আফগানিস্তান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
→‎ভূগোল: সম্প্রসারণ, তথ্যসূত্র যোগ/সংশোধন
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৯৩ নং লাইন:
 
=== ইসলামি পর্ব ===
খ্রিস্টীয় [[৭ম শতাব্দী|৭ম শতাব্দীতে]] [[আরব]] সৈন্যরা আফগানিস্তানে নতুন ধর্ম [[ইসলাম]] নিয়ে আসে। পশ্চিমের [[হেরাত]] ও [[সিস্তান প্রদেশ]] আরবদের নিয়ন্ত্রণে আসে, কিন্তু আরব সৈন্য চলে যাওয়া মাত্রই সেখানকার জনগণ তাদের পুরনো ধর্মে ফেরত যায়। [[১০ম শতাব্দী|১০ম শতকে]] বর্তমান [[উজবেকিস্তান|উজবেকিস্তানের]] [[বুখারা]] থেকে [[সামানিদ]] নামের মুসলিম শাসকবংশ আফগান এলাকায় প্রভাব বিস্তার করা শুরু করেন। [[১০ম শতাব্দী]]তে [[গজনী|গজনীতে]] [[গজনবী রাজবংশ]] প্রতিষ্ঠিত হয়, তবে এর পূর্ব পর্যন্ত মুসলমান ও অ-মুসলমানরা তখনও কাবুলে পাশাপাশি অবস্থান করত।<ref name="Elliot-2">{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি |urlইউআরএল=http://persian.packhum.org/persian/pf?file=80201012&ct=98 |titleশিরোনাম=A.—The Hindu Kings of Kábul |authorলেখক=স্যার এইচ. এম. এলিয়ট |publisherপ্রকাশক=প্যাকার্ড হিউমিনিটিজ ইনস্টিটিউট |locationঅবস্থান=লন্ডন | dateতারিখ=1867–1877 |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=৩ জানুয়ারি ২০২০ |archiveurlআর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20140408220905/http://persian.packhum.org/persian/pf?file=80201012&ct=98 |archivedateআর্কাইভের-তারিখ=8 April 2014 }}</ref><ref name="Mustawfi">{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি |urlইউআরএল=http://persian.packhum.org/persian/pf?file=16301012&ct=16 |titleশিরোনাম=The Geographical Part of the NUZHAT-AL-QULUB |authorলেখক =হামদ-আল্লাহ মুস্তাবফি |workকর্ম=Translated by Guy Le Strange |publisherপ্রকাশক=প্যাকার্ড হিউমিনিটিজ ইনস্টিটিউট |yearবছর=১৩৪০ |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=৩ জানুয়ারি ২০২০ |archiveurlআর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20130726144951/http://persian.packhum.org/persian/pf?file=16301012&ct=16 |archivedateআর্কাইভের-তারিখ=26 July 2013 }}</ref><ref name="Elliot-3">{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি |urlইউআরএল=http://persian.packhum.org/persian/pf?file=80201012&ct=100 |titleশিরোনাম=A.—The Hindu Kings of Kábul (p.3) |workকর্ম=স্যার এইচ. এম. এলিয়ট |publisherপ্রকাশক=প্যাকার্ড হিউমিনিটিজ ইনস্টিটিউট |locationঅবস্থান=লন্ডন | dateতারিখ=1867–1877 |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=৩ জানুয়ারি ২০২০ |archiveurlআর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20130726133107/http://persian.packhum.org/persian/pf?file=80201012&ct=100 |archivedateআর্কাইভের-তারিখ=26 July 2013 }}</ref>
 
