[[১৯৭৮]] সালে [[জাপান|জাপানি]] অর্থানুকূল্যে [[কাবুল|কাবুলে]] আফগানিস্তানের প্রথম টেলিভিশন স্টেশন সম্প্রচার শুরু করে। তবে [[তালিবান|তালিবানেরা]] ক্ষমতায় আসার পর টেলিভিশন নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। [[২০০১]] সালে তালিবানদের পতনের পর আবার কাবুলে টেলিভিশন সম্প্রচার শুরু হয়।
[[১৮৭৫]] সালে আফগানিস্তানে প্রথম সংবাদপত্র ছাপা হয়, এবং [[১৯০০]] সালের ঠিক পরে আরও দুইটি ছোট ছোট সংবাদপত্র প্রকাশিত হত। [[১৯১৯]] সালে [[রাজা আমানুল্লাহ]] শাসনভার হাতে নেওয়ার পর প্রায় ১৫টি সংবাদপত্র ও ম্যাগাজিন বিকাশ লাভ করে। [[১৯৫০]]-এর দিকে আফগানিস্তানের ৯৫% ছাপা বই ও সংবাদ সরকারিভাবে প্রকাশিত হত।
[[১৯৬২]] সালে প্রথম ইংরেজি দৈনিক হিসেবে ''[[কাবুল টাইম্স]]'' আত্মপ্রকাশ করে। এছাড়া [[বাখতার সংবাদ সংস্থা|বাখতার সংবাদ সংস্থাও]] অনেক বিদেশী খবর পরিবেশন করত। [[১৯৭৮]] সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর কাবুল টাইম্সের নাম বদলে [[কাবুল নিউ টাইম্স]] রাখা হয় এবং এতে [[সাম্যবাদ|সাম্যবাদী]] ধারার খবরাখবর প্রকাশিত হত। এই পত্রিকাটি ছিল ঘোর-পাশ্চাত্যবিরোধী। এর প্রতিবাদে গোপনে [[শবনম (পত্রিকা)|শবনম]] নামে একটি সরকারবিরোধী পত্রিকা কাবুলে প্রকাশিত হত। [[১৯৯৬]] সালে আফগানিস্তানে ১২টি দৈনিক পত্রিকা ছিল, কিন্তু তালিবানেরা ক্ষমতায় আসার পর এগুলির সবই বন্ধ হয়ে যায়। [[১৯৯৮]] সালে তালিবানেরা এদের মধ্য থেকে দুইটিকে নিজস্ব প্রচারমাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করার জন্য আবার চালু করে।
[[২০০২]] সালে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংবাদপত্রের স্বাধীনতা প্রদানকারী আইন পাশ করে। এর পর প্রায় ১০০টি সংবাদপত্র আফগানিস্তানে প্রকাশিত হতে শুরু করে। বর্তমানে ''[[সাপ্তাহিক কাবুল]]'' সবচেয়ে বেশি কাটতিরজনপ্রিয় সংবাদপত্র।