তাবুকের যুদ্ধ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
১৪ নং লাইন:
==যুদ্ধযাত্রা==
আরব এলাকায় রোমকদের প্রবেশ করার আগেই তাদেরকে রোম সীমান্তের মধ্যেই আটকে ফেলার জন্যে যুদ্ধ কৌশল নেন
===দান===
[[আব্দুর রহমান বিন আওফ]] ২০০ উক্বিয়া রৌপ্যমুদ্রা দান করেন। আববাস ইবনু আব্দুল মুত্ত্বালিবও অনেক সম্পদ দান করেন। আছেম বিন আদী ৯০ অসাক্ব অর্থাৎ প্রায় ১৩,৫০০ কেজি খেজুর জমা দেন। এতদ্ব্যতীত ত্বালহা, সা‘দ বিন ওবাদাহ, মুহাম্মাদ বিন মাসলামাহ প্রমুখ প্রচুর মাল-সম্পদ দান করেন। এভাবে এক মুদ, দুই মুদ করে কম-বেশি দানের স্রোত চলতে থাকে।
==তাবুকের পথে মুসলিম বাহিনী ==
৯ম হিজরীর রজব মাসের এক বৃহস্পতিবারে
===সেনাবাহিনীতে বাহক ও খাদ্য সংকট ===
সাধ্যমত দান-ছাদাক্বা করা সত্ত্বেও তা এই বিশাল সেনাবাহিনীর জন্য যথেষ্ট ছিল না। ফলে প্রতি ১৮ জনের জন্য একটি করে উটের ব্যবস্থা হয়। যার উপরে তারা পালাক্রমে সওয়ার হতেন। অনুরূপভাবে খাদ্য সংকট দেখা দেয়ায় তারা গাছের ছাল-পাতা খেতে থাকেন। যাতে তাদের ঠোটগুলো ফুলে যায়। পানির অভাবে প্রাণ ওষ্ঠাগত হবার উপক্রম হ’লে বাহন সংকট থাকা সত্ত্বেও তারা মাঝে-মধ্যে উট নহর করতে বাধ্য হ’তেন এবং উটের পিঠের কুঁজোতে (الكرش) সঞ্চিত পানি পান করতেন। বাহন ও খাদ্য-পানীয়ের এই কঠিন সংকটের কারণে তাবুক বাহিনীকে জায়শুল উসরাহ অর্থাৎ অভাব-অনটনের বাহিনী বলা হয়।<ref name="islam.net"/>
পথিমধ্যে সেনাবাহিনী ব্যাপক হারে পানি সংকটে পড়ায় তারা
===উপদেশবাণী===
মুসলিম বাহিনী তাবুকে অবতরণ করে যথারীতি শিবির স্থাপন করল এবং রোমকদের অপেক্ষা করতে থাকল। এই অবস্থায় আল্লাহর
==ফলাফল==
মুসলিম বাহিনীর তাবুকে উপস্থিতির খবর শুনে রোমক ও তাদের মিত্ররা ভীত হয়ে দের সীমান্তের অভ্যন্তরে বিভিন্ন শহরে বিক্ষিপ্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ল। তৎকালীন বিশ্বশক্তির এই বিনাযুদ্ধে পলায়নের ফলে সমস্ত আরব উপদ্বীপে মুসলিম শক্তির জন্য এমন সব অযাচিত রাজনৈতিক সুবিধা এনে দেয়। যেমন-
# আয়লার খৃষ্টান শাসনকর্তা ইউহান্নাহ বিন রু’বাহ
# আযরুহ ও জারবা) -এর নেতৃবৃন্দ এসে জিযিয়া প্রদান করে।
# মুহাম্দ তাদের প্রত্যেককে সন্ধির চুক্তিনামা প্রদান করে, যা তাদের কাছে রক্ষিত থাকে। শুধুমাত্র জিযিয়ার বিনিময়ে তাদের জান-মাল-ইযযত ও ধর্মের স্বাধীনতা অক্ষুণ্ণ রাখার নিশ্চয়তা দেয়া হয়।
|