জুবাইর ইবনুল আওয়াম: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
৪ নং লাইন:
== জন্ম ও বংশপরিচয় ==
জুবাইর ইবনুল আওয়ামের মূল নাম '''জুবাইর''' এবং ডাক নাম '''আবু আবদিল্লাহ'''। তার উপাধি ছিল '''হাওয়ারিয়্যু রাসূলিল্লাহ'''। যুবাইর হিজরতের ২৮ বছর পুর্বে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ''আওয়াম'' এবং মাতার নাম ''সাফিয়্যা বিনতে আবদুল মুত্তালিব''। তার মা ছিলেন মুহাম্মদের
==ইসলাম গ্রহণ==
মাত্র ১৬ বছর বয়সে যুবাইর ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। তার ইসলাম গ্রহণের পর গুজব ছড়ালো যে অমুসলিমরা নবী মুহাম্মদকে
==হাবশায় হিজরত==
মক্কার অন্যান্য নও মুসলিমদের মত যুবাইর অনেক অত্যাচার ও নির্যাতনের শিকার হন। তার চাচা সকল রকম চেষ্টা করেও তাকে ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করাতে না পেরে দৈহিক নির্যাতন শুরু করেন। তাকে উত্তপ্ত পাথরের উপর চিৎ করে শুইয়ে দিয়ে মারধর করা হতো। তাদের অত্যাচারে অতীষ্ঠ হয়ে তিনি একটা মুসলিম দলের সাথে [[হাবশা|হাবশায়]] চলে যান। কিছুদিন সেখানে অবস্থানের পর পুনরায় মক্কায় প্রত্যাবর্তন করেন। ঐ সময় নবী মুহাম্মদ
==যুদ্ধে অংশগ্রহণ==
যুবাইর একজন সাহসী ও শক্তিমান যোদ্ধা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। কাফেরদের আক্রমণের মুখে যুদ্ধে অংশগ্রহণের ব্যাপারে তিনি ছিলেন অনন্য। প্রতিটি যুদ্ধে তিনি অসীম সাহসিকতা ও দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন।
===বদর যুদ্ধে অবদান===
বদর যুদ্ধ ২ হিজরির ১৭ রমজান (১৭ মার্চ ৬২৪ খ্রিষ্টাব্দ) মদিনার মুসলিম ও মক্কার কুরাইশদের মধ্যে সংঘটিত হয়। ইসলামের ইতিহাসে এটি প্রথম প্রধান যুদ্ধ। এতে জয়ের ফলে মুসলিমদের প্রতিপত্তি পূর্বের তুলনায় বৃদ্ধি লাভ করে। বদর যুদ্ধে মুসলিম বাহিনীর তুলনায় অমুসলিম বাহিনীর সেনা সংখ্যা ছিলো বহুগুণ বেশি। বদর যুদ্ধে একজন অমুসলিম সৈন্য পাহাড়ের টিলায় দাঁড়িয়ে তাকে দ্বন্দ যুদ্ধের আহবান জানালে তিনি সাথে সাথে তাকে জাপ্টে ধরেন এবং গড়িয়ে নিচে পড়তে থাকেন। নবী মুহাম্মদ
বদর যুদ্ধে যুবাইর এত সাংঘাতিকভাবে যুদ্ধ করেছিলেন যে তার তলোয়ার ভোঁতা হয়ে গিয়েছিলো। আঘাতে আঘাতে তার পুরো শরীর বিক্ষত হয়ে গিয়েছিলো। একটি ক্ষত এতই বড় হয়েছিলো যে তা সারাজীবন গর্তের মত হয়েছিলো। যুবাইরের পুত্র উরওয়া বলেন, “আমরা সেই গর্তে আংগুলি ঢুকিয়ে খেলা করতাম।” বদর যুদ্ধে যুবাইর হলুদ রঙের [[পাগড়ী পরেছিলেন। এটা দেখে মুহাম্মদ (সা:) বলেন যে আজ [[ফেরশতা|ফেরশতারা]] এই পোশাকে এসে যুদ্ধ করেছে।
===উহুদের যুদ্ধে অবদান===
উহুদের যুদ্ধ ৩ হিজরির ৭ শাওয়াল (২৩ মার্চ ৬২৫ খ্রিষ্টাব্দ) [[উহুদ পর্বত|উহুদ পর্বতের]] সংলগ্ন স্থানে সংঘটিত হয়। মদিনার মুসলিম ও মক্কার কুরাইশদের মধ্যে এই যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে। এই দুই পক্ষের নেতৃত্বে ছিলেন যথাক্রমে মুহাম্মাদ
=== খাইবারের যুদ্ধে অবদান===
খাইবারের যুদ্ধ ৬২৯ খ্রিষ্টাব্দে তৎকালীন আরবের মদিনা নগরী থেকে ১৫০ কিলোমিটার (৯৩ মাইল) দুরে অবস্থিত খায়বার নামক মরুভূমিতে বসবাসরত ইহুদিগণের সাথে মুসলিমগণের সঙ্ঘটিত একটি যুদ্ধ। যুদ্ধে ইহুদি নেতা মুরাহহিব নিহত হলে তার ভাই অসীম বলবান ইয়াসির যুদ্ধের ময়দানে আসে এবং দ্বন্দযুদ্ধের আহবান জানায়। ইয়াসি বিশালাকার দেহের অধিকারী ছিলেন। যুবাইর তার দ্বন্দযুদ্ধের আহবান স্বীকার করলেন এবং যুদ্ধ শুরু করলেন। এতে যুবাইরের মা ভয় পেয়ে গেলেন এবং মুহাম্মদকে
===মক্কা বিজয়ে অবদান===
নবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) খ্রিস্টীয় ৬৩০ অব্দে বিনা রক্তপাতে মক্কা নগরী দখল করেন। ইতিহাসে এই ঘটনা [[মক্কা বিজয়]] নামে খ্যাত। [[খাইবার বিজয়|খাইবার বিজয়ের]] পর মক্কা বিজয়ের প্রস্তুতি চলছিলো। এইসময় হাতিম বিন আবী বালতায়া মুসলিমদের সব খবর চিঠি লিখে শত্রুবাহিনীকে জানাতে মক্কায় একজন মহিলাকে প্রেরণ করলেন। এই ঘটনা জানাজানি হয়ে গেলে উক্ত মহিলাকে আটক করতে যে দলটি পাঠানো হয়েছিলো যুবাইর ছিলেন সেই দলের একজন সদস্য।
মক্কা বিজয়ের দিন মুহাম্মদ
===ইয়ারমুকের যুদ্ধ===
৪১ নং লাইন:
== রাসুলের নৈকট্য ==
জুবাইর ইবনুল আওয়াম ইসলামের রাসুল রাসুল মুহাম্মাদ (সা:) প্রিয় পাত্র ছিলেন। মুহাম্মদ (সা:) তাকে মুরীদ (হাওয়ারি) হিসেবে গণ্য করতেন। তিনি অকুতোভয়ে হজহাদে অংশ গ্রহণ করেছেন। বিদায় হজ্জ্বের সময় তিনি মুহাম্মদ
==মৃত্যু==
|