গজনীর সর্বশ্রেষ্ঠ রাজা [[মাহমুদ গজনভি]] ৯৯৮ থেকে ১০৩০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত এ এলাকা শাসন করেন এবং তার সময়েই তিনি কাফিরিস্তান ব্যতীত<ref name="nuristan.info">{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://nuristan.info/Nuristani/Nuristanis1.html|titleশিরোনাম=Richard Strand's Nuristân Site: Peoples and Languages of Nuristan|authorলেখক=স্ট্র্যান্ড, রিচার্ড এফ. |dateতারিখ=31 December 2005 |workকর্ম=নুরিস্তান |accessসংগ্রহের-dateতারিখ=৩ জানুয়ারি ২০২০ |archiveআর্কাইভের-urlইউআরএল=https://web.archive.org/web/20190401180243/http://nuristan.info/Nuristani/Nuristanis1.html|archiveআর্কাইভের-dateতারিখ=1 April 2019|urlইউআরএল-statusঅবস্থা=live}}</ref> বাকি হিন্দু রাজাদের পরাজিত করে সমগ্র আফগানিস্তানে ইসলাম সুপ্রতিষ্ঠিত করেন।{{sfn|ইওয়ান্স|২০০২|pp=২২-২৩}} গজনী সাহিত্য ও শিল্পের কেন্দ্রে পরিণত হয় এবং মাহমুদ বুদ্ধিজীবীদের পৃষ্ঠপোষকতা করেন, তন্মধ্যে রয়েছে ইতিহাসবিদ [[আল বিরুনী]] ও কবি [[ফেরদৌসী]]।<ref>{{citeবই bookউদ্ধৃতি|titleশিরোনাম=Afghanistan: A Country Study|dateতারিখ=১৯৮৬|publisherপ্রকাশক=ফরেন এরিয়া স্টাডিজ, দি আমেরিকান ইউনিভার্সিটি |editor1=রিচার্ড নাইরপ |editor2=ডোনাল্ড সিকিন্স |pageপাতা=১০}}</ref> মাহমুদের মৃত্যুর পর গজনীর প্রভাব হ্রাস পেতে থাকে এবং [[১২শ শতাব্দী]]তে পশ্চিম-মধ্য আফগানিস্তানের [[ঘুর]] শহরে [[ঘুরি রাজ্য]] প্রতিষ্ঠিত হয়। ঘুরিরা আবার ১২১৫ খ্রিস্টাব্দে মধ্য এশিয়ার [[খোয়ারিজমি শাহ|খোয়ারিজমি শাহদের]] কাছে পরাজিত হন।{{sfn|ইওয়ান্স|২০০২|page=২৩}}
 
১২১৯ খ্রিস্টাব্দে [[মঙ্গোল]] সেনাপতি [[চেঙ্গিস খান]] তার সৈন্যদল নিয়ে খোয়ারিজমি শহর হেতাত ও বালখ এবং বামিয়ানে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করেন।<ref>{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি |urlইউআরএল=https://faculty.washington.edu/modelski/CAWC.htm |titleশিরোনাম=Central Asian world cities |publisherপ্রকাশক=ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় | dateতারিখ=29 September 2007 |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=৩ জানুয়ারি ২০২০ |archiveurlআর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20130723185841/https://faculty.washington.edu/modelski/CAWC.htm |archivedateআর্কাইভের-তারিখ=23 July 2013 }}</ref> মোঙ্গলদের এই ক্ষতিসাধনের ফলে অনেক স্থানীয় লোকজন কৃষিজমি পরিপূর্ণ গ্রামীণ এলাকায় চলে যেতে বাধ্য হয়।<ref>{{citeসংবাদ newsউদ্ধৃতি |lastশেষাংশ=পেজ |firstপ্রথমাংশ=সুজান |urlইউআরএল=https://www.usatoday.com/news/world/2009-02-17-afghanistan-forces_N.htm |titleশিরোনাম=Obama's war: Deploying 17,000 raises stakes in Afghanistan |publisherপ্রকাশক=[[ইউএসএ টুডে]] |dateতারিখ=18 February 2009 |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=৩ জানুয়ারি ২০২০ |archiveআর্কাইভের-urlইউআরএল=https://web.archive.org/web/20110513040037/http://www.usatoday.com/news/world/2009-02-17-afghanistan-forces_N.htm |archiveআর্কাইভের-dateতারিখ=13 May 2011 |urlইউআরএল-statusঅবস্থা=live }}</ref> [[১৪শ শতাব্দী]]র শেষে মধ্য এশীয় সেনাপতি [[তৈমুর লং]] আফগানিস্তান জয় করেন ও ভারতে অগ্রসর হন। তার সন্তান ও পৌত্রেরা তার সাম্রাজ্যের পুরোটা ধরে রাখতে পারেনি, তবে তারা বর্তমান আফগানিস্তানের অধিকাংশ হেরাত থেকে শাসন করতে সক্ষম হয়।
 
