তাবুকের যুদ্ধ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
১৪ নং লাইন:
 
==যুদ্ধযাত্রা==
আরব এলাকায় রোমকদের প্রবেশ করার আগেই তাদেরকে রোম সীমান্তের মধ্যেই আটকে ফেলার জন্যে যুদ্ধ কৌশল নেন মুহাম্মদ (স.)।মুহাম্মাদ। যাতে আরব ও মুসলিম এলাকা অহেতুক ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। অন্য সময় মুহাম্মদ (স.)মুহাম্মাদ ‘তাওরিয়া’ করেন। অর্থাৎ একদিকে যাওয়ার কথা বলে অন্যদিকে যেতেন। কিন্তু এবার তিনি সরাসরি ঘোষণা করলেন যে, রোমকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যেতে হবে। অতঃপর এ ব্যাপারে তিনি সবাইকে জোরালোভাবে উৎসাহিত করতে থাকেন। যাতে ভীতি ঝেড়ে ফেলে সবাই যুদ্ধের জন্য জোরে শোরে প্রস্ত্ততি গ্রহণ করতে পারে। দেখা গেল যে, একমাত্র মুনাফিকরা ব্যতীত সবাই যুদ্ধে যাত্রার জন্য উদগ্রীব হয়ে উঠলো। মক্কাবাসীদের নিকটে ও অন্যান্য আরব গোত্রগুলির নিকটে খবর পাঠানো হ’ল। একই সময়ে সূরা তওবার অনেকগুলি আয়াত নাযিল হ’ল মুনাফিকদের যুদ্ধভীতির বিরুদ্ধে ও মিথ্যা ওযর-আপত্তির বিরুদ্ধে।<ref name="islam.net"/>
 
===দান===
মুহাম্মদ (স.)মুহাম্মাদ এর সঙ্গী ইসলামে প্রথম খলিফা [[হযরত আবুবকর সিদ্দিক (রা.)|আবুবকর ছিদ্দীক]] তার সর্বস্ব এনে হাযির করলেন। আল্লাহ ও রাসূল ব্যতীত তার পরিবারের জন্য কিছুই ছেড়ে আসেননি। তিনিই ছিলেন প্রথম ব্যক্তি, যিনি জিহাদ ফান্ডে দানের সূচনা করেন। অপর সঙ্গী [[হযরত ওমর (রঃ)|ওমর ফারূক]] তার সমস্ত মাল-সম্পদের অর্ধেক দান করেন। [[হযরত ওসমান (রা.)|ওসমান গণী]] পরপর পাঁচবারে হাওদাসহ ৯০০ উট, গদি ও পালান সহ ১০০ ঘোড়া, প্রায় সাড়ে ৫ কেজি ওযনের কাছাকাছি ১০০০ স্বর্ণমুদ্রা, প্রায় ২৯ কেজি ওযনের কাছাকাছি ২০০ উক্বিয়া রৌপ্য মুদ্রা দান করেন। <ref name="islam.net"/>
 
[[আব্দুর রহমান বিন আওফ]] ২০০ উক্বিয়া রৌপ্যমুদ্রা দান করেন। আববাস ইবনু আব্দুল মুত্ত্বালিবও অনেক সম্পদ দান করেন। আছেম বিন আদী ৯০ অসাক্ব অর্থাৎ প্রায় ১৩,৫০০ কেজি খেজুর জমা দেন। এতদ্ব্যতীত ত্বালহা, সা‘দ বিন ওবাদাহ, মুহাম্মাদ বিন মাসলামাহ প্রমুখ প্রচুর মাল-সম্পদ দান করেন। এভাবে এক মুদ, দুই মুদ করে কম-বেশি দানের স্রোত চলতে থাকে।
 
