ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলসমূহ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৩ নং লাইন:
==আবাসিক হলসমূহ==
=== সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ===
[[১৯২১]] সালে এই হলের যাত্রা শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথেই। এর মূলভবন তৈরি হয় বিশের দশকের শেষের দিকে। এই হলের প্রথম প্রোভোস্ট ছিলেন অধ্যাপক এ এফ রাহমান। এই হলের প্রথম নাম ছিল মুসলিম হল, কিন্তু পরবর্তীতে ঢাকা নবাব [[খাজা সলিমুল্লাহ|নবাব স্যার সলিমুল্লাহের]] নামে এই হলের নামকরণ করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রায় দশ বছর পর নওয়াব স্যার সলিমুল্লার মৃত্যুবার্ষিকির অনুষ্ঠানে তার নামে একটা ছাত্রাবাস করার প্রস্তাব করা হয়। মুসলিম ছেলেদের জন্য তখন হল তৈরি হয়ে গেছে। প্রথমে এ হল ছিল এখনকার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বিল্ডিংএ। আবদুল্লাহ সোহরাওয়ার্দি বললেন এই হলকে সলিমুল্লাহ মুসলিম হল করা হোক। এর পর বর্তমান সলিমুল্লাহ মুসলিম হল নির্মাণ করা হয় এবং সলিমুল্লার নামে নামকরণ করা হয়<ref>়।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও পূর্ববঙ্গীয় সমাজ, অধ্যাপাক আব্দুর রাজ্জাকের আলাপচারিতা,সরদার ফজলুল করিম। পৃষ্ঠা-১৭</ref>
 
=== ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল ===
১০ নং লাইন:
[[চিত্র:Musa Khan's Mosque.jpg|right|thumb|মুসা খাঁ মসজিদ]]
[[File:Pond at Shahidullah Hall, University of Dhaka.jpg|thumb|right|শহীদুল্লাহ হলের পুকুর।]]
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী হল। প্রথমে এই হলের নাম ছিল ঢাকা হল। [[১৯৬৯]] সালে এশিয়ার বিখ্যাত পণ্ডিত, জ্ঞানতাপস [[মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্‌|ডঃ মুহম্মদ শহীদুল্লাহের]] নামানুসারে এই হলের নাম করণ করা হয় শ'''হীদুল্লাহ্‌ হল'''।পরে ১৭ জুন, ২০১৭ তারিখে এই হলের নাম '''ডঃ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ হল''' করা হয়।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1221356/%E0%A6%B6%E0%A6%B9%E0%A7%80%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B9-%E0%A6%B9%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AE-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%A8|শিরোনাম=শহীদুল্লাহ হলের নাম পরিবর্তন|সংবাদপত্র=প্রথম আলো|ভাষা=bn|সংগ্রহের-তারিখ=2017-09-05}}</ref> এ হলে মোট ০৬ টি ভবন রয়েছে।
 
=== জগন্নাথ হল ===
৫২ নং লাইন:
 
=== হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল ===
প্রতিষ্ঠা [[১ জানুয়ারি]] [[১৯৬৭]]।১৯৬৭। বর্তমান আবাসিক ছাত্রের সংখ্যা ৬০০, দ্বৈতাবাসিক ছাত্রের সংখ্যা ৮২০ এবং অনাবাসিক ছাত্রের সংখ্যা ৮৯০। হলের পাশে একটি মাঠ রয়েছে। এই হলে দুটি রিডিং রুম ও একটি লাইব্রেরি (গিয়াস উদ্দিন পাঠাগার), একটি ডাইনিং (আলমগিরের ক্যান্টিন)ও একটি মেস(ফয়োটস এন্টারটেইনমেন্ট) রয়েছে। আছে একটি টিভি রুম ও একটি গেমস রুম।
 
এই হলের ৫৬৪ নাম্বার কক্ষে বাংলা সাহিত্যের বিখ্যাত লেখক হুমায়ুন আহমেদ থাকতেন। এখানে বসেই তিনি তার অনেক বিখ্যাত বই লিখেছেন।
৭৫ নং লাইন:
=== বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ===
[[File:Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman Hall, Dhaka University .jpg|thumb|Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman Hall, Dhaka University. Picture shooted from first floor of Aziz Super market, Shahbagh. (09.02.2019)|বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ছবিটি আজিজ সুপার মার্কেট, শাহবাগের দোতলা থেকে তোলা। (০৯/০২/২০১৯)]]
[[১৯৮৮]] সালে [[শেখ মুজিবুর রহমান|বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের]] নামানুসারে এ হলের নামকরণ করা হয়। এ হলে আবাসিক ছাত্রের সংখ্যা ৪৮৪ জন এবং অনাবাসিক ছাত্রের সংখ্যা ৩৭৫২ জন।
হলটি জাতির পিতার স্মৃতি ধরে রাখার জন্য নামকরণ করা হয়।
 
=== মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল ===
[[১৯৮৮]] সালে মরহুম রাষ্ট্রপতি মুক্তিযোদ্ধা শহিদ [[জিয়াউর রহমান|জিয়াউর রহমানের]] নামানুসারে হলের নামকরণ করা হয়। এ হলের আবাসিক ছাত্রের সংখ্যা ১২০৫ জন এবং অনাবাসিক ছাত্রের সংখ্যা ৩৭৫২ জন।
 
=== বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল ===
৮৫ নং লাইন:
 
=== স্যার ফিলিপ হার্টগ ইন্টারন্যাশনাল হল ===
[[১৯৬৬]] সালে আন্তর্জাতিক হোস্টেল নামে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০২ সালে এটি ছাত্রাবাসে উন্নিত হয়। এ হলে ৩৬ জন বিদেশি ছাত্র আছে। এছাড়া এ হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৫ জন তরুণ শিক্ষকের আবাসিক ব্যব্যস্থা আছে।
 
=== অমর একুশে হল ===
৯৬ নং লাইন:
৫৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯তম, মনোরম স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত এ হলটি শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নয়, দেশের যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বৃহত্তম হল। হলটির অবস্থান মাস্টারদা সূর্যসেন হল এবং জিয়া হলের মাঝামাঝি স্থানে।
 
[[২০১৩]] সালের ১৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী [[শেখ হাসিনা]] এই নতুন হল উদ্বোধন করেন। এই হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টুইন-টাওয়ার ও অসাম্প্রদায়িক হল বলে খ্যাত। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখতে ও সকল সম্প্রদায়ের মানুষের আত্মোৎসর্গের কথা স্মরণ করে সবার জন্য এই হল উন্মুক্ত। ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে এই হলে সব ধর্মের ও বর্ণের ছাত্ররা থাকতে পারেন।
 
এ হলের তিনটি ব্লকের নাম বাংলাদেশের প্রধান ৩টি নদী যথাক্রমে পদ্মা, মেঘনা, যমুনা নামে নামকরণ করা হয়েছে।