কত্থক: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
২ নং লাইন:
[[File:Sharmila Sharma et Rajendra Kumar Gangani 2.jpg|thumb|শর্মিলা শর্মা এবং রাজেন্দ্র কুমার গঙ্গানি কর্তৃক প্রদর্শনী, গুইমেট যাদুঘর (নভেম্বর ২০০৭)]]
'''কথক''' ({{lang-hi|कथक}}, [[উর্দু ভাষা|উর্দু]]: '''کتھک''') [[ভারতীয় শাস্ত্রীয় নৃত্য|ভারতীয় শাস্ত্রীয় নৃত্যের]] আট ধরনের মধ্যে একটি। এই নৃত্যের ফর্ম প্রাচীন [[উত্তর ভারত|উত্তর ভারতের]] যাযাবর সম্প্রদায় থেকে উদ্ভূত। ভারতীয় শাস্ত্রীয় নৃত্যের প্রধান চারটি ধারার বাকি তিনটি হচ্ছে [[ভরতনট্যম]], [[কথাকলি]], [[মণিপুরী]]। কথক শাস্ত্রীয় নৃত্যের একটি অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য ধারা। সব রকমের শাস্ত্রীয় নৃত্যের মধ্যে কথক সবচাইতে জনপ্রিয়। প্রাচীনকালে বিভিন্ন দেবদেবীর মহাত্ন বর্ণনায় কয়েকটি সম্প্রদায় ছিলো যারা নৃত্য ও গীত দিয়ে দেবদেবীর মহাত্নাবলী পরিবেশন করতেন। এসব সম্প্রদায়গুলো কথক, গ্রন্থিক, পাঠক ইত্যাদি ইত্যাদি। সবকটির মধ্যে কথক একটি বিশেষ স্থান আজও অধিকার করে রয়েছে। কথক নৃত্যে প্রধানত রাধা কৃষ্ণের লীলা কাহিনীই রূপায়িত হত। দীর্ঘকাল ধরে ধর্মীয় উৎসব ও মন্দির কেন্দ্রিক পরিবেশনা হওয়ায় কথক নৃত্যের কোনো সুসংহত রুপ গড়ে ওঠেনি। মোঘল আমলে দরবারী সংগীত ও নৃত্যের যুগ সুচিত হলেই কথক নৃত্যের একটি সুসংহত রুপ গড়ে ওঠে। কথক নৃত্যের সবচাইতে
কথক নৃত্যে মোট বারোটি পর্যায়। তবলা বা পাখোয়াজের লহরায় তাল নির্ভর নৃত্য পদ্ধতিটি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। বারোটি পর্যায়ে রয়েছে গণেশ বন্দনা, আমদ, থাট, নটবরী, পরমেলু, পরণ, ক্রমলয়, কবিতা, তোড়া ও টুকরা, সংগীত ও প্রাধান। প্রাম্ভিক প্রযায়ে থাকে গণেশ বন্দনা ও আমদ। নটবরী অংশে তাল সহযোগে নৃত্য পরিবেশিত হয়। পরমেলু অংশে বাদ্যধ্বনীর সাথে নৃত্য পরিবেশিত হয়।পরণ অংশে বাদক বোল উচ্চারণ করে ও নৃত্যশিলপী পায়ের তালে তার জবাব দেয়। এরপর তবলা বা পাখোয়াজের সাথে নৃত্য পরিবেশিত হয়। ক্রমানবয়ে বিলম্বিত ও পরে দ্রুত তালের সাথে নৃত্য পরিবেশিত হয়।করতালি দিয়ে তাল নির্দেশ করাকে বলে প্রাধান।
কতক নৃত্যের প্রধান পোশাক লম্বা গোড়ালী পর্যন্ত পেশোয়াজ নামক এক ধরনের সিল্কের জামা ও চুড়িদার পাজামা। উজ্জল প্রসাধন ও অলংকার ব্যবহৃত হয়।
|