আব্দুর রব বগা মিয়া: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
হটক্যাটের মাধ্যমে + 7টি বিষয়শ্রেণী
সংশোধন
১২ নং লাইন:
| occupation = রাজনীতিবিদ
}}
'''আব্দুর রব বগা মিয়া''' (৩১ অক্টোবর ১৯১৬ - ২৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৩) [[বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ|বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের]] একজন রাজনীতিবিদ ও [[বাংলাদেশ গণপরিষদ|গণপরিষদের]] সদস্য ছিলেন। [[পাবনা জেলা]]য় তিনি [[বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ|বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের]] অন্যতম সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
 
==প্রারম্ভিক জীবন==
বগা মিয়া ১৯১৬ সালের ৩১ অক্টোবর [[রংপুর]] শহরে তার পিতার কর্মস্থলে জন্মগ্রহণ করেন।<ref name="নিউজ পাবনা">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=পাবনায় মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আব্দুর রব বগা মিয়া |ইউআরএল=https://newspabna.com/%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%97/ |ওয়েবসাইট=নিউজ পাবনা |সংগ্রহের-তারিখ=২৫ ডিসেম্বর ২০১৯}}</ref> তার আসল নাম সৈয়দ ফজলে এলাহী আব্দুর রব। তার পিতার নাম ছাবকাত হোসেন ও মাতার নাম মহিতুন নেসা।<ref name="নিউজ পাবনা"/> ছাবকাত [[ব্রিটিশ ভারতীয়ভারত]] সরকারের একজন বিভাগীয় পরিদর্শক ছিলেন। বগা মিয়া পরবর্তীতে [[কলকাতা|কলকাতাতে]] শিক্ষালাভ করেন। কলকাতা থাকাবস্থাতাতেই বাঙালি রাজনীতিবিদদের সাথে তার সম্পর্ক গড়ে উঠে। ১৯৪৭ সালে [[ভারত বিভাজন|ভারত বিভাগের]] পর পৈতৃক নিবাস [[পাবনা জেলা|পাবনাতে]] চলে আসেন এবং ব্যবসায়ে জড়িত হন।<ref name="নিউজ পাবনা"/> ১৯৫২ সালের [[বাংলা ভাষা আন্দোলন]] থেকে শুরু করে বাঙালির অধিকার আদায়ের বিভিন্ন আন্দোলনে তার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভূমিকার জন্য কয়েকবার কারাবরণ করেন।
 
==রাজনৈতিক জীবন==
১৯৫৩ সালে আওয়ামী লীগের পাবনা জেলা শাখা গঠিত হলে বগা মিয়া কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পান। ১৯৬২ সালের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে তিনি তিনি [[আমজাদ হোসেন (রাজনীতিবিদ)|আমজাদ হোসেনের]] পক্ষে নির্বাচন পরিচালনা করেন। [[পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন, ১৯৭০|১৯৭০ সালের প্রাদেশিক পরিষদের]] নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে পাবনা সদর আসন থেকে এমপিএ নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালের ৬ এপ্রিল পাবনা জেলা শাখা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি আমজাদ হোসেনের মৃত্যুর পর তিনি সভাপতির দায়িত্ব পান। বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর বাংলাদেশের জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদে নির্বাচিত সকল জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে [[বাংলাদেশ গণপরিষদ|গণপরিষদ]] গঠন করা হলে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য হিসেবে তিনি এতে অন্তর্ভূক্ত হন।
 
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাবনায় ৯ জনকে নিয়ে কমিটি গঠন করা হয় যার মধ্যে একজন ছিলেন বগা মিয়া।<ref>বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (তৃতীয় খণ্ড), ৭২৫</ref><ref name="জনকন্ঠ">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=রাজশাহী হানাদার মুক্ত দিবস আজ |ইউআরএল=http://web.dailyjanakantha.com/details/article/467864/%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A7%80-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B8-%E0%A6%86%E0%A6%9C/ |ওয়েবসাইট=জনকন্ঠ |সংগ্রহের-তারিখ=২৫ ডিসেম্বর ২০১৯}}</ref> ১৮ ডিসেম্বর পাবনাকে মুক্তাঞ্চল ঘোষণা করা হলে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত ছিলেন।<ref name="জনকন্ঠ"/>
 
==ব্যক্তিগত জীবন==
বগা মিয়া ব্যক্তিগত জীবনে [[জাহানারা রব|জাহানারা রবের]] সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। জাহানারা [[প্রথম জাতীয় সংসদ সদস্যদের তালিকা|প্রথম জাতীয় সংসদে]] সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য ছিলেন। ১৯৭৩ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সড়ক দূর্ঘটনায়দুর্ঘটনায় বগা মিয়া মৃত্যুবরণ করেন।<ref name="নিউজ পাবনা"/> এই দম্পতির এক ছেলে ও পাঁচ মেয়ে রয়েছে।
 
==তথ্যসূত্র==