ওয়েবসাইট=[[ইত্তেফাক]]|আর্কাইভের-ইউআরএল=|আর্কাইভের-তারিখ=|ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর|সংগ্রহের-তারিখ=২০২০-০২-০৫}}</ref> পরবর্তীকালে [[চন্দ্র রাজবংশ]] দশম ও এগার শতকে স্বাধীনভাবে এই অঞ্চল শাসন করে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=Wk4_ICH_g1EC&pg=PA278|শিরোনাম=Ancient Indian History and Civilization|শেষাংশ=Sailendra Nath Sen|প্রথমাংশ=|তারিখ=1999|বছর=|প্রকাশক=New Age International|অবস্থান=|পাতাসমূহ=277–287|আইএসবিএন=978-81-224-1198-0}}</ref> [[সেন রাজবংশ|সেন রাজবংশের]] (১০৯৮-১২৩০ খ্রিঃ) পতনের পর চন্দ্রদ্বীপ রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়, মাদারিপুর তথা শিবচর উপজেলা চন্দ্রদ্বীপ রাজ্যের অধীনে ছিল।
সুলতান [[জালালউদ্দিন ফাতেহ শাহ]] (১৪৮১-১৪৮৫ খ্রিঃ) ফরিদপুর ও চন্দ্রদ্বীপের একাংশ দখল করে [[ফরিদপুর বিভাগ|ফতেহাবাদ পরগণা]] গঠন করেন। সুলতান [[আলাউদ্দিন হোসেন শাহ]] (১৪৯৩-১৫১৯ খ্রিঃ) ফতেহাবাদের জনপ্রিয় শাসক ছিলেন। ১৫৩৮ হতে ১৫৬৩ সাল পর্যন্ত [[শের শাহ সুরি|শেরশাহ]] ও তার বংশধরগণ শাসন করেন। ১৫৬৪ হতে ১৫৭৬ সালে পর্যন্ত [[কররানী রাজবংশ]] রাজত্ব করে, তারপর ১৫৭৬ হতে ১৬১১ সাল পর্যন্ত [[বারো ভুঁইয়া|বারো ভূঁইয়ার]] অন্যতম অন্যতম [[বিক্রমপুর|বিক্রমপুরের]] চাঁদ রায়, [[কেদার রায়|কেদার রায়ের]] অধীনে ছিল এ অঞ্চল। [[মুঘল সাম্রাজ্য]] ও [[বাংলা ও মুর্শিদাবাদের নবাবগণ|নবাবী]] শাসন চলে ১৭৬৫ সাল পর্যন্ত।<ref name=":02">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.madaripur.gov.bd/|শিরোনাম=মাদারীপুর জেলা|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=[[বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন]]|ভাষা=|আর্কাইভের-ইউআরএল=|আর্কাইভের-তারিখ=|সংগ্রহের-তারিখ=২০২০-০১-১০}}</ref> মুঘল আমলে সৃষ্ট জালালপুর (বর্তমান মাদারীপুর) পরগণার অধীনে ছিল শিবচর।<ref name=":1" />
[[ব্রিটিশ ভারত|ব্রিটিশ শাসনামলে]] ১৮০৬ সালে এ অঞ্চল ঢাকা-জালালপুর জেলা হতে ১৭৯৭ সালে সৃষ্ট বাকেরগঞ্জ জেলার অন্তর্ভূক্ত হয়। ১৮১২ সালে কোটালীপাড়া, টুঙ্গিপাড়া ও কালকিনি নিয়ে কোটালীপাড়া থানা গঠিত হয়। ১৮৫৪ সালের ২রা নভেম্বর মাদারিপুর [[মহকুমা]] প্রতিষ্ঠিত হলে কোটালীপাড়া থানা মাদারিপুর মহকুমাধীন ছিল। ১৮৫৯ সালে ফরিদপুর জেলা সৃষ্টি হলে মাদারিপুর মহকুমাকে বাকেরগঞ্জ জেলা থকে আলাদা করে ১৮৭৫ সালের ৮ই সেপ্টেম্বর ফরিদপুর জেলার অন্তর্ভূক্ত করা হয়।
==ভূগোল==
ভৌগোলিকভাবে কোটালীপাড়া ২২.৯৮ডিগ্রী উত্তর অক্ষাংশ ও ৮৯.৯৯১ ডিগ্রী পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত। কোটালীপাড়া উপজেলার উত্তরে [[গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা]] ও মাদারিপুর জেলার [[রাজৈর উপজেলা]], দক্ষিণে পিরোজপুরের [[নাজিরপুর উপজেলা]] ও বরিশালের [[উজিরপুর উপজেলা]],পূর্বে বরিশালের [[আগৈলঝারা উপজেলা]] ও মাদারিপুরের [[কালকিনী উপজেলা]] এবং পশ্চিমে [[গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা|গোপালগঞ্জ সদর]] ও [[টুঙ্গিপাড়া উপজেলা]]।
