পূর্বের ঐতিহ্যগুলি যাদের পরবর্তীতে বিশ্লেষণ করে গূঢ়বাদের ভিত্তি রচয়িত হয়েছিলো তাদের উৎপত্তি প্রাচীন যুগে পূর্বভূমধ্যসাগরের তীরে যেখানে হার্মিসটিক্সমহার্মিটিসিজম, নোস্টিকিজমনোস্টিসিজম ও নিওপ্লেটোনিজম চিন্তাধারার বাহক হয়ে উঠেছিলো যারা পরবর্তীতে খ্রিষ্টান চিন্তাধারার সাথে মিশে গিয়েছিলো। রেনেসাঁর সময় ইউরোপ এইসব চিন্তাধারার প্রতি আগ্রহ দেখিয়েছে, বিভিন্ন বুদ্ধিজীবি কাব্বালাহ ও খ্রিস্টান দর্শনের সাথে প্যাগান বা পৌত্তলিকদের দর্শনের মিল ঘটিয়েছেন। যা জন্ম দিয়েছে খ্রিষ্টান থিওসোফির মতো রহস্যময় আন্দোলন। সপ্তদশ শতাব্দীতে বিকাশ ঘটেছিলো রোশিক্রিশিয়ানিজম ও ফ্রীম্যাসনদের মতো গুপ্তজ্ঞান কে ধারণ করে এমন সমাজের, যখন অষ্টাদশ শতাব্দীর আলোর যুগটি গূঢ়বাদের চিন্তাধারাকে নতুন দিকে বিকশিত করে। উনবিংশ শতাব্দীতে গূঢ়তত্ত্বীয় চিন্তাধারায় নতুন প্রবণতা দেখা যায় যা অকাল্ট হিসেবে পরিচিতি পায়। এই শতাব্দীর বিশিষ্ট গোষ্ঠীগুলোর মধ্য উল্লেখযোগ্য থিওসফিক্যাল সোসাইটি ও গোল্ডেন ডনের হারমেটিক অর্ডার। গূঢ়বাদের ধারণাগুলি ১৯৬০ এর দশকের পাল্টা সংস্কৃতি ও পরবর্তী কালের সাংস্কৃতিক প্রবণতাগুলির সাথে মিশে পড়ছিলো এবং যার থেকে ১৯৭০ এর দশকে নিউ এজ ফেনোমেনন এর আত্ম প্রকাশ ঘটে।