মাইক্রোপ্রসেসর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Zaheen (আলোচনা | অবদান)
ভূমিকা সংশোধন
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
১ নং লাইন:
[[চিত্র:80486dx2-large.jpg|right|thumb|ইন্টেলের ৮০৪৮৬-ডিএক্স-২ মাইক্রোপ্রসেসরের ছবি]]
'''মাইক্রোপ্রসেসর''' বা '''“অণুপ্রক্রিয়াজাতকারক”''' বলতে এক শ্রেণীর অতিক্ষুদ্র ইলেকট্রনীয় যন্ত্র বা যন্ত্রাংশকে বোঝায়, যেটি ডিজিটাল কম্পিউটার তথা ইলেকট্রনীয় গণকযন্ত্রের কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াজাতকরণ অংশের কাজগুলি সম্পাদন করার জন্য প্রয়োজনীয় গাণিতিক, যুক্তিভিত্তিক ও নিয়ন্ত্রণমূলক ইলেকট্রনীয় বর্তনী ধারণ করে রাখে। এটি এক ধরনের সমন্বিত বর্তনী যা উচ্চতর ভাষাতে লিখিত প্রোগ্রাম তথা নির্দেশনাক্রম যান্ত্রিক ভাষায় অনুবাদ করে নিতে পারে, সেই নির্দেশনাগুলি নির্বাহ করতে পারে এবং একই সাথে গাণিতিক বিভিন্ন কর্মকাণ্ডও সম্পাদন করতে পারে। তথ্য-উপাত্ত প্রবিষ্টকারী যন্ত্রাংশের (ইনপুট) মাধ্যমে স্থায়ী বা অস্থায়ী স্মৃতিতে (মেমরি) স্থাপিত বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত ও নির্দেশনাক্রম (প্রোগ্রাম) মাইক্রোপ্রসেসরে প্রবেশ করে, এবং মাইক্রোপ্রসেসরটি তথ্য-উপাত্তগুলিকে প্রদত্ত নির্দেশনাক্রম অনুযায়ী প্রক্রিয়াজাত করে ফলাফলগুলিকে তথ্য-উপাত্ত নির্গতকারী যন্ত্রাংশে (আউটপুট) প্রেরণ করে, যাতে সেগুলিকে মানুষের জন্য বোধগম্য রূপে প্রদর্শন (ডিসপ্লে) করা হয় বা মুদ্রণ (প্রিন্ট) করা হয়।
 
১৯৭০-এর দশকের শুরুর দিকে বৃহৎ-মাপের সমন্বয়করণ (large-scale integration, LSI) প্রযুক্তির প্রচলন হয়, যার ফলে একটি অতিক্ষুদ্র (৫ বর্গমিলিমিটার ক্ষেত্রফলের চেয়েও ছোট) সিলিকনের চিলতের উপরে হাজার হাজার ট্রানজিস্টর, ডায়োড ও রোধক জাতীয় ইলেকট্রনীয় বর্তনী ও যন্ত্রাংশ স্থাপন করা সম্ভব হয়। ১৯৭১ সালে প্রথম মাইক্রোপ্রসেসর বা অণুপ্রক্রিয়াজাতকারকটি বাজারে আসে, যার নাম ছিল ইন্টেল ৪০০৪। ১৯৮০-র দশকের শুরুর দিকে অতিবৃহৎ-মাপের সমন্বয়করণ (very large-scale integration, VLSI) প্রযুক্তির উদ্ভাবন ঘটে, যার সুবাদে মাইক্রোপ্রসেসর চিলতেগুলির ভেতরে বর্তনীর ঘনত্ব বহুগুণ বৃদ্ধি পায়। ২০১০ সালে এসে আগের আকারের চিলতেতেই একটিমাত্র অতিবৃহৎ-মাপের সমন্বিত বর্তনীতে কয়েক শত কোটি ইলেকট্রনীয় উপাদান ধারণ করা সম্ভব হয়।
 
স্বল্পমূল্যের মাইক্রোপ্রসেসর উদ্ভাবনের ফলে কম্পিউটার প্রকৌশলীরা মাইক্রোকম্পিউটার অর্থাৎ অণু-গণকযন্ত্র (অতিক্ষুদ্র গণকযন্ত্র) নির্মাণে সফল হন। এই কম্পিউটার ব্যবস্থাগুলি আকারে ছোট হলেও বিভিন্ন ব্যবসা, শিল্প, স্বাস্থ্যসেবা ও বৈজ্ঞানিক কাজের জন্য প্রয়োজনীয় গণন ক্ষমতার অধিকারী। বর্তমানে আধুনিক সমাজের বহুক্ষেত্রে মাইক্রোপ্রসেসর ব্যবহৃত হচ্ছে। গৃহস্থালি ও দৈনন্দিন বিভিন্ন ইলেকট্রনীয় যন্ত্রপাতি যেমন কাপড় ধোবার যন্ত্র, টেলিভিশন, মোবাইল ফোন (মুঠোফোন), অণুতরঙ্গ চুল্লী (মাইক্রোওয়েভ ওভেন), ইত্যাদিতে মাইক্রোপ্রসেসর ব্যবহৃত হয়। আধুনিক মোটরযানে মাইক্রোপ্রসেসর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত প্রজ্বলন ব্যবস্থা, জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্থা এমনকি বর্জ্য গ্যাস নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা থাকে, যাতে গাড়ির কর্মদক্ষতা বাড়ে, জ্বালানির সাশ্রয় হয় এবং দূষণ কম হয়।
 
== ইতিহাস ==