ঘুরি থেকে তিমুরীয় সাম্রাজ্যের শাসনামলে এখানে ইসলামী স্থাপত্যের বিকাশ ঘটে। এসময় তৈরি বহু মসজিদ ও মিনার আজও [[হেরাত]], [[গজনী]] ও [[মাজার-ই-শরিফ|মাজার-ই-শরিফে]] দাঁড়িয়ে আছে। হেরাতে [[১৫শ শতাব্দী]]তে ক্ষুদ্রাকৃতি চিত্রকর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারার বিকাশ ঘটে।
১০৬ নং লাইন:
{{মূল নিবন্ধ|হুতাক রাজবংশ|দুররানি সাম্রাজ্য}}
[[চিত্র:Portrait miniature of Ahmad Shah Durrani.jpg|থাম্ব|বাম|আহমেদ শাহ দুররানি, ১৭৪৭ সালে আধুনিক আফগানিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা]]
১৭০৯ সালে স্থানীয় ঝিলজাই গোত্রের নেতা মিরওয়াইস হুতাক সাফাভিদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন এবং গুরগিন খানকে পরাজিত করে স্বাধীন আফগানিস্তান স্থাপন করেন।<ref name="Browne">{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://persian.packhum.org/persian/main?url=pf%3Ffile%3D90001014%26ct%3D29 |titleশিরোনাম=A Literary History of Persia, Volume 4: Modern Times (1500–1924), Chapter IV. An Outline Of The History Of Persia During The Last Two Centuries (A.D. 1722–1922) |authorলেখক=ব্রাউন, এডওয়ার্ড জি. |publisherপ্রকাশক=প্যাকার্ড হিউমিনিটিজ ইনস্টিটিউট |locationঅবস্থান=লন্ডন |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=৩ জানুয়ারি ২০২০ |archiveurlআর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20130726142425/http://persian.packhum.org/persian/main?url=pf%3Ffile%3D90001014&ct=29 |archivedateআর্কাইভের-তারিখ=26 July 2013 |urlইউআরএল-statusঅবস্থা=dead }}</ref> মিরওয়াইস ১৭১৫ সালে মারা যান এবং তার স্থলে তার ভাই আবদুল আজিজ সিংহাসনে আরোহণ করেন। মিরওয়াইসের পুত্র মাহমুদ হুতাক তাকে রাষ্ট্রদোহিতার জন্য হত্যা করে। মাহমুদ ১৭২২ সালে পারস্যের রাজধানী ইস্পাহানে আক্রমন চালান এবং গুলনাবাদের যুদ্ধের পর নগরীটি দখল করে নিজেকে পারস্যের রাজা হিসেবে ঘোষণা দেন।<ref name="Browne" />
 
১৭৪৭ সালে [[আহমদ শাহ দুররানি]] [[কান্দাহার]] শহরকে রাজধানী করে এখানে [[দুররানি সাম্রাজ্য|দুররানি সাম্রাজ্যের]] পত্তন করেন। <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://concise.britannica.com/ebc/article-9354776/Ahmad-Shah-Durrani|শিরোনাম=''Ahmad Shah Durrani''|লেখক=|তারিখ=|কর্ম=britannica.com|সংগ্রহের-তারিখ=13 November 2019|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20071217160329/http://concise.britannica.com/ebc/article-9354776/Ahmad-Shah-Durrani|আর্কাইভের-তারিখ=১৭ ডিসেম্বর ২০০৭|অকার্যকর-ইউআরএল=না}}</ref> ১৭৭২ সালের অক্টোবরে দুররানির মৃত্যু হয় এবং তাকে কান্দাহারে সমাহিত করা হয়। তার পুত্র তৈমুর শাহ দুররানি তার স্থলাভিষিক্ত হন এবং তিনি আফগানিস্তানের রাজধানী কান্দাহার থেকে কাবুলে স্থানান্তরিত করেন। এই সময় থেকে দেশটি প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির কাছে অনেক অঞ্চল হারাতে শুরু করে। ১৭৯৩ সালে তৈমুরের মৃত্যুর পর তার পুত্র জামান শাহ দুররানি ক্ষমতায় আসেন, এবং ধারাবাহিকভাবে মাহমুদ শাহ দুররানি, সুজা শাহ ও অন্যান্যরা সিংহাসনে আরোহণ করেন।<ref>এস্পোসিতো, জন এল. "The Oxford Dictionary of Islam"। পৃ. ৭১।</ref>
১৩০ নং লাইন:
{{মূল নিবন্ধ|আফগানিস্তানের ভূগোল}}
[[চিত্র:Afghan topo en.jpg|thumb|right|200px|আফগানিস্তানের ভূ-সংস্থান]]
