ঢাকা মেডিকেল কলেজ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৩৯ নং লাইন:
[[ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি]] ১৭৫৭ সালে [[ভারত|ভারতবর্ষের]] ক্ষমতা দখলের প্রায় একশ বছর পর ১৮৫৩ সালে [[কলকাতা মেডিকেল কলেজ]] প্রতিষ্ঠিত হয়। কলকাতায় মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠারও একশ’ বছরে এ অঞ্চলে কোন মেডিকেল কলেজ স্থাপিত হয়নি। মধ্যবর্তী এ দীর্ঘ সময়ে কিছু মেডিকেল স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৫৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় মিটফোর্ড হাসপাতালের সাথে মিটফোর্ড মেডিকেল স্কুল (যা বর্তমানে [[স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ]]), ১৯২০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় [[চট্টগ্রাম]], [[ময়মনসিংহ]], [[রাজশাহী]] ও [[সিলেট]] মেডিকেল স্কুল।
 
তবে পূর্ববঙ্গে একটি মেডিকেল কলেজ স্থাপনের উদ্যোগ নিতে নিতে চলে আসে ১৯৩৯ সাল। [[দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ]] শুরু হওয়ার বছরেই '''ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কাউন্সিল '''তদানীন্তন [[যুক্তরাজ্য|বৃটিশব্রিটিশ]] সরকারের কাছে ঢাকায় একটি মেডিকেল কলেজ স্থাপনের প্রস্তাব পেশ করে। কিন্তু যুদ্ধের ডামাডোলে হারিয়ে যাওয়া প্রস্তাবটি ১৯৪৫ সালে যুদ্ধ শেষে আলোর মুখ দেখে। বৃটিশব্রিটিশ সরকার উপমহাদেশের [[ঢাকা]], [[করাচী]] ও [[মাদ্রাজ|মাদ্রাজে]] (বর্তমানে [[চেন্নাই]]) তিনটি মেডিকেল কলেজ স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়। এ উপলক্ষে ঢাকার তৎকালীন সিভিল সার্জন [[ডব্লিউ জে ভারজিন|ডাঃ মেজর ডব্লিউ জে ভারজিন]] এবং অত্র অঞ্চলের প্রথিতযশা নাগরিকদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়। তাদের প্রস্তাবনার উপর ভিত্তি করেই ১০ জুলাই ১৯৪৬ তারিখে ঢাকা মেডিকেল কলেজ চালু হয়।
 
=== ব্যাচের নামকরণে K এর ব্যবহার ===
৮৮ নং লাইন:
 
তৎকালীন সেনাবাহিনীর মেডিকেল কোরের সদস্যদের মধ্যে [[স্কোয়াড্রন লিডার|স্কোয়াড্রন লীডার]] এম শামসুল হক, [[মেজর]] খুরশীদ, [[মেজর]] শামসুল আলম, ক্যাপ্টেন আব্দুল লতিফ মল্লিক, [[ক্যাপ্টেন]] মোশায়েফ হোসেন, ক্যাপ্টেন আঃ মান্নান, লে আখতার, লে নুরুল ইসলাম প্রমুখ অফিসারবৃন্দ বিভিন্ন সেক্টরে নিয়োজিত ছিলেন। এদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য ক্যাপ্টেন খুরশীদ [[বীরউত্তম]] ও লে আখতার [[বীরপ্রতীক]] উপাধি পেয়েছিলেন। তৎকালীন [[পাকিস্তান]] সেনাবাহিনীর মেডিকেল কোরের যে সমস্ত সদস্য শহীদ হয়েছেন তাদের মধ্যে ডাঃ লে ক এ এফ জিয়াউর রহমান, ডাঃ [[মেজর]] আসাদুল হক, ডাঃ লে আমিনুল হক, ডাঃ লে খন্দকার আবু জাফর মোঃ নূরুল ইমাম প্রমুখ [[ঢাকা]] মেডিকেল কলেজের ছাত্র ছিলেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত প্রায় সকল চিকিৎসকই আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা করতেন। মুক্তিযোদ্ধারা আসল নাম গোপন রেখে হাসপাতালে ভর্তি হতেন। হাসপাতালে এই সমস্ত কাজের সমন্বয়ের দায়িত্ব্‌ পালন করতেন অধ্যাপক ফজলে রাব্বি। তিনি তার আয়ের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ব্যয় করতেন মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্নভাবে সাহায্য করে। শহীদ অধ্যাপক আলিম চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধের সময় স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে কর্মরত থাকলেও বেশীরভাগবেশিরভাগ সময় কাটাতেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
 
ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে পাশ করা অনেক চিকিৎসক ভারতে গিয়ে বিভিন্নভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ঐ সমস্ত চিকিৎসকদের অনেকে অস্ত্রহাতে যুদ্ধ করেছেন। আবার কেউ আহত মুক্তিযোদ্ধা ও শরণার্থীদের চিকিৎসা করেছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে পাশকৃত চিকিৎসকদের মধ্যে যারা মুক্তিযুদ্ধে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন তারা হলেন- ডাঃ শিশির মজুমদার, ডাঃ সরওয়ার আলী, অধ্যাপক সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, ডাঃ ওয়াজেদুল ইসলাম খান, ডাঃ মাকসুদা নার্গিস, ডাঃ কাজি তামান্না, ডাঃ ফৌজিয়া মোসলেম ও ডাঃ সমীর কুমার শর্মা প্রমুখ (অনেকের নাম সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি)। দেশের ভিতর থেকে অসংখ্য চিকিৎসক জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করতেন। মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করার জন্য পাকবাহিনী ও [[রাজাকার]]দের হাতে অনেককে জীবন দিতে হয়েছে।