বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

[পরীক্ষিত সংশোধন][পরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Aliftahzibul-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে Sotiale-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
ট্যাগ: পুনর্বহাল
MA Rashed Khan (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
৫৮ নং লাইন:
}}
 
'''বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ''' ছিল [[১৯৭১]] সালে সংঘটিত তৎকালীন [[পাকিস্তান|পশ্চিম পাকিস্তানের]] বিরুদ্ধে [[পূর্ব পাকিস্তান|পূর্ব পাকিস্তানের]] সশস্ত্র সংগ্রাম, যার মাধ্যমে [[বাংলাদেশ]] একটি স্বাধীন দেশ হিসাবে পৃথিবীর মানচিত্রে আত্মপ্রকাশ করে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতের অন্ধকারে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী পূর্ব পাকিস্তানে বাঙালি নিধনে ঝাঁপিয়ে পড়লে একটি জনযুদ্ধের আদলে গেরিলাযুদ্ধ তথা [[স্বাধীনতা যুদ্ধ|স্বাধীনতা যুদ্ধের]] সূচনা ঘটে।<ref name= genwatch>[http://www.gendercide.org/case_bangladesh.html ''Genocide in Bangladesh, 1971.'' Gendercide Watch.]</ref> ২৫ মার্চের কালো রাতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী [[ঢাকা|ঢাকায়]] অজস্র সাধারণ নাগরিক, ছাত্র, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, পুলিশ ও ই.পি.আর.-কে হত্যা করে এবং ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতাপ্রাপ্ত দল আওয়ামী লীগ প্রধান বাঙালিদের তৎকালীন জনপ্রিয় নেতা [[শেখ মুজিবুর রহমান|বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে]] গ্রেপ্তার করে। পার্বত্য চট্টগ্ৰামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে ৮ম পূৰ্ব বেঙ্গল রেজিমেন্টের উপ-প্ৰধান [[জিয়াউর রহমান|মেজর জিয়াউর রহমান]] ও চট্টগ্রাম [[বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ|আওয়ামী লীগের]] নেতা [[এম. এ. হান্নান]] [[শেখ মুজিবুর রহমান|বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের]] পক্ষে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। প্রতিষ্ঠিত হয় বাঙালি জাতির স্বাধীন রাষ্ট্র ''বাংলাদেশ''<ref>http://theindependentbd.com/index.php?option=com_content&view=article&id=42361:zia-never-claimed-to-be-declarer-of-independence&catid=95:national&Itemid=141</ref><ref>http://www.youtube.com/watch?v=9O1U13Aa_F8</ref><ref>http://www.thedailystar.net/lifestyle/2009/03/04/page04.htm</ref>
 
পরিকল্পিত গণহত্যার মুখে সারাদেশে শুরু হয়ে যায় প্রতিরোধযুদ্ধ; জীবন বাঁচাতে কয়েক হাজার আওয়ামী লীগের নেতারা পার্শ্ববর্তী দেশ [[ভারত|ভারতে]] আশ্রয় গ্রহণ করে। পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট, ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস (ইপিআর), ইস্ট পাকিস্তান পুলিশ, সামরিক বাহিনীর বাঙালি সদস্য এবং সর্বোপরি বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী সাধারণ মানুষ দেশকে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর কব্জা থেকে স্বাধীন করতে কয়েক মাসের মধ্যে গড়ে তোলে [[মুক্তিবাহিনী]]। গেরিলা পদ্ধতিতে যুদ্ধ চালিয়ে গেরিলা বাহিনী সারাদেশে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে ব্যতিব্যস্ত করে তোলে। স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে [[বাংলাদেশ]] ভারতের কাছ থেকে নুন্যতম অর্থনৈতিক, সামরিক ও কূটনৈতিক সাহায্য লাভ করে। ডিসেম্বরের শুরুর দিকে যখন পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর পতন অনিবার্য হয়ে ওঠে, তখন তারা গেরিলা বাহিনীর কাছে পরাজয়ের লজ্জা এড়াবার জন্য এবং স্বাধীনতা যুদ্ধকে আন্তর্জাতিক সংঘর্ষে পরিণত করার উদ্দেশ্যে ৩ ডিসেম্বর ভারতে বিমান হামলার মাধ্যমে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হয়।