সৌরজগৎ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৮ নং লাইন:
সূর্যকে কেন্দ্র করে প্রদক্ষিণরত বস্তুগুলোকে তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করা হয়: [[গ্রহ]], [[বামন গ্রহ]] এবং [[ক্ষুদ্র সৌর জাগতিক বস্তু]]।
 
[[গ্রহ]] সূর্যকে কেন্দ্র করে নির্দিষ্ট কক্ষপথে ঘূর্ণায়মান এমন একটি বস্তু , ক) যার নিজেকে গোলকীয় আকারে পরিণত করার মত যথেষ্ট পরিমাণ ভর রয়েছে এবং খ) যা তার নিকটতম প্রতিবেশে অবস্থিত সব ক্ষুদ্র বস্তুকে অপসারণ করেছে। এখন পর্যন্ত জানা তথ্যমতে মোট আটটি গ্রহ রয়েছে, এদের নাম পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে। [[২০০৬]] সালে [[২৪শে আগস্ট]] [[ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়ন]] গ্রহের সংজ্ঞা নতুন করে নির্ধারণ করেছে। এর পূর্বে প্লুটোসহ সৌরজগতে নয়টি গ্রহ ধরা হত। এই নতুন সংজ্ঞার আওতায় প্লুটোকে বামন গ্রহ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। দেখুন: [[গ্রহের নতুন সংজ্ঞা]]। <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি | ইউআরএল=http://news.bbc.co.uk/1/hi/magazine/4737647.stm | শিরোনাম=Farewell Pluto? | শেষাংশ=Akwagyiram | প্রথমাংশ=Alexis | প্রকাশক=BBC News | তারিখ=[[2005-08-02]] | সংগ্রহের-তারিখ=2006-03-05}}</ref>
 
একটি বামন গ্রহকে তার নিকটতম প্রতিবেশে অবস্থিত অন্য কোনও জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক বস্তুকে অপসারণ করতে হয় না। গ্রহের সাথে এটিই কেবল তার পার্থক্য। বর্তমানে তিনটি বামন গ্রহ পাওয়া গেছে যাদের নাম পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে। আরও যে বস্তুগুলো বামন গ্রহের মর্যাদা পেতে পারে তারা হল: [[৯০৩৭৭ সেডনা]], [[৯০৪৮২ অরকাস]] এবং [[৫০০০০ কুয়াওয়ার]]। ১৯৩০ সালে আবিষ্কারের পর থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত প্লুটো সৌরজগতের নবম গ্রহ হিসেবে চিহ্নিত হত। কিন্তু অধুনা সৌরজগতে প্লুটোর মতো অনেক বস্তু আবিষ্কৃত হচ্ছিল। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য [[এরিস (বামন গ্রহ)|এরিস]] যা প্লুটোর চেয়ে আকারে সামান্য ছোট।
৭৯ নং লাইন:
গ্রহাণু বেষ্টনীতে দশ-বিশ হাজার বস্তু আছে যেগুলোর ব্যাস এক কিলোমিটারের উপরে। এই সংখ্যা কয়েক মিলিয়নও হতে পারে। তারপরও সমগ্র গ্রহাণু বেষ্টনীর ভর পৃথিবীর ভরের হাজার ভাগের এক ভাগ থেকে সামান্য বেশি। বেষ্টনীতে গ্রহাণুগুলো খুব একটা ঘন সন্নিবেশিত নয়। পৃথিবী থেকে প্রেরিত [[নভোযান|নভোযানগুলো]] কোন রকমের দুর্ঘটনা ছাড়াই নিয়মিত এই বেষ্টনী অতিক্রম করে থাকে। যে গ্রহাণুগুলোর ব্যাস ১০ থেকে ১০<sup>৪</sup> মিটারের মধ্যে সেগুলোকে [[উল্কা]] বলা হয়।
 