কোটালীপাড়া উপজেলায় তিনটি নদী আছে। সেগুলো হচ্ছে [[ঘাঘর নদী]], [[বিশারকন্দা-বাগদা নদী]] এবং [[শালদহ নদী]]।<ref name="নদীকোষ">ড. অশোক বিশ্বাস, ''বাংলাদেশের নদীকোষ'', গতিধারা, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা ৩৯৮, {{আইএসবিএন|978-984-8945-17-9}}।</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=|শিরোনাম=বাংলাদেশের নদনদী: বর্তমান গতিপ্রকৃতি|লেখক=মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক|তারিখ=ফেব্রুয়ারি ২০১৫|প্রকাশক=[[কথাপ্রকাশ]]|অবস্থান=ঢাকা|পাতা=৬০৬|আইএসবিএন=984-70120-0436-4|আইএসবিএন-ত্রুটি-উপেক্ষা-করুন=হ্যাঁ}}</ref>
==প্রশাসন==
কোটালীপাড়া গোপালগঞ্জ জেলার একটি উপজেলা। প্রাচীন এ জনপদ সমতটের রাজধানী ছিল বলে ঐতিহাসিকগণ মনে করেন। ভৌগোলিকভাবে কোটালীপাড়া ২২.৯৮৩৩ ডিগ্রী উত্তর অক্ষাংশ ও ৮৯.৯৯১ ডিগ্রী পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত। কোটালীপাড়া উপজেলার উত্তরে গোপালগঞ্জ সদর ও মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলা, দক্ষিণে বরিশালের নাজিরপুর ও উজিরপুর উপজেলা, পূর্বে বরিশালের আগৈলঝরা উপজেলা ও মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলা এবং পশ্চিমে গোপালগঞ্জ সদর ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলা। মোট আয়তন: ৩৬২.০ বর্গকিলোমিটার/৮৯,৪৬৬.০০ একর। ইউনিযন: (১২টি) বান্ধাবাড়ী, সাদুল্লাপুর, রাধাগঞ্জ, কলাবাড়ী, রামশীল, আমতলী, কান্দি, ঘাঘর, হিরন, পিঞ্জুরী, সুয়াগ্রাম ও কুশলা। মোট জনসংখ্যা: ২,২৭,০২৫ জন (২০০১ সালের আদম শুমারী অনুযায়ী)। পৌরসভা: একটি (কোটালীপাড়া), পৌরসভার মোট আয়তন ৫.১২ বর্গ কি.মি। পুরুষ মহিলা অনুপাত ৫০.৯৫:৪৯.০৫; ঘনত্ব ৯৪২ জন/বর্গ কিমি; ওয়ার্ড ৯টি; মৌজা: ১০০টি; গ্রাম: ১৯৭টি; হাটের সংখ্যা: ১৫টি; ভূমি অফিস: ৭টি।
==অর্থনীতি==
কোটালিপাড়া একটি ডোবা এলাকা। এখানে এক বার ফসল ফলে। এখানের অর্থনীতি মূলত কৃষি নির্ভর। এ ছাড়া ব্যবসা , চাকরি, বিদেশে শ্রমিক।
এটি মূলত কৃষি প্রধান অঞ্চল। এখানে ধান, গম, পাট, আখ ও নানা ধরনের সবজি জন্মে। মৎস্য আহরণও এখানকার অন্যতম পেশা।
==সংস্কৃতি ও খেলাধুলা==
কোটালিপাড়ায় বসবাসকারী বিভিন্ন সম্প্রদায় তাদের নিজ নিজ রীতি-নীতি মনে চলে। বাংলাদেশের অন্য অনেক অঞ্চলের মত বিয়ের অনুষ্ঠানে ডুলি এবং [[পালকি|পালকির]] প্রচলন ছিল। শিবচরে মূলত গাজীর গান, [[কীর্তন]], [[পাঁচালি গান]], ধুয়াগান, [[বাউল গান]], [[প্রবাদ-প্রবচন]], [[ছড়া]], ছিলকা, হেয়ালি, ধাঁধা, [[জারিগান]] উল্লেখযোগ্যভাবে পরিচিত। বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন: [[পালকি]], ঘোড়ার গাড়ি, গরুর গাড়ি।<ref name=":4">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://bn.banglapedia.org/index.php?title=কোটালিপাড়া_উপজেলা|শিরোনাম=কোটালিপাড়া উপজেলা|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=[[বাংলাপিডিয়া]]|আর্কাইভের-ইউআরএল=|আর্কাইভের-তারিখ=|ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর|সংগ্রহের-তারিখ=২০২০-০২-০৬}}</ref>
শিবচরে ক্রিকেট ও ফুটবল খেলা বেশি জনপ্রিয়। এছাড়াও ব্যাডমিন্টন, এ্যাথলেটিকস্, ভলিবল, সাঁতার, [[কাবাডি]] স্বাধীনতার পূর্ব থেকেই এ অঞ্চলে প্রচলিত। আঞ্চলিকভাবে [[হা-ডু-ডু]], [[গোল্লাছুট]], বউ ছি, [[লুকোচুরি]] খেলা হয়।
==শিক্ষা==
{{আরও দেখুন|বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা}}
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা
*সংগঠন - ১) কান্দি ইউনিয়ন যুব সংঘ -ঢাকা।
২) ঢাকা ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস এ্যাসোসিয়েশন অব কোটালীপড়া, ডুসাক।
৩)(Jaharerkandi Student Association; It is the community of better education.)