ভূমিবেষ্টিত সুউচ্চ পর্বতময় এবং উত্তর ও দক্ষিণ সীমান্তে সমভূমিবেষ্টিত আফগানিস্তান দক্ষিণ এশিয়া<ref name="South Asia">* {{citeওয়েব webউদ্ধৃতি |urlইউআরএল=http://pubs.usgs.gov/of/1997/ofr-97-470/OF97-470C/asiaGmap.html |titleশিরোনাম=U.S. maps |publisherপ্রকাশক=Pubs.usgs.gov |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=৩ জানুয়ারি ২০২০ |archiveurlআর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20131225134851/http://pubs.usgs.gov/of/1997/ofr-97-470/OF97-470C/asiaGmap.html |archivedateআর্কাইভের-তারিখ=25 December 2013 }}
* {{citeওয়েব webউদ্ধৃতি |urlইউআরএল=http://www.worldbank.org/en/region/sar |titleশিরোনাম=South Asia: Data, Projects, and Research |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=৩ জানুয়ারি ২০২০ |archiveআর্কাইভের-urlইউআরএল=https://web.archive.org/web/20150301035209/http://www.worldbank.org/en/region/sar |archiveআর্কাইভের-dateতারিখ=1 March 2015 |urlইউআরএল-statusঅবস্থা=live }}
* {{citeওয়েব webউদ্ধৃতি |urlইউআরএল=http://pubs.usgs.gov/of/1997/ofr-97-470/OF97-470C/asiaGmap.html |titleশিরোনাম=MAPS SHOWING GEOLOGY, OIL AND GAS FIELDS AND GEOLOGICAL PROVINCES OF SOUTH ASIA (Includes Afghanistan) |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=৩ জানুয়ারি ২০২০ |archiveআর্কাইভের-urlইউআরএল=https://web.archive.org/web/20131225134851/http://pubs.usgs.gov/of/1997/ofr-97-470/OF97-470C/asiaGmap.html |archiveআর্কাইভের-dateতারিখ=25 December 2013 |urlইউআরএল-statusঅবস্থা=live }}
* {{citeওয়েব webউদ্ধৃতি |urlইউআরএল=http://jsis.washington.edu/advise/catalog/soasia-b.html |titleশিরোনাম=University of Washington Jackson School of International Studies: The South Asia Center |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=৩ জানুয়ারি ২০২০ |urlইউআরএল-statusঅবস্থা=dead |archiveurlআর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20150402100846/http://jsis.washington.edu/advise/catalog/soasia-b.html |archivedateআর্কাইভের-তারিখ=2 April 2015 }}
* {{citeওয়েব webউদ্ধৃতি |urlইউআরএল=http://www.maxwell.syr.edu/moynihan/programs/sac/ |titleশিরোনাম=Syracruse University: The South Asia Center |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=৩ জানুয়ারি ২০২০ |archiveআর্কাইভের-urlইউআরএল=https://web.archive.org/web/20150326065054/http://www.maxwell.syr.edu/moynihan/programs/sac/ |archiveআর্কাইভের-dateতারিখ=26 March 2015 |urlইউআরএল-statusঅবস্থা=live }}
* {{citeওয়েব webউদ্ধৃতি |urlইউআরএল=http://www.ii.umich.edu/csas |titleশিরোনাম=Center for South Asian studies |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=৩ জানুয়ারি ২০২০ |archiveআর্কাইভের-urlইউআরএল=https://web.archive.org/web/20071211204817/http://www.ii.umich.edu/csas/ |archiveআর্কাইভের-dateতারিখ=11 December 2007 |urlইউআরএল-statusঅবস্থা=live }}</ref><ref name="UNdata">{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি |urlইউআরএল=http://millenniumindicators.un.org/unsd/methods/m49/m49regin.htm#asia |titleশিরোনাম=Composition of macro geographical (continental) regions, geographical sub-regions, and selected economic and other groupings |publisherপ্রকাশক=ইউএনডাটা | dateতারিখ=26 April 2011 |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=৩ জানুয়ারি ২০২০ |archiveurlআর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20110713041240/http://millenniumindicators.un.org/unsd/methods/m49/m49regin.htm |archivedateআর্কাইভের-তারিখ=13 July 2011 |urlইউআরএল-statusঅবস্থা=live}}</ref> ও মধ্য এশিয়ায় অবস্থিত।<ref name="Britannica">{{citeবিশ্বকোষ encyclopediaউদ্ধৃতি |urlইউআরএল=http://www.britannica.com/EBchecked/topic/7798/Afghanistan |titleশিরোনাম=Afghanistan |encyclopediaবিশ্বকোষ=[[এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা]] |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=৩ জানুয়ারি ২০২০ |archiveurlআর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20100225235842/http://www.britannica.com/EBchecked/topic/7798/Afghanistan |archivedateআর্কাইভের-তারিখ=25 February 2010 |urlইউআরএল-statusঅবস্থা=live}}</ref> {{convertরূপান্তর|652230|km2|abbr=on}}<ref>{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি|titleশিরোনাম=Land area (sq. km) |urlইউআরএল=http://data.worldbank.org/indicator/AG.LND.TOTL.K2 |workকর্ম=World Development Indicators |publisherপ্রকাশক=World Bank |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=13 October 2011 |yearবছর=2011|archiveurlআর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20131029185313/http://data.worldbank.org/indicator/AG.LND.TOTL.K2 |archivedateআর্কাইভের-তারিখ=29 October 2013 }}</ref> আয়তন-বিশিষ্ট দেশটি পৃথিবীর ৪১তম বৃহত্তম দেশ।<ref>{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি |urlইউআরএল=https://www.cia.gov/library/publications/the-world-factbook/fields/2147.html#af |titleশিরোনাম=CIA Factbook&nbsp;– Area: 41 |publisherপ্রকাশক=সিআইএ | dateতারিখ=26 November 1991 |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=৩ জানুয়ারি ২০২০ |archiveurlআর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20140131115000/https://www.cia.gov/library/publications/the-world-factbook/fields/2147.html |archivedateআর্কাইভের-তারিখ=31 January 2014 }}</ref> এর পূর্ব-পশ্চিমে এর সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য ১,২৪০ কিমি (৭৭০ মাইল); উত্তর-দক্ষিণে সর্বোচ্চ ১,০১৫ কিমি (৬৩০ মাইল)। উত্তর-পশ্চিম, পশ্চিম ও দক্ষিণের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলি মূলত মরুভূমি ও পর্বতশ্রেণী। উত্তর-পূর্বে দেশটি ধীরে ধীরে উঁচু হয়ে হিমবাহ-আবৃত পশ্চিম হিমালয়ের [[হিন্দুকুশ পর্বতমালা|হিন্দুকুশ পর্বতের]] সাথে মিশে গেছে। [[আমু দরিয়া]] নদী ও এর উপনদী পাঞ্জ দেশটির উত্তর সীমান্ত নির্ধারণ করেছে। আফগানিস্তানের উত্তর সীমানায় [[তুর্কমেনিস্তান]], [[উজবেকিস্তান]] ও [[তাজিকিস্তান]]; পূর্বে চীন এবং [[আজাদ কাশ্মীর|পাকিস্তান]]-নিয়ন্ত্রিত [[জম্মু ও কাশ্মীর]]; দক্ষিণে [[পাকিস্তান]] এবং পশ্চিমে [[ইরান]]।<ref>{{citeবই bookউদ্ধৃতি|authorলেখক=গ্ল্যাডস্টোন, ক্যারি|titleশিরোনাম=Afghanistan Revisited|urlইউআরএল=https://books.google.com/books?id=aH_KCWVB6W0C&pg=PA121 |yearবছর=২০০১ |publisherপ্রকাশক=নোভা পাবলিশার্স |isbnআইএসবিএন=978-1-59033-421-8 |pageপাতা=১২১}}</ref>
 
