সিলেটি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

[অপরীক্ষিত সংশোধন][অপরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সংশোধন
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
Naik Mahbub (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
৪৬ নং লাইন:
 
==বর্ণ এবং সামাজিক স্তর ==
সিলেটের লোকজনহিন্দুরা সামাজিকভাবে চারটি জাতি, যাকে বলা হয় [[বর্ণ|চতুর্বর্ণ]] এবং তিনটি সামাজিক শ্রেণীতে বিভক্ত। 'বর্ণ' বা রং এবং '[[জাতি]] শব্দদ্বয় '[[হিন্দু]] প্রথা' থেকে উদ্ভূত, যা মানুষকে চারটি বর্ণ বা রঙে বিভক্ত করেছেঃ [[সাদা]], [[লাল]], [[হলুদ]] এবং [[কালো]]। সাদা লোকেরা [[ব্রাহ্মণ]], যারা পাদ্রী, [[শিক্ষক]] এবং [[ধর্ম]] প্রচারক হওয়ার জন্য নির্ধারিত; লোহিত বর্ণের মানুষজন [[ক্ষত্রিয়]], যারা [[রাজা]]-বাদশা, শাসক, [[যুদ্ধ|যোদ্ধা]] এবং সৈন্য হওয়ার জন্য নির্ধারিত; হলুদ বর্ণের লোকেরা [[বৈশ্য]], যারা গবাদি পশু পালন, হালচাষ, কারিগর এবং বণিক হওয়ার জন্য জন্মগ্রহণ করেছেন; এবং [[কৃষ্ণ]]কায় লোকেরা [[শূদ্র]], যারা সাধারণ জনগোষ্ঠীর শ্রমিক এবং মজুর।<ref>Mahabharata (12.181)</ref><ref>Hiltebeitel, Alf (2011). Dharma : its early history in law, religion, and narrative. Oxford University Press. pp. 529–531.{{ISBN|978-0-19-539423-8}}</ref> সিলেটি [[হিন্দু]]দের মধ্যে সকল বর্ণ গোষ্ঠীর লোকজন বিদ্যমান।
 
সিলেটি মুসলিম'রা বেশী অংশে সুন্নি ইসলামের হানাফি স্কুলের অন্তরভূক্ত এবং বহু সংখ্যক আহলাস-সাহীহ্ বা সহীহ্ ইসলামের (যারা কোরআন, সহীহ্ হাদিস এবং এগুল আলোকে ইজমা ও কিয়াস বা জ্ঞান-বিজ্ঞান ও যুক্তিতে বিশ্বাসী) অনুসারী।
[[মোগল সাম্রাজ্য|মোগল সাম্রাজ্যের]] মধ্যবর্তী সময়ে [[মুসলমান]]দের মধ্যে শ্রেণিবিভাগ গড়ে ওঠে এবং এটি তিনটি স্তরে বিভক্তঃ আশরাফ, আজলাফ এবং আরজাল। আশরাফরা ছিল প্রধানত উচ্চ শ্রেণীর, যারা [[ধর্ম]]গুরু, শিক্ষক, ধর্মপ্রচারক, রাজা, গভর্নর, যোদ্ধা এবং [[সেনাবাহিনী|সৈন্য]]; আজলাফ হল মধ্যবিত্ত শ্রেণীর, যারা গবাদি পশু পালন, হালচাষ, কারিগর এবং বণিক হওয়ার জন্য নির্ধারিত; এবং আরজাল শ্রমিক শ্রেনীর জন্য নির্ধারিত, যারা সব ধরনের সেবামূলক কাজ করে থাকে।<ref>Habib, Mohammed (1358), The Political Theory of the Delhi Sultanate</ref><ref>Asghar Ali Engineer. "On reservation for Muslims". The Milli Gazette. Pharos Media & Publishing Pvt Ltd,. Retrieved 1 September 2004</ref> আরজাল সামাজিক শ্রেণীভুক্ত ব্যক্তিদের পারিবারিক নাম বা উপনাম নেই; আরজাল পুরুষরা সাধারণত তাদের শেষ নাম হিসাবে [[ইসলাম|ইসলামের]] বীরদের বা সম্মানিত নাম ব্যবহার করে, যা নামের শেষে প্রায় এক ডজন আরজাল লোকদের দ্বারা ব্যবহৃত হয় এবং সেগুলো নিম্নরূপঃ
 
# আহমদ/আহমেদ;
# মোহাম্মদ বা মুহাম্মদ;
# আলী;
# হুসেন, হুসাইন বা হোসাইন;
# হাসান;
# জামান;
# [[ইসলাম]];
# হক;
# আদ-দীন, আল-দীন, উদ-দীন বা উদ্দিন;
# উল্লাহ্‌;
# মিয়; এবং
# আলম।
আরজাল সামাজিক শ্রেণীর নারীরা তাদের নামের শেষে আধা ডজনের মতো নাম ব্যবহার করেন, নিচে সেগুলো দেওয়া হলঃ
 
# বেগম;
# খাতুন;
# খানম;
# নাহার;
# নিসা/নেসা;
# বিবি; এবং
# বানু।
 
অনেক আরজাল পুরুষদের [[আল্লাহর ৯৯ টি নাম|আল্লাহর নিরানব্বইটি বৈশিষ্ট্যবাচক নামের]] একটি দেওয়া হয় এবং এই বৈশিষ্ট্যপূর্ণ নাম থেকে [[সৃষ্টিকর্তা]] ও [[জীব|সৃষ্টি]]র মধ্যে পার্থক্য বজায় রাখার জন্য [[বান্দা]]সূচক (ইসলামি পরিভাষায় আল্লাহ্‌র গোলাম) উপসর্গ প্রয়োজন পড়ে।
 
== প্রবাসী ==