অ্যান্টিবায়োটিক: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
২৩ নং লাইন:
বিভিন্ন অ্যান্টিবায়োটিক অণুজীবের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ভাবে কাজ করে। তার মধ্যে প্রধান প্রধান উপায় গুলো হলঃ
* '''[[ব্যাক্টেরিয়া|ব্যাক্টেরিয়ার]] [[কোষপ্রাচীর|কোষপ্রাচীরের]] ([http://en.wikipedia.org/wiki/cell_wall Cell Wall]) [[পেপটিডোগ্লাইক্যান|পেপ্টাইডোগ্লাইকেন]] ([http://en.wikipedia.org/wiki/Peptidoglycan Peptidoglycan])সংশ্লেষণ বন্ধ করে দেয়''': [[বিটা-ল্যাক্টাম অ্যান্টিবায়োটিক|বিটা-ল্যাক্টাম]] (beta-lactam) অ্যান্টিবায়োটিক (যেমনঃ [[পেনিসিলিন]]) [[কোষ প্রাচীর|কোষ প্রাচীরের]] [[পেপ্টাইডোগ্লাইকেন]] সংশ্লেষন বন্ধ করে দেয়। <ref name="ReferenceA"/> দৃঢ়ঃ [[পেপটিডোগ্লাইকেন|পেপ্টাইডোগ্লাইকেন]] স্তরের অভাবে কোষ সাধারণত [[পানি]] শোষনের মাধ্যমে মরে যায়। তাছাড়া [[ব্যাক্টেরিয়া|ব্যাকটেরিয়ার]] [[কোষ প্রাচীর]] কিছু [[এনজাইম|উৎসেচক]] ([http://en.wikipedia.org/wiki/enzyme enzyme]) ধারণ করে যারা পেপ্টাইডোগ্লাইকেনের স্তরকে ভাঙে, যার ফলে নতুন পেপ্টাইডোগ্লাইকেন স্তর সৃষ্টি হতে পারে। কোষের নিজের এমন কিছু পদার্থ আছে যারা এই প্রক্রিয়াকে
* '''[[কোষপর্দা|কোষপর্দায়]] ([http://en.wikipedia.org/wiki/cell_membrane Cell Membrane]) ছিদ্র করে''': বিভিন্ন [[পলিপেপটাইড]] আন্টিবায়োটিক (যেমন: [[পলিমিক্সিন]] (Polymyxin)) ব্যাক্টেরিয়ার [[কোষঝিল্লি]] ধবংস কররার ক্ষমতা আছে। এরা কোষঝিল্লির মুখ্য উপাদান [[ফসফোলিপিড]]([http://en.wikipedia.org/wiki/phospholipid Phospholipid]) নষ্ট করে দেয়। এর ফলে কোষঝিল্লির সাধারণ ভেদ্যতা নষ্ট হয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদার্থ কোষ থেকে বের হয়ে যায় এবং অবশেষে কোষটি মারা যায়।
[[চিত্র:Ribosomer i arbete.png|thumb|অনেকগুলি করে [[রাইবোজোম]] রেলগাড়ীর বগির মত একই [[এম-আরএনএ|mRNAর]] রেললাইনের উপর পেছন পেছন চলতে থাকে।এদের মধ্যে যেকোন একটি অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যের ফলে অবরুদ্ধ হলে তার পিছনের সব কটিও লাইন দিয়ে আটকে যাবে।]]
১২৩ নং লাইন:
=== প্রতিকার ===
* আন্টিবায়োটিকের ব্যবহার
* [[ভাইরাস|ভাইরাসঘটিত]] রোগে আন্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধ করা। ভাইরাসের বিরুদ্ধে আন্টিবায়োটিক কোনো কাজে আসে না, কারণ আন্টিবায়োটিক শুধু মাত্র [[ব্যাক্টেরিয়া]] ও [[ছত্রাক|ছত্রাকের]] বিরুদ্ধে কাজ করে। যেমন, আমাদের যে সাধারণ হাঁচি কাশি জাতীয় ঠান্ডা লাগা ([http://en.wikipedia.org/wiki/Common_cold Common Cold]), সেটা মূলত ভাইরাস ঘটিত- [[করোনাভাইরাস]] ([http://en.wikipedia.org/wiki/Coronavirus Coronavirus]), [[রাইনোভাইরাস]] ([http://en.wikipedia.org/wiki/Rhinovirus Rhinoviurs]) ইতাদি সাধারণতঃ এজন্য দায়ী; এদের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করে না।
* ঠিক যেই আন্টিবায়োটিক দরকার সেই আন্টিবায়োটিকই প্রয়োজন মাফিক ব্যবহার করতে হবে।
১৩৩ নং লাইন:
বিশ্বের অণুন্নত অঞ্চলে আন্টিবায়োটিকের সবচেয়ে অপব্যবহার ঘটে। এই সব দেশে বিশেষভাবে গ্রামাঞ্চলে দক্ষ লোকের অভাবে আন্টিবায়োটিক প্রায় সর্বত্রই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া গ্রহণ করা হয়। এক জরিপে দেখা যায়, বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে মাত্র ৮% আন্টিবায়োটিক ডাক্তারের উপদেশে বিক্রি করা হয়। পৃথিবীর অনেক অঞ্চলেই সাধারণ মাথা ব্যাথা, পেটের ব্যাথা, জ্বর ইত্যাদির জন্য আন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে ডাক্তাররা আন্টিবায়োটিক খেতে বলার সময়, ঐ আন্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে রোগির শরীরের ব্যাক্টেরিয়া আগেই প্রতিরোধী হয়ে গেছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখা হয় না, আবার অনেক সময় রোগের শুরুতেই আন্টিবায়োটিক গ্রহণের উপদেশ দেওয়া হয়, কিন্তু হয়ত আন্টিবায়োটিক ছাড়া রোগ নিরাময় সম্ভব ছিল। এসব কারণই আন্টিবায়োটিক-রোধী ব্যাক্টেরিয়ার টিকে থাকার সম্ভবনা বাড়িয়ে দেয়। <ref name="ReferenceA"/>
উন্নত বিশ্বেও এই সমস্যা বিদ্যমান। [[আমেরিকা]]র রোগ
== তথ্যসূত্র ==
{{সূত্র তালিকা}}
|