আফগানিস্তানের প্রায় অর্ধেক এলাকার উচ্চতা সমুদ্র সমতল থেকে ২,০০০ মিটার বা তার চেয়ে উঁচুতে অবস্থিত। ছোট ছোট হিমবাহ ও বছরব্যাপী তুষারক্ষেত্র প্রায়ই পরিলক্ষিত হয়। উত্তর-পূর্ব সীমান্তে অবস্থিত {{convertরূপান্তর|7492|m|abbr=on}} উচ্চতা বিশিষ্ট [[নওশাক পর্বত|নওশাক]] আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ ও সর্বোচ্চ বিন্দু।<ref name="Factbook"/> এটি পাকিস্তানের [[তিরিচমির|তিরিচ মির]] পর্বতশৃঙ্গের একটি নিচু পার্শ্বশাখা। পর্বতটি আফগানিস্তানের উত্তর-পূর্বে হিন্দুকুশ পর্বতমালার অংশ, যেটি আবার [[পামির মালভূমি]]র দক্ষিণে অবস্থিত। হিন্দুকুশ থেকে অন্যান্য নীচু পর্বতসারি ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়েছে। এদের মধ্যে প্রধান শাখাটি দক্ষিণ-পশ্চিমে প্রসারিত হয়ে পশ্চিমের ইরান সীমান্ত অবধি চলে গেছে। এই নিচু পর্বতমালাগুলির মধ্যে রয়েছে [[পারোপামিসুস পর্বতমালা]], যা উত্তর আফগানিস্তান অতিক্রম করেছে, এবং [[সফেদ কোহ পর্বতমালা]], যা পাকিস্তানের সাথে পূর্ব সীমান্ত তৈরি করেছে। সফেকদ কোহ-তেই রয়েছে বিখ্যাত [[খাইবার গিরিপথ]], যা আফগানিস্তান ও পাকিস্তানকে সংযুক্তকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কপথ। অপেক্ষাকৃত নিম্নভূমিগুলি দেশের দক্ষিণ ও পশ্চিমে অবস্থিত। এদের মধ্যে রয়েছে উত্তর-পশ্চিম প্রান্তের [[হেরাত]]-ফেরা নিম্নভূমি, দক্ষিণ-পশ্চিমের [[সিস্তন ও বালুচেস্তন প্রদেশ|সিস্তান]] ও [[হেলমন্দ নদী]] অববাহিকা এবং দক্ষিণের [[রিগেস্তান মরুভূমি|রিগেস্তান]] মরুভূমি। সিস্তান অববাহিকাটি বিশ্বের সবচেয়ে শুষ্ক এলাকার একটি।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://postconflict.unep.ch/publications/sistan.pdf|শিরোনাম=History of Environmental Change in the Sistan Basin 1976 - 2005|সংগ্রহের-তারিখ=2007-07-20|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20070807214557/http://postconflict.unep.ch/publications/sistan.pdf|আর্কাইভের-তারিখ=২০০৭-০৮-০৭|অকার্যকর-ইউআরএল=না}}</ref> আফগানিস্তানের সর্বনিম্ন বিন্দু [[জওজান প্রদেশ]]ের আমু নদীর তীরে অবস্থিত, যা সমুদ্রপৃষ্ট থেকে {{convertরূপান্তর|258|m|abbr=on}} উচ্চতা বিশিষ্ট।<ref name="Factbook"/>
 
নদী উপত্যকা ও কিছু ভূগর্ভস্থ পানিবিশিষ্ট নিম্নভূমি ছাড়া অন্য কোথাও কৃষিকাজ হয় না বললেই চলে। মাত্র ১২ শতাংশ এলাকা পশু চারণযোগ্য। দেশটির মাত্র ১ শতাংশ এলাকা বনাঞ্চল, এবং এগুলি মূলত পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব আফগানিস্তানে অবস্থিত। যুদ্ধ ও জ্বালানি সংকটের কারণে বনভূমি দ্রুত বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
৩৫৩ নং লাইন:
 
২০০২ সালে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংবাদপত্রের স্বাধীনতা প্রদানকারী আইন পাশ করে। এর পর প্রায় ১০০টি সংবাদপত্র আফগানিস্তানে প্রকাশিত হতে শুরু করে। বর্তমানে ''[[সাপ্তাহিক কাবুল]]'' সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় সংবাদপত্র।
 
 
==টীকা==