==তাবুকের পথে মুসলিম বাহিনী ==
৯ম হিজরীর রজব মাসের এক বৃহস্পতিবারে মুহাম্মদ (স.)মুহাম্মাদ ৩০ হাজার সৈন্যের এক বিশাল বাহিনী নিয়ে তাবুকের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হ’লেন। এটাই ছিল তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় সেনা অভিযান। এই সময় তিনি মুহাম্মাদ ইবনে মাসলামাহ আনছারীকে মতান্তরে সেবা‘ বিন আরফাতা -কে মদীনার প্রশাসক নিযুক্ত করেন এবং হযরত আলীকে তার পরিবারের দেখাশুনার দায়িত্ব দিয়ে যান। কিন্তু মুনাফিকেরা তাকে ভীতু, কাপুরুষ ইত্যাদি বলে ঠাট্টা করায় ক্রুদ্ধ হয়ে তিনি পুনরায় গিয়ে পথিমধ্যে সেনাদলে যোগ দেন।<ref name="islam.net"/>
 
===সেনাবাহিনীতে বাহক ও খাদ্য সংকট ===
সাধ্যমত দান-ছাদাক্বা করা সত্ত্বেও তা এই বিশাল সেনাবাহিনীর জন্য যথেষ্ট ছিল না। ফলে প্রতি ১৮ জনের জন্য একটি করে উটের ব্যবস্থা হয়। যার উপরে তারা পালাক্রমে সওয়ার হতেন। অনুরূপভাবে খাদ্য সংকট দেখা দেয়ায় তারা গাছের ছাল-পাতা খেতে থাকেন। যাতে তাদের ঠোটগুলো ফুলে যায়। পানির অভাবে প্রাণ ওষ্ঠাগত হবার উপক্রম হ’লে বাহন সংকট থাকা সত্ত্বেও তারা মাঝে-মধ্যে উট নহর করতে বাধ্য হ’তেন এবং উটের পিঠের কুঁজোতে (الكرش) সঞ্চিত পানি পান করতেন। বাহন ও খাদ্য-পানীয়ের এই কঠিন সংকটের কারণে তাবুক বাহিনীকে জায়শুল উসরাহ অর্থাৎ অভাব-অনটনের বাহিনী বলা হয়।<ref name="islam.net"/>
 
পথিমধ্যে সেনাবাহিনী ব্যাপক হারে পানি সংকটে পড়ায় তারা মুহাম্মদ (স.)মুহাম্মাদ এর নিকটে এসে পানির অভিযোগ পেশ করেন। তখন আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) আল্লাহর নিকটে পানি প্রার্থনা করলেন। ফলে আল্লাহ বৃষ্টির মেঘ পাঠিয়ে দেন, যা বিপুল বৃষ্টি বর্ষণ করে। সেনাবাহিনী তৃপ্তি সহকারে পানি পান করেন এবং পাত্রসমূহ ভরে নেন।
 
===উপদেশবাণী===
মুসলিম বাহিনী তাবুকে অবতরণ করে যথারীতি শিবির স্থাপন করল এবং রোমকদের অপেক্ষা করতে থাকল। এই অবস্থায় আল্লাহর মুহাম্মদ (স.)মুহাম্মাদ তার সেনা দলের উদ্দেশ্যে একটি সংক্ষিপ্ত ও সারগর্ভ ভাষণ দেন।
 
==ফলাফল==
মুসলিম বাহিনীর তাবুকে উপস্থিতির খবর শুনে রোমক ও তাদের মিত্ররা ভীত হয়ে দের সীমান্তের অভ্যন্তরে বিভিন্ন শহরে বিক্ষিপ্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ল। তৎকালীন বিশ্বশক্তির এই বিনাযুদ্ধে পলায়নের ফলে সমস্ত আরব উপদ্বীপে মুসলিম শক্তির জন্য এমন সব অযাচিত রাজনৈতিক সুবিধা এনে দেয়। যেমন-
# আয়লার খৃষ্টান শাসনকর্তা ইউহান্নাহ বিন রু’বাহ মুহাম্মদ (স.)মুহাম্মাদ সন্ধি করেন এবং তাঁকে জিযিয়া প্রদান করেন।
# আযরুহ ও জারবা) -এর নেতৃবৃন্দ এসে জিযিয়া প্রদান করে।
# মুহাম্দ তাদের প্রত্যেককে সন্ধির চুক্তিনামা প্রদান করে, যা তাদের কাছে রক্ষিত থাকে। শুধুমাত্র জিযিয়ার বিনিময়ে তাদের জান-মাল-ইযযত ও ধর্মের স্বাধীনতা অক্ষুণ্ণ রাখার নিশ্চয়তা দেয়া হয়।