৬৫ ⟶ ৮৪ নং লাইন:
*মেডিকেল কলেজ - ০
*অন্যান্য - ৭৩
বেসরকারী পাঠাগার-০১ (জ্ঞানের আলো পাঠাগার, তারাশী, কোটালীপাড়া)
কোটালীপাড়া উপজেলার শিক্ষা ব্যবস্থা বাংলাদেশের অন্য সব শহরের মতই। বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় প্রধানত পাঁচটি ধাপ রয়েছে: প্রাথমিক (১ থেকে ৫), নিম্ন মাধ্যমিক (৬ থেকে ৮), মাধ্যমিক (৯ থেকে ১০), উচ্চ মাধ্যমিক (১১ থেকে ১২) এবং উচ্চ শিক্ষা। প্রাথমিক শিক্ষা সাধারণত ৫ বছর মেয়াদী হয় এবং প্রাথমিক বিদ্যালয় সমাপনী পরীক্ষার মাধ্যমে শেষ হয়, ৩ বছর মেয়াদী নিম্ন মাধ্যমিক শিক্ষা সাধারণত [[নিম্ন মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট]] (জেএসসি), ২ বছর মেয়াদী মাধ্যমিক শিক্ষা [[মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট]] (এসএসসি), ২ বছর মেয়াদী উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সাধারণত [[উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট]] (এইচএসসি) পরীক্ষার মাধ্যমে শেষ হয়।
মূলত বাংলা ভাষায় পাঠদান করা হয় তবে ইংরেজি ব্যাপকভাবে পাঠদান ও ব্যবহৃত হয়। অনেক মুসলমান পরিবার তাদের সন্তানদের বিশেষায়িত ইসলামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেমন মাদ্রাসাতে প্রেরণ করেন। মাদ্রাসাগুলোতেও প্রায় একই ধরনের ধাপ উত্তীর্ণ হতে হয়। উচ্চ মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হওয়ার পর কোন শিক্ষার্থী সাধারণত উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেমন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারে। কোটালীপাড়ায় উচ্চ মাধ্যমিকের পর উচ্চ শিক্ষার জন্য বেশ কয়েকটি কলেজ রয়েছে যা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিএ ও এমএ ডিগ্রি প্রদান করে।
==স্বাস্থ্য==
{{আরও দেখুন|বাংলাদেশে স্বাস্থ্য}}
সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য হার তুলনামূলক কম হলেও এটি মূলত দারিদ্র্যতার সাথে সম্পর্কিত হওয়ায়, এর উন্নতির সাথে সাথে বর্তমানে স্বাস্থ্য সেবাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। কোটালীপাড়া অঞ্চলে [[অপুষ্টি]], পরিবেশগত স্যানিটেশন সমস্যা, ডায়াবেটিস, সংক্রামক রোগ প্রভৃতি বেশি দেখা যায়। উপজেলায় ৫০ শয্যা বিশিষ্ট একটি সরকারি হাসপাতালের সাথে সাথে ৩টি বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে। ১৫টি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র, ১টি পরিবার পরিকল্পনা ক্লিনিক, ৫টি উপ-স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র রয়েছে। এছাড়াও ৩১টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে।<ref name=":0">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://kotalipara.gopalganj.gov.bd/site/page/fea4151a-2012-11e7-8f57-286ed488c766/%E0%A6%8F%E0%A6%95%20%E0%A6%A8%E0%A6%9C%E0%A6%B0%E0%A7%87%20%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A6%BE%20%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BE|শিরোনাম=এক নজরে কোটালীপাড়া|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=[[বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন]]|ভাষা=en|আর্কাইভের-ইউআরএল=|আর্কাইভের-তারিখ=|ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর|সংগ্রহের-তারিখ=২০২০-০২-০৬}}</ref>