;সেরেস:[[সেরেস]] গ্রহাণু বেষ্টনীর বৃহত্তম বস্তু। একে [[বামন গ্রহ]] শ্রেণীর মধ্যে ফেলা হয়েছে। সূর্য থেকে এর দূরত্ব ২.৭৭ এইউ এবং এর ব্যাস ১০০০ কিলোমিটার থেকে সামান্য কম। নিজস্ব অভিকর্ষের মাধ্যমে গোলকীয় আকৃতি লাভ করার জন্য এই ব্যাস যথেষ্টই বেশি। ঊনবিংশ শতকে যখন এটি আবিষ্কৃত হয় তখন সবাই গ্রহ বলে ধরে নিয়েছিল। কিন্তু আরও বিস্তারিত পর্যবেক্ষণের পর প্রতিবেশে অন্যান্য গ্রহাণু আবিষ্কৃত হওয়ায় ১৮৫০-এর দশকে গ্রহাণু হিসেবে চিহ্নিত হয়। আর [[২০০৬]] সালে এসে একে বামন গ্রহ হিসেবে পুনরায় শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে।
 
;গ্রহাণু শ্রেণী:কক্ষপথের বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে এই বেষ্টনীর গ্রহাণুগুলোকে [[গ্রহাণু শ্রেণী]] এবং [[গ্রহাণু পরিবার|পরিবারে]] বিভক্ত করা হয়। যে গ্রহাণুগুলো অপেক্ষাকৃত বড় গ্রহাণুকে কেন্দ্র করে আবর্তন করে সেগুলোকে [[গ্রহাণু চাঁদ]] বলা হয়। এই চাঁদগুলো অবশ্য মোটেই গ্রহীয় চাঁদের মত নয়। কোন কোন গ্রহাণু চাঁদ আকারে তার মাতৃ গ্রহাণুর প্রায় সমান। গ্রহাণু বেষ্টনীতে [[মূল-বেষ্টনী ধূমকেতু|মূল-বেষ্টনী ধূমকেতুও]] থাকে। ধারণা করা হয়, এই ধূমকেতুগুলোই পৃথিবীতে পানির উৎস হিসেবে কাজ করেছিল।
১২৬ নং লাইন:
 
;প্লুটো এবং শ্যারন
: [[প্লুটো]] নামক বামন গ্রহটি কাইপার বেষ্টনীর এখন পর্যন্ত জানা সর্ববৃহৎ বস্তু। [[১৯৩০]] সালে যখন আবিষ্কৃত হয় তখন একে নবম গ্রহ হিসেবে ধরে নেয়া হয়েছিল। কিন্তু [[২০০৬]] সালে [[ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়ন]] গ্রহের নতুন সংজ্ঞা নির্ধারণ করার পর প্লুটো তার গ্রহত্ব হারায়। প্লুটোর কক্ষপথ অন্যদের তুলনায় বেশি উৎকেন্দ্রিক যা ভূকক্ষের সাথে ১৭ ডিগ্রি কোণ করে থাকে। সূর্যের সাপেক্ষে প্লুটোর অনুসূর ২৯.৭ এইউ এবং অপসূর ৪৯.৫ এইউ। বোঝাই যাচ্ছে, এই কক্ষপথ নেপচুনের কক্ষপথকে ছেদ করে। প্লুটো রেজোন্যান্ট বেষ্টনীর মধ্যে অবস্থিত এবং নেপচুনের সাথে এর রেজোন্যান্স হচ্ছে ৩:২। অর্থাৎ, নেপচুন যে সময়ে সূর্যকে ৩ বার আবর্তন করে সে সময়ে প্লুটো সূর্যকে ২ বার আবর্তন করে। কাইপার বেষ্টনীর অন্যান্য যেসব বস্তু এই রেজোন্যান্স মেনে চলে সেগুলোকে [[প্লুটিনো]] বলা হয়।
 
:[[শ্যারন]] প্লুটোর বৃহত্তম প্রাকৃতিক উপগ্রহ। এটা উপগ্রহ হিসেবে থাকবে না তাকে বামন গ্রহের মর্যাদা দেয়া হবে এ নিয়ে সন্দেহ আছে। প্লুটো এবং ক্যারন উভয়েই তাদের সাধারণ অভিকর্ষ বিন্দু তথা ভারকেন্দ্রকে কেন্দ্র করে পরষ্পর পরষ্পরকে আবর্তন করে। এভাবে দুয়ে মিলে একটি যুগল ব্যবস্থার সৃষ্টি করেছে। তুলনামূলক ছোট বাকি চারটি উপগ্রহ তথা [[নিক্স]],[[হাইড্রা]],[[স্টিক্স]] এবং [[কার্বেরোস]] আবার প্লুটো ও শ্যারনকে আবর্তন করে।