বোর মডেল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
২৫ নং লাইন:
বিংশ শতাব্দির প্রথমভাগে [[আর্নেস্ট রাদারফোর্ড]] এর পরীক্ষার মাধ্যমে এটি পরীক্ষিত যে [[পরমাণু]] মূলত ঋণাত্বক আধানযুক্ত ইলেক্ট্রন পরিবেষ্টিত ক্ষুদ্রাকার, ঘন, ধনাত্বক আধানযুক্ত একটি [[পারমাণবিক নিউক্লিয়াস|নিউক্লিয়াস]]।<ref name="bohr1">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি | লেখক=Niels Bohr | শিরোনাম=On the Constitution of Atoms and Molecules, Part I | সাময়িকী=Philosophical Magazine | বছর=1913 | খণ্ড=26 | পাতাসমূহ=1–24 | ডিওআই= 10.1080/14786441308634955| ইউআরএল=http://web.ihep.su/dbserv/compas/src/bohr13/eng.pdf | সংখ্যা নং=151}}</ref> এ পরীক্ষিত উপাত্তের উপর ভিত্তি করে রাদারফোর্ড ১৯১১ সালে ইলেকট্রনের কক্ষপথে ঘুর্নায়মান পরমাণু মডেল উপস্থাপন করেন। তিনি এ মডেল কে সৌরজগতের সাথে তুলনা করেন, কিন্তু এ তুলনার কিছু ত্রুটি থেকে যায়। শাস্ত্রীয় বলবিজ্ঞানের সূত্রমতে ([[লার্মর সুত্র]]), নিউক্লিয়াসকে প্রদক্ষিণকালে ইলেকট্রন [[তড়িৎচুম্বকীয় বিকিরণ]] করতে থাকবে আর ক্রমাগত শক্তি হারানোর কারণে ইলেকট্রন একটি সর্পিল পথে ১৬ পিকোসেকেন্ডে নিউক্লিয়াসে পতিত হবে।<ref>[http://www.physics.princeton.edu/~mcdonald/examples/orbitdecay.pdf Olsen and McDonald 2005]</ref> এটি একটি বিপ্লবী মডেল কারণ এটি দেখায় যে প্রত্যেক পরমাণুই পরিবর্তনশীল।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.ck12.org/flexbook/chapter/7512|শিরোনাম=CK12 – Chemistry Flexbook Second Edition – The Bohr Model of the Atom|প্রকাশক=|সংগ্রহের-তারিখ=30 September 2014}}</ref>
 
এছাড়া, যেহেতু সর্পিল পথে কেন্দ্রমুখী গমনের কারণে ভ্রমনের কক্ষপথ প্রতিনিয়ত ছোট হতে থাকে, বিকিরনের কম্পাঙ্ক প্রতিনিয়ত বাড়তে থাকবে । অর্থাৎ এটি তড়িৎচুম্বকীয় বিকিরণের কম্পাঙ্কে পরিবর্তন আনে। ১৯ শতকের শেষভাগে [[ইলেকট্রিক ডিসচার্জ]] নিয়ে আরও গবেষনায়গবেষণায় দেখা যায় যে পরমাণু একটি নির্দিষ্ট কম্পাঙ্কের আলো বিকিরন করে (যা তড়িৎচুম্বকীয় বিকিরন)।
 
এ সকল সমস্যার সমধানের জন্য ১৯১৩ সালে [[নীল্‌স বোর]] তার বোর-মডেল উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন যে, ইলেকট্রনের পরিভ্রমনের কতগুলো নির্দিষ্ট নিয়ম থাকবেঃ
১১৫ নং লাইন:
::<math>\frac{1}{\lambda}=R \left( \frac{1}{n_{f}^2} - \frac{1}{n_{i}^2} \right). \,</math>
 
এটি [[রাইডবার্গ সূত্র]] নামে পরিচিত, এবং রাইডবার্গ ধ্রুবক ''R'' হল [[সাধারন একক]] এ <math>R_\mathrm{E}/hc</math>, বা <math>R_\mathrm{E}/2\pi</math>। এই তত্ত্ব ১৯ শতকের [[স্পেক্ট্রোস্কোপি]] নিয়ে গবেষনারতগবেষণারত বিজ্ঞানীদের কাছে পরিচিত ছিল, কিন্তু বোরের পূর্বে এর কোন তাত্ত্বিক ব্যখ্যা কিংবা R এর মান সংক্রান্ত কোন তাত্ত্বিক ধারণা কেউ দেন নি। বিভিন্ন স্পেক্ট্রাল রেখা যেমন [[লাইম্যান সিরিজ|লাইম্যান]] (<math>n_f = 1</math>), [[বামার সিরিজ|বামার]] (<math>n_f = 2</math>), [[পাশ্চেন সিরিজ|পাশ্চেন]] (<math>n_f = 3</math>) এর উপর পরীক্ষামূলক পর্যবেক্ষনের উপর ভিত্তি করে বোর সূত্র গঠিত হয়। তখনও পর্যন্ত অন্য রেখাগুলো পর্যবেক্ষন করা হয় নি বলে বোরের মডেল সাথে সাথে গ্রহণ করা হয়।
 
একের অধিক ইলেক্ট্রন সম্পন্ন পরমাণুর ক্ষেত্রে, রাইডবার্গ সূত্রের পরিবর্তন করা যায় "Z" এর স্থানে "Z − b" অথবা "n" এর স্থানে "n − b" বসিয়ে, যেখানে b একটি ধ্রুবক যা অন্তর্গত-শেল ও অন্যান্য ইলেকট্রনের প্রভাবে স্ক্রীনিং ইফেক্ট কে প্রদর্শন করে। বোর তার মডেল উপস্থাপনের পুর্বে এটি প্রায়োগিকভাবে প্রতিষ্ঠিত ছিল।