==যোগাযোগ ব্যবস্থা==
কোটালীপাড়া থেকে [[ঢাকা|ঢাকাগামী]] অধিকাংশ বাস সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল, গুলিস্থান ও গাবতলী বাস টার্মিনালে এসে থামে। কোটালীপাড়া জিরো পয়েন্ট থেকে গোপালগঞ্জ জেলা সদরের দূরুত্ব ২০ কিলোমিটার, রাজধানী [[ঢাকা|ঢাকার]] দূরত্ব ২০০ কিলোমিটার।
২০০১ সালের হিসেব অনুযায়ী এ উপজেলায় ৮১.৮৩ কিলোমিটার পাকারাস্তা, ১৮.৭৩ কিলোমিটার আধা-পাকারাস্তা ও ২৮৪.৬৩ কিলোমিটার কাঁচারাস্তা রয়েছে। এ উপজেলায় কোন রেললাইন বা ট্রেন যোগাযোগের ব্যবস্থা নেই। [[ঢাকা]] [[সদরঘাট]] লঞ্চ টার্মিনাল হতে পয়সার হাট লঞ্চ টার্মিনালে নৌপথ নিয়মিত নৌযাতায়াতের ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া এক ইউনিয়ন হতে অন্য ইউনিয়নে চলাচল বা অভ্যন্তরীন নৌযাতায়াতের এর জন্য স্থানীয় নৌযান রয়েছে।
==উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব==
* [[সুধীরলাল চক্রবর্তী]] (১৯১৬ - ১৯৫২) বাংলা ভাষার সুরকার ও সঙ্গীতজ্ঞ ও সুগায়ক;
* [[মোহিনী চৌধুরী]] (১৯২০ - ১৯৮৭) একজন খ্যাতনামা বাঙালি কবি, গীতিকার ও চিত্র পরিচালক;
* [[সুকান্ত ভট্টাচার্য]] (১৯২৫ - ১৯৪৭) - সাম্যবাদী ও মানবতাবাদী কবি;
* [[নির্মল সেন]] (১৯৩০ - ২০১৩) - প্রখ্যাত সাংবাদিক, কলামিস্ট;
* [[যোগেন চৌধুরী]] (১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৯) বাঙ্গালী চিত্রকর।
==
কোটালীপাড়ার দর্শনীয় স্থানের মধ্যে রয়েছে ঐতিহ্যবাহী বহুলতলী মসজিদ, যেটি প্রায় পাঁচ’শ বছর আগে ১৫৫৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এ মসজিদে এখনও আযান হয়। এটি কোটালীপাড়া সদর থেকে প্রায় ৫ কি. মি. দক্ষিণে বহুলতলী গ্রামে অবস্থিত। এছাড়া রয়েছে আঠারোো বছরের কবি হিসেবে পরিচিত সুকান্ত ভট্রাচার্যের পৈত্রিকবাড়ী। এটি উপজেলা সদর থেকে ২ কি. মি. পূর্বদিকে উনশিয়া গ্রামে অবস্থিত। আরেকটি দর্শনীয় স্থান [[হরিনাহাটি জমিদার বাড়ি]]। এটি উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১২ কি.মি. পূর্বদিকে হরিণহাটি গ্রামে অবস্থিত। এটি সুচানন্দ জমিদার নির্মাণ করেন। কত বছর আগে জমিদার বাড়িটি নির্মাণ করা হয়- এর কোন সঠিক তথ্য জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় ২৫০ বছর আগে জমিদার সুচানন্দ প্রায় ৫০ একর জমির উপর এ বাড়িটি নির্মাণ করেন।
==তথ্যসূত্র==
{{সূত্র তালিকা|২}}
==আরও দেখুন==
* [[কোটালীপাড়া পৌরসভা|কোটালীপাড়া পৌরসভা]]
* [[গোপালগঞ্জ জেলা]]
* [[ঢাকা বিভাগ]]
* [[বাংলাদেশের উপজেলাসমূহ]]
==বহিঃসংযোগ==
|